NCTB Class 9 and 10 Bengali Chapter 7 অভাগীর স্বর্গ Solution

NCTB Class 9 and 10 Bengali Chapter 7 অভাগীর স্বর্গ Solution

Bangladesh Board Class 9 and 10 Bengali Solution Chapter 7 অভাগীর স্বর্গ Exercises Question and Answer by Experienced Teacher. NCTB Class 9 and 10 Bengali Solution Chapter 7 অভাগীর স্বর্গ.

NCTB Solution Class 9 and 10 Chapter 7 অভাগীর স্বর্গ : 

Board NCTB Bangladesh Board
Class 9 and 10
Subject Bengali
Chapter Seven
Chapter Name অভাগীর স্বর্গ

NCTB Class 9 and 10 Bengali Chapter 7 অভাগীর স্বর্গ Solution

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :

(১) কোন নদীর তীরে শশ্মানঘাট অবস্থিত?

(ক) শঙ্খ

(খ) গরুড়

(গ) গড়াই

(ঘ) পদ্মা

উত্তর :

(খ) গরুড়

(২) রসিক বেল গাছটি কী কাজে ব্যবহার করতে চেয়েছিল?

(ক) অভাগীর শবদাহ

(খ) ঘরবাড়ি তৈরি

(গ) রান্নার কাঠ সংগ্রহ

(ঘ) কাঙালীর জন্য

উত্তর :

(ক) অভাগীর শবদাহ

উদ্দীপকটি পড়ে ৩-সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও :

তর্করত্ন কহিলেন ধার নিবি শুধবি কীভাবে? গফুর বলিল, যেমন করে পারি শুধব বাবা ঠাকুর, তোমাকে ফাঁকি দেব না।

(৩) তর্করত্ন অভাগীর স্বর্গ গল্পের কোন্ চরিত্রের প্রতিনিধি ?

(ক) ঠাকুর দাস মুখুজ্যে

(খ) রসিক দুলে

(গ) দারোয়ানজী

(ঘ) অধর

উত্তর :

(খ) রসিক দুলে

সৃজনশীল প্রশ্ন :

এই নিষ্ঠুর অভিযোগে গফুর যেন বাকরোধ হইয়া গেল। ক্ষণেক পরে ধীরে ধীরে কহিল, কাহন খানেক খড় এবার ভাগে পেয়েছিলাম। কিন্তু গেল সনের বকেয়া বলে কর্তামশায় সব ধরে রাখলেন? কেঁদে কেটে হাতে পায়ে পড়ে বললাম, বাবু মশাই, হাকিম তুমি, তোমার রাজত্ব ছেড়ে আর পালাব কোথায়? আমাকে পণদশেক বিচুলি না হয় দাও। চালে খড় নেই। বাপ বেটিতে থাকি, তাও না হয় তালপাখার গোঁজাগাঁজা দিয়ে এ বর্ষা কাটিয়ে দেব, কিন্তু না খেতে পেয়ে আমার মহেশ যে মরে যাবে।

(ক) কাঙালীর বাবার নাম কী?

উত্তর : কাঙালীর বাবার নাম ছিল রসিক বাঘ।

(খ) তোর হাতের আগুন যদি পাই, আমিও সগ্যে যাব‘-উক্তিটি ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : এই উক্তিটি ছিল গল্পের কাঙালীর মায়ের। তিনি ঠাকুরদাস মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী যখন মারা গিয়েছিলো তখন কাঙালীর মা তার শেষ যাত্রার সাথে সাথে শ্বসানে চলে গিয়েছিলো এবং সেখানে কাঙালীর মা বামুনগিন্নীকে তার চিতার ধোয়ার মধ্যে দিয়ে স্বর্গগের রথে চড়ে স্বর্গে যাত্রা করতে দেখে ছিল। তখন কাঙালীর মায়ের মনেও একই ভাবে স্বর্গগে যাওয়ার এক অদ্ভুত ইচ্ছা হয়েছিল। তাই একদিন সে তার ছেলে কাঙালিকে বুকে চাপিয়া এই উক্তিটি করেছিল। এবং বলেছিলো সেও বামুনে গিন্নির মতো সেও নতুন করে সেজে, স্বামীর পদ ধূলি নিয়ে, ছেলের দেওয়া আগুনের ধোঁয়াতে করে স্বর্গগের রথে বসে স্বর্গে যেতে চেয়েছিলো।

(গ) উদ্দীপকে অভাগীর স্বর্গগল্পের যে সমাজচিত্রের ইঙ্গিত রয়েছে তা ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : উদ্দীপকে আলোচ্য গল্প “অভাগীর স্বর্গ” এর মতো সমাজের গরিবের নিপীড়ণের ইঙ্গিত রয়েছে।   গল্পের ঠাকুরদাসের স্ত্রী মারা গেলে তাকে নতুন বৌয়ের মতো সাজিয়ে, চন্দনকাঠ দিয়ে তার অন্ত্যেষ্টি সম্পন্ন করা হয়েছিল। কিন্তু গরিব দুঃখী কাঙালি মারা গেলে তার জন্য একটি সাধারণ গাছের কাঠেরও ব্যবস্থা হয়ে উঠে না। জমিদারের কাছে কাঠ চাইলে তারা খাজনা দিতে পারে না  বলে তাও নিতে দেওয়া হয়নি। শেষ পর্যন্ত নদীর ধারে গর্ত করে তাকে সেখানে শোয়ানো হয়েছিল। সেরকমই, উদ্দীপকের গফুর তার আগের বারের খাজনা পরিশোধ করেনি বলে তার শেষ কাহন খানেক ধানও কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। তার ঘরের চালে খড় নেই তাই সে শুধু কয়েক আটি খড় চেয়েছিলো কিন্তু কর্তামশায় সেটুকু পর্যন্ত তাকে দেয়নি। এই গরিবের সবটুকু ধান কেড়ে নিলে তারা খাবে কি তাও ভাবার মানবতাবোধ কারো ছিল না। এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে গরিবের চরম নিপীরপনের দিকটিকে প্রকাশ করেছে। গল্প ও উদ্দীপকে উভয় জাগাতেই আমরা সমাজের ধনী সম্প্রদায় দ্বারা সমাজের গরিব সম্প্রদায়ের নিপীড়ণের দৃশ্যটি ফুটে উঠেছে।

(ঘ) কাঙালীর সঙ্গে উদ্দীপকের গফুরের সাদৃশ্য থাকলেও কাঙালী সম্পূর্ণরূপে গফুরের প্রতিনিধিত্ব করে না।‘- মন্তব্যটি, যথার্থতা নিরূপণ কর।

উত্তর : আলোচ্য গল্পের মধ্যে আমরা দেখিতে পাই যে কাঙালীর মা তাদের গ্রামের বামুনে গিন্নিকে নতুন বৌয়ের মতো সেজে ছেলে মেয়েদের হাতের আগুনে তার স্বামীর পদধূলি নিয়ে স্বর্গের রথে চড়ে স্বর্গগের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিলেন। এই দেখে মৃত্যুর পর তার মনেও একই সে স্বর্গের রথে বসে স্বর্গগের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার ইচ্ছা হয়েছিল। কিন্তু তার সেই ইচ্ছা পূরণ হয়নি বললেই চলে। কাঙালীর মায়ের মৃত্যুর পর তার অন্তেষ্টির জন্য সামান্য কাঠের ব্যবস্থা পর্যন্ত করা যায়নি। তারা ছিল গরিব খাজনা সবঠিক ভাবে দিতে পারতো না সেই জন্য কাঙালীর বাবা গাছ কাটতে গেলে জমিদার তাকে বেধর মার্ মেরেছিলো। শেষ পর্যন্ত তাকে নদীর পারে মাটিতে গর্ত খুঁড়ে শেষ বারের মতো শোয়ানো হয়েছিল। অন্যদিকে, উদ্দীপকের গফুরও ছিল গরিব এইবার ফসল করে মাত্র এক কাহন ধান ভাগে পেয়েছিলো কিন্তু সেই ধানও কর্তামশায় কেড়ে নিয়েছিল কারণ গফুর আগের বারের খাজনা বাকি রেখেছিলো। এর ফলে তার দুর্গতি চরমে পৌঁছায়। সে ভাবে বর্ষার তার ভাঙা ঘরে ভিজে থকা যাবে কিন্তু না খেয়ে এই বর্ষায় তারা বাঁচবে কি করে। তাই বলা যায় গফুর ও কাঙালীর দরিদ্রতা ও নিপীড়ন এক হলেও তাদের পরণতি হয়েছিল ভিন্ন এবং এই কারণেই উদ্দীপকের গফুর গল্পের কাঙালীর প্রতিনিধিত্ব করে না।

 

Next Chapter Solutions :  

Updated: September 14, 2023 — 2:32 pm

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *