NCTB Class 7 Science Bengali Version Chapter 14 জলবায়ু পরিবর্তন Solution
Bangladesh Board Class 7 Science Solution Chapter 14 জলবায়ু পরিবর্তন Solution Exercises Question and Answer by Experienced Teacher.এখানে বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (NCTB) কর্তৃক প্রকাশিত বিজ্ঞান বইয়ের চতুর্দশ অধ্যায় জলবায়ু পরিবর্তন অনুশীলনের সমস্ত সমাধান দেওয়া হয়েছে।
NCTB Solution Class 7 Chapter 14 জলবায়ু পরিবর্তন :
Board | NCTB Bangladesh Board |
Class | 7 |
Subject | Science |
Chapter | Fourteen |
Chapter Name | জলবায়ু পরিবর্তন |
জলবায়ু পরিবর্তন অনুশীলনী প্রশ্ন এবং উত্তর :
শূন্যস্থান পূরণ কর :
(১) ভূপৃষ্ঠ থেকে এগার কিলোমিটার পর্যন্ত বায়ুমণ্ডলকে বলে ___
(২) ___ নামের একটি গ্যাস সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে আমাদের রক্ষা করে।
(৩) কোনো স্থানের দীর্ঘদিনের আবহাওয়ার গড় ফলকে বলে ___ |
(৪) আবহাওয়া পরিবর্তনের মূল ভূমিকা হলো ___
(৫) তাপমাত্রা বাড়লে সমুদ্রের পানি ___ হয়।
উত্তর :
(১) ভূপৃষ্ঠ থেকে এগার কিলোমিটার পর্যন্ত বায়ুমণ্ডলকে বলে ট্রপোমণ্ডল
(২) ওজন নামের একটি গ্যাস সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে আমাদের রক্ষা করে।
(৩) কোনো স্থানের দীর্ঘদিনের আবহাওয়ার গড় ফলকে বলে জলবায়ু |
(৪) আবহাওয়া পরিবর্তনের মূল ভূমিকা হলো তাপমাত্রা বৃদ্ধি
(৫) তাপমাত্রা বাড়লে সমুদ্রের পানির আয়তন বৃদ্ধি হয়।
সংক্ষেপে উত্তর দাও :
(১) বায়ুমণ্ডলের নিচের স্তরে অর্থাৎ পৃথিবীর কাছাকাছি বায়ুমণ্ডলে বায়ুর ঘনত্ব বেশি থাকে কেন তা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : বায়ুমণ্ডলের নিচের স্তর অর্থাৎ ট্রপোমণ্ডল ভূপৃষ্ঠ থেকে এগার কিলোমিটার পর্যন্ত বায়ুমণ্ডল। এই স্তরে বায়ুর বেশির ভাগ উপাদানসমূহ যেমন অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, কার্বন ডাইঅক্সাইড ও জলীয় বাষ্প থাকে। এই স্তরে মেঘ, বৃষ্টি, বায়ু প্রবাহ, ঝড়, কুয়াশা এসব হয়। তাই ট্রপোমণ্ডলের ঘনত্ব বায়ুমণ্ডলের অন্যান স্তরের থেকে অনেক বেশি। এছাড়া এই স্তরের ঘনত্ব সব থেকে বেশি হওয়ার মূল কারণ হলো পৃথিবীর মধ্যাকর্ষণ বল বা অভিকর্ষ বল। আমাদের পৃথিবী সবকিছুকে নিজের কেন্দ্রের দিকে আকর্ষণ করে ফলে পৃথিবীর বায়ুস্তরটির ঘনত্ব বেশি হয়।
(২) ট্রপোমণ্ডল কেন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর : ভূপৃষ্ঠ থেকে এগার কিলোমিটার পর্যন্ত বায়ুমণ্ডল বায়ুমণ্ডলের নিচের স্তর অর্থাৎ ট্রপোমণ্ডল। এই স্তরে বায়ুর বেশির ভাগ উপাদান যেমন অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, কার্বন ডাইঅক্সাইড ও জলীয় বাষ্প থাকে। এই স্তরে মেঘ, বৃষ্টি, বায়ু প্রবাহ, ঝড়, কুয়াশা এসব হয়। এই ঘটনাগুলি জীবজগতকে নানা ভাবে প্রভাবিত করে। আমাদের জীবনের সঙ্গে বায়ুমণ্ডলের এই স্তরটি বিভিন্ন ভাবে জড়িত থাকে। পৃথিবীর সকল জীবজগৎ নিজেদের শ্বাস কার্যের জন্য এই স্তরের উপর নির্ভর করে। তাই বায়ুমন্ডলের এই স্তরটি সবচেয়ে গুরুপ্তপূর্ণ।
(৪) কীভাবে বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেন ও কার্বন ডাইঅক্সাইডের ভারসাম্য বজায় থাকে ?
উত্তর : পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের সর্বনিম্ন স্তরে অর্থাৎ ট্রপোমন্ডলে অক্সিজেন এবং কার্বনডাই অক্সাইড নামে দুটি গ্যাস পাওয়া যায় যা প্রাণিজগতের জন্য বিশেষ ভাবে আবশ্যিক। তাই এই দুটি গ্যাসের ভারসাম্য বজায় রাখাও জরুরি। প্রকৃতিতে উদ্ভিদ তার সালোকসংশ্লেষন পক্রিয়ার সময় কার্বনডাই অক্সাইড গ্রহণ করে এবং অক্সিজেন নির্গত করে আবার প্রাণীরা শ্বাস নেওয়ার সময় সবসময় অক্সিজেন গ্রহণ করে কার্বনডাই অক্সাইড গ্যাস ত্যাগ। আবার পৃথিবীতে সকল প্রাণী ও উদ্ভিদ দেহ কার্বন থেকে সৃষ্টি হয়েছে ফলে যখন প্রাণী বা উদ্ভিদ দেহ মাটিতে মিশে যায় তখন প্রকৃতিতে কার্বন মুক্ত হয়ে যায়। এই ভাবে প্রাণী ও উদ্ভিদের মধ্যে দিয়ে প্রকৃতিতে কার্বনডাই অক্সাইড এবং অক্সিজেন গ্যাসের ভারসাম্য বজায় থাকে।
(৫) গ্রিনহাউজ প্রভাব কী? বৈশ্বিক উষ্ণায়নকে কীভাবে এর সাহায্যে ব্যাখ্যা করা যায় ?
উত্তর : পৃথিবীর চারিদিকে ঘিরে থাকা বায়ুমণ্ডলে কার্বনডাই অক্সাইড গ্যাসের পরিমান বেড়ে যাওয়ার দরুন আমাদের পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে একেই মূলভাবে গ্রিনহাউস এফেক্ট বলে। মানুষের তৈরি বিভিন্ন কলকারখানার যন্ত্রপাতি ও যানবাহনের ইঞ্জিনের ধোয়া থেকে আমাদের পরিবেশে বা বায়ুস্তরে কার্বনডাই অক্সাইড ও মিথেন গ্যাসের পরিমান ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে এর ফলস্বরূপ সূর্য থেকে আগত আলোকরশ্মির বেশিরভাগ অংশ পৃথিবী থেকে প্রতিফলিত হয়ে মহাকাশে ফিরে না গিয়ে পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে এই গ্যাসগুলোর মধ্যেই আবদ্ধ হয়ে যাচ্ছ। এই ভাবে দীর্ঘসময় ধরে সূর্যের তাপ জমতে জমতে আমাদের পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সমগ্র প্রক্রিয়াটি অনেকটা কৃষিকাজে ব্যাবহৃত গ্রিনহাউসের মতো ফলে পৃথিবীর এই ক্রমবর্ধমান উষ্ণতা বৃদ্ধিকে গ্রিনহাউস এফেক্ট বলা হয়।
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :
(১) বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরটি প্রায় বায়ু শূন্য?
(ক) ট্রপোমণ্ডল
(খ) স্ট্রাটোমণ্ডল
(গ) মেসোমণ্ডল
(ঘ) তাপমণ্ডল
উত্তর :
(ঘ) তাপমণ্ডল
(২) আবহাওয়া ও জলবায়ুর ক্ষেত্রে-
(i) একই দেশের বিভিন্ন স্থানে একই দিনে আবহাওয়া ভিন্ন হতে পারে
(ii) বাংলাদেশ ও পশ্চিম বঙ্গের জলবায়ু প্রায় একই
(iii) আবহাওয়া ও জলবায়ুর উপাদান ভিন্ন
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) i
(খ) ii
(গ) i ও ii
(ঘ) ii ও iii
উত্তর :
(খ) ii
উদ্দীপকটি লক্ষ্য কর এবং ৩ ও ৪ নং প্রশ্নের উত্তর পাও
(৩) উদ্দীপকের T স্তরে থাকে –
(i) অক্সিজেন ও নাইট্রোজেন
(ii) কার্বন ডাইঅক্সাইড ও ধূলিকণা
(iii) জীয়বাক্স ও ওজোন গ্যাস
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) i ও ii
(খ) i ও iii
(গ) ii ও iii
(ঘ) i, ii ও iii
উত্তর :
(গ) ii ও iii
(৪) S স্থানে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে ঐ স্থানের-
(i) বায়ুর চাপ বাড়বে
(ii) বায়ু হালকা হবে
(iii) বায়ুর চাপ কমবে
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) i ও ii
(খ) i ও iii
(গ) ii ও iii
(ঘ) i, ii ও iii
উত্তর :
(গ) ii ও iii
সৃজনশীল প্রশ্ন :
(ক) ভূগর্ভস্থ পানি কী? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : মাটির গভীরে সঞ্চিত জলকে ভূতল জল বলা হয়। এই জল পানীয়ের জন্য উপযোগী হয় এবং মানুষ দৈনিন্দন কাজের জন্য এই জলের ওপর নির্ভরশীল। মানুষের এবং উদ্ভিদের বেঁচে থাকার জন্য এই জলের গুরুপ্ত অপরিসীম। নদী গভীরের ভূগর্ভের ফাটল, বৃষ্টির জল মাটি দ্বারা শোষিত হয়ে ভূগর্বের ভূগর্ভের জলের যোগান বজায় থাকে।
(খ) স্ট্রাটোমণ্ডল কেন জীব জগতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বর্ণনা কর ।
উত্তর : স্ট্রাটোমণ্ডল জীবজগৎকে সূর্যের ক্ষতিকারক তেজস্ক্রিয় অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করে। বায়ুমণ্ডলের এই স্তরে ওজন নামক একধরণের গ্যাস উপস্থিত আছে সূর্যের এই রশ্মিগুলোকে প্রতিফলিত করে দিয়ে জীবজগৎকে বিপদের হাত থেকে রক্ষা করে। এই স্তরের কারণে মহাকাশের বিভিন্ন ক্ষতিকারক কণা বায়ুমণ্ডলেই ধ্বংস হয়ে যায়। তাই স্ট্রাটোমণ্ডল জীবজগতের জন্য খুবই গুরুপ্ত পূর্ণ।
(গ) Y ও Z কিভাবে পরিবেশে কার্বন ডাইঅক্সাইড ও অক্সিজেনের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে। ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের সর্বনিম্ন স্তরে অর্থাৎ ট্রপোমন্ডলে অক্সিজেন এবং কার্বনডাই অক্সাইড নামে দুটি গ্যাস পাওয়া যায় যা প্রাণিজগতের জন্য বিশেষ ভাবে আবশ্যিক। তাই এই দুটি গ্যাসের ভারসাম্য বজায় রাখাও জরুরি। প্রকৃতিতে উদ্ভিদ তার সালোকসংশ্লেষন পক্রিয়ার সময় কার্বনডাই অক্সাইড গ্রহণ করে এবং অক্সিজেন নির্গত করে আবার প্রাণীরা শ্বাস নেওয়ার সময় সবসময় অক্সিজেন গ্রহণ করে কার্বনডাই অক্সাইড গ্যাস ত্যাগ। আবার পৃথিবীতে সকল প্রাণী ও উদ্ভিদ দেহ কার্বন থেকে সৃষ্টি হয়েছে ফলে যখন প্রাণী বা উদ্ভিদ দেহ মাটিতে মিশে যায় তখন প্রকৃতিতে কার্বন মুক্ত হয়ে যায়। এই ভাবে প্রাণী ও উদ্ভিদের মধ্যে দিয়ে প্রকৃতিতে কার্বনডাই অক্সাইড এবং অক্সিজেন গ্যাসের ভারসাম্য বজায় থাকে।
(ঘ) Z থেকে নির্গত গ্যাসটির পরিমাণ অধিক বেড়ে গেলে পরিবেশে কী বিপর্যয় ঘটবে তা যুক্তিসহ ব্যাখ্যা
উত্তর : Z থেকে নির্গত গ্যাস অর্থাৎ কার্বনডাই অক্সাইডের পরিমাণ অধিক বেড়ে গেলে আমাদের পরিবেশের বায়ুমণ্ডল দূষিত হয় এবং পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। কার্বনডাই অক্সাইড গ্যাসে সূর্যের তাপকে শোষণ করে আমাদের পৃথিবীতে আবদ্ধ করে রাখে ফলে আমাদের পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। কার্বনডাই অক্সাইড আমাদের বায়ু মন্ডলের দূষণের সৃষ্টি করতে পরোক্ষ ও প্রতক্ষ ভাবে সহায়তা করে। এই গ্যাসের ফলে আমাদের পৃথিবীর পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়।
(২) নিচের প্রোকে ঢাকার কোনো এক বছরের (জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর) সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দেখানো হলো।
(ক) আবহাওয়ার প্রধান উপাদান কী?
উত্তর : আবহাওয়ার উপাদান বলতে তাপমাত্রা, আদ্রতা, বৃষ্টিপাত, হওয়াতে জলীয়বাষ্পের পরিমান, মেঘের পরিমান ও প্রকৃতি, ইত্যাদিকে বোঝায়। কোনো স্থানের আবহাওয়া বলতে সেই স্থানের তাপমাত্রা, হাওয়ার গতি, সর্বোচ্চ-সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, আদ্রতা, বৃষ্টিপাতের গতি প্রকৃতিকে বোঝায়।
(খ) মার্চ মাসে বাংলাদেশে আবহাওয়া আরামদায়ক থাকে কেন?
উত্তর : মার্চ মাসে শীতের শেষ এবং গরমের শুরু তাই এই সময় বাংলাদেশের আবহাওয়া খুব আরামদায়ক হয়। এই সময় বাংলাদেশে শীতকালের ঠান্ডা শেষ হয়ে গরমের প্রবেশ ঘটে ফলে এই সময় জলবায়ু হয় নাতিশীতোষ্ণ। বগলা দেশে এই সময় বৃষ্টিপাতও সেভাবে হয় না ফলে পরিবেশ হতে ওঠে মনোরম।
More Chapters Solutions :