NCTB Class 9 and 10 Bengali আমি কোনো আগন্তুক নই Solution
Bangladesh Board Class 9 and 10 Bengali Solution আমি কোনো আগন্তুক নই Exercises Question and Answer by Experienced Teacher. NCTB Class 9 and 10 Bengali Solution আমি কোনো আগন্তুক নই.
NCTB Solution Class 9 and 10 আমি কোনো আগন্তুক নই :
Board | NCTB Bangladesh Board |
Class | 9 and 10 |
Subject | Bengali |
Chapter Name | আমি কোনো আগন্তুক নই |
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :
(১) আহসান হাবীব কার চিরচেনা স্বজন?
(ক) পাখির
(খ) কদম আলীর
(গ) জোনাকির
(ঘ) জমিলার মা‘র
উত্তর :
(ঘ) জমিলার মা’র
(২) কবি বৈঠায় লাঙলে হাত রাখতে বলেছেন কেন?
(ক) শপথ নেয়ার জন্য
(খ) পরশ অনুভব করার জন্য
(গ) কবিকে খুঁজে পাবার জন্য
(ঘ) অস্তিত্ব প্রমাণ করার জন্য
উত্তর :
(ঘ) অস্তিত্ব প্রমাণ করার জন্য
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩- সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও :
রিপভ্যান উইংকল দীর্ঘ বিশ বছর পর তার গাঁয়ে ফিরে এলে তাকে কেউ চিনতে পারেনি। সবাই তার দিকে উৎসুক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। অবশেষে তার স্বজন টম এলে সব সন্দেহের অবসান ঘটে।
(৩) উদ্দীপকের টমের সঙ্গে আমি কোনো আগন্তুক নই‘ কবিতার সাদৃশ্য রয়েছে-
(ক) কদম আলীর
(খ) জমিলার মার
(গ) অবোধ বালকের
(ঘ) ভিনদেশি পথিকের
উত্তর :
(খ) জমিলার মার
সৃজনশীল প্রশ্ন :
আবার আসিব আমি বাংলার নদী মাঠ খেত ভালোবেসে জলাঙ্গীর ঢেউয়ে ভেজা বাংলার এ সবুজ করুণ ডাঙায়; হয়তো দেখিবে চেয়ে সুদর্শন উড়িতেছে সন্ধ্যার বাতাসে; হয়তো শুনিবে এক লক্ষ্মীপেঁচা ডাকিতেছে শিমুলের ডালে; হয়তো খইয়ের ধান ছড়াতেছে শিশু এক উঠানের ঘাসে; রূপসার ঘোলা জলে হয়তো কিশোর এক সাদা ছেঁড়া পালে ডিঙা বায়; রাঙা মেঘ সাঁতরায়ে অন্ধকারে আসিতেছে নীড়ে দেখিবে ধবল বক; আমারেই পাবে তুমি ইহাদের ভিড়ে।
(ক) বিস্তর জোনাকি কোথায় দেখা যায়?
উত্তর : বিস্তর জোনাকি থাকে নিশিরাতের বাঁশবাগানে। আলোচ্য কবিতায় কবি নিশিরাতের জোনাকিকে তার সাক্ষী হিসেবে তুলে ধরেছেন।
(খ) *আমি কোনো আগন্তুক নই‘ – কবি একথা বলেছেন কেন?
উত্তর : কবি এই কথার মধ্যে দিয়ে গভীর দেশাত্ব বোধকে প্রকাশ করেছেন। তিনি বলতে চেয়েছেন যে সে কোনো আগন্তুক নয়, সেও এই দেশের একজন নাগরিক। এর সাক্ষী হিসেবে তিনি বলেছেন নিশিরাতের জোনাকির কথা। বলেছেন গরিব দুঃখী জমিলার মায়ের কথা। বলেছেন তার হাতের স্পর্শ লেগে আছে কৃষকের লাঙ্গলে। প্রকৃতির সবাই সাক্ষী দেয় যে কবি কোনো আগন্তুক নন সেও সেই দেশেরই। তাই কবি এই কথার মধ্যে দিয়ে ব্যাক্ত করতে চেয়েছেন যে সে কোনো আগন্তুক নয় সেও এই দেশের নাগরিক।
(গ) উদ্দীপকে ফুটে ওঠা চিত্রের সাথে ‘আমি কোনো আগন্তুক নই‘ কবিতার সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : উদ্দীপকে ফুটে ওঠা চিত্রের সাথে আলোচ্য কবিতার কবির আগন্তুক চরিত্রের মধ্যে সাদৃশ্যতা হলো তারা যে এই দেশের নাগরিক সেটা প্রমান করা। কারণ আলোচ্য কবিতায় কবি নিজেকে এই দেশের নাগরিক তার সাক্ষী হিসেবে তুলে ধরেছেন নিশিরাতের জোনাকি, বলেছেন কৃষকের লাঙ্গলে তার স্পর্শের কথা, বলেছেন গ্রামবাংলার প্রকৃতির মধ্যে অবস্থিত সকল নদী, মাঠ, চাষের খেত এর কথা। তিনি বলেছেন তার সবাই সাক্ষী যে সে এই দেশের নাগরিক। উদ্দীপকেও আমরা দেখতে পাই যখন রিপভ্যান উইঙ্কল দীর্ঘ বিশ বছর পরে তার নিজের গ্রামে ফিরে এসেছিলো তখন তাকে কেউ চিনতে পারেনি। কারণ তার সময়ের কেউ আর তখন ওখানে ছিল না। কিন্তু সে জানতো যে, সে ছিল এই গ্রামেরই নাগরিক। অবশেষে তার স্বজন সেখানে এলে তাকে চিনিতে পারা যায়। তাই আলোচ্য কবিতার কবি ও উদ্দীপকের রিপভ্যান উইঙ্কল উভয়ই প্রমান করতে চেয়েছিলো যে তারা এই দেশেরই নাগরিক।
(ঘ) “উদ্দীপকের সঙ্গে ‘আমি কোনো আগন্তুক নই‘ কবিতার চেতনাগত বৈসাদৃশ্যই বেশি।” যুক্তিসহ বিশ্লেষণ কর।
উত্তর : উদ্দীপকের সঙ্গে আলোচ্য কবিতার চেতনাগত অমিলই বেশি দেখা যায়। আলোচ্য কবিতায় লেখকের প্রত্যেকটি ছন্দে ফুটে উঠেছে দেশাত্তবোধ। বাংলার প্রকৃতির বৈচিত্রময় রূপ। তিনিও যে এই দেশের নাগরিক তা প্রমা করার জন্য হয়েছিলেন উদগ্রীব। তার মধ্যে ফুটে উঠেছিল গভীর দেশত্ববোধ ও আবেগ। এই দেশ যে তার মাতৃভূমি তা প্রণাম করার জন্য তিনি সাক্ষী করেছেন গ্রামবাংলার নিশিরাতের জোনাকিকে, কৃষকের লাঙ্গলে তার স্পর্শকে। তিনি বলেছেন তিনি যে এই দেশেরই তার প্রমান দিবে গরিব দুঃখী জননী জমিলার মায়ের শুকনো পরে থাকা রান্না ঘরের বাসন গুলো। এই কথার মধ্যে দিয়ে তিনি বাংলার গরিব ও অসহায় জননীর দুঃখকে চিত্রায়ন করেছেন। অর্থাৎ আলোচ্য কবিতার মধ্যে কবি প্রকাশ করেছেন মানব জীবন ও জন্মভূমির নিবিড় সম্পর্ককের। অপরদিকে, উদ্দীপকের রিপভ্যান উইঙ্কল দীর্ঘ কুড়ি বছর নিখঁজ থাকার পর যখন পুনরায় তার গ্রামে ফিরে এসেছিলো তখন সে কাউকে চিনতে পারছিলো না। আবার সেখানকার কেউ তাকে চিনত না। কিন্তু অবশেষে তার স্বজন টম এলে সবাই তাকে চিনতে পারে। উদ্দীপকের ঘটনাতে দেশাত্মবোধের কোন পরিচয় মেলে না মেলে দীর্ঘদিন পরে রিপভ্যানের গ্রামে ফিরে আসার আনন্দ।
Next Chapter Solutions :