NCTB Class 9 and 10 Bengali Chapter 24 বাঁধ Solution

NCTB Class 9 and 10 Bengali Chapter 24 বাঁধ Solution

Bangladesh Board Class 9 and 10 Bengali Solution Chapter 24 বাঁধ Exercises Question and Answer by Experienced Teacher. NCTB Class 9 and 10 Bengali Solution Chapter 24 বাঁধ.

NCTB Solution Class 9 and 10 Chapter 24 বাঁধ : 

Board          NCTB Bangladesh Board
Class 9 and 10
Subject Bengali
Chapter Twenty Four
Chapter Name বাঁধ

NCTB Class 9 and 10 Bengali Chapter 24 বাঁধ Solution

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :

(১) বাঁধগল্পে উল্লিখিত পীর সাহেবের বাড়ি কোথায়?

(ক) জামালপুর

(খ) ঠাকুরগাঁও

(গ) গফরগাঁও

(ঘ) নোয়াখালী

উত্তর :

(গ) গফরগাঁও

(২) পীরসাহেবকে গাঁয়ের লোকেরা টাকা-পয়সা ও অজস্র জিনিসপত্র ভেট দিয়েছিল। কারণ-

(i) পীরকে ভালোবাসত বলে

(ii) ধর্মভীরু বলে

(iii) কুসংস্কারাচ্ছন্ন বলে

নিচের কোনটি সঠিক?

(ক) i ii

(খ) ii iii

(গ) i iii

(ঘ) i, ii iii

উত্তর :

(গ) i ও iii

উদ্দীপকটি পড় এবং ৩ ও ৪ সংখ্যক প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

ভোরবেলা মনু মিয়াকে এক রকম জোর করেই মাছ ধরতে নিয়ে যায় আবুল আর কোরবান। সে বলে নামাজ না পইড়া গেলে খোদা নারাজ অইবো, তৎক্ষণাৎ পথে বিদ্যুৎ চমকালে সে বলে- দোহাই আবুল ভাই, আমারে ছাইড়া দাও, স্বয়ং খোদাই তো নিষেধ করতাছে।

(৩) উদ্দীপকের মনু মিয়া চরিত্রে বাঁধগল্পের কোন দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে?

(ক) ধর্ম-সচেতনতা

(খ) ধর্মভীরুতা

(গ) অলসতা

(ঘ) কর্মবিমুখতা

উত্তর :

(খ) ধর্মভীরুতা

(৪) উদ্দীপকের মনু বাঁধগল্পের কোন চরিত্রটির প্রতিনিধিত্ব করে?

(ক) মতি

(খ) ছকু

(গ) রশিদ

(ঘ) চাঁদু

উত্তর :

(খ) ছকু

সৃজনশীল প্রশ্ন :

পুকুর ঘাটে পানি আনতে গিয়ে চান মিয়ার মেয়ে সেলিনা অজ্ঞান হয়ে পড়ে। অবস্থা দেখে তার দাদি ছেলেকে বলে মাইয়ারে তোমার ভূতে পাইছে, শিগগির হুজুরকে ডাক, চান মিয়া তাড়াতাড়ি করে মসজিদের ইমাম সাহেবকে ডেকে আনলেন এবং নানারকম ঝাড়ফুঁক ও তাবিজ-কবচের ব্যবস্থা করলেন।

(ক) ওলাবিবিকথাটির অর্থ কী?

উত্তর : এখানে ওলাবিবি কথাতীর অর্থ হলো কলেরা বা পেটের রোগ। এই কলেরা রোগের অপর নাম হলো ওলাউঠা । এই ‘ওলাউঠা ‘  আবার দুটো শব্দের সমষ্টি ওলা শব্দের অর্থ হলো পায়খানা হওয়া এবং ওঠা শব্দের অর্থ হলো বমি হওয়া।

(খ) রহিম সর্দার কাজির ছেলের নামটি এড়িয়ে গিয়েছিলেন কেন?

উত্তর : মনোহর হাজিকে নিয়ে মস্করা করেছিল মতি মাস্টার এবং দৌলত কাজীর ছেলে। এই খবর যখন দশ গায়ের সর্দার রহিম সর্দারের কানে পৌঁছয় তখন সে মতিমাস্টারের উপর প্রচন্ড ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছিল এবং তাকে গ্রাম থেকে বের করে দেবার হুমকি দিয়েছিলো। কিন্তু দৌলত কাজির ছেলের নাম শুনে সে তাকে এড়িয়ে গিয়েছিলো। কারণ রহিম সর্দার এবং দৌলত কাজি পরস্পরের কুটুম হন। তাদের মধ্যে এখন বেয়াইয়ের সম্পর্ক্ক। তাই কুটুম বাড়ির ছোট ছেলের নামটি সে অতি সাবধানে এড়িয়ে গিয়েছিলো।

(গ) উদ্দীপকের বক্তব্যে বাঁধগল্পের যে বিশেষ দিকটি ফুটে উঠেছে তা ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : উদ্দীপকের বক্তব্যে আলোচ্য ‘বাঁধ’ গল্পের অন্ধবিশ্বাসের দিকটি ফুটে উঠেছে। আলোচ্য গল্পে যেমন গ্রামবাসীরা প্রচন্ড ঝড় ঝঞ্জার থেকে নিজেদের ফসলকে রক্ষা করার জন্য গ্রামের বাঁধকে ঠিক করা কথা বিবেচনা না করে তারা মনোহর কাজী নাম এক পীর বাবাকে গ্রামে নিয়ে আসার কথা বলছিলো। এবং এত তারা সবাই সহমত পোষণ করেছিল। তাদের মতে সে ছিল হুজুরের দূত। সে এসে প্রার্থনা করলেই এই ঝড় ঝঞ্জার থেকে রক্ষা পাবে তারা। তাদের মতে এই ঝড় ছিল খোদার কোপ। আর এই কোপ থেকে শুধু খোদার কোনো দূতই তাদেরকে রক্ষা করতে পারবে। এর থেকে তারা অন্ধবিশ্বাসের মানসিকতাকে প্রকাশিত করে তুলেছে। ঠিক যেমন উদ্দীপকের দাদি পুকুর ঘাটে চান মিয়ার মেয়ে সেলিনাকে অজ্ঞান হয়ে পরে থাকতে দেখে তাকে ভূত ধরেছে বলে চেঁচামেচি করেন এবং ছেলেকে হুজুরকে ডেকে আন্তে বলেন এবং ঝাড়ফুঁক শুরু করেন। এর থেকে মানুষের অন্ধবিশ্বাসের দিকটি প্রকাশিত হয়েছে। মানুষ যখন কোনো ঘটনাকে যুক্তি দিয়ে বুদ্ধি দিয়ে বিচার না করে তাকে কোনো লৌকিক শক্তির আশীর্বাদ বা অভিশাপ মনে করে তখন তা অন্ধবিশ্বাসের জন্মদেয়। তাই উদ্দিপকেও আলোচ্য গল্পের অন্ধবিশ্বাসের দিকটি প্রস্ফুটিত হয়েছে।

(ঘ) উদ্দীপকে ফুটে ওঠা মূলভাবটি আজও আমাদের সামাজিক উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে।‘ –‘বাঁধ’ – গল্পের আলোকে বিশ্লেষণ কর।

উত্তর : উদ্দীপকে ফুটে উঠেছে অন্ধবিশ্বাসের ভাবটি। আমাদের নিত্যদিন ঘটে চলা বিভিন্ন ঘটনাকে মানুষ তাদের বুদ্ধি দিয়ে বা যুক্তি দিয়ে বিচার না করে সেই সব ঘটনাকে অপ্রাকৃতিক বা অলৌকিক বলে মেনে নেয়। এর ফলস্বরূপ মানুষের মধ্যে নেয় অন্ধবিশ্বাসের। আর এই অন্ধবিশ্বাসী বাধা হয়ে দাঁড়ায় সামাজিক উন্নয়নের এবং যুক্তি ও বুদ্ধি দিয়ে বিচার করার চেতনার  মাঝে। অন্ধবিশ্বাসের জন্য আজ আমাদের সমাজে চলছে মানুষকে ভয় দেখানো এবং ভন্ড সাধু, পুরোহিত, এবং কাজীর ব্যবসা। গ্রাম থেকে বড় শহর সর্বত্র আজ বিরাজ করছে এই অন্ধবিশ্বাস। আর কিছু অসাধু লোক এর আড়ালে থেকে অনবরত ক্ষতি করে চলেছে আমাদের এই সমাজের। অন্ধবিশ্বাস শুধু কোনো ব্যাক্তিবিশেষের ক্ষতি করে না, ক্ষতি করে সমগ্র সমাজের সমগ্র মানবজাতির। এখনও আমাদের সমাজে সুচিকিৎসার পরিবর্তে ঝাড়ফুঁক করা বাবাই বড়ো হয়ে উঠেছে। তাই এখনো অনেক সময় দেখা যায় কুকুর  কামড়ালে, সর্প দংশনে, বা অজ্ঞান হয়ে গেলে তাকে হসপিটালে নিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে নিয়ে যাওয়া হয় কোনো তান্ত্রিক বা ফকিরের কাছে। তাই মানুষের এই অন্ধবিশ্বাস  আজও আমাদের সামাজিক উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে চলেছে।

 

Next Chapter Solutions :  

Updated: September 16, 2023 — 11:28 am

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *