NCTB Class 9 and 10 Bengali Chapter 13 মানুষ মুহম্মদ (স.) Solution

NCTB Class 9 and 10 Bengali Chapter 13 মানুষ মুহম্মদ (স.) Solution

Bangladesh Board Class 9 and 10 Bengali Solution Chapter 13 মানুষ মুহম্মদ (স.) Exercises Question and Answer by Experienced Teacher. NCTB Class 9 and 10 Bengali Solution Chapter 13 মানুষ মুহম্মদ (স.).

NCTB Solution Class 9 and 10 Chapter 13 মানুষ মুহম্মদ (স.) : 

Board NCTB Bangladesh Board
Class 9 and 10
Subject Bengali
Chapter Thirteen
Chapter Name মানুষ মুহম্মদ (স.)

NCTB Class 9 and 10 Bengali Chapter 13 মানুষ মুহম্মদ (স.) Solution

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :

(১) সত্য প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে হযরত মুহম্মদ (স.) কাদের কাছে উপহাসিত হয়েছিলেন?

(ক) ইহুদিদের

(খ) খয়বরবাসীদের

(গ) পৌত্তলিকদের

(ঘ) হুদায়বিয়াবাসীদের

উত্তর :

(ক) ইহুদিদের

(২) এদের জ্ঞান দাও প্রভু, এদের ক্ষমা কর‘- এ উক্তিতে হযরত মুহম্মদ (স.)-এর কোন গুণটি প্রকাশ পেয়েছে?

(ক) সহনশীলতা

(খ) উদারতা

(গ) মহানুভবতা

(ঘ) বিচক্ষণতা

উত্তর :

(খ) উদারতা

(৩) আমি রাজা নই, সম্রাট নই, মানুষের প্রভু নই। আমি এমনই এক নারীর সন্তান, সাধারণ শুষ্ক মাংসই ছিল যাহার নিত্যকার আহার্য, এ বক্তব্যে হযরত মুহম্মদ (স.)-এর চরিত্রের ফুটে ওঠা দিকটি হলো-

(i) নিরহংকার

(ii)  বিচক্ষণতা

(iii) সত্যনিষ্ঠা

নিচের কোনটি সঠিক?

(ক) i

(খ) ii

(গ) i ii

(ঘ) ii iii

উত্তর :

(ক) i

(৪) উদ্দীপকে প্রতিফলিত বিষয়টির সঙ্গে সাদৃশ্য রয়েছে কোনটির?

(ক) একটিমাত্র পিরান কাচিয়া শুকায় নি তাহা বলে রৌদ্রে ধরিয়া বসিয়া আছে গো খলিফা আঙিনা তলে ।

(খ) তুমি নির্ভীক এক খোদা ছাড়া করোনিকো কারে ভয় সত্যব্রত তোমায় তাইতো সবে উদ্ধত কয় ।

(গ) উষ্ট্রের রশি ধরিয়া অগ্রে, তুমি উঠে বস উটে তপ্ত বালুতে চলি যে চরণে রক্ত উঠেছে ফুটে।

(ঘ) বায়তুল মাল হইতে লইয়া ঘৃত-আটা নিজ হাতে বলিলে, এসব চাপাইয়া দাও আমার পিঠের পরে।

উত্তর :

(খ) তুমি নির্ভীক এক খোদা ছাড়া করোনিকো কারে ভয় সত্যব্রত তোমায় তাইতো সবে উদ্ধত কয় ।

সৃজনশীল প্রশ্ন :

হযরত নূহ (আ) ধর্ম ও ন্যায়ের পথে চলার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান। এতে মাত্র চল্লিশ জন মানুষ সাড়া দেন। বাকিরা সবাই তাঁর বিরোধিতা শুরু করে নানা অত্যাচারে তাঁকে অতিষ্ঠ করে তোলে। এ অত্যাচারের মাত্রা সহনাতীত হলে তিনি একপর্যায়ে অত্যাচারীর বিরুদ্ধে আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ জানান। আল্লাহর হুকুমে তখন এমন বন্যা হয় যে, ঐ চল্লিশ জন বাদে সকল অত্যাচারী ধ্বংস হয়ে যায় ।

(ক) হযরত মুহম্মদ (স.) কোন বংশে জন্মগ্রহণ করেন?

উত্তর : হযরত মুহম্মদ (স.) মক্কার শ্রেষ্ঠ বংশে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন।

(খ) সুমহান প্রতিশোধ বলতে কী বোঝায়?

উত্তর : সুমহান প্রতিশোধ বলতে লেখক বোঝাতে চেয়েছিলেন হজরত কিভাবে তার সমস্ত শত্রুদের চমৎকৃত করে যে প্রতিশোধ নিয়েছিল তাকে। গল্পে আমরা দেখতে পাই হজরতের নবীত্ব লাভের শুরু থেকেই মক্কাবাসী তার উপর নির্মম ও অমানুষিক অত্যাচার চালিয়েছে। মক্কাবাসীর এই অত্যাচার যখন অসহনীয় হয়ে উঠে তখন সে মদিনায় চলে যায়। কিন্তু তাতেও তার রেহাই ছিল না। মদিনাতে পৌঁছনোর পথে তাকে হত্যা করার জন্য বিপুল অর্থের লোভ দেখিয়ে শত শত হিংস্র পশুর মতো লোককে পাঠানো হয়েছিল হজরতের ছিন্ন মুন্ড নিয়ে আসার জন্য। আবার অন্যদিকে বদর, ওহোদ, ও আহযাব মক্কার বাসিন্দা ও মিত্রজাতিরা সম্মিলিত ভাবে চেষ্টা করছিলো ইসলাম ও মুসলিমের চিহ্নটুকুও মুছে ফেলার। কিন্তু হজরত দমে যাননি বুদ্ধি করে সে খয়বরের যুদ্ধে তার পড়া গেছে এই মিথ্যা সংবাদ ছড়িয়ে দেয়। হজরতের মৃত্যুর খবর পেয়ে শত্রুরা আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েছিল। তাদের মুসলমানদে উপর করের উপর আরো কর চাপাতে শুরু করে হুদায়বিয়া সন্ধির অসৎ ব্যবহার করে বিশ্বাসঘাতকতা করার চেস্ট করলে হজরত সবাইকে চমৎকৃত করে বিজয়ীর আসনে ন্যায়ের তুলাদন্ড হাতে নিয়ে বসলেন এবং সবাইকে স্বাধীন ও মুক্ত করে দিলেন। এই ভাবে সেদিন হজরট মানুষের প্রতি এই সুমহান প্রতিশোধ নিয়ে ছিলেন।

(গ) হযরত নূহ (আ) যেদিক দিয়ে হযরত মুহম্মদ (স.) থেকে ভিন্ন তা ব্যাখ্যা কর ।

উত্তর :

হযরত নূহ (আ) আলোচ্য গল্পের হযরত মুহম্মদ (স.) থেকে ভিন্ন ছিলেন কারণ হযরত মুহম্মদ (স.) এবং  হযরত নূহ (আ) দুজনেই ধর্ম ও ন্যায়ের পথে চললেও হজরত সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলতে চেয়েছেন। সমাজের সবাইকে ধর্ম ও ন্যায় শেখাতে চেয়েছিলো। এর জন্য তাকে অনেক অসহনীয় ও অমানবিক অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছিল। এর জন্য তাকে নিজের আপনজন ও দেশ থেকেও বের করা হয়েছিল। কিন্তু এই জন্য তিনি কোনোদিন কাউকে শাস্তি বা অভিশাপ দিতে চাননি। তিনি শুধু একটি মাত্র প্রার্থনার বাণী করেছেন এবং বলেছেন প্রভু এদের তুমি জ্ঞান দেও, এদেরকে তুমি ক্ষমা কর। কিন্তু উদ্দীপকের হযরত নূহ (আ) সামান্য অত্যাচারেই তার ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলে এবং প্রভুকে তার সাহার্য্য পিকরতে বলে। তাই প্রভু তাকে সমর্থনকারী মাত্র কল্লিশজন বাদে সবাইকে প্রবল বন্যার জলে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। গল্পের হজরত কোনোদিন কারো ক্ষতি বা অনিষ্ট প্রার্থনা করেনি। তিন প্রভুকে বলেছেন তার বিরুধ্যকারী সবাইকে ক্ষমা করতে ও তাদেরকে জ্ঞান দান করতে। কিন্তু কউদ্দিপকের হজরতের প্রার্থনার জন্য তাকে সমর্থনকারী চল্লিশ জন বাদে সবাইকে প্রভু বন্যার জলে ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছিলো। তাই তারা ছিল একে ওপরের থেকে ভিন্ন।

(ঘ) হযরত নূহ (আ)-এর চরিত্রে কী ধরনের পরিবর্তন আনলে হযরত মুহম্মদ (স.)-এর একটি বিশেষ গুণ তাঁর মধ্যে ফুটে উঠত? তোমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও।

উত্তর : উদ্দীপকের হযরত নূহ (আ) সকল মানুষকে ধর্ম ও ন্যায়ের পথে চলার জন্য আহবান জানিয়ে ছিলেন। ঠিক আলোচ্য গল্পের  হযরত মুহম্মদ (স.) এর মতো। কিন্তু তার মধ্যে ছিল ধৈর্য্য ও মানুষকে ক্ষমা করার শক্তির অভাব। গল্পের হজরত মানুষের কাছে নিজের লোকের কাছ থেকে হাজার অসহনীয় অত্যাচারে অত্যাচারিত হলেও তার মধ্যে কোনো ক্রোধ বা হিংসার প্রতিফলন দেখা যায় না উল্টে তার মধ্যে প্রস্ফুটিত হয়েছে দয়া ও সৃজনশীলতা। তিনি তার অত্যাচারীদের শাস্তির বদলে প্রভুকে তাদের ক্ষমা ও জ্ঞান দান করতে বলেন। তিনি তাদের কোনোদিন অমঙ্গল সাধন করেন নি। এর থেকে তার উদারতা,পরোপকারিতা, নিঃস্বার্থর গুনের পরিচয় ফুটে উঠে। তাই উদ্দীপকের হজরত যদি তার অত্যাচারের থেকে ক্রোধিত না হয়ে বা অসহনীয় না হয়ে উঠতো এবং তার চরিত্রের মধ্যে নিয়ে আসতো দৈর্য্য, ক্ষমাশীলতা, উদারতা তবে তার চরিত্রের মধ্যে ফুটে উঠতো  হযরত মুহম্মদ (স.) এর প্রতিচ্ছবি।

 

Next Chapter Solutions :  

Updated: September 14, 2023 — 2:35 pm

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *