NCTB Class 9 and 10 Bengali মে-দিনের কবিতা Solution
Bangladesh Board Class 9 and 10 Bengali Solution মে-দিনের কবিতা Exercises Question and Answer by Experienced Teacher. NCTB Class 9 and 10 Bengali Solution মে-দিনের কবিতা.
NCTB Solution Class 9 and 10 মে-দিনের কবিতা :
Board | NCTB Bangladesh Board |
Class | 9 and 10 |
Subject | Bengali |
Chapter Name | মে-দিনের কবিতা |
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :
(১) ‘ধ্বংসের মুখোমুখি‘ বলতে বোঝানো হয়েছে
(i) নিঃশেষ হওয়া
(ii) মৃত্যুবৎ বেঁচে থাকার অবস্থা
(iii) মৃত্যুকে জয় করা
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) i
(খ) ii
(গ) i ও iii
(ঘ) ii ও iii
উত্তর :
(ঘ) ii ও iii
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ২ ও ৩ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও :
মৃত্যুর ভয়ে ভীরু বসে থাকা, আর না- পরো পরো যুদ্ধের সজ্জা।
(২) “ভীরু‘ শব্দ দ্বারা বোঝানো হয়েছে।
(i) ভীতসন্ত্রস্ত অবস্থা
(ii) ভয় পাওয়া অবস্থা
(iii) কাপুরুষতা
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) i
(খ) ii
(গ) iii
(ঘ) ii ও iii
উত্তর :
(ঘ) ii ও iii
(৩) ‘পরো পরো যুদ্ধের সজ্জা‘ দ্বারা বোঝানো হয়েছে-
(ক) নিজেদের টিকে থাকার সংগ্রাম
(খ) অস্ত্র-শস্ত্রে বলীয়ান হওয়া
(গ) যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়া
(ঘ) মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়া
উত্তর :
(ক) নিজেদের টিকে থাকার সংগ্রাম
(৪) জাতি আজ কীসের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে?
(ক) কাঠফাটা রোদের
(খ) চিমনির মুখে
(গ) যুদ্ধের সজ্জার
(ঘ) ধ্বংসলীলার
উত্তর :
(ঘ) ধ্বংসলীলার
(৫) প্রতি নিঃশ্বাসে লজ্জা আনে-
(i) দীর্ঘ দিনের লাঞ্ছিত আর্তের কান্না
(ii) মৃত্যুর ভয়ে চুপ-চাপ বসে থাকা
(iii) যুদ্ধের সজ্জা খুঁজে না পাওয়া
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) i
(খ) ii
(গ) iii
(ঘ) i ও ii
উত্তর :
(খ) ii
সৃজনশীল প্রশ্ন :
হে মহাজীবন আর এ কাব্য নয়
এবার কঠিন কঠোর গদ্য আনো
পদ-লালিত্য বাঙ্কার মুছে যাক
গদ্যের কড়া হাতুড়িকে আজ হানো
(ক) ‘কাস্তে‘ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর :
কাস্তে হলো একটি অর্ধচন্দ্রাকৃত একটি ধারালো অস্ত্র। এই অস্ত্র ফসল কাটার জন্য সাধারণত কৃষকরা ব্যবহার করে। এই অস্ত্রটির মাঝে খাচকাটা ধারালো অংশ থাকে। এই ধারালো অস্ত্রটি কৃষি কাজে ব্যবহার করা হয়েছে।
(খ) “প্রিয় ফুল খেলবার দিন নয় অদ্য/ ধ্বংসের মুখোমুখি আমরা দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে
উত্তর : আলোচ্য কবিতায় কবি এই কথার মধ্যে দিয়ে বোঝাতে চেয়েছেন এখন আমাদের আর আরামে বসে থাকার দিন নয়। তিনি বলতে চেয়েছেন আমাদের এখন আর অসচেতনভাবে আনন্দে গা ভাসিয়ে চললে হবে না। এখন সময় এসেছে জীবনের কঠিন লড়াইয়ে নিজেদেরকে উৎসর্গ করা। জীবনের কষ্টকে দূর করার জন্য আমাদের লড়তে হবে অনেক কঠিন লড়াই। পৃথিবীতে শুধু ধনীরাই আরামে বা আয়েসে থাকে। জীবনের সকল সচ্ছলতা শুধু তারাই উপভোগ করে। বঞ্চিত হয় শুধু গরিবরা। কেন সব সময় শুধু গরিবেরাই নিপীড়িত হবে। তাই লেখক এই কথার মধ্যে দিয়ে আমাদের সচেতন ও সংগ্রাম করার আহ্বান দিয়েছেন।
(গ) উদ্ধৃতাংশের সঙ্গে ‘মে-দিনের কবিতার‘ কোথায় মিল রয়েছে তা ব্যাখ্যা কর ।
উত্তর : আলোচ্য পাঠ্যাংশ ও উদ্দীপক উভয় স্থানেই স্পষ্ট হয়েছে কঠিন জীবন যুদ্ধের বাণী। অসচেতন ভাবে আনন্দের সাথে গা ভাসিয়ে চলার সময় এখন আর নেই। এখন সময় হয়েছে বাস্তবতার কঠিন লড়াইয়ে নেমে জীবনকে এগিয়ে নিয়ে চলার। পরাধীনতা থেকে মুক্ত হয়ে সমাজের মুক্তির স্বাদ আস্বাদন করার। আলোচ্য কবিতায় যেমন বলা হয়েছে জীবনের সকল আলস্যতাকে ভুলে গিয়ে, জীবনের সব সুখকে ভুলে আমাদের এখন নামতে হবে জীবনের কঠিন লড়াইয়ে। ঠিক তেমনি উদ্দীপকের মধ্যে ফুটে উঠেছে সেই একই বাণী। জীবনের কঠিন যুদ্ধে লড়াই করার আহ্বান। উদ্ধৃতাংশটিতে বলা হয়েছে আরামের সবচিহ্নকে মুছে ফেলে জীবনকে গদ্যের হাতুড়ির মতো কঠিন করে তোলো। তাই উভয় অংশেই প্রকাশ হয়েছে সব কষ্টের থেকে মুক্ত হয়ে উঠার জন্য জীবনের কঠিন লড়াইয়ে অংশ নেওয়ার আহ্বান।
(ঘ) “এবার কঠিন কঠোর গদ্য আনো‘- উক্তিটি ‘মে-দিনের কবিতা‘র আলোকে ব্যাখ্যা কর।
উত্তর :
“এবার কঠিন গদ্য আনো” উক্তিটির মধ্য দিয়ে কবি আরাম ও আনন্দমুখর হয়ে অসচেতন ভাবে জীবন কাটানোর বদলে এখন সময় হয়েছে জীবনের কঠিন বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে জীবনের কঠিন লড়াইয়ে অংশ নেওয়া। আমাদের পৃথিবীতে চিরকাল শুধু ধনীরাই কেন সর্ব সুখের অধিকারী হবে, আর গরিবরা কেন হবে নিপীড়িত। জীবনের এই কঠিন সত্যকে অর্থ্যাৎ পরাধীনতার থেকে মুক্ত হয়ে জীবনের স্বাধীনতাকে খুঁজে নেওয়া। জীবনের সকল দুঃখকে হারিয়ে জীবনে সফলতার আনন্দকে উপভোগ করার জন্য হয়ে উঠতে হবে দৃঢ় ও কঠিন। হার মানাতে হবে সকল প্রতিকূলতাকে। জীবনের সব প্রতিকূলতাকে হারিয়ে তবেই আমরা সফলতাকে করতে পারবো এবং সেই জন্যে আমাদের হয়ে উঠতে হবে অপ্রতিরোধ্য। জীবনের সকল বাধাকে, প্রতিকূলতাকে জয় করে জীবনের সার্থকতাকে জয় করতে হবে।
Next Chapter Solutions :