NCTB Class 9 and 10 Bengali পল্লিজননী Solution

NCTB Class 9 and 10 Bengali পল্লিজননী Solution

Bangladesh Board Class 9 and 10 Bengali Solution পল্লিজননী Exercises Question and Answer by Experienced Teacher. NCTB Class 9 and 10 Bengali Solution পল্লিজননী.

NCTB Solution Class 9 and 10 পল্লিজননী : 

Board          NCTB Bangladesh Board
Class 9 and 10
Subject Bengali
Chapter Name পল্লিজননী

NCTB Class 9 and 10 Bengali পল্লিজননী Solution

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :

(১) বাঁশ বনে বসে কোন পাখি ডাকে?

(ক) কোকিল

(খ) কানাকুয়ো

(গ) হুতুম

(ঘ) দোয়েল

উত্তর :

(খ) কানাকুয়ো

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ২ ও ৩- সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও :

যতদিন যায়, দুর্ভোগ তার ততই বাড়িয়া যায় জীবন-প্রদীপ নিভিয়া আসিছে অস্ত রবির প্রায় ।

(২) উদ্দীপকে প্রকাশ পেয়েছে পল্লিজননীকবিতার-

(ক) সন্তানের মুমূর্ষু অবস্থা

(খ) অকৃত্রিম মাতৃস্নেহ

(গ) আরোগ্য লাভের আকুতি

(ঘ) রোগমুক্তির লক্ষণ

উত্তর :

(ক) সন্তানের মুমূর্ষু অবস্থা

(৩) উদ্দীপকে ফুটে ওঠা ভাবটি পল্লিজননীকবিতার যে চরণে বিদ্যমান তা হলো: –

(ক) ঘরের চালেতে হুতুম ডাকিছে অকল্যাণ এ সুর

মরণের দূত এলো বুঝি হায়, হাঁকে মায়, দূর-দূর ।

(খ) নামাজের ঘরে মোমবাতি মানে, দরগায় মানে দান,

ছেলেরে তাহার ভালো করে দাও কাঁদে জননীর প্রাণ ।

(গ) পার্শ্বে জ্বলিয়া মাটির প্রদীপ বাতাসে জমায় খেল;

আঁধারের সাথে যুঝিয়া তাহার ফুরায়ে এসেছে তেল ।

(ঘ) মা কেবল বসি রুগ্‌ণ ছেলের মুখ পানে আঁখি মেলে

ভাষা ভাষা তার যত কথা যেন সারা প্রাণ দিয়ে গেলে।

উত্তর :

(ক) ঘরের চালেতে হুতুম ডাকিছে অকল্যাণ এ সুর

মরণের দূত এলো বুঝি হায়, হাঁকে মায়, দূর-দূর ।

সৃজনশীল প্রশ্ন :

বাদশা বাবর কাঁদিয়া ফিরিছে, নিদ নাহি চোখে তাঁর পুত্র তাঁহার হুমায়ুন বুঝি বাঁচে না এবার আর । চারিধারে তাঁর ঘনায়ে আসিছে মরণ অন্ধকার ।

(ক) পল্লিজননীকবিতায় ছেলে মাকে কী যত্ন করে রাখার কথা বলেছে?

উত্তর : আলোচ্য কবিতায় রুগ্ণ ছেলে তার মাকে তার লাটাইটি যত্ন করে রাখতে বলেছিলো। রোগে আক্রান্ত ছেলেকে নিয়ে গরিব মায়ের মন কেঁদে চলেছে তার মৃত্যু ভয়ে। শয্যাশায়ী ছেলেটি সুস্থ হয়ে উঠে তার বন্ধুদের সাথে খেলতে যাবে তাই সে তার মাকে তার প্রিয় জিনিস গুলোকে তাই যত্ন করে রাখতে বলেছিলো।

(খ) আজও রোগে তার পথ্য জোটে নি‘ – পথ্য না জোটার কারণ কী?

উত্তর : আলোচ্য কবিতায় এক গরিব মায়ের অসহায়তার কথা প্রতিফলিত হয়েছে। গরিব ও নিঃস্ব হওয়ার জন্য তিনি তার ছেলের অনেক ইচ্ছাই পূরণ করতে অসমর্থ ছিল। ঠিক সেই কারণেই আজ যখন সেই মায়ের একমাত্র সন্তান রোগে পরে মৃত্যুর সাথে লড়াই করছে তখনো গরিব মা অর্থের অভাবে ওষুধের ব্যবস্থা করে উঠতে পারে নি। শয্যাশায়ী ছেলে যখন রহিম চাচার ঝাড়ার কথা বলেছিলো তখন মা কোনো উত্তর দিতে পারেনি। কারণ রহিম চাচাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসার মতো অর্থ তার কাছে ছিল না।

(গ) উদ্দীপকে পল্লিজননীকবিতার যে দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে তা ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : উদ্দীপকে আলোচ্য ‘পল্লীজননী’ কবিতার সন্তানের প্রতিভালোবাসা ও গভীর মমত্ববোধের প্রকাশ পেয়েছে বাদশা বাবরের মধ্যে। আলোচ্য কবিতায় ছেলে রোগে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী হয়েছে তাই গরিব মায়ের মন হয়েছে ব্যাকুল। ছেলের মঙ্গোল কামনা করেছে বিধাতার কাছে। চিকিৎসার জন্য অর্থ না থাকার জন্য গরিব মায়ের মন হয়ে উঠেছে অসহায়তায় জরাজীর্ন। এই রোগে ছেলের জীবন প্রদীপ জ্বলতে নিভতে দেখে মা হয়ে উঠেছে ভয়ভীত। তাই ঘরের চালে হুতুমের ডাক শুনে মা ভেবেছে মরণের দূত বুঝি এসেছে তার ছেলেকে নিতে। উদ্দীপকের পিতৃরূপী বাদশা বাবরের মধ্যে ফুটে উঠেছে গরিব মায়ের সেই সব ব্যাকুলতা, ভয়, ও অসহায়তা। ছেলে হুমায়ূনের কঠিন রোগ। বৈদ্যরা পারছে না তা সারাতে। বাবার দেখতে পারছে ছেলের জীবন প্রদীপটির আলো ক্রমশ ক্ষীণ ফোয়ে আসছে। এই দেখে বাদশা বাবর মধ্যে পিতৃস্নেহের ব্যাকুলতা ও অসহায়তা ফুটে উঠেছে।

(ঘ) প্রতিফলিত দিকটিই পল্লিজননীকবিতার সামগ্রিক ভাবকে ধারণ করে কি? যুক্তিসহ প্রমাণ কর ।

উত্তর : উদ্দীপকে আলোচ্য কবিতার শুধু বিপদাক্রান্ত সন্তানের জন্য মায়ের চিন্তা ও ব্যাকুলতাকে তুলে ধরা হয়েছে। কিন্তু অভাব ও দরিদ্রতার জন্য নিজের সন্তানের চিকিৎসার ব্যবস্থা না করতে পাড়ার অসহায়তা প্রকাশ পায় নি। তাই উদ্দীপকের প্রতিফলিত দিকটি আলোচ্য “পল্লীজননী” কবিতার সামগ্রিক ভাবকে ধারণ করেছে তা বলা যাবে না। উদ্দীপকে বাবরের ছেলে হুমায়ূনের কঠিন রোগের জন্য জীবন নিয়ে টানাটানি চলছে তখন বাবরের মধ্যে ছেলের প্রাণ রক্ষার জন্য মায়ের সেই আবেগ ও গভীরদুশ্চিন্তা প্রকাশ পেয়েছে। বাবর তার ছেলের চিকিৎসার জন্য দেশের সকল জ্ঞানী ও বিজ্ঞ বৈদ্যদেরকে ডেকে ছিল। আলোচ্য কবিতার মতো মায়ের অভাব ও অসহায়তা তার মধ্যে প্রকাশ পায়নি। কারণ তিনি ছিলেন দেশের বাদশা। অর্থের কোনো সমস্যা তার ছিল না। তাই বলা যায়, সন্তানের প্রাণের জন্য গরিব মা ও বাদশা বাবরের মধ্যে একই ভাব প্রকাশিত হলেও, বাবরের মধ্যে আলোচ্য কবিতার গরিব ও দুঃখী মায়ের অসহায়তা প্রকাশ পায়নি। তাই উদ্দীপকের প্রতিফলিত দিকটি আলোচ্য কবিতার সামগ্রিক ভাবকে তুলে ধরে না।

 

Next Chapter Solutions :  

Updated: September 25, 2023 — 2:25 pm

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *