NCTB Class 9 and 10 Bengali সেইদিন এই মাঠ Solution
Bangladesh Board Class 9 and 10 Bengali Solution সেইদিন এই মাঠ Exercises Question and Answer by Experienced Teacher. NCTB Class 9 and 10 Bengali Solution সেইদিন এই মাঠ.
NCTB Solution Class 9 and 10 সেইদিন এই মাঠ :
Board | NCTB Bangladesh Board |
Class | 9 and 10 |
Subject | Bengali |
Chapter Name | সেইদিন এই মাঠ |
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :
(১) ‘সেইদিন এই মাঠ‘ কবিতায় বর্ণিত ফুলের নাম কী ?
(ক) গোলাপ
(খ) শিউলি
(গ) চালতা
(ঘ) কদম
উত্তর :
(গ) চালতা
(২) ‘আমি চলে যাব‘ কবি কোথায় চলে যাওয়ার কথা বলেছেন?
(ক) গ্রামে
(খ) শহরে
(গ) পরপারে
(ঘ) বিদেশে
উত্তর :
(গ) পরপারে
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩ – সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও :
যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে তখন আমায় নাই বা তুমি ডাকলে
তারার পানে চেয়ে চেয়ে নাই বা মনে রাখলে।
(৩) উদ্দীপকে ‘সেইদিন এই মাঠ‘ কবিতার কোন দিকটি প্রকাশ পেয়েছে ?
(ক) সৌন্দর্য
(খ) ঐতিহ্য
(গ) ঐশ্বর্য
(ঘ) আনন্দ
উত্তর :
(খ) ঐতিহ্য
সৃজনশীল প্রশ্ন :
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর কথাসাহিত্যে প্রকৃতিকে একটি জীবন্ত চরিত্র হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। বিশেষ করে ‘পথের পাঁচালী‘ ও ‘আরণ্যক‘ উপন্যাসে প্রকৃতি চিরকালের নবীনরূপে আবির্ভূত হয়েছে। অপু, দুর্গা এবং আরও অনেকে সেই চিরন্তন প্রকৃতির সন্তান। এরা যায়- আসে – থাকে না। কিন্তু প্রকৃতি চিরকালই নানা রূপ-রস-গন্ধ-বর্ণে বিরাজমান থাকে ।
(ক) কী ছাই হয়ে গেছে?
উত্তর : আলোচ্য কবিতায় কবি বলেছেন ছাই হয়ে গেছে বলতে বোঝাতে চেয়েছেন যে পৃথিবীতে মানুষের গড়া বহুসভ্যতা যেমন এশিরিয়া ও ব্যাবিলনীয় সভ্যতা এখন ধ্বংস্তূপ আর ধুলো বা ছাইয়ে পরিণত হয়েছে। তার মতে মানুষের গড়া কোনো কিছুই চিরস্থায়ী নয়। তাই কবি ছাই হয়ে গেছে বলতে মানুষের গড়া সৃষ্টিকেই বোঝাতে চেয়েছেন।
(খ) পৃথিবীর এইসব গল্প বেঁচে রবে চিরকাল‘ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
উত্তর : কবি জীবনানন্দ দাশ তার ‘সেইদিন সেই মাঠ’ কবিতায় বলতে চেয়েছেন যে মানুষের সভ্যতা হলো ক্ষয়িষ্ণু যা একদিন বিলীন হয়ে যাবে প্রকৃতির কোলে। মানুষের জীবনও তেমনি ঢলে পড়বে মৃত্যুর কোলে। কিন্তু মৃত্যুই শেষ নয়। বেঁচে থাকবে মানুষে স্বপ্ন, সৌন্দর্যতা। বেঁচে থাকবে লক্ষীপেঁচার মঙ্গলবার্তা, নদীতে চলতে থাকবে খেয়াপাতার নৌকা। প্রকৃতির অমরণশীল রূপ ও বৈচিত্র। বেঁচে থাকবে চাঁপাফুলের ওপর পরা শীতের শিশির। গল্পের মতো বেঁচে থাকবে প্রকৃতির অফুরন্ত ঐশর্য্য নিয়ে মানুষের স্বপ্ন-সাধ ও তার কল্পনা।
(গ) উদ্দীপকের প্রকৃতি জানার সঙ্গে ‘সেইদিন এই মাঠ‘ কবিতার সাদৃশ্যপূর্ণ দিক ব্যাখ্যা কর ।
উত্তর : উদ্দীপকের সাথে আলোচ্য কবিতায় ফুটে ওঠা ভাব অর্থ্যাৎ প্রকৃতি রূপ-রস-গন্ধ চিরঅমর এর কোন শেষ নেই। মানুষ শুধু প্রকৃতিতে আসে অরে চলে যায় বেঁচে থাকে শুধু তার স্বপ্ন ও কল্পনা। কিন্তু প্রকৃতির চলতে থাকে তার নিয়ম মেনে। এই ভাবটি আলোচ্য কবিতা ও উদ্দীপক উভয় স্থানেই প্রতিফলিত হয়েছে। কবিতায় যেমন বলা হয়েছে এই পৃথিবীতে মানুষের সৃষ্ট বহু সভ্যতা আজ শুধু ধ্বংস্তূপ মাত্র। কিন্তু প্রকৃতির রূপ, রস, গন্ধ আজও বিদ্যমান রয়েছে তার নিয়ম মেনেই। প্রকৃতির কোনো শেষ নেই। ঠিক তেমনি উদ্দীপকও প্রকাশিত হয়েছে একই ভাব। বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ও তার লেখাতে বলেছেন যে প্রকৃতি চলছে বিরামহীন ভাবে এর মাঝে মানুষ শুধু আসে আর যায়। শুধু রয়ে যায় তাদের স্বপ্ন আর কল্পনা। যেমন অপু , দূর্গা আরো অনেকে। দুটি অংশ থেকেই প্রকাশিত হয়েছে একই কথা প্রকৃতি সন্তান মানুষ। তাই মানুষের মৃত্যু অবসম্ভাবী। কিন্তু মৃত্যুই মানুষের শেষ নয়, মৃত্যুর পরও বেঁচে থাকে মানুষের স্বপ্ন , সাধ ও তার কল্পনা।
(ঘ) কবিতায় উল্লিখিত সভ্যতার বিবর্তনের সঙ্গে প্রকৃতির সম্পর্ক উদ্দীপকের আলোকে বিশ্লেষণ কর ।
উত্তর : আলোচ্য কবিতায় বলা হয়েছে পৃথিবীর কোলে সৃষ্ট মানব সভ্যতা চিরস্থায়ী নয়। মানুষের সৃষ্ট বহু সভ্যতা আজ ধ্বংস স্তুপে পরিণত হয়েছে বা প্রকৃতির কোলে বিলীন হয়ে গিয়েছে। কিন্তু মানুষ আবার নতুন সভ্যতা তৈরী করেছে। অর্থাৎ ভাঙা গড়া নিয়েই চলছে জীবনের ধারা। কিন্তু প্রকৃতি র কোনো শেষ নেই প্রকৃতি আজও ছড়িয়ে চলেছে তার রূপ, গন্ধ, শোভা। কবি বলতে চেয়েছেন আমরা সবাই প্রকৃতির সন্তান। প্রকৃতিতে আমরা চিরস্থায়ী নই। মানুষ শুধু একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্যই প্রকৃতিতে বিদ্যমান থাকতে পারে। সেই সঙ্গে মানুষের সৃষ্টি। মানুষ প্রকৃতির নিয়ম মেনে শুধু এগিয়ে চলেছে বিবর্তনের পথে। ক্রমে ক্রমে মানুষ হয়ে উঠছে উন্নত। গড়ে তুলেছে উন্নত সভ্যতা। কিন্তু পরিবর্তন হয়নি প্রকৃতির রূপ-রস-গন্ধ। তা আগেও যেরকম ছিল আজও সে রকমই আছে। শুধু এর মাঝে পরিবর্তন হয়েছে মানুষের জীবন।
Next Chapter Solutions :