NCTB Class 9 and 10 Bengali Chapter 18 মমতাদি Solution 

NCTB Class 9 and 10 Bengali Chapter 18 মমতাদি Solution 

Bangladesh Board Class 9 and 10 Bengali Solution Chapter 18 মমতাদি Exercises Question and Answer by Experienced Teacher. NCTB Class 9 and 10 Bengali Solution Chapter 18 মমতাদি.

NCTB Solution Class 9 and 10 Chapter 18 মমতাদি : 

Board NCTB Bangladesh Board
Class 9 and 10
Subject Bengali
Chapter Eighteen
Chapter Name মমতাদি

NCTB Class 9 and 10 Bengali Chapter 18 মমতাদি Solution 

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :

(১) মমতাদির বেতন কত টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল?

(ক) ১০ টাকা

(খ) ১২ টাকা

(গ) ১৫ টাকা

(ঘ) ১৮ টাকা

উত্তর :

(গ) ১৫ টাকা

(২) চড় খাওয়ার বিষয়টি দিদি কেন গোপন রেখেছিলেন?

(ক) লজ্জা পেয়ে

(খ) আত্মসম্মানের জন্য

(গ) বিপদের আশঙ্কা

(ঘ) চাকরি যাওয়ার ভয়ে

উত্তর :

(খ) আত্মসম্মানের জন্য

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩- সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও :

মা মারা গেলে নিরাশ্রয় কেষ্টা বৈমাত্রেয় বোন কাদম্বিনীর বাড়িতে আশ্রয় নেয়। তার এই অনাকাঙ্ক্ষিত আগমন কাদম্বিনী ভালোভাবে নেয়নি বরং মনে মনে সে ভীষণ অখুশি। তাকে দিয়ে প্রতিনিয়ত সংসারের নানা কাজ করিয়ে নিচ্ছে। কারণে-অকারণে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে প্রায়ই দুর্ব্যবহার করে। নিরুপায় কেষ্টা সবকিছু নীরবে সহ্য করে।

(৩) যে বিচারে কেষ্টা ও মমতাদি একসূত্রে গাঁথা তা হলো-

(i) দারিদ্র্য

(ii) অসহায়ত্ব

(iii) নিরাশ্রয়

নিচের কোনটি সঠিক?

(ক) i ii

(খ) ii  iii

(গ) i iii

(ঘ) i, ii iii

উত্তর :

(ক) i ও ii

সৃজনশীল প্রশ্ন :

রাসেল ড্রাইভার হিসেবে যেমন দক্ষ তেমনি সৎ। প্রকৌশলী এমারত সাহেব তাকে ব্যক্তিগত ড্রাইভার হিসেবে নিয়োগ দেন। ইফতি, সনাম ও শিলাকে স্কুলে নিয়ে যাওয়া-আসাই তার প্রধান কাজ। ঘরের সবাই ওকে ভীষণ ভালোবাসে। ইফতিরা ওকে ভাইয়া বলে ডাকে, একসাথে খায়, গল্প করে, বেড়াতে যায়। রাসেলের প্রতি সন্তানদের এই আচরণে এমারত সাহেব ভীষণ খুশি।

(ক) মমতাদির বয়স কত ছিল?

উত্তর : আলোচ্য গল্পে মমতাদির বয়স ছিল তেইশ বছর।

(খ) মমতাদির চোখ সজল হয়ে উঠেছিল কেন?

উত্তর : মমতাদির চোখ সজল হয়ে উঠেছিল কৃতজ্ঞতার জন্য। তার স্বামীর চাকরি চলে গিয়েছিলো তাই সংসারের অনটন সামলাতে তাকে কাজের খোঁজে বেরোতে হয়েছে। তাই যখন লেখকের মা তার কাজের প্রস্তাবটি মেনে নেয় এবং মাসে ১৫ টাকা মাইনে ধার্য্য হয় তখন কৃতজ্ঞতায় তার চোখ সজল হয়ে উঠেছিল। কারণ পনেরো মাইনে আসা করেনি।

(গ) উদ্দীপকে রাসেলের মাঝে বিদ্যমান মমতাদির বিশেষ গুণটি ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : উদ্দীপকে রাসেলের মধ্যে মমতাদির কর্মোদ্যক্ষতা, সদ্ব্যাবহার, শিশুপ্রেমের দিকটি ফুটে উঠেছে। আলোচ্য গল্পে মমতাদি কাজে ঢোকার পর কিছুদিনের মধ্যেই বাড়ির সবার মনজয় করে ফেলেছিলো। সে যেমন তার কাজে পারদর্শী ছিল ঠিক তেমনি আবার তার মন ছিল মায়া ও স্নেহে পরিপূর্ণ। বাড়ির ছোট ছেলেটিকে সে তার নিজের ছেলের মতো ভালোবেসে ছিলো। উদ্দীপকের রাসেলও তার ড্রাইভিংয়ের কাজে খুবই পারদর্শী ছিল। তাই এমারত সাহেব যখন তাকে ব্যাক্তিগত ড্রাইভারের কাজে নিযুক্ত করেছিল তখন রাসেল তার ভালো ব্যাবহার ও মিষ্টতার জন্য কয়েকদিনের মধ্যেই বাড়ির শিশুদেড় মনে জায়গা করে নিয়েছিল।  বাড়ির বাচ্চারা তাকে বড়ো দাদা মনে করতো এবং তার সাথে ঘোরাঘুরি ও একসাথে খাওয়া দাওয়া করতো। এর থেকে উদ্দীপকের রাসেলের মধ্যে যেন আলোচ্য গল্পের মমতাদির সেই স্নেহময়ী ও কর্মপরিদর্শিতার গুনটি প্রজ্জলিত হয়ে ছিল।

(ঘ) রাসেল ও মমতাদির প্রতি দুই পরিবারের আচরণের ফুটে ওঠা দিকটি সামাজিক সংহতি সৃষ্টিতে কতটুকু প্রভাব ফেলে? যুক্তিসহ বিশ্লেষণ কর।

উত্তর : আলোচ্য গল্প এবং উদ্দীপকের দুই পরিবারই সামাজিক শ্রেণি নির্বিশেষে মানবিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার এক বিশেষ দৃষ্টান্ত রেখেছে। উভয় পরিবারই তাদের বাড়ির কাজের লোককে নিজের বাড়ির লোকের মতো করে দেখেছে। উভয় পরিবারের আচরণের মধ্যে ফুটে উঠেছে সামাজিক সংহতির বৈশিষ্ট। যেমন আমরা গল্পে দেখি লেখকের মা গরিব ও বিপদে পর মমতাদিকে বাড়ির কাজে নিযুক্ত করে তার বিপদের কথা মাথায় রেখে প্রত্যাশার থেকেও বেশি মাইনে দিয়েছিলো। মমতাদি প্রথমে বাড়ির কাজ ছাড়া অন্য কিছু করতে বা বাড়ি ছোট শিশুটির সাথে কথা বলতে ইতস্তত বোধ করেন ভাবেন পাছে যদি কেউ কিছু মনে করেন যেহেতু কেবলমাত্র বাড়ির কাজের লোক। কিন্তু মমতাদির এই ভাবনাকে ভুল প্রমাণিত করে লেখকের মা তাকে আপন করে নেন। সেই রকমই উদ্দীপকের রাসেলের ড্রাইভিংয়ের পারদর্শিতার জন্য তাকে নিজের ব্যাক্তিগত ড্রাইভার হিসেবে নিযুক্ত করেন এবং বিশ্বাসের সাথে তাকে বাড়ির বাচ্চাদেরকে স্কুলে নিয়ে যাওয়া ও নিয়ে আসার দায়িত্ব দিয়ে ছিল।  এবং বাড়ির বাচ্ছারাও তাকে বড়ো দাদা হিসেবে আপন করে নিয়েছিল। এর থেকে দুই পরিবারের লোকেদের মানবিকতার ও সমাজে সবাইকে এক ভাবার মানসিকতা প্রকাশ পেয়েছে। দুই পরিবারের লোকেরাই সমাজে সামাজিক সংহতি সৃষ্টির বার্তা দিয়েছিলো। মানুষকে মানুষ ভাবা উচিত তার পেশার বিবেচনা করে তাকে ছোট বা বড়ো করে দেখা উচিত নয়। পৃথিবীর সকল মানুষের সমান ও একই সন্মান ও অধিকার থাকা উচিত।

 

Next Chapter Solutions :  

Updated: September 16, 2023 — 11:29 am

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *