NCTB Class 7 Science Bengali Version Chapter 5 পরিপাকতন্ত্র এবং রক্ত সংবহনতন্ত্র Solution

NCTB Class 7 Science Bengali Version Chapter 5 পরিপাকতন্ত্র এবং রক্ত সংবহনতন্ত্র Solution

Bangladesh Board Class 7 Science Solution Chapter 5 পরিপাকতন্ত্র এবং রক্ত সংবহনতন্ত্র Solution  Exercises Question and Answer by Experienced Teacher.এখানে বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (NCTB) কর্তৃক প্রকাশিত বিজ্ঞান বইয়ের পঞ্চম অধ্যায় পরিপাকতন্ত্র এবং রক্ত সংবহনতন্ত্র অনুশীলনের সমস্ত সমাধান দেওয়া হয়েছে।

NCTB Solution Class 7 Chapter 5 পরিপাকতন্ত্র এবং রক্ত সংবহনতন্ত্র :

Board NCTB Bangladesh Board
Class 7
Subject Science
Chapter Five  
Chapter Name পরিপাকতন্ত্র এবং রক্ত সংবহনতন্ত্র

পরিপাকতন্ত্র এবং রক্ত সংবহনতন্ত্র অনুশীলনী প্রশ্ন এবং উত্তর :

NCTB Class 7 Science Bengali Version Chapter 5 পরিপাকতন্ত্র এবং রক্ত সংবহনতন্ত্র Solution

শূন্যস্থান পুরণ কর :

(১) এনজাইম ___ সাহায্য কর।

(২) ___ জাতীয় খাদ্য পরিপাক হয়ে অ্যামাইনো এসিডে পরিণত হয়।

(৩) লোহিত কণিকায় ___ নামক এক প্রকার পদার্থ থাকে।

(8) ___ রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।

(৫) ___ কণিকা দেহে প্রবীর মতো কাজ করে।

উত্তর :

(১) এনজাইম পরিপাকে সাহায্য কর।

(২) প্রোটিন জাতীয় খাদ্য পরিপাক হয়ে অ্যামাইনো এসিডে পরিণত হয়।

(৩) লোহিত কণিকায় হিমোগ্লোবিন নামক এক প্রকার পদার্থ থাকে।

(8) অনুচক্রিকা রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।

(৫) শ্বেত কণিকা দেহে প্রবীর মতো কাজ করে।

সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন :

(১) পরিপাক হওয়া খাদ্য কোথায়, কীভাবে, শোষিত হয়?

উত্তর :পরিপাক হওয়া খাদ্য থেকে সব পুষ্টি রস দেহের বিভিন্ন অঙ্গের কোষে শোষিত হয় এবং বাকি অংশ বর্জ পদার্থ হিসেবে দেহের মলদ্বার দিয়ে শরীরের বাইরে বেরিয়ে যায়। পরিপাক হওয়া খাদ্য শোষিত হওয়ার প্রক্রিয়াটি নিম্নে আলোচনা করা হলো। খাদ্য মুখগহ্বর দিয়ে আমাদের পরিপাকতন্ত্রের পাকস্থলীতে জমা হয়। এবং সেখানে বিভিন্ন গ্রন্থি থেকে খাদ্যরস নির্গত হয়।  এই খাদ্যরস গুলি বিভিন্ন রাসায়নিক পক্রিয়ার মাধ্যমে সেই খাদ্য থেকে পুষ্টিরস সংগ্রহ করে এবং বিভিন্ন বাহকের মাধ্যমে যেমন রক্ত, ভিলাই  ইত্যাদির সাহার্য্যে দেহের কোষে পাঠিয়ে দেয়। এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হওয়ার পর সেই খাবারের বর্জিত অংশকে পরিপাকতন্ত্রের বিভিন্ন অংশ যেমন বৃহদান্ত্র, অগ্ন্যাশয়, মলদ্বার ইত্যাদির মাধ্যমে দেহের বাইরে নির্গত করা হয়।

(২) দাঁত পরিষ্কার রাখার প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : খাদ্যকে ভালো করে না চিবিয়ে খেলে আমাদের পরিপাকতন্ত্রে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। আর এই খাদ্যকে ভালো করে চিবিয়ে টুকরো টুকরো করতে দাঁতের ভূমিকা অনস্বীকার্য। খাবারের বড়ো টুকরোগুলোকে বা খাবারের দানাগুলোকে ভালো করে চিবোনোর জন্য আমরা দাঁতকে ব্যবহার করি। খাবার চিবোনোর সময় খাবারের বিভিন্ন অংশগুলি দাঁতের  বিভিন্ন অংশে ও ফাকাতে আটকে থাকে। তাই আমাদের প্রত্যেকের দাঁতকে ভালো করে পরিষ্কার করা উচিত। নাহলে আমাদের দাঁতে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেবে। যেমন  –

(১) দাঁত ভালো করে পরিষ্কার না করলে দাঁতে লেগে থাকা খাবারগুলি দাঁতের ক্ষয় করবে। তাই দীর্ঘদিন দাঁত পরিষ্কার না করলে আমাদের দাঁত গুলি নষ্ট হয়ে খুলে পড়বে। এই ঘটনাকে আমরা সাধারণ ভাষায়  দাঁতে পোকা লাগা বলি।

(২) দাঁতে লেগে থাকা খাবার পরিষ্কার না করলে তার থেকে ব্যাপক দুর্গন্ধ সৃষ্টি হবে।

(৩) দাঁতে নোংরা জমে থাকলে দাঁত বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হয় যা দাঁতকে দুর্বল করে।

(৪) সব খাদ্য যেহেতু আমাদের মুখ থেকে খাদ্যথলিতে পৌঁছয় তাই দাঁত অপরিষ্কার থাকলে সেই সব নোংরা পরের খাদ্যের সঙ্গে মিশে আমাদের পেটে যাবে এবং পরিপাকে ব্যাঘাত ঘটাবে।

(৫) দাঁত পরিষ্কার না করলে সেখানে লেগে থাকা বা ভিন্ন জীবাণু শরীরে বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি করবে।

এই সকল কারণের জন্য আমাদের প্রত্যেককে সকালে খাবারের আগে ও রাতে খাবারের পরে ভালো করে দাঁতকে পরিষ্কার করতে হবে। দাঁত অপরিষ্কার থাকলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিবে।

(৩) মুখ দিয়ে পাকশিতে কীভাবে খাদ্য বার বর্ণনা কর ।

উত্তর : মানব শরীরে খাদ্য মুখ থেকে বিভিন্ন অঙ্গের সহায়তায় পাকস্থলীতে পৌঁছয় এবং আমাদের দেহের পরিপাক কার্যকে সম্পন্ন করে। মানুষ যে কোনো খাদ্যকে প্রথমে তার মুখে প্রেরণ করে।  এর পরে সেই খাদ্য মুখের বিভিন্ন অংশ যেমন জিহ্ববা, দাঁত, ও স্যালাইভার সাহার্য্যে গলাতে উপস্থিত গলবিলের সহায়তায় খাদ্যনালিতে প্রবেশ করে। এই খাদ্যনালিতে খাবার গুলি প্রবেশ করার আগে মুখের ভেতরে অংশগুলোর সাহার্য্যে ক্ষুদ্র হয়ে যায়। এরপর খাদ্যনালী দিয়ে এই খাদ্য গুলি পাকস্থলীতে প্রবেশ করে। এরপর এই পাকস্থলীতে বিভিন্ন পক্রিয়ার মাধ্যমে খাদ্যগুলি মানব দেহে শোষিত হয়ে যায়।

(৪) তোমার দেহে রক্তকণিকার প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : আমাদের দেহের ভেতরে উপস্থিত লাল বর্ণের যে বিশেষ তরল আছে তাকেই সরল ভাষায় রক্ত বলে। আমাদের রক্তে প্রধান দুটি উপাদান হলো রক্তরস ও রক্তকণিকা। রক্তকণিকা রক্তরসে ভাসমান অবস্থায় বিদ্যমান থাকে। এই রক্তকণিকা আবার তিন ধরণের যথা (১) লোহিত রক্তকণিকা (২) শ্বেত রক্তকণিকা এবং (৩) অনুচক্রিকা। আমাদের দেহে এই সকল রক্ত কণিকার প্রয়োজনীতা ব্যাপক। কারণ, আমাদের দেহে খাদ্য, পুষ্টি, শক্তি, অক্সিজেন ও বাকি সব উপাদান রক্তের এই কণিকা গুলোর সাহার্য্যে তাদের সঠিক গন্তব্যে বাহিত হয়। নিম্নে এই কণিকাগুলোর আলাদা আলাদা প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করা হলো –

(১)  লোহিত রক্তকণিকা : আমাদের রক্তে এই কণিকার উপস্থিতির জন্যই রক্তের রং লাল হয়েছে। এই কণিকার সাহার্য্যে অক্সিজেন আমাদের দেহের সকল অঙ্গে পৌঁছতে পারে।

(২) শ্বেত রক্তকণিকা : এই রক্তকণিকা আমাদের দেহের রক্ষক হিসেবে কাজ করে। যে কোনো রোগজীবাণু আমাদের দেহে প্রবেশ করলে রক্তের এই কণিকা গুলি সেই সব জীবাণুকে ধ্বংস করার কাজ করে।

(৩) অনুচক্রিকা : আমাদের দেহের কোনো অংশ কেটে গিয়ে সেখান থেকে রক্ত নির্গত হলে সেখানে রক্তকে জমাট বাধিয়ে রক্তকে বের হওয়া থেকে আটকায় এই অনুচক্রিকা।

(৫) রক্তনালি আমাদের দেহে কী কাজ করে?

উত্তর : আমাদের দেহের যে নালীগুলি দিয়ে রক্ত প্রবাহিত হয়, তাকেই রক্তনালী বলে।  আমাদের দেহের রক্তনালী গুলোকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায় যেমন – (১) ধমনী, (২) শিরা  এবং (৩) কৌশিকনালী। নিম্নে এই রক্তনালী গুলির কাজ সম্পর্কে আলচনা করা হলো –

(১) ধমনী : এই রক্তনালী গুলো হৃদপিন্ড থেকে উৎপন্ন হয়। তাই এই রক্তনালী গুলো অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তকে বহন করে দেহের বিভিন্ন অংশে পৌঁছে দেয়।

(২) শিরা : এই রক্তনালী গুলো দেহের বিভিন্ন অংশ থেকে দূষিত রক্তকে পুনরায় আমাদের হৃদপিন্ডে নিয়ে আসে। এই রক্তনালী গুলো কার্বনডাই অক্সাইড যুক্ত রক্তকে বহন করে  .

(৩) কৌশিকনালী : এই রক্তনালীগুলি থেকেই শিরা রক্তনালী গুলো উৎপন্ন হয়। এই রক্তনালী গুলো মানব দেহের চারদিক থেকে বেষ্টিত করে রাখে এবং প্রয়োজন অনুসারে নতুন নতুন শিরানালী তৈরী করে।

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :

(১)  দেহের সবচেয়ে বড় গ্রন্থি কোনটি?

(ক) অগ্নাশয়

(খ) আফ্রিক প্রি

(গ) গ্যাস্ট্রিক গ্রন্থি

(ঘ) যকৃৎ 

উত্তর :

(ঘ) যকৃৎ

(২) লালায় থাকে কোনটি?

(ক) টায়ালিন ও পানি

(খ) ট্রিপসিন ও পানি

(গ) লাইপেজ ও পানি

(ঘ) অ্যামাইলেজ ও পানি

উত্তর :

(ক) টায়ালিন ও পানি

উদ্দীপকটি লক্ষ কর এবং ৩, ৪ ও ৫ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:

(৩) নিউক্লিয়াস অনুপস্থিত থাকে

(i) M, N

(ii) N, O

(iii) O, M

নিচের কোনটি সঠিক?

(ক) i

(খ) ii

(গ) i ii

(ঘ) i iii

উত্তর :

(i) M, N

(8) P চিহ্নিত অংশটির কাজ হচ্ছে-

(i) খাদ্যসার বহন করা

(ii) প্রহরী হিসেবে কাজ করা

(iii) বর্জ্য নির্গমনে সহায়তা করা

নিচের কোনটি সঠিক?

(ক) i ii

(খ) i iii

(গ) ii ii

(ঘ) i, ii iii

উত্তর :

(খ) i ও iii

(৫) কোনটি রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।

(ক) M

(খ) N

(গ) O

(ঘ) P

উত্তর :

(গ) O

সৃজনশীল প্রশ্ন :

(১) (ক) ভিলাই কী

উত্তর : ক্ষুদ্রান্তের শেষ অংশ অর্থাৎ ইলিয়ামের ভেতরের প্রাচীরে বিশেষ শোষণ যন্ত্র থাকে এই শোষণ কার্যকে সম্পন্ন করার জন্য ইলিয়ামের প্রাচীরগোত্রে কতগুলো আঙুলের মতো প্রক্ষেপিত অংশ থাকে এদেরকেই ভিলাই বলে। খাদ্যের পরিপাক সম্পন্ন হওয়ার পর খাদ্যের সব পুষ্টিরস এই  ভিলাই দ্বারা শোষিত হয়।

(খ) খাওয়ার পর দাঁত ব্রাশ করা উচিত কেন? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : আমরা যে কোনো খাদ্যকেই আমাদের দাঁতের সাহার্য্যে চিবোই যাতে খাদ্যকে ভালো করে টুকরো করতে পারি। তাই খাবার খাওয়ার পর আমাদের দাঁতে খাবারের অবশিষ্ট আটকে থাকে। এই অবশিষ্ট অংশ গুলিকে ভালো করে পরিষ্কার না করলে দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা ও রোগ হবে। এই রোগগুলো থেকে মুক্ত থাকার জন্য আমাদের ভালো করে দাঁত পরিষ্কার করা প্রয়োজন। দাঁতের মধ্যে আটকে থাকা খাবারের টুকরো গুলোতে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টি হতে পারে এরফলে মুখ থেকে দুর্গন্ধ এবং দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। দাঁতের মধ্যে ক্ষয় থেকে দাঁত দুর্বল হয়ে নষ্ট হওয়া শুরু হয়। দাঁতের জন্যই আমরা যে কোনো খাবারকে খেতে পারি তাই দাঁতের যত্ন নেওয়া আমাদের কর্তব্য। আর এই কারণেই আমরা খাবার খাওয়ার পর ব্রাশ করে থাকি।

(ঘ) Z অংশটি ক্ষতি হলে মানবদেহে কী ধরনের সমস্যা দেখা দিবে? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : Z অংশটি অর্থাৎ যকৃত মানব দেহের সবচেয়ে বড়ো গ্রন্থি এটি। এই গ্রন্থিটি পিত্তরস তৈরী করে। খাবারকে হজম করার জন্য এই পিত্তরসের বিশেষ ভাবে প্রয়োজন হয়। কারণ এই পিত্তরসের সাহার্য্যেই মেদ বা চর্বি জাতীয় খাদ্যকে আমরা হজম করতে পারি। তাই শরীরে এই অংশটি না থাকলে শরীরের এই কাজগুলি সম্পন্ন হবে না এবং শরীরের স্বাভাবিক কাজ ব্যাহত হবে।

(২) (ক) পেরিকার্ডিয়াম কী?

উত্তর : হৃদপিণ্ডের উপরে যে তড়লাবৃত একটি স্তর যা হৃদপিন্ডকে আবৃত করে থাকে। এই স্তরটিকেই  পেরিকার্ডিয়াম বলে।

(খ) লাইপেজ বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : লাইপেজ হলো একটি উৎসেচক। লাইপেজ অগ্ন্যাশয় দ্বারা নিঃসৃত হয়। লাইপেজের কাজ হলো হলো চর্বি জাতীয় খাদ্য গুলোকে বিভক্ত করা। এই উৎসেচকটির জন্যই আমাদের পরিপাকতন্ত্র মেদ বা চর্বি জাতীয় খাদ্যকে শোষণ করতে পারে। কারণ লাইপেজ চর্বিকে বিভক্ত  করে তাদের মূল  উপাদান অর্থাৎ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং গ্লিসারল অণুতে পরিনত করে।

(গ) উদ্দীপকে তীর চিহ্নিত পথে কীভাবে রক্ত সঞ্চালিত হয় ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : আমাদের শরীরে হৃদপিণ্ডের মুখ্য কাজ হলো দেহের সর্বত্র রক্তসঞ্চালন করা। আমাদের হৃদপিন্ডটি ভেতর থেকে বিভিন্ন প্রকোষ্ঠে বিভক্ত থাকে। প্রদপ্ত চিত্রে তীরচিহ্নের সাহার্য্যে এই প্রকোষ্ঠ গুলির মধ্যে দিয়ে রক্ত সঞ্চালনের বিভিন্ন পথকে দেখানো হয়েছে। আমাদের হৃদপিন্ডটি চারটি প্রকোষ্ঠে বিভক্ত যথা – ডান অলিন্দ  ও বাম অলিন্দ এবং ডান নিলয় ওবাম নিলয়। এই প্রকোষ্ঠ গুলি আবার কতগুলি শিরা ও ধমনীর  সাহার্য্যে যুক্ত থাকে। আমাদের হৃদপিন্ড যখন সংকোচন হয় তখন হৃদপিন্ড থেকে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত ধমনী পথে দেহের বিভিন্ন অঙ্গে সঞ্চালিত হয় আবার যখন আমাদের হৃদপিন্ডটি প্রসারিত হয় তখন দেহের বিভিন্ন অঙ্গ থেকে শিরার মাধ্যমে কার্বনডাই অক্সাইড যুক্ত রক্ত আমাদের হৃদপিণ্ডে ফিরে আসে। এই ভাবে অনবরত আমাদের হৃদপিন্ডটি সঞ্চালন ও প্রসারণের মাধ্যমে দেহের মধ্যে রক্তকে প্রবাহিত করে চলেছে।

(ঘ) উদ্দীপকের অঙ্গটি সুস্থ রাখার জন্য আমাদের কেন সর্তকতা অবলম্বন করা উচিত, তা যুক্তিসহ লেখ।

উত্তর : উদ্দীপকের অঙ্গটি অর্থাৎ হৃদপিন্ডক আমাদের শরীরের অত্যন্ত একটি গুরুপ্তপূর্ণ অঙ্গ। এই অঙ্গটির জন্যই আমাদের শরীরে রক্ত প্রবাহিত হতে পারে এবং সমস্ত শরীরিক কাজকর্মকে আমরা সুষ্ঠ ভাবে সম্পূর্ণ করতে পারি। হৃদপিন্ডকে সুস্থ রাখা খুব প্রয়োজন। আমাদের হৃদপিন্ড যত সুস্থ থাকবে আমাদের শরীরও ততো সুস্থ থাকবে। হৃদপিণ্ডের সবচেয়ে বড়ো শত্রু হলো হৃদরোগ। আমরা বিভিন্ন কাজকর্ম ও সাবধানতা অবলম্বন করে আমাদের হৃদপিন্ডকে সুস্থ রাখতে পারি। নিম্নে এই নিয়ে আলোচনা করা হলো –

হৃদপিন্ডকে সুস্থ রাখার বিভিন্ন উপায় : 

(১) হৃদপিন্ডকে সুস্থ রাখার জন্য আমাদের প্রতিদিন শরীরচর্চা করতে হবে।

(২) আমাদের দৈনিক খাদ্য তালিকা থেকে অধিক শর্করা যুক্ত ও মেদ বা চর্বি যুক্ত খাবার বাদ দিতে হবে।

(৩) বেশি করে সুষম খাবার অর্থাৎ প্রোটিন, ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন মাছ, ডিমের সাদা অংশ, সবুজ শাকসবজি ইত্যাদি খেতে হবে।

(৪) দৈনিক জীবনের মানসিক চিন্তা, চাপ,ও অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম থেকে বিরত থাকতে হবে।

(৫) আমাদের দেহের ও উচ্চতার সাথে দেহের ওজনের সামঞ্জস্যতা রাখতে হবে।

(৬) উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টি হবে এমন পরিস্থিকে এড়িয়ে চলতে হবে।

(৭) দৈনিন্দন খাদ্যের সাথে সতেজ ফলমূল খেতে হবে।

(৮) রাতে অধিক প্রোটিন যুক্ত খাবার খাওয়া বন্ধ করতে হবে।

(৯) বাড়ির বাইরের খাবার যেমন ফাস্টফুড খাওয়া বন্ধ করতে হবে। কারণ এই খাবার গুলিতে প্রচুর পরিমানে পামঅয়েল থাকে যা হৃদপিণ্ডের জন্য অত্যন্ত হানিকারক।

 

More Chapters Solutions :  

Updated: October 7, 2023 — 5:13 am

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *