NCTB Class 9 and 10 Bengali Chapter 21 বনমানুষ Solution

NCTB Class 9 and 10 Bengali Chapter 21 বনমানুষ Solution

Bangladesh Board Class 9 and 10 Bengali Solution Chapter 21 বনমানুষ Exercises Question and Answer by Experienced Teacher. NCTB Class 9 and 10 Bengali Solution Chapter 21 বনমানুষ.

NCTB Solution Class 9 and 10 Chapter 21 বনমানুষ : 

Board          NCTB Bangladesh Board
Class 9 and 10
Subject Bengali
Chapter Twenty One
Chapter Name বনমানুষ

NCTB Class 9 and 10 Bengali Chapter 21 বনমানুষ Solution

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :

(১) লেখক কোনটিকে গৌণকর্ম মনে করেন?

(ক) কোর্ট পরা

(খ) খাওয়া

(গ) বেতন নেওয়া

(ঘ) অফিসে যাওয়া

উত্তর :

(খ) খাওয়া

(২) আঁধার ছেড়ে আলোকে এখানে কোনটিকে আঁধার বলা হয়েছে?

(ক) শহুরে জীবন

(খ) অন্ধকার অবস্থা

(গ) বনের জীবন

(ঘ) আলোকিত অবস্থা

উত্তর :

(ক) শহুরে জীবন

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও :

বন্যা শেষে তীব্র খাদ্যসংকট দেখা দেয়। এ সময় বিমান এসে বস্তাভর্তি খাবার ফেলে দিলে মানুষ, পশু, পাখি সবাই ক্ষুধা নিবারণ করে। কিছুদিন পর আবারও বিমান আসে। চড়ুই দম্পতি তা দেখে ভীষণ খুশি। এক সময় বিমান থেকে ফেলা বোমার আঘাতে মারা যায় মানুষ, পশু, পাখি। ধ্বংস হয় গাছপালা। তখন ঐ চড়ুইয়ের কণ্ঠে শোনা যায় ছি! ছি!! ছি!!!

(৩) উদ্দীপকে ফুটে ওঠা যে বিষয়টি বনমানুষগল্পের বিশেষ দিককে ইঙ্গিত করে, তা হলো-

(i) আধুনিকতা

(ii) নেতিবাচক মনোভাব

(iii) সভ্যতার মুখোশ

নিচের কোনটি সঠিক?

(ক) i ii

(খ) i iii

(গ) ii iii

(ঘ) i, ii iii

উত্তর :

(খ) i ও iii

(৪) চড়ুইয়ের অনুভূতির সঙ্গে লেখকের একাত্মতা প্রকাশে কোন বক্তব্যটি যথার্থ ?

(ক) অনুকরণ ও অনুসরণের প্রতিযোগিতা বেশ উপভোগের।

(খ) সাজ-পোশাকই আমাদের সভ্যতার মাপকাঠি।

(গ) অজানা-অচেনায় এ রকম কোলাকুলি বড় দুর্লভ।

(ঘ) আমি বনে গিয়ে আবার বনমানুষ হব ।

উত্তর :

(ক) অনুকরণ ও অনুসরণের প্রতিযোগিতা বেশ উপভোগের।

সৃজনশীল প্রশ্ন :

গ্রীষ্মের ছুটিতে মনির তার মামার বাড়ি কলকাতায় বেড়াতে গেল। কিন্তু কয়েকদিন যেতে না যেতেই মামাবাড়ি তার কাছে অসহ্য হয়ে উঠল। মামা, মামি, মামাতো ভাই-বোনরা তার সাথে ভালোভাবে কথা বলত না। মামি তার দ্বারা অনেক কাজ করিয়ে নেওয়া শুরু করল। মামাবাড়ির বন্ধ দেয়াল তার কাছে জেলখানা মনে হলো। তার বারবার মনে পড়তে লাগল ফেলে আসা গ্রামের বিরাট সবুজ মাঠ, নদী, বন্ধু-বান্ধব, আপনজনের চেহারা।

(ক) ধর্মঘটের জন্য কী বন্ধ হয়েছিল?

উত্তর : ধর্ঘটের জন্য বন্ধ হয়েছিল গাড়িঘোড়া রাস্তাঘাট সব।

(খ) কথক বনে গিয়ে আবার বনমানুষ হতে চান কেন?

উত্তর : শহরের বাস্তুময়, ইট-পাথরের রুক্ষময়, এবং জীবনের অসহায়তা থেকে মুক্ত হতে কথক আবার বনমানুষ হতে চেয়েছিলেন। শহরের এই বিড়ম্বনা থেকে শান্তির খোঁজে ফিরে যেতে চেয়েছিলে বনজঙ্গলের ও প্রকৃতির সেই বিরল শান্তির কাছে। শহরের এই দ্রুতময় জীবন তার কাছে অসস্থায় হয়ে উঠেছিল। তাই সে তার এই বেশি মাইনের চাকরি ও শহর থেকে আবার তার বনবিভাগের চাকরিতে ফিরে গিয়ে বন্যমানুষ হয়ে থাকতে চেয়ে ছিল।

(গ) উদ্দীপকের যে ভাবটি বনমানুষগল্পে পাওয়া যায় তা ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : উদ্দীপকে আলোচ্য “বনমানুষ” গল্পের মতো শহরের বিড়াম্বনা, ইট-পাথরে ঘেরা জেলখানার মতো জীবন এবং শহরের মানুষের কাঠিন্যের ভাবটি প্রকাশিত হয়েছে। শহরের লোকেরা কেউ কারো সাথে ঠিক করে কথা বলে না সারাদিন যন্ত্রের মতো কাজ করে চলেছে। সবসময় রাজনৈতিক ক্ষমতার লড়াইয়ে একে অপরের প্রাণ নিচ্ছে তাদের মধ্যে  কোনো মানুষত্ব বোধ নেই। শহরে শুধুই ক্ষমতার লড়াই নেই কোনো প্রকৃত শান্তি মানুষ শুধু দিনরাট ছুটে চলেছে। শহরের মধ্যে দেখা যায় না গ্রামবাংলার নির্ম্মলতা, দেখা মেলেনা বিস্তর সবুজে ঘেরা মাঠ,  নদী-পুকুরের। শহর শুধুই ইট-বালি-পাথরে বন্দি এক জেলখানা মাত্র যেখানে মানুষ চিড়িয়াখানার প্রানীদের মতো বন্দি হয়ে আটকে আছে। সেখানে মানুষ ক্ষয়ে উঠেছে নির্মম ও মনুষত্বহীন। তারা সেখানে ক্ষমতার লড়াইয়ে ব্যাস্ত হয়ে উঠেছে। শহরের লোক সত্যিকারের বেঁচে থাকা ক্রমশ ভুলতে বসেছে।

(ঘ) উদ্দীপকের মনির যেন বনমানুষগল্পের কথকেরই প্রতিনিধিত্ব করছে।”- উক্তিটি যুক্তিসহ বুঝিয়ে লেখ।

উত্তর : আলোচ্য গল্পের কথক যেমন কম বেতনের বনবিভাগের চাকরিটি ছেড়েদিয়ে বেশি বেতনের চাকরির উদ্দেশ্যে কলকাতার মতো শহরে এসেছিলো জীবনকে উন্নত করার উদ্দেশ্যে নিয়ে। তিনি ভেবেছিলেন যে কলকাতার মতো বড়ো শহরে এসে বেশি অর্থ উপার্জন করে নিজের ও তার পরিবারের ভবিৎষত উজ্জ্বল ও সুরক্ষিত করতে পারবেন। কিন্তু তার এই ধারণা কয়েকদিনের মধ্যেই ভেঙে যায়। সে কলকাতার রাস্তায় শুধুই ক্ষমতার লড়াই দেখতে পায়। সে দেখতে পায় সেখানে দিনরাত মানুষ মুখবন্ধ করে যন্ত্রের মতো কাজ করে চলেছে। শহরের ইট-বালি-পাথরে ঘেরা বন্দি জীবনে তিনি হাপিয়ে উঠেছিলেন। শহরে লোকেরা কেউ কারো খবর রাখে না শুধু নিজের মধ্যে ব্যাস্ত থাকে। শহরের ঘিঞ্জি জীবন তার কাছে ক্রমশ চিড়িয়াখানার জন্তুদের মতো বন্দি জীবন বলে মনে হতে শুরু করে। তাই সে আবার তার পুরোনো বনবিভাগের চাকরিতে বনমানুষ হয়ে ফিরে যেতে চেয়েছিলো। ঠিক সেই রকমই উদ্দীপকের মনির গ্রীষ্মের ছুটিতে কলকাতায় তার মামাবাড়ীতে ঘুরতে গেলে কয়েকদিনের মধ্যেই সে অতিষ্ট হয়ে উঠেছিল। সেখানে তার মামাতো ভাইবোনেরা তার সাথে ঠিক করে কথা বলে না। তার মামি তাকে দিয়ে নানা রকমের কাজকর্ম করিয়ে নিতে থাকে। সারাদিন ইট-পাথরের ঘরে বসে থেকে থেকে সে তার গ্রামের সবুজে ঘেরামাঠ। নদী, আপনজন এবং  নিজের বন্ধুদের কথা মনে করতে থাকলো। গল্প ও উদ্দীপকে উভয় জাগাতেই তারা শহরের এই অসহনীয় ও রুক্ষ জীবন ফিরে যেতে চেয়েছিলো তাদের ফেলে আসা স্নিগ্ধ শান্তিময় গ্রামের জীবনে। তাই বলা যায় এখানে উদ্দীপকের মনির গল্পের কথকের প্রতিনিধিত্ব করেছে।

 

Next Chapter Solutions :  

Updated: September 16, 2023 — 11:30 am

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *