NCTB Class 9 and 10 Bengali জীবন বিনিময় Solution

NCTB Class 9 and 10 Bengali জীবন বিনিময় Solution

Bangladesh Board Class 9 and 10 Bengali Solution জীবন বিনিময় Exercises Question and Answer by Experienced Teacher. NCTB Class 9 and 10 Bengali Solution জীবন বিনিময়.

NCTB Solution Class 9 and 10 জীবন বিনিময় : 

Board          NCTB Bangladesh Board
Class 9 and 10
Subject Bengali
Chapter Name জীবন বিনিময়

NCTB Class 9 and 10 Bengali জীবন বিনিময় Solution

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :

(১) “জীবন বিনিময়কবিতায় কবি হুমায়ুনের মুমূর্ষু অবস্থা বোঝানোর জন্য কোন উপমাটি ব্যবহার করেছেন?

(ক) জীবন-প্রদীপ

(খ) অস্তরবির প্রায়

(গ) নিষ্ঠুর নীরবতা

(ঘ) ঊষার পূর্বাভাস

উত্তর :

(ক) জীবন-প্রদীপ

(২) তিমির রাতের তোরণে তোরণে ঊষার পূর্বাভাস বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

(ক) হুমায়ুনের রোগমুক্তির লক্ষণ

(খ) বাবরের শান্ত-অচঞ্চল মন

(গ) বাবরের প্রার্থনা কবুল হওয়া

(ঘ) বাবরের মৃত্যুশয্যা গ্রহণ

উত্তর :

(ক) হুমায়ুনের রোগমুক্তির লক্ষণ

নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ৩ ও ৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও।

পত্রিকায় প্রকাশ : বরিশাল যাবার পথে লঞ্চ ডুবিতে পুত্রকে বাঁচাতে গিয়ে পিতার মৃত্যু।

(৩) উদ্দীপকে জীবন বিনিময় কবিতার যে দিক প্রকাশ পেয়েছে তা হলো-

(i) সন্তান বাৎসল্য

(ii) অপত্যস্নেহ

(iii) পিতার আত্মত্যাগ

নিচের কোনটি সঠিক?

(ক) iii

(খ) i iii

(গ) ii iii

উত্তর :

(ক) iii

(8) *জীবন বিনিময় কবিতার কোন পক্তির সঙ্গে উদ্দীপকের ভাবের সাদৃশ্য রয়েছে?

(ক) জীবন-প্রদীপ নিভিয়া আসিছে অস্তরবির প্রায়

(খ) পিতৃস্নেহের কাছে হইয়াছে মরণের পরাজয়

(গ) হৃষ্টচিত্তে গ্রহণ করিল শয্যা সে মরণের

(ঘ) মোর জীবনের সবচেয়ে প্রিয় আমারি আপন প্রাণ

উত্তর :

(খ) পিতৃস্নেহের কাছে হইয়াছে মরণের পরাজয়

সৃজনশীল প্রশ্ন :

বাবার সঙ্গে ঢাকায় বেড়াতে এসে ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে উৎপল ও তার বাবা। একপর্যায়ে ছিনতাইকারীরা উৎপলকে আঘাত করতে এলে বাবা তাকে সরিয়ে দিয়ে নিজে ছিনতাইকারীর ছুরিতে রক্তাক্ত হন। হাসপাতালে ডাক্তার সাহেব যখন উৎপলকে জানান যে, এই মুহূর্তে রক্ত না হলে রোগী বাঁচানো যাবে না। সঙ্গে সঙ্গে উৎপল তার শরীর থেকে প্রয়োজনীয় রক্ত দিয়ে বাবাকে আশঙ্কামুক্ত করেন।

(ক) জীবন বিনিময়কবিতায় কোনটিকে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ ধনবলা হয়েছে?

উত্তর : আলোচ্য ‘জীবন বিনিময়’ কবিতায় নিজের প্রাণকেই সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ ধন বলা হয়েছে। বাবরের পুত্র হুমায়ুনের কঠিন রোগ। দেশের কোনো বৈদ্য তাকে সুস্থ করে তুলতে পারছেন না। তখন বাবরকে তার শ শ্রেষ্ঠ ধন যা আছে তা দান করতে বলা হয় বিধাতার কাছে। তখন বাবার তার নিজের প্রাণের বলিদান দিতে চেয়েছিলেন। কারণ তার প্রাণই তার কাছে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ ধন ছিল।

(খ) কবি জীবন বিনিময়কবিতায় নীরবতাকে নিষ্ঠুর বলেছেন কেন?

উত্তর : বাবরের ছেলে হুমায়ুনের কঠিন রোগ করেছে জীবনের প্রদীপ তার জ্বলছে আর নিভছে। দেশের বিজ্ঞ থেকে বিজ্ঞ বৈদ্যরা রোগের কোনো কিনারা করতে পারছেন না। বাবার তার ছেলের মৃত্যুকে আশংকা করে ব্যাকুলিত হয়ে উঠেছিলেন। সকল বৈদ্যদেরকে তার চিকিৎসার ব্যাপারে জানতে চাইলে তার নীরব হয়ে থাকেন। বাবরের কাছে এই নীরবতা নিষ্ঠুর মনে হয়েছে। কারণ পিতৃস্নেহে তখন তিনি কাতর। কোনো বাবাই তার নিজের চোখের সামনে তার ছেলের মৃত্যুকে  মেনে নিতে পারেন না। হুমায়ূনের কঠিন রোগ তখন সে জীবনযুদ্ধে লড়াই করছে। কিন্তু কিছুতেই পেরে উঠছে না। বাবর তার ছেলেকে রক্ষা করার জন্য শুরু করেছেন চিকিৎসার মহা যোগ্য। চিকিৎসার কোনো ত্রুটি তিনি রাখছেন না। কিন্তু এতো কিছুর পরও বৈদ্যরা বাবর পুত্রের রোগের কোনো কিনারা খুঁজে পায় না তাদের মধ্যে দেখা যায় ব্যর্থতার প্রতিফলন। পুত্র শোকে কাতর পিতা বাবর তার ছেলের চিকিৎসার উন্নতির কথা জানতে চাইলে তারা নিশ্চুপ হয়ে নীরবতা পালন করে। যে কোনো পিতার কাছে মৃত্যুর সাথে লড়তে থাকা পুত্রের খবর  জানতে না পারা নিষ্ঠুরতার সমান। তাই লেখক বৈদ্যদের নীরবতাকে নিষ্ঠুর বলে অভিহিত করেছেন।

(গ) উৎপলকে সরিয়ে দেয়ার মধ্য দিয়ে উদ্দীপকের পিতার মাঝে জীবন বিনিময় কবিতার বাদশা বাবরের যে পরিচয় মেলে তা ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : উদ্দীপকের পিতার মধ্যে আলোচ্য “জীবন বিনিময়” কবিতার বাদশা বাবরের সন্তানের প্রতি অপরিসীম ভালোবাসা ও তাকে রক্ষা করার জন্য তার নিজের প্রাণের বলিদান পর্যন্ত দিয়ে দেওয়ার যে অনুভূতি তা প্রকাশিত হয়েছে। আলোচ্য কবিতায় যখন বাদশা বাবর পুত্র হুমায়ুনের কঠিন রোগের সময় দেশের সকল বৈদ্যরা মিলে চিকিৎসা করেও রোগের কোনো সুরাহা করতে পারছিলো না তখন বাবার ছেলেকে রক্ষা করার উদ্দেশ্যে বিধাতার কাছে নিজের সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ ধন অর্থাত নিজের প্রাণকে উৎসর্গ করতে উদ্দত হয়েছিল। ঠিক তেমনি, উদ্দীপকের পিতা তার ছেলে উৎপলকে ছিনতাইকারীর ছুরির আঘাত থেকে বাঁচানোর জন্য নিজে সেই আঘাত সহ্য করেছিল এবং ছুরির আঘাতে রক্তাক্ত হয়েছিল। দুটি ঘটনাই পুত্রের উপর পিতার অপরিসীম ভালোবাসা ও তাকে যে কোনো উপায়ে সুরক্ষিত রাখার অনুভূতি প্রকাশ পেয়েছিলো।

(ঘ) ভাবগত ঐক্য থাকলেও উদ্দীপকটি জীবন বিনিময় কবিতার ঘটনাপ্রবাহের সমার্থক নয়।”- মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।

উত্তর : আলোচ্য কবিতা ও উদ্দীপকের ঘটনার মধ্যে ভাবগত ঐক্য থাকলেও পরিস্থিতিগত দিক থেকে ঘটনা দুটি ছিল সম্পুর্ন্ন ভাবে ভিন্ন। কারণ আলোচ্য কবিতার পিতা ছিলেন স্বয়ং বাদশা বাবর এবং পুত্র ছিলেন হুমায়ুন। হুমায়ূনের কঠিন ব্যাধি হয়েছে। সে তখন লড়ছে জীবন যুদ্ধের কঠিন লড়াই। দেশের বিজ্ঞ থেকে বিজ্ঞ বৈদ্যরা তার রোগের কিনারা করতে পারছিলেন না। দিন দিন হুমায়ূনের শাররীক অবস্থার আরো অবনতি হতে থাকে। বাদশা বাবর পিতৃস্নেহে কাতর হয়ে পড়েন। তখন তাকে তার পুত্রকে রক্ষা করার জন্য তার সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ ধন বিধাতার কাছে উৎসর্গ করতে বলা হলে তিনি বিধাতার সামনে নিজের প্রাণের বলিদান দিতে উদ্যত হয়েছিলেন। কিন্তু, উদ্দীপকের ঘটনার পরিস্থিতি ছিল একবারে ভিন্ন, পিতা ও পুত্র উৎপল ঢাকায় বেড়াতে গিয়ে ছিনতাই কারীদের কবলে পরে তাদের সাথে লড়াইয়ের সময় ছিনতাইকারীরা উৎপলকেছুরি দিয়ে আঘাত করতে গেলে পিতা তার ছেলেকে সরিয়ে দিয়ে সেই ছুরির আঘাতে নিজে আহত হয়ে তার পুত্রকে রক্ষা করেন। আবার হসপিটালে পিতাকে সংকটে দেখে পুত্র তার সর্বস্ব দিয়ে পিতাকে আশঙ্কা মুক্ত করেন। এই ঘটনাও পিতার ভালোবাসা ও আত্মত্যাগ প্রকাশের সাথে সাথে পিতার প্রতি  পুত্রের যে অপার ভালোবাসা তাও প্রকাশিত হয়েছিল।

 

Next Chapter Solutions :  

Updated: September 23, 2023 — 11:30 am

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *