NCTB Class 9 and 10 Bengali বঙ্গবাণী Solution
Bangladesh Board Class 9 and 10 Bengali Solution বঙ্গবাণী Exercises Question and Answer by Experienced Teacher. NCTB Class 9 and 10 Bengali Solution বঙ্গবাণী.
NCTB Solution Class 9 and 10 বঙ্গবাণী :
Board | NCTB Bangladesh Board |
Class | 9 and 10 |
Subject | Bengali |
Chapter Name | বঙ্গবাণী |
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :
(১) ‘বঙ্গবাণী‘ কবিতার শেষ পঙক্তি কোনটি ?
(ক) দেশী ভাষা উপদেশ মনে হিত অতি
(খ) নিজ দেশ তেয়াগী কেন বিদেশ ন যায়
(গ) বঙ্গদেশী বাক্য কিবা যত ইতি বাণী
(ঘ) সে সব কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।
উত্তর :
(ক) দেশী ভাষা উপদেশ মনে হিত অতি
(২) ‘সে সব কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি‘- কবি আবদুল হাকিম কাদের সম্পর্কে এ উক্তি করেছেন?
(ক) নিজ দেশ ত্যাগ করে যারা বিদেশে যায়।
(খ) বাংলাদেশে যারা বাংলা ভাষাকে ঘৃণা করে
(গ) দেশি ভাষায় বিদ্যা লাভ করে যে তৃপ্ত নয়
(ঘ) যারা বাংলাকে হিন্দুয়ানি ভাষা বলে মনে করে
উত্তর :
(খ) বাংলাদেশে যারা বাংলা ভাষাকে ঘৃণা করে
উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও :
অষ্টম শ্রেণিতে বৃত্তি পাওয়ায় বাবা খুশি হয়ে রেডিওতে গান শোনার জন্য সিফাতকে একটি মোবাইল সেট কিনে দিয়েছিলেন। কিন্তু দুদিন বাদেই সে মন খারাপ করে সেটটা বাবাকে ফেরত দিল। কারণ FM চ্যানেলগুলোতে নাকি উপস্থাপকরা বাংলা ভাষাকে ইচ্ছেমতো বিকৃত করে উচ্চারণ করে আর ইংরেজি ভাষার প্রতি গভীর অনুরাগ দেখায়। সিফাতের এটা ভালো লাগে না।
(৩) সিফাতের মন খারাপ করার মধ্য দিয়ে ‘বঙ্গবাণী‘ কবিতায় আবদুল হাকিমের যে অনুভূতি প্রকাশ পেয়েছে তা হলো-
(i) মাতৃভাষাপ্রীতি
(ii) বাংলা ভাষাপ্রীতি
(iii) ইংরেজি বিদ্বেষ
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) i ও ii
(খ) i ও iii
(গ) ii ও iii
(ঘ) i, ii ও iii
উত্তর :
(ক) i ও ii
(৪) উক্ত অনুভূতির প্রকাশ ঘটেছে কোন পঙক্তিতে?
(ক) দেশী ভাষে বুঝিতে ললাটে পুরে ভাগ
(খ) সেই বাক্য বুঝে প্রভু আপে নিরঞ্জন
(গ) দেশী ভাষা উপদেশ মনে হিত অতি
(ঘ) বঙ্গদেশী বাক্য কিবা যত ইতি বাণী
উত্তর :
(গ) দেশী ভাষা উপদেশ মনে হিত অতি
সৃজনশীল প্রশ্ন :
মোদের গরব মোদের আশা, আ মরি বাংলা ভাষা
আ মরি বাংলা ভাষা ।
মাগো তোমার কোলে, তোমার বোলে কতই শান্তি ভালবাসা। কি জাদু বাংলা গানে, গান গেয়ে দাঁড় মাঝি টানে, গেয়ে গান নাচে বাউল, গান গেয়ে ধান কাটে চাষা বাজিয়ে রবি তোমার বীণে, আনল মালা জগৎ জিনে তোমার চরণ তীর্থে মাগো জগৎ করে যাওয়া আসা আ মরি বাংলা ভাষা।
(ক) ‘বঙ্গবাণী‘ কবিতায় ‘নিরঞ্জন‘ শব্দটি কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?
উত্তর : আলোচ্য ‘বঙ্গবাণী’ কবিতায় ‘নিরঞ্জন’ শব্দটির অর্থ হলো নির্মল। কিন্তু কবিতায় স্বয়ং সৃষ্টিকর্তাকে বোঝাতে কবি এই শব্দটিকে ব্যবহার করেছেন।
(খ) ‘দেশী ভাষে বুঝিতে ললাটে পুরে ভাগ‘ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : আলোচ্য কবিতার এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে কবি নিজেদের ভাষা অর্থ্যাৎ মাতৃভাষার গুরুপ্তকে বোঝাতে চেয়েছেন। তিনি বলতে চেয়েছেন সকল মানুষের কাছে তার মাতৃভাষা সবচেয়ে বেশি বোধগম্য। যে কেউ তার মাতৃভাষাতে তার মনের ভাবকে সহজ ভাবে ব্যাক্ত করতে পারে।
(গ) উদ্দীপকে ‘বঙ্গবাণী‘ কবিতার যে ভাবের প্রতিফলন ঘটেছে তা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : উদ্দীপকে আলোচ্য ‘বঙ্গবাণী’ কবিতার মাতৃভাষার প্রতি গভীর ভালোবাসা ও অনুরাগের ভাবটির প্রতিফলন হয়েছে। কবিতার কবি যেমন বলেছেন যে সকল মানুষ নিজের মাতৃভাষাকে বুজতে বা সন্মান করতে পারে না তাদের এই দেশ থেকে চলে যাওয়া উচিত। কবি অন্য ভাষাকে অসম্মান ও ঘৃণা করতে বলেনি, বলেছেন শুধু নিজের ভাষাকে ভালোবাসতে, সংকমান করতে। অন্য ভাষাকে আপন করে নিয়ে, নিজের মাতৃভাষাকে যে বা যাঁরা ভুলে যাচ্ছে তাদের উপরে তিনি তার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তার এই কবিতার মধ্য দিয়ে। কবিতায় তিনি বলেছেনল তিনি হিন্দি, ফরাসি, আরবি সব ভাষাকেই ভালোবাসেন কিন্তু সে জন্য তিনি তার মাতৃ ভাষাকে ভুলে যাননি। এর থেকে আমরা কবির তার মাতৃভাষার প্রতি তার গভীর অনুরাগের পরিচয় দিয়েছেন। ঠিক যেমন উদ্দীপকে সিফাত।পরীক্ষায় ভালো নম্বর এর জন্য বৃত্তি পাওয়ার জন্য তাকে তার বাবা রেডিওতে গান শোনার জন্য একটি মোবাইল সেট কিনে দিয়েছিলো। কিন্তু কিছু দিন পরেই সে তার বাবাকে মোবাইলটি ফিরিয়ে দেয়। কারণ রেডিওতে সবাই বাংলা ভাষাকে বিকৃত করে উচ্চারণ করছিল এবং অন্য ভাষার প্রতি গভীর অনুরাগ পোষণ করছিলো। তাই সে আর সেই সব রেডিওতে গান শুনতে চায়নি। এর থেকে সিফাতের মধ্যে তার মাতৃভাষার প্রতি গভীর টান ও ভালবাসার পরিচয় পাওয়া চায়।
(ঘ) ‘উক্ত ভাব প্রকাশের ক্ষেত্রে উদ্দীপকের কবির চেয়ে আবদুল হাকিমের অবস্থান সুদৃঢ় ও বলিষ্ঠ।‘-‘বঙ্গবাণী‘ কবিতার আলোকে মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।
উত্তর : আলোচ্য কবিতার কবি আবদুল হাকিমের নিজের মাতৃভাষার প্রতি অবস্থান ছিল উদ্দীপকের চেয়ে অনেক বেশি দৃঢ় এবং বলিষ্ঠ। কারণ যারা মাতৃভাষার প্রতি অসম্মান ও অবজ্ঞা প্রকাশ করেছিল তাদের বিরুদ্ধে তিনি প্রতিবাদী হয়ে উঠে ছিলেন। তার কবিতার মধ্যে দিয়ে সে তাদেরকে দেশ থেকে বেরিয়ে যেতে বলেছিলেন। তিনি তার অবস্থানকে বলিষ্ঠ করার জন্য বলেছিলেন যে তিনি সৃষ্টিকর্তার সব ভাষাকেই সমান ভাবে সন্মান করেন কিন্তু এর জন্য তিনি নিজের ভাষাকে কোনোদিনই ভুলতে বা অসম্মান করতে পারবে না। তার মতে যে কোনো মানুষ শুধু মাত্র তার মাতৃভাষার মাধ্যমেই তার মনের ভাবকে সকলের সামনে এবং সর্বোপরি সৃষ্টিকর্তার সামনে সঠিক ভাবে প্রকাশ করতে পারে। আর সৃষ্টি কর্তাও সবার মাতৃভাষাতেই পার্থনা অতিসুদ্ধতার সাথে শুনেন। তাই বলা যায় মাতৃভাষা প্রসঙ্গে কবি হয়ে উঠেছিল অনেক বেশি প্রতিবাদী এবং তার অবস্থান ছিল অনেক বেশি দৃঢ় ও বলিষ্ঠ।
Next Chapter Solutions :
- প্রত্যুপকার
- ফুলের বিবাহ
- সুভা
- লাইব্রেরি
- দেনাপাওনা
- বই পড়া
- অভাগীর স্বর্গ
- নিরীহ বাঙালি
- পল্লিসাহিত্য
- উদ্যম ও পরিশ্রম
- জীবনে শিল্পের স্থান
- আম-আঁটির ভেঁপু
- মানুষ মুহম্মদ (স.)
- নিমগাছ
- উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন
- শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব
- প্রবাস বন্ধু
- মমতাদি
- রহমানের মা
- পয়লা বৈশাখ
- বনমানুষ
- একাত্তরের দিনগুলি
- স্বাধীনতা আমার স্বাধীনতা
- বাঁধ
- সাহিত্যের রূপ ও রীতি
- রক্তে ভেজা একুশ
- নিয়তি
- তথ্য প্রযুক্তি
- হাম্দ