NCTB Class 9 and 10 Bengali Chapter 26 রক্তে ভেজা একুশ Solution

NCTB Class 9 and 10 Bengali Chapter 26 রক্তে ভেজা একুশ Solution

Bangladesh Board Class 9 and 10 Bengali Solution Chapter 26 রক্তে ভেজা একুশ Exercises Question and Answer by Experienced Teacher. NCTB Class 9 and 10 Bengali Solution Chapter 26 রক্তে ভেজা একুশ.

NCTB Solution Class 9 and 10 Chapter 26 রক্তে ভেজা একুশ  : 

Board          NCTB Bangladesh Board
Class 9 and 10
Subject Bengali
Chapter Twenty Six
Chapter Name রক্তে ভেজা একুশ

NCTB Class 9 and 10 Bengali Chapter 26 রক্তে ভেজা একুশ Solution

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন : 

(১) কর্মপরিষদের উদ্যোগে কোন সময় জনসভা অনুষ্ঠিত হয়?

(ক) সকালে

(খ) বিকেলে

(গ) সন্ধ্যায়

(ঘ) রাতে

উত্তর : 

(ক) সকালে

(২) অহির বুক কাঁপে থরথর করে’-কেন?

(ক) মিছিল দেখে

(খ) গুলিবর্ষণ দেখে

(গ) তুমুল শ্লোগানে

(ঘ) গ্রেফতার বরণ চলার জন্য

উত্তর : 

(গ) তুমুল শ্লোগানে

উদ্দীপকটি পড়ে ৩-সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও :

তোমার ছেলে আসল ফিরে

হাজার ছেলে হয়ে,

আর কেঁদো না মা; কেননা

মা তো কাঁদে না;

মার চোখে নেই অশ্রু ।

(৩) উদ্দীপকের তোমার ছেলে রক্তে ভেজা একুশগল্পের কোন চরিত্রকে ইঙ্গিত করে?

(ক) অহি

(খ) প্রদীপ্ত

(গ) মন্টু

(ঘ) বরকত

উত্তর : 

(ক) অহি

সৃজনশীল প্রশ্ন :

আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ গুলির শব্দ। বিগত কয়দিন মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণের জন্য ঘুম হয়নি। তবুও উঠে বসলাম। বের হয়ে পড়লাম যুদ্ধে। প্রচণ্ড গোলাগুলি। মিহিরের বুকে গুলি লেগেছে। আমি তার দিকে দেখে অঝোরে কাঁদি। মতি আহত হয়েছে। আমার কাছে সে পানি খেতে চায়। তার ব্যবস্থা করার জন্য আমি ছুটছি।

(ক) উত্তাল হয়ে ওঠে কী?

উত্তর : উত্তাল হয় উঠেছিল জনতার স্লোগান। মিছিল, মিটিং ও বিদ্রোহ আটকাবার জন্য সরকার ১৪৪ ধারা জারি করেছিল। কিন্তু ছাত্ররা ২১ তারিখে সকাল থেকেই অল্প অল্প করে জমা হতে থাকে স্কুল, কলেজ ও বিদ্যলয় পরিসরে। দেখতে দেখতে রাস্তায় বাড়তে থাকে ছাত্র ও জনতার মিলিত সংখ্যা। পুলিশ শুরু করে গ্রেফতার করার পর্ব। শয়ে শয়ে ছাত্রদেড় গ্রেফতার করে পুলিশের ট্রাকে তোলা হয়। বিশবিদ্যালয়ের মাঠের চারিদিকে ঘিরে ফেলা হয় কাঁটাতারের বেড়ায়। বসানো হয় রাইফেল। বিভিন্ন নেতা মন্ত্রীরা আসতে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ে। জনতারা স্লোগান শুরু করে “রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই” ছাত্ররা এগোতে শুরু করলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে, লাঠি চার্জ শুরু করে। শুরু হয় লড়াই। ছাত্রদের এই করুন পরিস্থিতিতে জনতার স্লোগান আরো উত্তাল হয়ে উঠেছিল।

(খ) প্রদীপ্তর মাথা ঘুরছে- কেন, তা বুঝিয়ে বল ।

উত্তর :  ২১শের মিছিলে প্রিয়বন্ধু অহিরকে পুলিশের গুলিতে প্রাণ দিতে দেখে প্রদীপ্তের মাথা ঘুরতে থাকে। ২১ তারিখ ভাষা আন্দোলনের জন্য সর্বব্যাপী ধর্মঘটে আহবান জানানো হয়েছে। কিন্তু সরকার এই অভিযান বন্ধ করতে এবং কোনো মিছিল, মিটিং, বা বিদ্রোহকে বন্ধ করতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে। এতে ছাত্র থেকে জনতা সবাই ক্ষোপে ফেটে পড়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে ১৪৪ ধারা অমান্য করার। ২১ তারিখ, সকাল থেকেই জমা হতে শুরু করে ছাত্ররা। ধীরে ধীরে এগিয়ে চলে মিছিল। যোগ দেয় অহির ও প্রদীপ্ত। মিছিল এগিয়ে এতেই শুরু হয় পুলিশের সাথে লড়াই। ছাত্রদেরকে আটকানোর জন্য পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে সঙ্গে চলে লাঠিচার্জ। এই ভাবে মিছিল গিয়ে পৌঁছয় বিশবিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে। সেখানে পুলিশ কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে রেখেছে গোটা মাঠ বসিয়েছে রাইফেল। চলতে থাকে জনতার স্লোগান ছাত্রদের লড়াই। পুলিশ কোনো কিছুতেই পেরে উঠছিলো না এই বিশাল জনতার সঙ্গে। জনতারা পুলিশের দিকে ছুড়তে শুরু করে ইট পাথরের বৃষ্টি বাড়তে থাকে জনতার আক্রোশ। পুলিশ বেগতিক দেখে পুলিশ গুলি চালাতে শুরু করে। এক এক করে ছাত্ররা মাটিতে লুটিয়ে পড়তে শুরু করে। এরই মাঝে অহিরের বুক এফোঁড়-ওফোর করে বেরিয়ে যায় একটি গুলি। মাটিতে লুটিয়ে পরে সে। অহিরকে ধরে নিয়ে যায় মেডিক্যালে কিন্তু প্রদীপ্ত কখনো স্বচক্ষে প্রাণ হারাতে দেখেনি তাই এতো রক্ত ও মানুষের প্রাণের বিসর্জন দেখে সে অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল।

(গ) উদ্দীপকের মিহির চরিত্রের সাথে রক্তে ভেজা একুশগল্পের যে চরিত্র সাদৃশ্যপূর্ণ তা ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : উদ্দীপকের মিহির চরিত্রের সাথে আলোচ্য “রক্তে ভেজা একুশ” গল্পের মন্টুর চরিত্রের সাদৃশ্য পাওয়া যায়। মিহির ও মন্টু দুজনেই বন্ধত্বের সঙ্গে সঙ্গে মানবিকতা ও সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে। উদ্দীপকের মিহির যে ভাবে মুক্তিযুদ্ধে শত্রুদের সাথে লড়াইয়ের সময় গুলিবিদ্ধ বন্ধুকে বাঁচানোর জন্য অপ্রাণ চেষ্টা করছিলো। আবার অপর এক আহত বন্ধু তার কাছে জল খেতে চাইলে সে শত্রুদের এবং নিজের জীবন উপেক্ষা করে আহত বন্ধুর জন্য জলের ব্যাবস্থা করতে লেগে পরে। ঠিক একইরকম ভাবে গল্পের মন্টু তার দুই বন্ধু প্রদীপ্ত ও অহীরকে বাঁচানোর জন্য তার নিজের প্রাণের পরোয়া না করে তাদেরকে মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়ার অপ্রাণ চেষ্টা করছিলো। বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেবার জন বাংলাদেশের সকল ছাত্র থেকে সাধারণ মানুষ একত্রিত হয়ে লড়াই করছিলো। এই লড়াইয়ের বিরোধিতায় সরকার সমগ্র দেশে ১৪৪ ধারা আইন প্রণয়ন করেছিল। ছাত্ররা এই আইনকে অমান্য করে রাস্তায় রাস্তায় জমায়েত ও মিছিল করতে আরম্ভ করলে তাদের সাথে পুলিশের বিরোধ শুরু হয়। ছাত্রদের উদ্দেশ্য করে ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাস। শুরু হয় লাঠিচার্জ। এর পরেও যখন ছাত্ররা আরো বেশি উত্তেজিত হয়ে উঠে তখন পুলিশ গুলি চালানো শুরু করে। পুলিশের চালানো গুলিতে একের পর এক ছাত্র লুটিয়ে পড়তে থাকে মাটিতে। অহিরের বুক চিরে বেরিয়ে যায় একটি গুলি সে লুটিয়ে পরে। অন্যদিকে প্রদীপ্ত কোনো দিন এইরকম দৃশ্য স্বচক্ষে দেখেনি তাই সে অজ্ঞান হয়ে পরে। এই সময় মন্টু তার দুই বন্ধুকে রক্ষা করার জন্য অপ্রাণ চেষ্টা চালায়।

(ঘ) উদ্দীপকে প্রকাশিত অভিব্যক্তি রক্তে ভেজা একুশগল্পের মূল অভিব্যক্তির অনুরূপ।”— মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর। 

উত্তর :   উদ্দীপকটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামী অর্থাৎ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মদান ও বলিদানের অভিব্যাক্তি প্রকাশ করেছে। কিভাবে মুক্তিযোদ্ধারা নিজের দেশকে মুক্ত করার জন্য নিজেদের জীবনের বলিদান দিয়ে ছিল। জাতিধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এই মহান যুদ্ধে যোগদান করেছিল। তাদের থেকে শত্রুপক্ষ অনেক বেশি শক্তিশালী ও সক্ষম জেনেও তার ভয় পাননি বরং প্রচন্ড উদ্দম ও সাহসিকতার সাথে লড়েছিলেন এবং নিজেদের জীবনের বলিদান দিয়ে দেশকে মুক্ত করে গিয়েছিলেন। মুক্তিযোদ্ধাদের পরাক্রম, বীরত্ব ও দৃঢ় মনোবলের সামনে শত্রুপক্ষ নতিস্বীকার করতে বাধ্য হয়ে ছিল। ঠিক যেমন আলোচ্য গল্পে সমগ্র দেশের ছাত্র, সাধারণ জনগণ থেকে শুরু করে রাস্তার ছেলে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওযার উদ্দেশ্যে। আন্দোলনকারীদের সাথে সরকার পক্ষের পুলিশের ব্যাপক লড়াইয়ে শহীদ হয়েছিল একের পর এক আন্দোলনকারী। এর মধ্যে কেউ ছিল ছাত্র, কেউ সাধারণ নাগরিক আবার কেউ বা রাস্তার কোনো ছেলে। এরা সবাই নিজের জীবনকে উৎসর্গ করে ছিল নিঃস্বার্থ ভাবে শুধু নিজের মাতৃভাষাকে স্বীকৃত করার জন্য। তার খালি হাতে লড়াই করেছিল অস্ত্রসজ্জিত সরকারি পুলিশের সাথে। তাই বলা যায় তারা লড়াই করেছিল মুক্তি যোদ্ধাদের মতোই। দেশের স্বার্থে নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছিল।

 

Next Chapter Solutions :  

Updated: September 20, 2023 — 2:37 pm

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *