NCTB Class 8 BGS Chapter 12 বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ Solution/Guide
Bangladesh Board Class 8 Solution for বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়. Chapter 12 বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ. Solution for Exercises Question and Answer by Experienced Teacher.এখানে বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (NCTB) কর্তৃক প্রকাশিত অষ্টম শ্রেণীর বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের দ্বাদশ অধ্যায় বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ অনুশীলনের সমস্ত সমাধান দেওয়া হয়েছে।
NCTB Solution Class 8 Chapter 12 বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ :
Board | NCTB Bangladesh Board |
Class | 8 |
Subject | BGS |
Chapter | দ্বাদশ অধ্যায় |
Chapter Name | বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ |
বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ অনুশীলনী প্রশ্ন এবং উত্তর :
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :
(১) মংলা একটি-
(ক) স্থল বন্দর
(খ) বিমান বন্দর
(গ) নদী বন্দর
(ঘ) সমুদ্র বন্দর
উত্তর :
(ঘ)সমুদ্র বন্দর
(২) গ্রামের লোক শহরমুখী হওয়ার প্রবণতা হ্রাসের উপায় হচ্ছে-
(i) যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি
(ii) কৃষিকাজে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার
(iii) নতুন নতুন পেশার কর্মসংস্থান সৃষ্টি
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) i
(খ) i ও ii
(গ) i ও iii
(ঘ) ii ও iii
উত্তর :
(ঘ) ii ও iii
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
হাসান সাহেবের নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও-এ একটি বৃহৎ বাগান বাড়ি আছে। তাতে আম, কাঁঠাল, লিচু, পেয়ারা প্রভৃতি ফলের গাছ এবং মেহগনি, নিম, সেগুন, গজারিসহ নানা প্রজাতির গাছপালা আছে। তিনি মাঝে মাঝে সপরিবারে তার বাগান বাড়িতে বেড়াতে যান। তার ছোট ছেলে লিমন সব ঘুরে ঘুরে দেখে এবং গাছে আম কাঁঠাল দেখে আনন্দিত হয়। নানা প্রজাতির পাখির কিচিরমিচির শব্দ শুনে সে খুব আনন্দ পায়। সে বাসার তুলনায় এখানে অনেক বেশি ঠাণ্ডা অনুভব করে।
(৩) হাসান সাহেবের বাগানটি কোন প্রাকৃতিক সম্পদের অন্তর্ভুক্ত?
(ক) বনজ সম্পদ
(খ) মৎস্য সম্পদ
(গ) খনিজ সম্পদ
(ঘ) প্রাণিসম্পদ
উত্তর :
(ক)বনজ সম্পদ
(8) আর্থ-সামাজিক অগ্রগতিতে উক্ত সম্পদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান হচ্ছে-
(i) সুষম খাদ্যের অভাব পূরণ
(ii) শিল্পের কাঁচামাল যোগান দেওয়া
(iii) প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করা নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) i ও ii
(খ) i ও iii
(গ) ii ও iii
(ঘ) i, ii ও iii
উত্তর :
(ঘ) i, ii ও iii
সৃজনশীল প্রশ্ন :
(১) রতন তার বন্ধুদের নিয়ে ঘোড়াশালে একটি শিল্প কারখানা দেখতে এসেছে। সে এ শিল্পের কাঁচামাল হিসাবে প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার দেখতে পায়। একইসঙ্গে এ শিল্পের উৎপাদিত পণ্য দেশে কৃষির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে প্রত্যক্ষ ভূমিকার কথা জানতে পারে।
(ক) কোন শিল্প প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পাট শিল্পের যাত্রা শুরু হয়?
উত্তর : ১৯৫১ সালে নারায়ণগঞ্জে আদমজী পাটকল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশে পাট শিল্পের যাত্রা শুরু হয়েছিল। পাটশিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুপ্তপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। সমগ্র বিশ্বে বাংলাদেশের পাট থেকে তৈরী পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
(খ) বাংলাদেশের বৃহত্তম রপ্তানিমুখী শিল্পটি বর্ণনা করো।
উত্তর : বাংলাদেশের বৃহত্তম রপ্তানিমুখী শিল্প হলো বস্ত্রশিল্প। বাংলাদেশের ঢাকা, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, টাঙ্গাইল ইত্যাদি অঞ্চলে প্রচুর পরিমানে বস্ত্র তৈরির কারখানা এবং সুতা কল স্থাপন করা হয়েছে। এই কারণে এই অঞ্চল গুলি বাংলাদেশের বস্ত্র উৎপাদনে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের উৎপাদিত বস্ত্রের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশ বস্ত্র রপ্তানিতে ক্রমশ উন্নতি লাভ করেছে। বর্তমান ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ বস্ত্র রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৪২.৬১৩ বিলিয়ন ডলার যা বাংলাদেশের মোট রপ্তানির ৮১.৮১ শতাংশ। এই কারণে বাংলাদশের বৃহত্তম রপ্তানি শিল্পখাত হলো বস্ত্র শিল্প।
(গ) রতনের দেখা শিল্পটির পরিচয় ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : রতনের দেখা শিল্পটির নাম হলো সারশিল্প। বাংলাদেশে সার শিল্পের সূত্রপাত হয়েছিল ১৯৬১ সালে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে প্রথম প্রাকৃতিক গ্যাস ভিত্তিক সার কারখানা তৈরির মাধ্যমে।বাংলাদেশে বর্তমানে মোট ৮টি সারকারখানা রয়েছে যা বর্তমান বাংলাদেশের সারের মোট চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম নয়। বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ তাই বাংলাদেশে কৃষিকাজের জন্য ব্যাপক পরিমানে জৈবিক ও রাসায়নিক সারের প্রয়োজন হয়। এবং এই চাহিদার বেশির ভাগ সার বাংলাদেশকে বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। তাই বর্তমানে বাংলাদেশে সার শিল্পের উপর প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।
(ঘ) ‘রতনের অভিজ্ঞতায় কৃষকদের আর্থ-সামাজিক উন্নতির সাথে শিল্পায়নের সম্পর্ক ফুটে উঠেছে‘- এর যথার্থতা বিশ্লেষণ করো।
উত্তর : কৃষকদের আর্থসামাজিক উন্নতির সাথে দেশের শিল্পায়নের এক নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। দেশের শিল্পবাবস্থার উন্নতির সাথে সাথে কৃষিব্যাবস্থারও উন্নতি সাধন হয়। শিল্পব্যবস্থা উন্নত হলে দেশের কৃষি ক্ষেত্র থেকে অধিক চাপ কমে যায়। দেশে কৃষিজ দ্রব্যের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। শিল্পের উন্নতির সাথে দেশের আধুনিক যন্ত্রপাতির সমাগম ঘটে। এর ফলে কৃষকরা উন্নত কৃষি সরঞ্জামের ব্যবহার করে কম খাটনিতে অধিক ফসল উৎপাদন করতে সক্ষম হয় এর সাথে সাথে আধুনিক রাসায়নিক সার ফসলের অধিক উৎপাদন, বিভিন্ন কীটনাশক থেকে ফসলকে রক্ষা করে। জমিতে অধিক ফসল উৎপাদিত হলে কৃষকরা বেশি পরিমানে অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হয়। এই সকল কারণে প্রমাণিত হয় দেশের কৃষকদের আর্থ-সামাজিক উন্নতির জন্য দেশে শিল্পায়ন বা গুরুপ্তপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
(২) নাদিয়া তার বাবার সাথে ভোলা শহরের রাস্তা ধরে হাঁটছিল। হঠাৎ ভীড় দেখে কাছে গিয়ে দেখল একটি টিউবওয়েল চাপ দেয়ায় পানি পড়ছে এবং একটি ছেলে ম্যাচের কাঠিতে আগুন ধরিয়ে টিউবয়েলের কাছে ধরার সাথে সাথেই সেখানে আগুন জ্বলে উঠলো। নাদিয়া তার বাবার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বললেন, মাটির নিচ থেকে এক ধরনের বায়বীয় পদার্থ পানির সাথে মিশেছে বলেই এ ঘটনা ঘটেছে। তিনি আরও বললেন, উক্ত বায়বীয় পদার্থটি গৃহস্থালি ও কলকারখানায় জ্বালানি হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
(ক) বাংলাদেশের মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ কোনটি?
উত্তর : বাংলাদেশের মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ প্রাকৃতিক গ্যাস। বাংলাদেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের বিশাল ভান্ডার রয়েছে। প্রাকৃতিক গ্যাস বাংলাদেশের বিভিন্ন শিল্প ও মানুষের দৈনিন্দন জীবনের কাজে ব্যাবহার করা হয়। যেমন – সার তৈরিতে, ঘরবাড়ি, কলকারখানা, যানবাহন ইত্যাদির জ্বালানি হিসেবে ইত্যাদি।
(খ) খনিজ সম্পদের সাথে জীবিকা অর্জনের সম্পর্ক বর্ণনা করো।
উত্তর : বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের জীবিকা অর্জন বা নির্বাহের জন্য খনিজ সম্পদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। বাংলাদেশ কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস, চুনাপাথর, চিনামাটি, সিলিকা সমৃদ্ধ বালি, পেট্রোলিয়াম ইত্যাদি মূল্যবান খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ। মানুষের বিভিন্ন চাহিদা পূরণের জন্য এই খনিজ সম্পদের প্রয়োজন। এই কারণে বিভিন্ন খনিজ সম্পদের উত্তোলন করা ও পক্রিয়াকরণ করার জন্য তৈরী হয়েছে ফ্যাক্টরি এবং খনি যা মানুষকে জীবিকা নির্বাহের জন্য সাহার্য্য করেছে। এছাড়া এই খনিজ পদার্থ থেকে বিভিন্ন দ্রব্য উৎপাদন করার জন্যও বিভিন্ন শিল্পের সৃষ্টি হয়েছে যা মানুষকে জীবিকা অর্জনের জন্য সাহার্য্য করছে। এছাড়া এই সকল শিল্পজাত দ্রব্যের থেকেও বিভিন্ন ব্যবসা বাণিজ্যের সৃষ্টি হয়েছে যা মানুষকে আর্থিক ভাবে সমৃদ্ধ করতে সাহার্য করেছে। দেশের শিল্প ব্যাবস্থাকে মজবুত করতেও খনিজ সম্পদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। যে সকল দেশ খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ হয় সেই সব দেশকে অন্যান্য শিল্পের কাঁচামালের জন্য অন্য দেশের উপর নির্ভরশীল হতে হয় না ফলে দেশটি আর্থিক ভাবে অনেক বেশি শক্তিশালী হতে পারে। এই সকল উপায়ে খনিজ সম্পদ জীবিকা অর্জন করতে সাহার্য্য করে।
(গ) নাদিয়ার দেখা সম্পদটি শিল্প উন্নয়নে সহায়ক- ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : উদ্দীপকে নাদিয়ার দেখা সম্পদটি আসলে প্রাকৃতিক গ্যাস। প্রাকৃতিক গ্যাস শিল্প উন্নয়নের জন্য প্রধান ভূমিকা পালন করে। প্রাকৃতিক একদিকে যেমন বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ব্যাবহৃত হয় আবার তেমনি আবার সকল শিল্প এবং সাধারণ মানুষের দৈনিন্দন কাজের জন্য জ্বালানি হিসেবেও ব্যাবহৃত হয়। যেমন – সার তৈরিতে প্রাকৃতিক গ্যাস কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আবার ইস্পাত শিল্প, পক্রিয়াকরণ শিল্প ইত্যাদি ক্ষেত্রে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। মাটির গভীর থেকে প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলন পাইপলাইনের মাধ্যমে এই গ্যাস ঘরবাড়ির রান্নার জন্য অথবা কলকারখানার জ্বালানির জন্য সরাসরি প্রেরণ করা যায়। তাই যেহেতু প্রত্যেক শিল্পের জন্য জ্বালানি প্রধান উপাদান তাই শিল্প উন্নয়নে প্রাকৃতিক গ্যাসের অবদান অনসীকার্য।
(ঘ) উক্ত সম্পদের প্রাচুর্যই আমাদের দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সহায়ক, এ বক্তব্যের সমর্থনে যুক্তি দাও।
উত্তর : বাংলাদেশের প্রধান প্রাকৃতিক সম্পদ হলো প্রাকৃতিক গ্যাস। বাংলাদেশের শিল্প উন্নয়নে প্রাকৃতিক গ্যাসের ভূমিকা বা অবদান অনস্বীকার্য। বাংলাদেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রাচুর্য্যই বিভিন্ন শিল্পের উন্নতির জন্য সাহার্য্য করেছে। যেমন – বাংলাদেশের সার তৈরি শুরু হয়েছে এই সম্পদের উপর নির্ভর করে। এছাড়া বাংলাদেশের অন্যান্য শিল্প যেমন ইস্পাত শিল্প, বস্ত্র শিল্প, কাপড় শিল্প, কাগজ শিল্প, সিমেন্ট শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানির যোগান এই প্রাকৃতিক গ্যাস দিয়েই মেটানো হয়। দেশের শিল্প ছাড়াও সমগ্র দেশের যানবাহনের জ্বালানির যোগান দিতেও বর্তমানে প্রাকৃতিক গ্যাস বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে। যে কোনো শিল্প স্থাপনের জন্য প্রথম শর্ত হলো প্রয়োজনীয় জ্বালানির সহজলভ্যতা। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক গ্যাসের ভান্ডার এই শর্ত পূরণের জন্য ব্যাপক ভাবে সাহার্য্য করেছে। তাই বলা যেতে পারে উক্ত সম্পদটি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিশেষ ভাবে সাহার্য্য করেছে।