NCTB Class 8 BGS Chapter 11 বাংলাদেশের বিভিন্ন নৃগোষ্ঠী Solution/Guide

NCTB Class 8 BGS Chapter 11 বাংলাদেশের বিভিন্ন নৃগোষ্ঠী Solution/Guide

Bangladesh Board Class 8 Solution for বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়. Chapter 11 বাংলাদেশের বিভিন্ন নৃগোষ্ঠী. Solution for Exercises Question and Answer by Experienced Teacher.এখানে বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (NCTB) কর্তৃক প্রকাশিত অষ্টম শ্রেণীর বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের একাদশ অধ্যায় বাংলাদেশের বিভিন্ন নৃগোষ্ঠী অনুশীলনের সমস্ত সমাধান দেওয়া হয়েছে।

NCTB Solution Class 8 Chapter 11 বাংলাদেশের বিভিন্ন নৃগোষ্ঠী : 

Board NCTB Bangladesh Board
Class 8
Subject BGS
Chapter একাদশ অধ্যায়
Chapter Name বাংলাদেশের বিভিন্ন নৃগোষ্ঠী

বাংলাদেশের বিভিন্ন নৃগোষ্ঠী অনুশীলনী প্রশ্ন এবং উত্তর :

NCTB Class 8 BGS Chapter 11 বাংলাদেশের বিভিন্ন নৃগোষ্ঠী Solution/Guide

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :

(১) আচিকবাংলাদেশের কোন নৃ-গোষ্ঠীর ভাষার নাম?

(ক) চাকমা

(খ) গারো

(গ) মারমা

(ঘ) সাঁওতাল

উত্তর :

(খ) গারো

(২) উনিশ শতকে উপমহাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ঘটনা কোনটি?

(ক) গারো বিদ্রোহ

(খ) রাখাইন বিদ্রোহ

(গ) সাঁওতাল বিদ্রোহ

(ঘ) খাসিয়া বিদ্রোহ

উত্তর : 

(গ) সাঁওতাল বিদ্রোহ

(৩) মারমা নৃগোষ্ঠীর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে-

(i) সমতল থেকে ৬/৭ ফুট উপরে বাড়ি তৈরি

(ii) মাতৃপ্রধান পরিবার

(iii) হস্তশিল্পে পারদর্শিতা

নিচের কোনটি সঠিক?

(ক) i

(খ) i ii

(গ) ii iii

(ঘ) i, ii iii

উত্তর : 

(ক) i

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৪ ও ৫ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:

বার্ষিক পরীক্ষা শেষে সুমাইয়া মা-বাবার সঙ্গে কক্সবাজার বেড়াতে যায়। এখানে বেড়াতে বের হয়ে সে দেখতে পেল এক বিশেষ নৃগোষ্ঠীর মানুষ মাচা পেতে ঘর তৈরি করে বাস করছে। তাদের মুখের আকৃতি গোল, দেহের রং ফরসা।

(৪) সুমাইয়ার দেখা নৃগোষ্ঠীর নাম কী?

(ক) চাকমা

(খ) সাঁওতাল

(গ) মারমা

(ঘ) রাখাইন

উত্তর : 

(ক) চাকমা

(৫) সুমাইয়ার দেখা নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য হচ্ছে-

(i) পরিবারের প্রধান হলেন বাবা

(ii) প্রধান জীবিকা কৃষি

(iii) ঘরবাড়ি বাঁশ ও ছনের তৈরি নিচের কোনটি সঠিক?

(ক) i

(খ) i ii

(গ) ii iii

(ঘ) i, ii iii

উত্তর :

(ঘ) i, ii ও iii

সৃজনশীল প্রশ্ন :

(১) নিরু পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি মেয়ে। বাংলাদেশের বাইরে অরুনাচলেও তাদের জনগোষ্ঠীর লোকদের বসবাস রয়েছে। নিরু তার বান্ধবী শুভ্রার সাথে ময়মনসিংহে তার গ্রামের বাড়ি বেড়াতে গেল। ফলে সে খুব কাছ থেকে শুভ্রাদের ধর্মীয় আচার আচরণ ও জীবিকা নির্বাহ দেখার সুযোগ পেল। সেখানে শুভ্রার পরিবারের সকল সদস্যরা শুভ্রার মায়ের মতামতকে প্রধান্য দিচ্ছে দেখে সে ভীষণ অবাক হলো।

(ক) মারমাদের গ্রামের প্রধানকে কী বলা হয়?

উত্তর : মারমাদের গ্রামের প্রধানকে “রোয়াজা” বলা হয়। বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্টির মধ্যে অন্যতম হলো মারমা। বর্তমান বাংলাদেশের রাঙামাটি, বান্দরবন, খগড়াবাড়ি ইত্যাদি অঞ্চলে এই গোষ্ঠীর লোকেদের বসবাস। এই মারমা শব্দটি ‘ম্রাইমা’ শব্দ থেকে উদ্বুদ্ধ হয়েছে। মারমারা তাদের গ্রামকে  “রোয়া” বলে সম্বোধন। এবং মারমাদের সমাজের প্রধানকে বোমাং চিফ বা বোমাং রাজা বলে সম্মিহিত করা হয়।

(খ) বিভিন্ন সংস্কৃতির মধ্যে কীভাবে সুষম যোগাযোগ স্থাপিত হয়?

উত্তর : সামজের সংস্কৃতির বিকাশের জন্য বিভিন্ন সংস্কৃতির মেলবন্ধন একটি বিশেষ ভূমিকা রাখে। এই কারণে প্রত্যেক সমাজের বিভিন্ন সংস্কৃতির মানুষের মধ্যে পরস্পরের মধ্যে নিজেদের প্রয়োজন ও দৈনিক চাহিদা পূরণ করার জন্য নির্ভরশীল। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যেমন কোনো সংস্কৃতির মানুষ চাষাবাদ ভালো করে, আবার কেউ পোশাক বানায়, আবার কেউ বা শিল্প কার্য করে। এই ভাবে সমাজের প্রত্যেক মানুষ কিছু না কিছুর জন্য পরস্পরের উপর নির্ভরশীল থাকে। আর সমাজের এই নির্ভরশীলই সমাজের বিভিন্ন সংস্কৃতির মধ্যে সুষম যোগাযোগ স্থাপন করতে সাহার্য্য করে। এই নির্ভরশীলতা মানুষকে এক সংস্কৃতি থেকে অন্য সংস্কৃতির মধ্যে সমন্বয় সাধন করেছে। মানুষ তার প্রয়োজনীতার খাতিরে বিভিন্ন সংস্কৃতির মধ্যে সামাজিক ভাবে, অর্থনৈতিক ভাবে যোগাযোগ স্থাপন করেছে।

(গ) নিরুদের সাংস্কৃতিক জীবন ব্যাখ্যা করো।

উত্তর : বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলের নিরুদের নৃগোষ্ঠীর নাম হলো মারমা। এই গোষ্ঠী জনসংখ্যা পার্বত্য অঞ্চলের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চল রাঙামাটি, বান্দরবন, খগড়াবাড়ি ইত্যাদি অঞ্চলে এই গোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে। মারমা গোষ্ঠীর মানুষ তাদের বাড়িঘর তৈরী করে মূলত বাশ, খড় বা ছনের। মারমাদের বানানো বাড়ির বিশেষত্ব হলো বাড়িগুলো মাটি থেকে ৬-৭ ফুট উপরে নির্মিত হয়। এই নৃগোষ্ঠীর পুরুষরা পোশাক হিসেবে জামা, প্যান্ট এবং মাথায় গবং পরে। বস্ত্র তৈরিতে এই গোষ্ঠীর মহিলারা বিশেষ ভাবে পারদর্শী। এই গোষ্ঠীর মানুষ খাদ্য হিসেবে ভাত, মাছ, মাংস এবং বিভিন্ন শাকসবজি গ্রহণ করে। আচার অনুষ্ঠানের দিক থেকেও এই জনগোষ্ঠী বেশ সমৃদ্ধ। পুরাতন বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে বরণ করার জন্য সাংগ্রাই উৎসব পালন করে। এই সময় তারা পানিখেলা বা জলউৎসব পালন করে। সব দিক থেকেই এই নৃগোষ্ঠীর সংস্কতি বেশ সমৃদ্ধ এবং বৈচিত্রময়।

(ঘ) নিরু ও শুভ্রাদের সামাজিক জীবনের মধ্যে ভিন্নতা রয়েছেউক্তিটি বিশ্লেষণ করো।

উত্তর : নিরু ও শুভ্রা উভয়ই বাংলাদেশের দুটি আলাদা নৃগোষ্ঠীর অন্তরভুক্ত অধিবাসী। তাই তাদের সামাজিক জীবনে মধ্যে বিভিন্ন ভিন্নতা লক্ষ করা যায়। বাংলাদেশের প্রত্যেক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সংস্কৃতিক বৈচিত্র ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। যেমন নিরু পার্বত্য অঞ্চলের মারমা জনগোষ্ঠীর এবং শুভ্রা সমতলের গারো নৃগোষ্ঠীর। মারমা এবং গারো উভয়ই দুটো ভিন্ন জনগোষ্ঠী এবং এদের সামাজিক রীতিনীতি, পরিবার, আর্থসামাজিক অবস্থাও আলাদা। যেমন গারো জনগোষ্ঠীর সমাজ মাতৃসূত্রীয় অর্থাৎ পরিবারের প্রধান হয় মা এবং বাড়িয়ে আনুসাঙ্গিক কাজ ও দায়িত্ব পালন করে। এবং বংশপরম্পরায় পারিবারিক সব সম্পত্তির অধকারী বাড়ির কনিষ্ঠ মেয়ে হয়ে থাকে। এই সকল রীতি মারমা জনগোষ্ঠীতে পরিলক্ষিত হয় না। মারমা জনগোষ্ঠীতে পরিবারের প্রদান পিতা এবং মায়ের ভূমিকাও অনস্বীকার্য। পরিবারের যে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় মেয়েদের মতামতকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। এছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ে এই দুই গোষ্ঠীর লোকেদের মধ্যে বিভিন্ন প্রভেদ লক্ষ করা যায়।

(২) মাথিন চাকমা, অন্তরা সাহা ও অরুন এই তিন জনে এক সাথে বসে রমনা বটমূলে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান দেখছিল। একটু পরেই তারা লক্ষ করল ছায়ানটের শিল্পীদের গান পরিবেশনের পর খাগড়াছড়ি থেকে আগত চারজন নৃত্য শিল্পী নৃত্য পরিবেশন করছে। তাদের পরনে ছিল- আঞ্জি ও থামি।

(ক) চাকমাদের শ্রেষ্ঠ উৎসব কী?

উত্তর :  চাকমাদের সবচেয়ে বড়ো এবং শ্রেষ্ঠ উৎসব হলো “বিজু”। বাংলাবর্ষের শেষ দুদিন এবং নতুন বছরের প্রথম দিন এই উৎসব পালন করা হয়ে থাকে।

(খ) মিউয়াবলতে কী বোঝায়?

উত্তর : গারো নৃগোষ্ঠীর একটি বিশেষ ও জনপ্রিয় খাদ্যের নাম হলো মিউয়া। গারো জনগোষ্ঠীর মানুষ কচি বাঁশের গুড়িকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে এই খাদ্যই মিউয়া নামে বেশ জনপ্রিয়।

(গ) উদ্দীপকের চারজন নৃত্য শিল্পী কোন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর পরিচয় বহন করছে? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর :  উদ্দীপকের চারজন নৃত্য শিল্পী “মারমা” নৃগোষ্ঠীর পরিচয় বহন করছে। এই গোষ্ঠীর নারীদের পরিহিত বস্ত্রের নাম “আঞ্জি” এবং “থামি”। এই গোষ্ঠীর বিশেষ পরিচয় বহন করে এই বস্ত্র। নৃত্য পরিবেশন করার সময় এই গোষ্ঠীর রমণী শিল্পীরা এই পোশাক ব্যবহার করে।

(ঘ) বৈসাবি আর পহেলা বৈশাখ আজ একই বিন্দুতে মিলিত হয়েছেএই উক্তিটি উদ্দীপকের আলোকে বিশ্লেষণ করো।

উত্তর : বৈসাবি উৎসব হলো বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলের প্রধান তিনটি জনগোষ্ঠীর বর্ষবরণ উৎসব। ঠিক যেমন নতুন বছরে সমগ্র বাংলাদেশ জুড়ে উদযাপিত হয় নববর্ষ। এই দুটি উৎসবেরই মূল বিষয় হলো পুরোনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে উদযাপন করা। এই কারণে বলা যায় যে এই দুটি উৎসব একই বিন্দুতে মিলিত হয়েছে। কেননা উৎসবের রীতিনীতি আলাদা হলেও দুটি উৎসবের পালনের কারণ একই। নববর্ষতে যেমন সমগ্র বাংলাদেশের মানুষ মেতে উঠে উৎসবের আনন্দে ঠিক তেমনি চট্টগ্রামের এই নৃগোষ্ঠীর লোকেরাও একই সময়ে মেতে উঠে নতুন বছরের আনন্দে। এক কথায় এই দুটি উৎসবের নাম আলাদা হলেও উৎসবের কারণ একই। নাচ, গান, নাটক, ইত্যাদি বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে এই উৎসব দুটি পালিত হয়। সর্বোপরি এই দুটি উৎসবের মানুষের ভাবনা, আবেগ  থাকে এক। এই কারণে বলা যেতে পারে যে বৈসাবি ও পহেলা বৈশাখ বা নববর্ষ ধর্ম ও জাতিভেদ নির্বিশেষে একই বিন্দুতে মিলিত হয়েছে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *