NCTB Class 9 and 10 Bengali Chapter 27 নিয়তি Solution

NCTB Class 9 and 10 Bengali Chapter 27 নিয়তি Solution

Bangladesh Board Class 9 and 10 Bengali Solution Chapter 27 নিয়তি Exercises Question and Answer by Experienced Teacher. NCTB Class 9 and 10 Bengali Solution Chapter 27 নিয়তি.

NCTB Solution Class 9 and 10 Chapter 27 নিয়তি : 

Board          NCTB Bangladesh Board
Class 9 and 10
Subject Bengali
Chapter Twenty Seven
Chapter Name নিয়তি

NCTB Class 9 and 10 Bengali Chapter 27 নিয়তি Solution

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :

(১) তিন ভাই-বোন কোথায় বসে গায়ে রোদ মাখে?

(ক) উঠোনের ঘাসে

(খ) ঘরের বারান্দায়

(গ) মন্দিরের চাতালে

(ঘ) বৈঠকখানায়

উত্তর :

(গ) মন্দিরের চাতালে

(2) বেঙ্গল টাইগারকে খানদানি বলা হয়েছিল কেন?

(ক) আদব-কায়দার জন্য

(খ) স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের জন্য

(গ) সুন্দর চেহারার জন্য

(ঘ) বয়স হওয়ার জন্য

উত্তর :

(ক) আদব-কায়দার জন্য

উদ্দীপকটি পড় এবং ৩- সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও :

কামালের প্রিয় কবুতর রাজাফিরে এলে সে আনন্দে টগবগ করতে থাকে। রাজার জন্য নূপুর কিনে আনবে, সুন্দর বাসা তৈরি করবে- এ কথা ভাবতে ভাবতে সে রাতে ঘুমিয়ে যায়। চিৎকার চেঁচামেচিতে ঘুম ভাঙলে দৌড়ে গিয়ে দেখে উঠোনে ছোপ ছোপ রক্ত আর পালক। তার রাজা কোথাও নেই। বিষণ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে সে দিকে।

(৩) উদ্দীপকের রাজা নিয়তিগল্পের যে চরিত্রের প্রতিনিধি তা হলো-

(ক) কেউটে সাপ

(খ) বেঙ্গল টাইগার

(গ) তক্ষক

(ঘ) দৈত্য

উত্তর :

(খ) বেঙ্গল টাইগার

সৃজনশীল প্রশ্ন : 

আলী আব্বাসের প্রিয় ঘোড়া দুলকি। এর নাম-ডাক বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত। তাই একে নিজের সম্পদে পরিণত করার আগ্রহ অনেকেরই। আব্বাস একদা দুলকিকে নিয়ে শিকারে যায় গভীর বনে। এ সুযোগে দস্যুরা তাকে চারদিক দিয়ে ঘিরে ফেলে। মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও সে দৌড়ে আসে দুলকির কাছে। মনিবের জীবন বাঁচাতে দুলকি তাকে নিয়ে জীবনপণ দৌড় শুরু করে। দস্যুরাও তার পেছন পেছন ছোটে। গর্জে ওঠে তাদের বন্দুক। মনিবকে নিয়ে নিরাপদে ফিরে এলেও গুলিবিদ্ধ দুলকি অবশেষে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।

(ক) কোন জায়গায় লেখকের শৈশবের অদ্ভুত স্বপ্নময় দিনগুলো কেটেছে?

উত্তর : লেখকের শৈশবের অদ্ভুদ স্বপ্নময় দিনগুলি কেটেছিল জগদল। এই দিন গুলি ছিল লেখকের কাছে স্বপ্নময় ছিল কারণ সেখানে কোনো স্কুল ছিল না তাই পড়াশোনা থেকে তিনি পেয়েছিলেন মুক্তি। তাই লেখক জগদলে কাটানো সেই দিনগুলোকে স্বপ্নময় বলেছিলেন।

(খ) বাবা এই ভয়ংকর জায়গা থেকে বদলির জন্য চেষ্টা করছেন।জায়গাটিকে ভয়ংকর বলার কারণ কী?

উত্তর : লেখকের বাবা কর্মসূত্রে জগদলে গিয়েছিলেন পরিবারকে নিয়ে। সেই জায়গাটি ছিল জঙ্গলে ঘেরা আধুনিক সভ্যতা থেকে দূরে। সেখানে জঙ্গলের মাঝখানে এক মহারাজার রাজপ্রাসাদে তাদের থাকার ব্যবস্থা ছিল। জঙ্গলের মাঝে সে এক মনোরম পরিবেশ। কিন্তু হটাৎ করে লেখকের প্রচণ্ড জ্বর শুরু হয়। ধীরে ধীরে পরিস্তিতি খারাপ হয়ে উঠে। তার মা-বাবা বলেন এই জ্বর ম্যালেরিয়ার জ্বর। একে একে লেখকের সব ভাই বোনের একসাথে জ্বর আসা শুরু হয়। সেই সময় আবার এই অঞ্চলে ম্যালেরিয়া ছিল বেশ কুখ্যাত। একবার কারো শরীরে এই ম্যালেরিয়ার জ্বর বাসাবাঁধলে তার জীবনশক্তি পুরোপরি নিঃশেষ করে দিতো। এই অঞ্চলে ম্যালেরিয়া হয়ে মৃত্যু হয় ছিল নিত্যদিনের ঘটনা। এই সকল কারণের জন্য নিজেদের সন্তানের সুরক্ষার কথা ভেবে লেখকের বাবা এই স্থান থেকে বদলির জন্য ব্যাতিব্যাস্ত হয়ে উঠলেন। এছাড়াও  সন্ধে হলেই জঙ্গলে বাঘ বেরোয় নাহলে চিতা। তাই সন্ধ্যার পর বেরোলে সঙ্গে বন্দুক থাকা অবশ্যিক। তাই সেখানে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা ছিল খুবই কষ্ট কর। এই অর্থেই এই স্থানকে ভয়ঙ্কর বলা হয়েছে।

(গ) উদ্দীপকের দুলকি এবং নিয়তিগল্পের বেঙ্গল টাইগার-এর মধ্যকার সাদৃশ্যের দিকটি তুলে ধর।

উত্তর : উদ্দীপকের দুলকি ও আলোচ্য গল্পের বেঙ্গল টাইগার দুজনেই পরিচয় দিয়েছিলো অগাত প্রভুভক্তির। তারা দুনেই নিজের প্রাণের বলিদান দিয়েছিলো তাদের মনিবকে বাঁচানোর জন্য। এর থেকে তাদের মধ্যে মনিবের জন্য ভালোবাসা ও অনুগত্য প্রকাশ পেয়েছিলো। উদ্দীপকের দুলকি জঙ্গলে দস্যুদের হাত থেকে নিজের মনিবকে রক্ষা করার জন্য প্রানপনে ছুটেছিল। দস্যুদের বন্দুকের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরও সে দোমে যায় নি সে তার মনিবকে শেষ পর্যন্ত রক্ষা করেছিল নিজের জীবনের বলিদান দিয়ে। ঠিক যেমন আলোচ্য গল্পের বেঙ্গল টাইগার নিজের প্রাণের কথা না ভেবে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল কেউটে সাপের উপর লেখকের ছোট ভাইকে বাঁচানোর জন্য। একদিন সকালে রোদ তাপানোর জন্য লেখক ও তার ভাই বোনেরা বসেছিলো মন্দিরে চাতালে সেই সময় লেখকের মা তাদের ছোট ভাইকে তাদের কাছে বসিয়ে দিয়েছিলো। কিছুক্ষন পরে মন্দিরের দরজার ফাঁকা দিয়ে একটি কেউটে সাপ বেরিয়ে এসেছিলো তাদের দিকে। লেখকরা ভয়ে সেখান থেকে লাফিয়ে সরে পড়েছিল কিন্তু তাদের ছোট ভাই সেখানেই ছিল। সে সাপের দিকে এগিয়ে যেতেই বেঙ্গল টাইগার সাপটির উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এবং সাপের মাথাটি কামড়ে ছিড়ে ফেলেছিলো। এর ফলে কিছু দিনের মধ্যেই বেঙ্গল টাইগার মারা গিয়েছিলো। এই দুই ঘটনাতেই দুলকি ও বেঙ্গল টাইগার তাদের প্রভুভক্তির দৃষ্টান্ত রেখে ছিল।

(ঘ) প্রাণীর প্রতি মমত্ববোধ থাকলেও উদ্দীপকের আলী আব্বাস ও নিয়তিগল্পের লেখকের বাবার দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন।”—- মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।

উত্তর : আলোচ্য গল্প ও উদ্দীপকে উভয় প্রেক্ষাপটেই ছিল প্রাণীর প্রতি মমত্ববোধ কিন্তু উদ্দীপকের আলী আব্বাস ও গল্পের লেখকের বাবার দৃষ্টিভঙ্গি ছিল ভিন্ন। কারণ উদ্দীপকের আলী আব্বাসের প্রিয় ঘোড়া ছিল দুলকি। আর এই দুলকিকে অনেকেই কেড়ে নিতে চেয়ে ছিল। তাই একদিন জঙ্গলে যখন দস্যুরা তাদেরকে চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলেছিলো তখন আলী আব্বাস দস্যুদের বন্দুকের ভয় না পেয়ে দৌড়ে গিয়েছিলো দুলকির কাছে। আর দুলকিও কোনো কিছু না ভেবে নিজের মালিককে নিয়ে সেখান থেকে পালানোর অপ্রাণ চেষ্টা করেছিল। কিন্তু দস্যুদের বন্দুকের গুলিতে সে তার প্রাণের বলিদান দিয়েও নিজের মনিবকে বাঁচিয়ে ছিল। অপরদিকে, আলোচ্য গল্পে কুকুরটি অর্থ্যাৎ বেঙ্গল টাইগার নিজের জীবনের কথা না ভেবে লেখকের ছোট ভাইকে বাঁচানোর জন্য কেউটে সাপের সাথে লড়াই করেছিল এবং সাপটিকে কামড়ে মেরে ফেলেছিলো। কিন্তু সাপের বিশের কারণে তার শরীরের মাংস পচেগোলে যেতে থাকে। তার বেদনায় ভরা ডাক সহ্য করা মুশকিল হয়ে দাঁড়ায় তাই লেখকের বাবা বন্দুকের দুটি গুলি চালিয়ে বেঙ্গল টাইগারকে মুক্তি দিয়ে দেয়।

 

Next Chapter Solutions :  

Updated: September 20, 2023 — 2:37 pm

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *