NCTB Class 9 and 10 Bengali জীবন সঙ্গীত Solution

NCTB Class 9 and 10 Bengali জীবন সঙ্গীত Solution

Bangladesh Board Class 9 and 10 Bengali Solution জীবন-সঙ্গীত Exercises Question and Answer by Experienced Teacher. NCTB Class 9 and 10 Bengali Solution জীবন-সঙ্গীত.

NCTB Solution Class 9 and 10 জীবন-সঙ্গীত : 

Board          NCTB Bangladesh Board
Class 9 and 10
Subject Bengali
Chapter Name

NCTB Class 9 and 10 Bengali জীবন সঙ্গীত Solution

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :

(১) হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় আয়ুকে কোনটির সঙ্গে তুলনা করেছেন?

(ক) নদীর জল

(খ) পুকুরের জল

(গ) শৈবালের নীর

(ঘ) ফটিক জল

উত্তর :

(গ) শৈবালের নীর

(২) কবি সংসার সমরাঙ্গনবলতে কী বুঝিয়েছেন?

(ক) যুদ্ধক্ষেত্রকে

(খ) জীবনযুদ্ধকে

(গ) প্রতিরোধ যুদ্ধকে

(ঘ) অস্তিত্বকে

উত্তর :

(খ) জীবনযুদ্ধকে

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও :

শুকুর মিয়া একজন খুদে ব্যবসায়ী। সামান্য পুঁজি নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। প্রথম প্রথম লাভ পান। এক সময় তার ব্যবসায়ে মন্দা দেখা দেয়। এতে তিনি কিছুটা বিচলিত হয়ে পড়েন তখন বন্ধু হাতেম তাকে দৃঢ়তার সাথে এগিয়ে চলার পরামর্শ দেন। শুকুর মিয়া তার পরামর্শকে সাদরে গ্রহণ করেন।

(৩) উদ্দীপকের শুকুর মিয়ার লক্ষ্য কী?

(ক) যশোদ্বার

(খ) অমরত্ব লাভের আকাঙ্ক্ষা

(গ) সংসার সমরাঙ্গনে টিকে থাকা

(ঘ) বরণীয় হওয়া

উত্তর :

(গ) সংসার সমরাঙ্গনে টিকে থাকা

(৪) অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে শুকুরের যে গুণের আবশ্যক তা হলো – –

(ক) সাহস

(খ) সংগ্রাম

(গ) আত্মবিশ্বাস

(ঘ) সঙ্কল্প

উত্তর :

(গ) আত্মবিশ্বাস

সৃজনশীল প্রশ্ন : 

রবার্ট ব্রুস পর পর ছয়বার যুদ্ধে পরাজিত হয়ে এক সময় হতাশ হয়ে বনে চলে যান। সেখানে দেখেন একটা মাকড়সা জাল বুনতে গিয়ে বারবার ব্যর্থ হচ্ছে। অবশেষে সেটি সপ্তমবারে সফল হয়। এ ঘটনা রবার্ট ব্রুসের মনে উৎসাহ জাগায়। তিনি বুঝতে পারেন জীবনে সাফল্য ও ব্যর্থতা অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। তাই তিনি আবার পূর্ণ উদ্যমে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে বিজয়ী হন।

(ক) কবি কোন দৃশ্য ভুলতে নিষেধ করেছেন?

উত্তর :

আলোচ্য কবিতায় কবি বাইরের জগতের চাকচিক্যময় রূপে বা জিনিসে নিজের জীবনের উদ্দেশকে ভুলতে নিষেধ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন বাহ্যিক জগতের চাকচিক্য ময় জিনিসের রূপে নিজের মনকে ভ্রান্ত না করে বাস্তব জীবনের কঠিনতার মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যেতে। জীবনের উদ্দেশ্য শুধু ভোগবিলাস করা নয়, জীবনকে প্রতিষ্ঠিত করা।

(খ) কীভাবে ভবেরউন্নতি করা যায়?

উত্তর : আলোচ্য কবিতায় কবির মতে জীবনের বাহ্যিক রূপে হারিয়ে না গিয়ে, সুখ দুঃখ্যের কথা চিন্তন না করে এই সংসারে নিষ্ঠার সাথে যে যার নিজের নিজের কাজ করলেই ভবের উন্নতি করা যায়।  ভবিষৎতের অনিশ্চয়তা বা অতীতের সুখ দুঃখকে মনে না করে সকলের বর্তমান সময়ে সঠিক কাজ করা প্রয়োজন। যে পথে মহাজ্ঞানী মহাজনেরা গমন করেছেন সেই পথকে লক্ষ করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। জীবনের অমূল্য সময়কে নষ্ট করে এই জীৱনে বৃথা নষ্ট করা উচিত নয় কারণ এই জীবন একবারেই। তাই কবি সকলকে এমন কিছু করতে বলেছেন যাতে সবাই প্রাতস্বরণীয় হয়ে উঠতে পারে। তাহলেই একমাত্র ভবের অর্থ্যাৎ জগতের উন্নতি সম্ভব।

(গ) পরাজয়ের গ্লানি রবার্ট ব্রুসের মনের ওপর যে প্রভাব বিস্তার করে সেটি জীবন সঙ্গীতকবিতার সাথে কীভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ তা ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : যুদ্ধে পর পর ছয় বার পরাজিত হবার পর রবার্ট ব্রুস পরাজয়ের গ্লানি সহ্য করতে না পেরে সব কিছু ছেড়ে বনে চলে গিয়ে ছিলেন। সেখানে বনের মধ্যে তিনি একটি মাকড়শাকে দেখতে পান। মাকড়শাটি জাল বুনতে গিয়ে বহুবার ব্যার্থ হচ্ছিলো কিন্তু তার জন্য সে থেমে যায়নি বা পরাজয় স্বীকার করেনি। এই ভাবে দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর অবশেষে মাকড়শাটি জাল বুনতে সফল হয়েছিল। এর থেকে রবার্ট ব্রুস জীবনের আসল সত্যকে অনুভব করতে পেরেছিলো। জীবনে অসফলতা সফলতারই একটি অংশ তাই অসফলতাকে ভয় না পেয়ে বা হতাশ না হয়ে বারংবার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়াই আমাদের কর্তব্য। হাজার অসফলতার মধ্যে লুকিয়ে থাকে সফলতা। তাই জীবনে সুখ-দুঃখের কথা না ভেবে আমাদের নিজেদের নিত্য কর্মকে নিষ্ঠার সাথে করলেই আমরা ভবের উন্নতি সাধন করতে পারবো। এই সাদৃশ্যতা গুলি উদ্দীপক ও আলোচ্য কবিতা উভয় স্থানেই প্রতিফলিত হয়েছে।

(ঘ) হতাশা নয় বরং সহিষ্ণুতা ও ধৈর্যই মানুষের জীবনে চরম সাফল্য বয়ে আনে।‘- উদ্দীপক ও জীবন সঙ্গীতকবিতা অবলম্বনে উক্তিটি বিশ্লেষণ কর।

উত্তর : জগতের সকল মানুষই তার জীবনে সফলতা পেতে পারে ধৈর্য্য ও সহিষ্ণুতার সাথে। হতাশা জীবনের গতিশক্তিকে নিম্নগামী করে, জীবনে নিয়ে আসে চরম অসফলতাকে। তাই জীবনে সফল হতে গেলে হতে হবে সহিষ্ণু ও ধৈয্যবান। শত বার্থতাতেও হতাশ হলে চলবে না, মনের জোরকে হারিয়ে ফেললে হবে না। এই জীবনে কেবল একবারই পাওয়া যায় তাই জীবনের মূল্যবান সময়কে অতীতের সুখ-দুঃখ বা ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তাকে ভেবে নষ্ট করলে হবে না। বাহ্যিক জগতের চাকচিক্যে নিজের জীবনের উদ্দেশ্যকে ভুলে গেলে চলবে না। জীবনের লক্ষে হতে হবে দৃঢ় ও ধৈর্য্যবান। নিষ্ঠার সাথে করে যেতে হবে নিজের কর্মকে। মহাজ্ঞানী মহাজনেরা যে পথে গমন করে প্রাতঃস্মরণীয় হয়েছেন সেই পথকে লক্ষ করে এগিয়ে যেতে হবে। ব্যার্থতার হতাশায় কাতর হয়ে নিজেকে ভ্যান্ত না করে হতে হবে সহিষ্ণু ও ধৈর্য্যবান তবেই আমরা দেখা পাবো জীবনের চরম সফলতাকে।

 

Next Chapter Solutions :  

Updated: September 22, 2023 — 2:03 pm

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *