NCTB Class 9 and 10 Bengali তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা Solution
Bangladesh Board Class 9 and 10 Bengali Solution তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা Exercises Question and Answer by Experienced Teacher. NCTB Class 9 and 10 Bengali Solution তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা.
NCTB Solution Class 9 and 10 তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা :
Board | NCTB Bangladesh Board |
Class | 9 and 10 |
Subject | Bengali |
Chapter Name | তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা |
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :
(১) দানবের মতো চিৎকার করতে করতে কী এসেছিল?
(ক) পাকিস্তানিসেনা
(খ) ট্যাঙ্ক
(গ) মাঝি
(ঘ) রাইফেল
উত্তর :
(খ) ট্যাঙ্ক
(২) ‘তুমি আসবে বলে হে স্বাধীনতা ছাত্রাবাস বস্তি উজাড় হলো- ‘ছাত্রাবাস বস্তি উজাড় হলো‘- এ পঙ্ক্তিতে কিসের চিত্র আছে?
(ক) স্বাধীনতার সুর
(খ) ধ্বংসের চিত্র
(গ) গণ-আন্দোলনের রূপ
(ঘ) মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি
উত্তর :
(খ) ধ্বংসের চিত্র
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও :
চিনতে নাকি সোনার ছেলে ক্ষুদিরামকে চিনতে?
রুদ্ধশ্বাসে প্রাণ দিল যে মুকত বাতাস কিনতে ।
(৩) উদ্দীপকের ক্ষুদিরাম ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা‘ কবিতায় কাদের প্রতিনিধিত্ব করে –
(i) মুক্তিযোদ্ধাদের
(ii) আপামর জনসাধারণের
(iii) আত্মত্যাগী মানুষদের
নিচের কোনটি সঠিক ?
(ক) i ও ii
(খ) i ও iii
(গ) ii ও iii
(ঘ) i, ii ও iii
উত্তর :
(খ) i ও iii
(৪) এরূপ প্রতিনিধিত্বের কারণ কী?
(ক) ঐক্যচেতনা
(খ) স্বজাত্যবোধ
(গ) দেশপ্রেম
(ঘ) সাহসিকতা
উত্তর :
(গ) দেশপ্রেম
সৃজনশীল প্রশ্ন :
পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্মলগ্ন থেকেই শাসকগোষ্ঠী শুরু করে নানা বৈষম্যনীতি। তারা পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মাতৃভাষাকে বাদ দিয়ে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার হীন ষড়যন্ত্র করে। কিন্তু এদেশের ছাত্র-শিক্ষকসহ আপামর জনতা এর বিরুদ্ধে তীব্র বিক্ষোভে ফেটে পড়ে, বিসর্জন দেয় বুকের তাজা রক্ত।
(ক) কার সিঁথির সিঁদুর মুছে গেল?
উত্তর : আলোচ্য কবিতায় হরিদাসীর সিঁথির সিঁদুর মুছে গিয়েছিলো। ১৯৭১ এর বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধে মারা গিয়েছিলো হাজারো দেশবাসী। বৈধব্য এর স্বীকার হয়েছিল বাংলার হাজারো বধূরা। তাদের মধ্যেই একজন হলো হরিদাসী।
(খ) জলপাই রঙের ট্যাঙ্ককে কবি দানব বলেছেন কেন?
উত্তর : বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধের সময় বাংলাদেশে এসেছিলো শত্রুদের হাজারো জলপাইরঙের ট্যাংক। এই ট্যাংকগুলি সমগ্র দেশে চালিয়েছিল ধ্বংসলীলা। ঠিক যেন কোনো দানব। তাই লেখক এই জলপাইরঙের ট্যাংকগুলিকে দানব বলে অভিহিত করেছেন। শত্রুদের এই ট্যাঙ্কগুলি বাড়িঘর, খেতখামার, সবকিছছুই ধুলিস্বাৎ করেছিল। ট্যাঙ্কগুলি থেকে বেরোনো বোমের আঘাতে ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়েছিল হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধাদের শরীর। শত্রুদের এই মূর্তিমান ট্যাঙ্কগুলি যেন হয়ে উঠেছিল বাংলার সবমানুষের কাছে জলজ্যান্ত দানব।
(গ) উদ্দীপকের যে ভাবটি ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা‘ কবিতায় পাওয়া যায় তা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : উদ্দীপকে আলোচ্য কবিতার স্বধীনতারসংগ্রামী, দেশের জন্য আত্মত্যা এর ভাবটি ফুটে উঠেছে। আলোচ্য কবিতায় যেমন কবি প্রকাশ করেছেন কিভাবে ১৯৭১ এর স্বাধীনতার জন্য বাংলার মানুষ নিঃস্বার্থভাবে আত্মত্যাগ করেছে তাদের দেশকে স্বাধীন করার জন্য। নিজের দেশকে স্বাধীন করার জন্য দেশের হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধারা উৎসর্গ করেছে তাদের জীবন। শত্রুদের জলপাইরঙের ট্যাঙ্কের সামনে প্রাণ দিয়েছে বাংলাদেশের হাজারো সাধারণ জনগণ। কোল খালি হয়েছে হাজারো মায়ের। কবি প্রকাশ করতে চেয়েছেন স্বাধীনতার জন্য বাংলার মানুষের বলিদানের। উদ্দীপকের বক্তব্যের মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে সেই একই আত্মত্যাগ ও বলিদানের ভাব। সরকার যখন উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেবার ষঢ়যন্ত্র চলছিল তখন দেশের সমগ্র জনতা ও ছাত্ররা হয়ে উঠেছিল বিদ্রোহী। সরকার ও জনসাধারণের লড়াইয়ে নিস্বার্থ ভাবে প্রাণ দিয়েছিলো দেশের নবীন ছাত্ররা ও তাদের শিক্ষকরা। তারা প্রাণ দিয়েছিলো শুধু তাদের মাতৃভাষাকে স্বীকৃতি দেবার জন্য। ঠিক যেমন মুক্তিযোদ্ধারা প্রাণ দিয়েছিলো দেশকে স্বাধীন করার জন্য।
(ঘ) “ তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা‘ কবিতায় বর্ণিত দিকগুলোর একটিমাত্র দিক উদ্দীপকে ফুটে উঠেছে।”- মন্তব্যটির যথার্থতা বিশ্লেষণ কর।
উত্তর :
আলোচ্য ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ পাঠ্যাংশে বর্ণিত হয়েছে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য বাংলার মানুষের আত্মত্যাগ ও নিস্বার্থ বলিদানের কথা। কবি তার লেখার মধ্য দিয়ে উন্মচোন করেছেন বাংলার মায়ের বীর সন্তান যারা তাদের নব্য জীবনের বলিদান দিয়েছিলো শুধু তাদের মাতৃভূমিকে শত্রুদের পরাধীনতার হাত থেকে স্বাধীন করবে বলে। শুধু মুক্তিযোদ্ধারাই যে আত্মত্যাগ করেছেন তা নয় কবি তুলে ধরেছে বাংলার সাধারণ মানুষ যেমন জেলে, কৃষক, মাঝি, রিক্সাওয়ালা ইত্যাদি সব সাসারণ মানুষ। তিনি প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে স্বামীহারা, স্বজনহারা, সন্তানহারা মায়েদের দুঃখ, রমনীদের অসহায়তাকেও। এর সাথে সাথে আলোচ্য কবিতায় প্রকাশিত হয়েছে বাংলাদেশের জনসাধারণের সাহসিকতা ও উদ্দমতা। কবির বিশ্বাস শত দুঃখ কষ্ট ও আত্মত্যাগের পর তারা বাংলার স্বাধীনতাকে একদিন ছিনিয়ে আনবেই শত্রুদের কবল থেকে। আলোচ্য উদ্দীপকে শুধু প্রকাশ পেয়েছে কবিতার বলিদানের কথা নিজের মাতৃভাষাকে স্বীকৃত করানোর এক অদম্য প্রচেষ্টা। কিন্তু উদ্দীপকে প্রকাশ পায়নি বাংলার মায়ের দুঃখ, শিশুদের আর্তনাদ। প্রকাশ পায়নি সমাজের নিতান্ত সাধারণ মানুষের আত্মত্যাগ।
Next Chapter Solutions :