NCTB Class 9 and 10 Bengali Chapter 20 পয়লা বৈশাখ Solution

NCTB Class 9 and 10 Bengali Chapter 20 পয়লা বৈশাখ Solution

Bangladesh Board Class 9 and 10 Bengali Solution Chapter 20 পয়লা বৈশাখ Exercises Question and Answer by Experienced Teacher. NCTB Class 9 and 10 Bengali Solution Chapter 20 পয়লা বৈশাখ.

NCTB Solution Class 9 and 10 Chapter 20 পয়লা বৈশাখ : 

Board          NCTB Bangladesh Board
Class 9 and 10
Subject Bengali
Chapter Twenty
Chapter Name পয়লা বৈশাখ

NCTB Class 9 and 10 Bengali Chapter 20 পয়লা বৈশাখ Solution

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :

(১) ঐতিহাসিক আবুল ফজল নববর্ষকে কী বলে উল্লেখ করেছেন?

(ক) নওরোজ

(খ) জাতীয় উৎসব

(গ) অনন্য উৎসব

(ঘ) বর্ষবরণ উৎসব

উত্তর :

(ক) নওরোজ

(২) নববর্ষ উদযাপনের মাধ্যমে কী প্রকাশ পেয়েছে?

(ক) উগ্র জাতীয়তা

(খ) ঐক্যবোধ

(গ) বহুমুখী ভাবনা

(ঘ) সাংস্কৃতিক ভিন্নতা

উত্তর :

(খ) ঐক্যবোধ

উদ্দীপকটি পড় এবং ৩ ও ৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও :

বাংলার হিন্দু

বাংলার বৌদ্ধ

বাংলার খ্রিষ্টান

বাংলার মুসলমান

আমরা সবাই বাঙালি

(৩) উদ্দীপকটিতে পয়লা বৈশাখপ্রবন্ধে বিধৃত দিকটি হলো-

(ক) বাংলাদেশি জাতীয়তা

(খ) বাঙালি জাতীয়তা

(গ) অসাম্প্রদায়িকতা

(ঘ) সাম্যবাদিতা

উত্তর :

(ঘ) সাম্যবাদিতা

(৪) উদ্দীপকে প্রতিফলিত ভাবের সঙ্গে নিচের কোনটির সামঞ্জস্য রয়েছে?

(ক) সিরাজউদ্দৌলা শেষবারের মতো লড়াই করার জন্য ডাক দিয়েছিলেন হিন্দু-মুসলমান উভয়কে।

(খ) ঔপনিবেশিক রাজত্বের দিনগুলোতে নববর্ষ উদযাপনের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে স্বাদেশিকতা ও জাতীয়তাবাদী চেতনার প্রতিফলন ঘটেছিল।

(গ) নববর্ষ বাঙালির এক অনন্য উৎসব, অন্যতম জাতীয় উৎসব।

(ঘ) সামাজিক প্রকৌশলীদের আজ বাংলা নববর্ষের মধ্যে সচেতনভাবে নতুন মাত্রিকতা যোগ করতে হবে।

উত্তর :

(খ) ঔপনিবেশিক রাজত্বের দিনগুলোতে নববর্ষ উদযাপনের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে স্বাদেশিকতা ও জাতীয়তাবাদী চেতনার প্রতিফলন ঘটেছিল।

সৃজনশীল প্রশ্ন

১৯৬৭ সাল থেকে রমনার বটমূলে ছায়ানটনববর্ষের যে উৎসব শুরু করে স্বাধীন বাংলাদেশের বাধাহীন পরিবেশে এখন তা জনগণের বিপুল আগ্রহ-উদ্দীপনাময় অংশগ্রহণে দেশের সর্ববৃহৎ জাতীয় অনুষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। রাজধানী ঢাকার নববর্ষ উৎসবের দ্বিতীয় প্রধান আকর্ষণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ছাত্র-ছাত্রীদের বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা। এই শোভাযাত্রায় মুখোশ, কার্টুনসহ যে-সব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীকধর্মী চিত্র বহন করা হয়, তাতে আবহমান বাঙালিত্বের পরিচয় এবং সমকালীন সমাজ-রাজনীতির সমালোচনাও থাকে।

(ক) নববর্ষ এক অস্তিত্বকে বিদায় দিয়ে অন্য জীবনে প্রবেশ করার কী প্রকাশ করে ?

উত্তর : নববর্ষ এক পুরোনো জীর্ণ এক অস্তিত্বকে বিদায় দিয়ে সতেজ ও সজীব নবীন এক জীবনে প্রবেশ করার আনন্দানুভূতি প্রকাশ করে। নববর্ষের মানেই হলো পুরোনো বছরের সুখ, দুঃখ-কষ্টকে ভুলে নতুন বছরে প্রবেশ করে নতুন উদ্যমের সাথে এগিয়ে চলা।

(খ) ধর্মনিরপেক্ষ চেতনা বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

উত্তর : ধর্মনিরপেক্ষ চেতনা বলতে লেখক বলতে চেয়েছেন যে আমরা হিন্দু-মুসলিম, বুদ্ধ, খ্রিস্টান, শিখ, জৈন সকল ধর্মনির্বিশেষ আগে একজন মানুষ, আমরা সবই বাঙালি এবং বাংলাদেশের নাগরিক। তাই নববর্ষ কারো বা কোনো বিশেষ ধর্মের অনুষ্ঠান নয় এটি জাতিধর্ম নির্বিশেষে সকল বাংলাবাসীর উৎসব। তাই লোখক জাতিধর্ম নির্বিশেষে সকল বাংলাবাসীকে একত্রে এই উৎসব পালন করার আহ্বান জানিয়েছেন। কারন নববর্ষ মানেই পুরোনো জীর্ণ অস্তিত্বকে বিদায়  জানিয়ে নতুন সতেজ সজীব ও নবীন এক জীবনে প্রবেশ করার আনন্দভূতি।

(গ) পয়লা বৈশাখপ্রবন্ধে প্রকাশিত নববর্ষ উদ্‌যাপনের কোন দিকটি উদ্দীপকে অনুপস্থিত? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : আলোচ্য পয়লা বৈশাখ প্রবন্ধে লেখক নববর্ষকে মানুষের পুরোনো জীর্ণ এক অস্তিত্বকে বিদায় জানিয়ে এক সতেজ, সজীব ও নবীন জীবনে প্রবেশ করার আনন্দানুভূতিকে বুঝিয়েছেন। প্রাচীন কাল থেকেই কৃষকরা কৃষিজমির শীতকালীন নির্জীবতার পর বৈশাখ মাসে যখন সেই জমিতে আবার নবজীবনের আবির্ভাব হতো সে খুশিতে জাতি, ধর্ম, বর্ণ, ধণী, গরিব নির্বিশেষে সকলে মিলে এই উৎসবে মেতে উঠতো এবং গড়ে তুলতো এক ঐক্যবদ্ধ সমাজ। কিন্তু বর্তমান সমাজে যেন এই উৎসবের মূল ভাবটিই হারিয়ে গিয়েছে। নববর্ষ পরিণত হয়েছে শুধু বাঙালির ঐকান্তিক অনুষ্ঠানে এখন নববর্ষ মানেই বাঙালিদের নতুন বছর। অনুষ্ঠানে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক চাঞ্চল্যতা, নাগরিকদের বুর্জোয়া বিলাস, ফ্যাশনের কারিকুরি। যার মধ্য থেকে হারিয়ে গিয়েছে উৎসবের মূল উদ্দেশ্য, জাতিধর্ম নির্বিশেষে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রয়াস, ধর্মনিরপেক্ষ চেতনার বিকাশ।

(ঘ) সামাজিক প্রকৌশলীদের আজ বাংলা নববর্ষের মধ্যে সচেতনভাবে নতুন মাত্রিকতা যোগ করতে হবে।লেখকের এই প্রত্যাশাই যেন উদ্দীপকটি ধারণ করছে- মূল্যায়ন কর।

উত্তর : বাংলার নববর্ষ আজ ক্রমশ হারিয়ে ফেলেছে তার মূলভাব। বর্তমান সময়ের মানুষের মধ্যে পয়লা বৈশাখকে উপলক্ষ করে যে চাঞ্চল্য ও আনন্দ উৎসব দেখা যায় তা নিতান্তই শখের। উচ্চবিত্ত এবং মধবিত্ত লোকের বুর্জোয়া বিলাস আর চটকদার ফ্যাশনের কারিকুরি। লেখক  এর তীব্র বিরোধিতা করেছেন। তিনি বাংলাবাসীকে মনে করিয়ে দিতে চেয়েছেন বাংলা নববর্ষ শুধু ঐতিহ্যমন্ডিত বা শ্রেণীগত উৎসব নয় এটি জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সমগ্র বাংলার সাধারণ মানুষের উৎসব। এই উৎসব যে মানুষের মধ্যে ধর্মনিরপেক্ষ চেতনার বিকাশ ঘটায় তা আবার জোরের সাথে বলার আহ্বান জানিয়েছেন। এই অনুষ্ঠান শুধু বাঙালির নয় সমগ্র বাংলাবাসীর। এই উৎসব  পরাধীন বাংলায় মানুষদের মধ্যে ঐক্যবদ্ধতা এবং জাতীয়তাবোধের সঞ্চার ঘটিয়ে ছিলো তা ভুলে ইজেলে চলবে না। এই উৎসব শুধু জাতিধর্ম নির্বিশেষে এক অন্য উৎসব নয় মানুষের জীবনের পুরাতন জীর্ণ অস্তিত্বকে বিদায় জানিয়ে এক সজীব, সতেজ ও নব-নবীন জীবনে প্রবেশ করার আনন্দানুভূতি। লেখক নববর্ষের মধ্যে সচেতনভাবে নতুন মাত্রিকতা যোগ করার মধ্য দিয়ে এটাই বোঝাতে চেয়েছেন।

 

Next Chapter Solutions :  

Updated: September 16, 2023 — 11:30 am

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *