NCTB Class 8 BGS Chapter 9 বাংলাদেশের জনসংখ্যা ও উন্নয়ন Solution/Guide

NCTB Class 8 BGS Chapter 9 বাংলাদেশের জনসংখ্যা ও উন্নয়ন Solution/Guide

Bangladesh Board Class 8 Solution for বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়. Chapter 9 বাংলাদেশের জনসংখ্যা ও উন্নয়ন. Solution for Exercises Question and Answer by Experienced Teacher.এখানে বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (NCTB) কর্তৃক প্রকাশিত অষ্টম শ্রেণীর বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের নবম অধ্যায় বাংলাদেশের জনসংখ্যা ও উন্নয়ন অনুশীলনের সমস্ত সমাধান দেওয়া হয়েছে।

NCTB Solution Class 8 Chapter 9 বাংলাদেশের জনসংখ্যা ও উন্নয়ন : 

Board NCTB Bangladesh Board
Class 8
Subject BGS
Chapter নবম অধ্যায় 
Chapter Name বাংলাদেশের জনসংখ্যা ও উন্নয়ন

বাংলাদেশের জনসংখ্যা ও উন্নয়ন অনুশীলনী প্রশ্ন এবং উত্তর :

NCTB Class 8 BGS Chapter 9 বাংলাদেশের জনসংখ্যা ও উন্নয়ন Solution/Guide

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন : 

(১) প্রতি বছর কোন তারিখে বাংলাদেশে জাতীয় জনসংখ্যা দিবস উদযাপন করা হয়?

(ক) ২রা ফেব্রুয়ারি

(খ) ৮ই মার্চ

(গ) ২১শে ফেব্রুয়ারি

(ঘ) ১লা মে

উত্তর :

(ক) ২রা ফেব্রুয়ারি

(২) বাংলাদেশে জনসংখ্যাকে সম্পদে পরিণত করার উপায় হচ্ছে-

(i) শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণ

(ii) কৃষি, শিল্প এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অগ্রাধিকার

(iii) দক্ষ জনশক্তিকে বিদেশে রপ্তানি করা

নিচের কোনটি সঠিক?

(ক) i

(খ) ii

(গ) i ii

(ঘ) ii iii

উত্তর :

(গ) i ও ii

সৃজনশীল প্রশ্ন :

ক্রমিক নং দেশ প্রতি বর্গ কি.মি. জনসংখ্যা মাথাপিছু আয় (মার্কিন ডলারে)
যুক্তরাষ্ট্র ৩৬ ৬৬,০৬০
ভারত ৪৫৪ ,৩৯০
বাংলাদেশ ১১০৩ ,০৬৪

(ক) ২০১০ সালে বাংলাদেশ কোন ক্ষেত্রে সাফল্যের জন্য জাতিসংঘ পুরস্কার লাভ করেছে?

উত্তর : ২০১০ সালে বাংলাদেশ শিশুমৃত্যু হ্রাস করতে বিশেষ ভাবে সফলতা অর্জন করে জাতিসংঘের পুরস্কার লাভ করে। যে কোন দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি জন্য শিশুমৃত্যু হারা করা বিশেষ ভাবে জরুরি। শিশুমৃত্যু কমানোর জন্য দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতি করা প্রয়োজন। বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ ও প্রকল্পের মাধ্যমে ইউনিয়ন স্তর পর্যন্ত সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে সফল হয়েছে। একই সঙ্গে মানুষের মধ্যে পর্যাপ্ত শিক্ষা থাকলে মানুষ অনেক বেশি সচেতন হতে পারবে এবং এর ফল স্বরূপ দেশে শিশুমৃত্যু, বাল্যবিবাহ, ইত্যাদি হ্রাস পাবে। এই কারণে বাংলাদেশ সরকার দেশের সকল স্তরে প্রয়োজনীয় শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটিয়েছে। মূলত এই  সকল পদক্ষেপ অর্থাৎ সুচিকিৎসা, পর্যাপ্ত শিক্ষা, মানুষকে সচেতন করা, বিভিন্ন কুসংস্কার বন্ধ করা ইত্যাদি কারণে বাংলাদেশে বর্তমানে শিশুমৃত্যুর হার ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। বাংলাদেশের এই সফলতার জন্যই ২০১০ সালে জাতীয় সংঘ বাংলাদেশকে বিশেষ পুরস্কারের সম্মানিত করেছে।

(খ) জনসংখ্যানীতি বলতে কী বোঝায়?

উত্তর : জনসংখ্যানীতি বলতে মূলত একটি নির্দিষ্ট দেশের জনসখার বিষয়ে জাতীয় পর্যায়ে গৃহীত পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করার নির্দেশনাকে বোঝানো হয়। সকল দেশ তার আর্থসামাজিক পরিস্থিতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে এই নীতি গ্রহণ করে। এই নীতি গ্রহণ করার মূল উদেশ্য হলো দেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা এবং বর্তমান জনসংখ্যার উন্নয়ন করা। অর্থাৎ সাধারণ মানুষের জীবনের মান বাড়ানো, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি করা এবং সকলের আর্থসামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা। জনসংখ্যানীতির মূল লক্ষ বা উদেশ্যগুলি সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলো  –

(ক) দেশের সকল মানুষের কাছে স্বাস্থ পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া। দরিদ্র শ্রেণীর মানুষদের জন্য কল্যাণ  সেবা এবং প্রাথমিক স্তরের চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করা।

(খ) দেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পরিবার পরিকল্পনা মতো কর্মসূচির ব্যবস্থা করা।

(গ) দেশের সকল শিশু ও মহিলাদের অপুষ্টি নিবারণের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ করা।

(ঘ) প্রাথমিক স্বাস্থসেবার সমগ্র দেশে সম্প্রসারণ করা যাতে সকল মানুষ সুচিকিৎসা পেতে পারে।

(ঙ) দেশের সকল প্রবীণ ব্যক্তিদের সুরক্ষা ও স্বাথ্যসেবা নিশ্চিত করা।

(চ) বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষদেরকে জন্য বিশেষ সুবিধা ও স্বাস্থসেবা প্রদান করা।

(গ) উপরের তালিকা অনুসারে বাংলাদেশের উন্নয়নের পথে বাধা কোনটি? বর্ণনা করো।

উত্তর : প্রদপ্ত তালিকা অনুসারে বাংলাদেশের উন্নয়নের পথে বাধা হলো জনসংখ্যার ব্যাপকতা এবং দেশের জনগণের মাথাপিছু আয় কম হওয়া। যে কোনো দেশের উন্নয়ন তখনি সম্ভব যখন দেশের জাতীয় আয়ের সাথে সাথে সাধারণ মানুষের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পায়। দেশের জনগণের আয় বৃদ্ধি পেলেই দেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে, টাকার লেনদেন বৃদ্ধি পাবে, ছোট  ছোট শিল্পগুলোর উন্নতি হবে। এই ভাবে মানুষ তার বর্ধিত আয়ের কিছু অংশ দেশকে উন্নত করতে সাহার্য্য করে এবং সমাজে দরিদ্রতা হ্রাস পায়। দেশের জনসংখ্যা একদিকে যেমন দেশের উন্নতিতে সাহার্য্য করে তেমনি আবার অতিরিক্ত জনসংখ্যা দেশের উন্নতির পথে বাধা সৃষ্টি করে। কারণ অতিরিক্ত জনসংখ্যা দেশের উপর চাপের সৃষ্টি করে যার ফলে দেশে কর্মসংস্থান কম হয় এবং দেশের অর্থবাবস্থার সামঞ্জস্যতা হারিয়ে যায়। এই কারণে দেশের মানুষের মধ্যে ধনী-গরিব ভেদাভেদ তৈরী হয় কেননা এই পরিস্থিতিতে এক শ্রেণীর মানুষ ধনী  থেকে আরো ধনী হয়ে উঠে এবং অন্য শ্রেণীর মানুষ গরিব থেকে আরো বেশি গরিব হয়। তাই শিল্পের বিকাশের সাথে দেশের মানুষের আয়ের সামঞ্জস্যতা রাখা খুবই জরুরি। এই দুটি কারণ বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য সব থেকে বড়ো বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

(ঘ) ছকে বর্ণিত ২ নং দেশের অভিজ্ঞতার আলোকে কীভাবে বাংলাদেশ জনসম্পদে সমৃদ্ধ হতে পারবে বলে তুমি মনে কর, মতামত দাও।

উত্তর : যে কোন দেশ বা রাষ্ট্রের অর্থনীতি সমৃদ্ধ ও মজবুত হওয়ার সবচেয়ে বড়ো অবদান থাকে ওই দেশ বা রাষ্ট্রের জনসম্পদ। কোনো দেশের সাধারণ জনগণ জনগণ যত বেশি উন্নত এবং দক্ষ হবে সেই দেশের জনসম্পদ ততই সমৃদ্ধশালী হবে। যেমন প্রদপ্ত ছকের ২নং দেশ ভারত। বর্তমানে ভারত জনসংখ্যার বিচারে পৃথিবীতে প্রথম স্থানে রয়েছে। আর এই বিপুল জনসংখ্যাকে কাজে লাগিয়ে ভারত আজ সবদিক থেকে এগিয়ে গিয়েছে। বর্তমানে ভারতের  দক্ষ জনসম্পদের উপর নির্ভর করে যুক্তরাষ্টের ২৩ ভাগ তথ্য-প্রযুক্তিখাত। ভারত সরকার শিক্ষা, স্বাস্থ, চিকিৎসা ব্যবস্থা, কারিগরি শিক্ষ, যুবসমাজের সঠিক প্রশিক্ষণ ইত্যাদি খাতে প্রচুর বিনিয়োগ করে উন্নত করেছে। ভারতে বর্তমানে বিশ্বমানের শিক্ষার ব্যবস্থা আছে। এর সাথে সাথে ভারত স্বদেশী শিল্পের উন্নতির উপর জোর দিয়েছে ফলে ভারতের অর্থবাবস্থা অনেক বেশি মজবুত হয়েছে। বাংলাদেশ ভারতের প্রতিবেশী দেশ তাই ভারতের অবলম্বন করা বিভিন্ন পদক্ষেপকে বিশ্লেষণ করলে এবং তা সঠিক ভাবে প্রণয়ন করলে বাংলাদেশও উন্নতির শিখরে পৌঁছতে পারবে এবং বাংলাদেশের জনসম্পদও সমৃদ্ধি লাভ করবে। বাংলাদেশে শিক্ষার আরো বেশি সম্প্রসারণ, চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতি এবং দেশের বেকার যুবকদের জন্য কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের সুব্যাবস্থা করা যেতে পারে। যাতে বাংলাদেশের জনসংখ্যা দক্ষ জনসম্পদে পরিণত হতে পারে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *