NCTB Class 9 and 10 Bengali Chapter 8 নিরীহ বাঙালি Solution

NCTB Class 9 and 10 Bengali Chapter 8 নিরীহ বাঙালি Solution

Bangladesh Board Class 9 and 10 Bengali Solution Chapter 8 নিরীহ বাঙালি Exercises Question and Answer by Experienced Teacher. NCTB Class 9 and 10 Bengali Solution Chapter 8 নিরীহ বাঙালি.

NCTB Solution Class 9 and 10 Chapter 8 নিরীহ বাঙালি : 

Board NCTB Bangladesh Board
Class 9 and 10
Subject Bengali
Chapter Eight
Chapter Name নিরীহ বাঙালি

NCTB Class 9 and 10 Bengali Chapter 8 নিরীহ বাঙালি Solution

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন : 

(১) বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন কাকে মূর্তিমান কাব্য বলেছেন?

(ক) নারীকে

(খ) পুরুষকে

(গ) বাঙালিকে

(ঘ) ইংরেজদের

উত্তর : (গ) বাঙালিকে

(২) নিরীহ বাঙালিপ্রবন্ধে লেখিকা পাস বিক্রয়বলতে কী বুঝিয়েছেন?

(ক) শিক্ষাকে

(খ) ব্যক্তিকে

(গ) ব্যক্তিত্বকে

(ঘ) মূল্যবোধকে

উত্তর : (ক) শিক্ষাকে

উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও :

কর্মস্পৃহার অভাবে আজ আমরা হয়ে আছি সকলের চেয়ে দীন। যে বাঙালি সারা পৃথিবীর লোককে দিনের পর দিন নিমন্ত্রণ করে খাওয়াতে পারে, তারাই আজ হচ্ছে সকলের দ্বারে ভিখারি।

(৩) উদ্দীপকে নিরীহ বাঙালি প্রবন্ধে বাঙালি চরিত্রের প্রতিফলিত দিকটি হলো –

(i) ভোজনপ্রিয়তা

(ii) অলসতা

(iii) কর্মবিমুখতা

নিচের কোনটি সঠিক ?

(ক) i ii

(গ) ii iii

(খ) i iii

(ঘ) i, ii iii

উত্তর : (ঘ) i, ii ও iii

(৪) এ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের কারণে বাঙালি আজ কোন পরিচয়ে পরিচিত?

(ক) মূর্তিমান

(খ) পদ্মিনী

(গ) পুরুষিকা

(ঘ) নায়িকা

উত্তর : (ঘ) নায়িকা

সৃজনশীল প্রশ্ন :

নন্দ বাড়ির হত না বাহির, কোথা কী ঘটে কি জানি, চড়িত না গাড়ি, কি জানি কখন উল্টায় গাড়িখানি । নৌকা ফি-সন ডুবিছে ভীষণ, রেলে কলিশন হয়, হাঁটিলে সর্প, কুক্কুর আর গাড়ি-চাপা পড়া ভয়। তাই শুয়ে শুয়ে কষ্টে বাঁচিয়া রহিল নন্দলাল । সকলে বলিল, ‘ভ্যালা রে নন্দ, বেঁচে থাক চিরকাল।

(ক) কোন জাতীয় পোশাককে ইংরেজ ললনাদের নির্লজ্জ পরিচ্ছদ বলা হয়েছে?

উত্তর : গল্পে লেখিকা শেমিজ জ্যাকেটকে ইংরেজ ললনাদের নির্লজ্জ পরিচ্ছেদ বলেছেন। বাঙালি নারীদের সঙ্গে ইংরেজ ললনাদের বস্ত্রের বিবরণী প্রসঙ্গে তিনি এই কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন বাঙালি ললনারা অতি মসৃন ও সূক্ষ্ম হওয়ার শাড়ি পড়েন। কিন্তু ইংরেজ ললনারা পড়েন নির্লজ্জ পরিচ্ছেদ (শেমিজ জ্যাকেট) ।

(খ) বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন বাঙালিকে মূর্তিমান কাজবলেছেন কেন?

উত্তর : বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন বাঙ্গালীকে “মূর্তিমান কাজ” বলেছেন বাঙালির অলসতার জন্য। বাঙালি আজকাল পরিশ্রমের কাজকে ত্যাগ করে সহজ কাজকে আপন করে নিয়েছে। কৃষিকাজ করার থেকে মস্তিস্ক উর্বর করা বেশি সহজ তাই রুক্ষভূমিতে কর্ষন করে ধান ফোলানোর থেকে মুখস্ত বিদ্যার থেকে অর্থ উপার্জন করা বেশি সহজ। বিদেশিদের মতো সমুদ্রে  ঝড়ঝঞ্জার সাথে লড়াই করে নতুন দ্রব্য আনার থেকে স্বল্প দ্রব্য ব্যবসা করা অনেক বেশি সহজ তাই আজকাল বাঙালিদের দোকানে জায়গা পেয়েছে শুধু ভোগপণ্য এবং বিলাসদ্রব্য। কাজ করার চেয়ে কলেজের ডিগ্রি পাওয়া এখন অনেক সহজ। আর ডিগ্রিকে বাঙালিরা একেকটি পাসে পরিণত করেছেন। সশরীরে পরিশ্রম করতে অর্থ উপার্জন করার থেকে এই পাসের মাধ্যমে শশুরের সর্বস্ব লুঠ করা অনেক বেশি সহজ। সমস্ত দিক থেকেই বাঙালির অলসতা ফুটে উঠেছে। সব কাজেই যেন বাঙালি আজ মূর্তিরূপ ধারণ করেছে। তাই বাঙালিকে বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন বাঙালিকে মূর্তিমান কাজ বলেছেন।

(গ) নন্দলালের বৈশিষ্ট্য নিরীহ বাঙালিপ্রবন্ধে যাদের কার্যক্রমকে ইঙ্গিত করে তাদের স্বরূপ তুলে ধর।

উত্তর : উদ্দীপকের নন্দলালের বৈশিষ্ঠের সঙ্গে আলোচ্য “নিরীহ বাঙালি” গল্পের বাঙ্গালীর কার্যক্রমকে তুলে ধরে। নন্দলালের মতো বাঙালিরা আজ কোন পরিশ্রমের কাজ করতে আগ্রহী নন। তারা শুধু ছুঁটে চলেছে সহজ ও সরল কাজের পেছনে। যে কাজে নেই কোনো খাটনি বা পরিশ্রম। বাঙালিরা ব্যাবসার জন্য আর সমদ্রের ঝরের সাথে লড়াই নিত্যনতুন সামগ্র্রীর থেকে দোকানে কেশতৈল, ভোগ্যপন্য আর বিলাসসামগ্রী দিয়ে ভরিয়ে তুলেছে। যত নকল ও নিষ্প্রয়োনীয় সামগ্রী আছে সবই পাওয়া যায়। কৃষিকাজের জন্য জমিতে খাতার থেকে মুখস্ত বিদ্যার সাহার্য্যে অর্থ উপার্জন করা সহজ। তাই তারা এখন কৃষি কাজ করে না। সশরীরে পরিশ্রম করে অর্থ উপার্জনের বদলে শিক্ষার পাস দেখিয়ে শশুরকে সর্বশান্ত করা অনেক বেশি সহজ তাই বাঙালিরা ছুঁটে চলেছে শিক্ষা থেকে ডিগ্রি অর্জন করার জন্য। ক্রমে ক্রমে বাঙালিরা হয়ে উঠেছে অলস ও অকর্মন্য। যা নন্দলালের বয়সীদের মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হয়েছে।

(ঘ) উদ্দীপকে নিরীহ বাঙালিপ্রবন্ধের উপেক্ষিত দিকটি বিশ্লেষণ কর।

উত্তর :উদ্দীপকের নন্দলাল ছিল অলস ও অকর্মন্য। কোনো কাজ করে অর্থ উপার্জন করার থেকে কষ্ট করে বেঁচে থাকা অনেক বেশি শ্রেয় তার কাছে। কিন্তু বাঙালিরা অলস হলেও তারা অর্থ উপার্জনের নানা পথ বের করেছিলেন। বাঙালিরা ভোগবিলাসের জীবন করেতন। উদ্দীপকের বাঙালির এই দিকটিকে উপেক্ষিত করা হয়েছে। বাঙালির কঠিন পরিশ্রম করে অর্থ উপার্জন করার বদলে সহজ ও সরল উপায়ে অর্থ উপার্জন করতে বেশি আগ্রহী থাকতেন। তারা নিজেদের জীবনকে সবসময় বিলাসবহুল ভাবে কাটানোর জন্য রাস্তা খুজতো। এর জন্য সশরীরে খাটার বদলে তারা শিক্ষার পাস দেখিয়ে শশুরের সর্বস্ব লুঠ করা বেশি সহজ মনে করতো। উদ্দীপকের নন্দলালের মতো বাঙালিরা অর্থ উপার্জনের জন্য বিমুখ চ[ইলো না কিন্তু সেই জন্য তারা কঠিন পরিশ্রম করতেও বিশেষ আগ্রহী নয়।

 

Next Chapter Solutions :  

Updated: September 14, 2023 — 2:33 pm

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *