NCTB Class 9 and 10 Bengali Chapter 12 আম-আঁটির ভেঁপু Solution
Bangladesh Board Class 9 and 10 Bengali Solution Chapter 12 আম-আঁটির ভেঁপু Exercises Question and Answer by Experienced Teacher. NCTB Class 9 and 10 Bengali Solution Chapter 12 আম-আঁটির ভেঁপু.
NCTB Solution Class 9 and 10 Chapter 12 আম-আঁটির ভেঁপু :
Board | NCTB Bangladesh Board |
Class | 9 and 10 |
Subject | Bengali |
Chapter | Twelve |
Chapter Name | আম-আঁটির ভেঁপু |
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :
(১) উঠানের কোন জায়গা থেকে দুর্গা অপুকে ডাকছিল?
(ক) আমতলা
(খ) বটতলা
(গ) কাঁঠালতলা
(ঘ) জামতলা
উত্তর :
(গ) কাঁঠালতলা
(2) তেলের ভাঁড় ছুঁলে দুর্গাকে মারার কারণ হচ্ছে—
(i) কুসংস্কার
(ii) অপচয়
(iii) না জানানো
নিচের কোনটি সঠিক ?
(ক) i
(খ) ii
(গ) iii
(ঘ) ii ও iii
উত্তর :
(ঘ) ii ও iii
উদ্দীপকটি পড় এবং ৩ ও ৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও :
রিপন ও রুমা দুই ভাই-বোন। তাদের বয়সের পার্থক্য চার বছর। একে অন্যের উপর নির্ভরশীল হলেও বিভিন্ন জিনিস একে অন্যকে তারা দেখাতে চায় না। রুমার খেলার সামগ্রী রিপন লুকিয়ে রাখে। রুমার বিভিন্ন আদেশ, আবদার রিপন মানতে চায় না। এই নিয়ে ওদের মাকে নানা বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হয়।
(৩) উদ্দীপকটি ‘আম-আঁটির ভেঁপু‘ গল্পের কোন দিককে প্রতিফলিত করেছে?
(ক) ভাই-বোনের সম্পর্ক
(খ) ভাই-বোনের বিরোধ
(গ) ভাই-বোনের আবদার
(ঘ) মায়ের চিন্তা
উত্তর :
(খ) ভাই-বোনের বিরোধ
(৪) উদ্দীপকের ভাবনা ‘আম-আঁটির ভেঁপু” গল্পের কোন উদ্ধৃতির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ?
(ক) নারকেলের মালাটা আমায় দে
(খ) তাহার স্বর একটু সতর্কতা মিশ্রিত
(গ) দুর্গার হাতে একটি নারিকেলের মালা
(ঘ) একটু তেল আর একটু নুন নিয়ে আসতে পারিস? আমের কুশি জারাবো
উত্তর :
(ঘ) একটু তেল আর একটু নুন নিয়ে আসতে পারিস? আমের কুশি জারাবো
সৃজনশীল প্রশ্ন :
একই পরিবারের মকবুল, আবুল, সুরত সবাই বেশ পরিশ্রমী। নিজেদের জমি না থাকায় অন্যের জমি বর্গাচাষ করে, লাকড়ি কাটে, মাঝিগিরি করে, কখনো কখনো অন্যের বাড়িতে কামলা খেটে জীবিকা নির্বাহ করে। তাদের স্ত্রীরাও বসে নেই। ভাগ্যের উন্নতির জন্য পাতা দিয়ে পাটি বোনে, বাড়ির আঙিনায় মরিচ, লাউ, কুমড়া ফলায়, বিল থেকে শাপলা তুলে বাজারে বিক্রি করে। কোনো রকমে জীবন চলে যাচ্ছে তাদের।
(ক) দুর্গার বয়স কত?
উত্তর : আলোচ্য গল্পে দুর্গার বয়স ছিল দশ এগারো বছর।
(খ) বামুন হিসেবে বাস করার প্রস্তাবে হরিহর রাজি হলো না কেন?
উত্তর : বামুন হিসেবে বাস করার প্রস্তাবে হরিহর রাজি হয়নি কারণ সে ছিল জাতে ব্রাহ্মণ তাই সে ছোট জাতের লোকটির কাছে সম্মানে ছোট হতে চায় নি । এছাড়া কারো প্রস্তবে সরাসরি রাজি হওয়া যায় না তাতে লোক ভাববে বামনের হাড়ি মনে হয় শিকেয় উঠেছে। কারো সাথে পরামর্শ না করে হটকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ নয়। এই জন্য সে অন্য গায়ে বামুন হিসেবে বাস করার প্রস্তাবে রাজি হলো না।
(গ) উদ্দীপকে ‘আম-আঁটির ভেঁপু” গল্পের ফুটে ওঠা দিকটি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : উদ্দীপকটি মধ্যে “আমি-আঁটির ভেঁপু গল্পের অল্পতে খুশি থাকার কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ নিজের কাছে যা আছে তাতে দুঃখ না করে তাতেই কি ভাবে খুশি থাকা যায় তা বলা হয়েছে। আলোচ্য গল্পটি দিদি “অপু ও দূর্গা” নামে দুই ভাই বোনের শৈশবের গল্প নিয়ে রচিত হয়েছে। হতো দরিদ্র বাবা-মায়ের শত দারিদ্রতা সত্ত্বেও এই দুই শিশুর মধ্যে তার জন্যে ছিটেফোটা দুঃখ দেখা যায় নি। বরং তারা গ্রামের প্রকৃতি ও ছোট ছোট পাওয়াতেই কুশি থাকে। কারো বাগানের আমি চুরি করে খাওয়া যেন তাদের সর্বসুখ এনে দিয়েছিলো। উদ্দিপকেও আমরা দেখি যে একই পরিবারের সকলে একসাথে পরিশ্রম করে জীবন চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের কোনো কাজ করতে সংকোচ নেই সে মাছধরাই হোক বা মানুষের জমিতে শ্রমিকের কাজ। তাদের বাড়ির মেয়েরাও বসে থাকে না তারাও কিছু না কাজ করে কোনো রকমে তাদের জীবন বয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এই জন্য তাদের মনে কোনো দুঃখ দেখা যায় না উল্টে জেতার খুশিতেই থাকে। এর থেকে যেন গল্পের ভাবটিকে আরো দৃঢ় করেছে।
(ঘ) “উদ্দীপকটি ‘আম-আঁটির ভেঁপু” গল্পের মূলভাবকে কতটুকু ধারণ করে?”-যুক্তিসহ বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর : আলোচ্য গল্পটি বিভূতিভূষণ বন্দোপাদ্যাধায় রচিত “পথের পাঁচালী” উপন্যাস থেকে সংকলন করা হয়েছে। গ্রাম্য জীবনে প্রকৃত ঘনিষ্ঠ দুই ভাই বোন “অপু ও দূর্গা” তাদের শৈশবকে কেন্দ্র করে এগিয়ে চলেছে এই গল্প। গল্পটিতে হতদারিদ্রতা সত্ত্বেও ছোট ছোট জিনিসের মধ্যে দিয়ে আনন্দপূর্ণ দুই ভাইবোনের জীবন চলে যাচ্ছে। তাদের মধ্যে দারিদ্রতার কোনো ছাপ তাদের মধ্যে দেখা যায় না। সামান্য মূল্যের খেলনা বা কারো বাগানের সামান্য কয়টি আম পেয়েই তারা আনন্দমুখর হয়ে উঠে। অর্থাৎ লেখক বলতে চেয়েছেন জীবনে যা আছে তাতেই খুশি থাকা যায়। জীবনে বড়ো প্রাপ্তি কোনো ভূমিকা রাখে না। ঠিকতেমনি আমরা উদ্দীপকে দেখতে পাই যে মকবুল, আবুল, সুরত সবাই পরিশ্রমী। তারা তাদের জীবন অতিবাহিত করার জন্য সকল প্রকারের কাজ নিসংকোচের সাথে করে চলেছে। তাদের বাড়ির রমণীরাও সারাদিন কোনো না কোনো কাজে নিজেদেরকে ব্যাস্ত রাখছে। কিন্তু এতো দারিদ্রতা সত্ত্বেও তাদের কোনো দুঃখ নেই। তারা আনন্দের সাথে নিজেদের জীবনকে চালিয়ে যাচ্ছে। তাই বলা যায় যে তারা গল্পের মূল ভাবটিকে প্রায় সম্পূর্ণ ভাবেই ধারণ করতে পেরেছে।
Next Chapter Solutions :