NCTB Class 7 Science Bengali Version Chapter 12 সৌরজগত ও আমাদের পৃথিবী Solution

NCTB Class 7 Science Bengali Version Chapter 12 সৌরজগত ও আমাদের পৃথিবী Solution

Bangladesh Board Class 7 Science Solution Chapter 12 সৌরজগত ও আমাদের পৃথিবী Solution Exercises Question and Answer by Experienced Teacher.এখানে বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (NCTB) কর্তৃক প্রকাশিত বিজ্ঞান বইয়ের দ্বাদশ অধ্যায় সৌরজগত ও আমাদের পৃথিবী অনুশীলনের সমস্ত সমাধান দেওয়া হয়েছে।

NCTB Solution Class 7 Chapter 12 সৌরজগত ও আমাদের পৃথিবী :

Board NCTB Bangladesh Board
Class 7
Subject Science
Chapter Twelve  
Chapter Name সৌরজগত ও আমাদের পৃথিবী

সৌরজগত ও আমাদের পৃথিবী অনুশীলনী প্রশ্ন এবং উত্তর :

NCTB Class 7 Science Bengali Version Chapter 12 সৌরজগত ও আমাদের পৃথিবী Solution

শূন্যস্থান পূরণ কর :

(১) সূর্য মাঝারি আকারের একটি ___

(২) সূর্যকে কেন্দ্র করে ___গ্রহ ঘুরছে।

(৩) চাঁদ পৃথিবীর একমাত্র ___ উপগ্রহ।

(৪) আমরা পৃথিবীর ___অবস্থান করি।

(৫) ___বলের প্রভাবে আমরা পৃথিবী থেকে ছিটকে পড়ে যাই না।

উত্তর :

(১) সূর্য মাঝারি আকারের একটি নক্ষত্র।

(২) সূর্যকে কেন্দ্র করে সকল গ্রহ ঘুরছে।

(৩) চাঁদ পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহ।

(৪) আমরা পৃথিবীর পৃষ্ঠে অবস্থান করি।

(৫) অভিকর্ষ বলের প্রভাবে আমরা পৃথিবী থেকে ছিটকে পড়ে যাই না।

সংক্ষেপে উত্তর দাও :

(১) কেন আগে মানুষ মনে করত যে, সূর্য পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘোরে ?

উত্তর : আমাদের পৃথিবী সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে সাথে সাথে নিজের অক্ষের চারিদিকেও ঘুরে। কিন্তু আগেকার মানুষ মনে করতো এর উল্টো অর্থাৎ পৃথিবী স্থির এবং বাকি সবকিছু পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এর কারণ হলো, আগেরকার লোকেরা প্রত্যেকদিন সূর্যকে পূর্ব আকাশে উঠতে এবং সন্ধ্যায় পশ্চিম আকাশে ডুবে যেতে দেখাতো তাই তারা মনে করতো পৃথিবী স্থির এবং সূর্য ঘুরছে। পৃথিবী সূর্যকে প্রদক্ষিণ করার সাথে সাথে নিজের চারিদিকেও ঘুরে ফলে পৃথিবীর মধ্যে অবস্থিত সকল বস্তূও একই সাথে নিজেদের চারিদিকে ঘুরছে তাই আমরা পৃথিবীর প্রদক্ষিণকে অনুভব করতে পারি না। এই সকল কারণের জন্যই আগেকার লোক মনে করতো যে সূর্য পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে।

(২) কোন কোন বিজ্ঞানী পৃথিবীকেন্দ্রিক মডেলের কথা বলেছেন ?

উত্তর : ২০০০ বছর আগে জোতিষবিজ্ঞানী অ্যারিস্টটল এবং টলেমী পৃথিবীকেন্দ্রিক মডেলের কথা বলেছিলেন। তার মত ছিল পৃথিবী স্থির এবং সূর্য ও  বাকি সবকিছু পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘুরছে।

(৩) সূর্যসহ অন্যান্য নক্ষত্র কীভাবে তাপ ও আলো উৎপন্ন করে চলেছে তা, ব্যাখ্যা কর ।

উত্তর : আমাদের মহাবিশ্বে শুধুমাত্র নক্ষত্ররারাই আলো ও তাপ উৎপন্ন করতে পারে। কারো নক্ষত্রগুলো হলো বড়ো বড়ো সব গ্যাসীয় পিন্ড। এদের ভেতরে থাকে হাইড্রোজেন গ্যাস। হাইড্রোজেন গ্যাসের পরমাণু পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে হিলিয়াম অণুতে পরিণত হয়। এই পক্রিয়ার ফলে নক্ষত্র গুলোতে প্রচুর পরিমানে তাপ ও আলো সৃষ্টি হয়। যেমন আমাদের সৌরমণ্ডল সূর্য একটি নক্ষত্র। এই নক্ষত্র গুলো থেকে উৎপন্ন আলো ও তাপের জন্যই মহাবিশ্বের গ্রহ ও উপগ্রহ গুলি আলোকিত হয় এবং উত্তাপ পায়।

(৪) ধুমকেতু কী? এদের লেজ কীভাবে সৃষ্টি হয়? একটি পরিচিত ধূমকেতুর উদাহরণ দাও ।

উত্তর :

আমাদের সৌরজগতে নক্ষত্র, গ্রহ এবং উপগ্রহ বাদেও অনেক ছোট, বড়ো শিলা ও ইস্পাত, বরফ, গ্যাসীয় পদার্থ ইত্যাদি দিয়ে তৈরী অনেক বস্তূ আছে এগুলিকেই ধূমকেতু বলা হয়।

বিভিন্ন ঘুমকেতু মহাআকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অনেক সময় এই ধূমকেতুগুলি চলতে চলতে সূর্যের সামনে চলে আসে এবং সূর্যের প্রবল তাপের কারণে এই ধূমকেতুগুলিতে থাকা বরফ, জল ইত্যাদি বাষ্পীভূত হয়ে ধুমকেতুর পেছনে লেজের সৃষ্টি করে।

আমাদের পরিচিত একটি ধূমকেতুর নাম হলো হ্যালির।

(৫) একটি উপমা ব্যবহার করে পৃথিবীর দুই ধরনের গতি ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : আমাদের পৃথিবী সূর্যকে ৩৬৫ দিনে একবার প্রদক্ষিন করে একে পৃথিবীর বার্ষিক গতি বলে। এই গতির জন্য আমাদের পৃথিবীতে ঋতুবৈচিত্র দেখা যায়। যেমন – শীতকাল ও গ্রীষ্মকাল।

সূর্যকে প্রদক্ষিণ করার সাথে সাথে আমাদের পৃথিবী নিজের অক্ষের চারিদিকেও প্রদক্ষিণ এই প্রদক্ষিণ সম্পন্ন করতে পৃথিবীর সময় লাগে ২৪ ঘন্টা। পৃথিবীর এই গতিকে আহ্নিক গতি বলে। প্রথিবীর এই গতির ফলেই দিন ও রাত্রি পরিলক্ষিত হয়।

(৬) দিন-রাত কীভাবে হয় তা একটি পরীৰার মাধ্যমে দেখাও।

উত্তর :

আমাদের পৃথিবীর নিজের চারিদিকে ২৪ ঘন্টায় একবার প্রদক্ষিণ করে একে পৃথিবীর আহ্নিক গতি বলে  পৃথিবীর গতির কারণে দিন ও রাতের প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়। কারণ পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূর্বের দিকে ২৪ ঘন্টায় একবার প্রদক্ষিণ করে তাই আমরা সূর্যকে পূর্ব দিক থেকে উঠে এবং পশ্চিম দিকে অস্ত যায়। একটি ছোট্ট পরীক্ষার মাধমে আমরা এই ঘটনাটি প্রমান করতে পারি।

দিন-রাত্রি পরীক্ষা : 

প্রথমে একটি অন্ধকার ঘরে একটি মোমবাটিকে প্রজ্জলিত করো তারপর একটি গোলাকার বল বা পৃথিবীর ন্যায় গোলক নাও। এরপরে মোমবাতি ও গোলকটিকে সামনে সামনি নিয়ে আসতে হবে। এরপর মোমবাতিটিকে স্থির রেখে গোলকটিকে নিজের অক্ষের চারিদিকে আসতে আসতে ঘোরাতে থাকো। এর ফলে দেখা যাচ্ছে যে গোলকের যে দিকটা মোমবাতির দিকে মুখ করে আছে সেই দিকটা আলোকিত হয়ে উঠছে এবং গোলকের পেছনের দিকটা অন্ধকার হয়ে আছে। আবার যখন গোলকটিকে ঘোরানো হচ্ছে তখন অন্ধকারাচ্ছন্ন দিকটা আলোকিত দিকে যাচ্ছে এবং আলোকিত দিকটা অন্ধকারাছন্ন দিকে যাচ্ছে। এর থেকে প্রমান হয় যে পৃথিবীর আহ্নিক গতির ফলে দিন ও রাত্রি প্রক্রিয়াটি সংগঠিত হয়। পৃথিবীর ঘূর্ণনের ফলে যে দিকটা সূর্যের  সামনে আসে সে দিকে দিন এবং এর বিপরীত দিকে রাত হয়।

(৭) মানুষের জীবনে ঋতু পরিবর্তনের প্রভাব আলোচনা কর।

উত্তর :

মানুষের জীবনে ঋতুপরিবর্তনের নানান প্রভাব রয়েছে। আমাদের পৃথিবীতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকমের ঋতু লক্ষ করা যায়। আমাদের পৃথিবীতে মোট চারটি প্রধান ঋতু পরিলক্ষিত হয় যথা – বসন্ত, গ্রীষ্ম, শরৎ এবং শীত। আমাদের পৃথিবীর বার্ষিক গতির কারণে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ঋতুর বৈচিত্র দেখা যায়। কারণ আমাদের পৃথিবী সূর্যকে একটি নির্দিষ্ট কক্ষ পথে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। আর এই কক্ষ পথে প্রদক্ষিণ করার সময় পৃথিবী কখনো সূর্যের কাছে আসে আবার কখনো সূর্যের থেকে দূরে সরে যায় এর ফলে পৃথিবীতে ঋতু চক্র দেখা যায়।

মানুষের জীবনে ঋতু পরিবর্তনের প্রভাব :

ঋতু পরিবর্তনের জন্য মানুষের জীবনে নানা পরিবর্তন দেখা যায় যথা – পৃথিবীর বিভিন্ন ঋতুতে বিভিন্ন রকমের ফসল উৎপন্ন হয়। মানুষের খাদ্যাভাসের উপর ঋতুপরিবর্তনের প্রভাব লক্ষ করা যায়। মানুষের পোশাকও ঋতুপরিবর্তনের প্রভাব লক্ষ করা যায়। মানুষ গ্রীষ্ম ঋতুতে হালকা পোশাক পরে এবং শীতকালে ভারী পোশাক পরে। ঋতুপরিবর্তনের প্রভাব শুধু মানুষের সামাজিক কাজকর্মকেই নয় বিভিন্ন ধার্মিক কাজকেও প্রভাবিত করে। বিভিন্ন ঋতুতে মানুষের বিভিন্ন রকমের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। পৃথিবীতে ঋতুচক্রের জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জলবায়ু পরিলক্ষিত হয়। বিভিন্ন জলবায়ুতে মানুষের, সামাজিক, অর্থনৈতিক, ও  জীবনচক্রকে বিভিন্ন ভাবে প্রভাবিত করে।

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :

 (১) কোন গ্রহটি বরফ ও গ্যাস দ্বারা গঠিত?

(ক) বৃহস্পতি

(খ) মঙ্গল

(গ) শনি

(ঘ) ইউরেনাস

উত্তর :

(ঘ) ইউরেনাস

(২) সূর্যের ক্ষেত্রে যে কথাটি প্রযোজ্য তা হলো, এটি

(i) একটি নক্ষত্র

(ii) একটি জলন্ত গ্যাস পিণ্ড

(iii)  সকল গ্রহ ও নক্ষত্রকে আলো দেয়

নিচের কোনটি সঠিক?

(ক) i

(গ) i ii

(খ) ii

(ঘ) i, ii iii

উত্তর :

(গ) i ও ii

নিচের সারণী থেকে ৩ ও ৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও

গ্রহ সূর্য থেকে দূরত্ব (কি. মি.) সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণের সময়
শুক্র ১০.৮০ ২২৫ দিন
পৃথিবী ১৪.৯৬ ৩৬৫ দিন
বৃহস্পতি  ৭৭.৮৫ প্রায় ১২ বছর
শনি ১৪২.৭০ ২৯ ১/২ বছর
ইউরেনাস ২৮৭.১ —–
নেপচুন ৪৪৯.৮ ১৬৫ বছর

 (৩) সারণিতে উল্লেখ করা হয়নি কিন্তু সূর্য থেকে প্রায় ২২.৮ কোটি কি.মি দূরে অবস্থিত গ্রহটির অবস্থান কোথায়?

(ক) পৃথিবী এবং শুক্রের মধ্যখানে

(খ) বৃহস্পতি এবং শনির মধ্যখানে

(গ) শনি এবং নেপচুনের মধ্যখানে

(ঘ) পৃথিবী ও বৃহস্পত্তির মধ্যখানে

উত্তর :

(ঘ) পৃথিবী ও বৃহস্পত্তির মধ্যখানে

(৪) ইউরেনাস সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করতে প্রায় কতো বছর সময় লাগবে –

(ক) ১০ বছর

(গ) ৮০ বছর

(খ) ২৯ বছর

(ঘ) ১৭০ দিন

উত্তর :

(গ) ৮০ বছর

সৃজনশীন প্রশ্ন  :

(১) (ক) আহ্নিক গতি কী?

উত্তর : পৃথিবী প্রত্যেক ২৪ ঘন্টা অন্তর পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে নিজের অক্ষের উপর একবার প্রদক্ষিণ করে, একেই পৃথিবীর আহ্নিক গতি বলে। অর্থাৎ সহজ ভাষায় বললে পৃথিবীর নিজেকে প্রদক্ষিণ করার গতিকেই আহ্নিক গতি বলা হয়।

(খ) জুনের মাঝামাঝি থেকে জুলাইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় কেন?

উত্তর : বাংলাদেশ একটি বৃষ্টি প্রধান দেশ। এখানে জুন ও জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের পরিমান অনেক বেশি থাকে কারণ এই সময় ভারত মহাসাগর থেকে প্রচুর পরিমান জলীয়বাষ্প পূর্ণ আদ্র মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এই জলীয়বাষ্প পূর্ণ বায়ু স্থলভূমিতে প্রবেশ করে বাংলাদেশে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটায়। বাংলাদেশের বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত হয় প্রায় 2500 মিমি । গ্রীষ্মকালীন বর্ষা মৌসুমে বাংলাদেশে বৃষ্টিপাতের প্রধান কারণ বঙ্গোপসাগরে মৌসুমী বায়ুর নিম্নচাপ যা গ্রীষ্মমন্ডলীয় নিম্নচাপ দ্বারা সৃষ্ট হয়। এই সকল কারণের জন্য বাংলাদেশে জুন ও জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ব্যাপক হারে বৃষ্টিপাত হয়। এই বৃষ্টিপাত বাংলাদেশে পশ্চিম অংশে থেকে দেশের উত্তর-পূর্ব অংশে পরিবর্তিত হয়।

(গ) দক্ষিণ পার্ধে সবচেয়ে ছোট রাত ও সবচেয়ে বড় দিন কখন হয় চিত্র থেকে বাখ্যা কর।

উত্তর : দক্ষিণ গোলার্ধে ২১ শে জুন সবচেয়ে বড়ো রাত হয় এবং দক্ষিণ গোলার্ধের সবচেয়ে বড়ো দিন হয় 22 শে ডিসেম্বর ।

দক্ষিণ গোলার্ধে ২১ শে জুন সবচেয়ে বড়ো রাত : এই সময় পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধ সূর্য থেকে অনেক দূরে অবস্থান করে এর ফলে দক্ষিণ গোলার্ধে এই সময় রাত অনেক দীর্ঘ্য সময় ধরে হয় বা অনেক বড়ো হয় এবং দিন অনেক ছোট হয়। পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব এবং পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধের সূর্য থেকে দূরত্ব বৃদ্ধি এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী। পৃথিবীর এই অবস্থানকে কর্কট সংক্রান্তিও বলা হয়ে থাকে।

দক্ষিণ গোলার্ধের সবচেয়ে বড়ো দিন হয় 22 শে ডিসেম্বর : এই সময় পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধ সূর্যের দিকে মুখ করে অর্থাৎ পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধ  সূর্যের কাছে অবস্থান করে ফলে এই সময় পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধে দিন বড়ো হয় এবং রাত ছোট হয়। পৃথিবীর এই অবস্থানকে মকরসংক্রান্তিও বলা হয়ে থাকে।

(ঘ) উত্তর গোলার্ধে ৩০ শে ডিসেম্বর দিন ও রাতের দৈর্ঘ্য কেমন হবে- যুক্তিসহ উপস্থাপন কর।

উত্তর : ৩০ শে ডিসেম্বর পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে দিন ছোট হবে এবং রাত বড়ো হবে। কারণ যেহেতু এই সময় পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধ সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে অর্থাৎ সূর্যের থেকে দক্ষিণ গোলার্ধের দূরত্ব কম থাকে অতয়েব এই সময় পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধ ও সূর্যের মধ্যে দূরত্ব অনেক বেশি হবে তাই উত্তর গোলার্ধে দিন কম দৈর্ঘ্যের এবং রাত বেশি দৈর্ঘ্যের হবে। এবং এই উত্তর গোলার্ধের উপর সূর্যের কিরণ তির্যক ভাবে পড়বে তাই উত্তর গোলার্ধের দেশগুলোতে শীতকাল পরিলক্ষিত হবে।

(২) (ক) চাঁদ কতদিনে পৃথিবীকে একবার প্রদক্ষিণ করে?

উত্তর : চাঁদ ২৭ দিন ৮ ঘন্টায় পৃথিবীকে একবার প্রদক্ষিণ করে। এই সময় চাঁদে একবার অমাবস্যা  এবং একবার পূর্ণিমা পরিলক্ষিত হয়।

(খ) প্লুটো এখন আর সৌরজগতের সদস্য ধরা হয় না কেন ?

উত্তর : প্লুটো আমাদের সৌরজগতের সব থেকে দূরের গ্রহ। কিন্তু প্লুটোকে এখন আর গ্রহ হিসেবে  বিবেচিত করা হয় না। কারণ আধুনিক বিজ্ঞানের ভাষা ও দৃষ্টিতে গ্রহের যে সংজ্ঞা তৈরী করা হয়েছে প্লুটো তার সঙ্গে সামঞ্জস্যতা রাখে না। প্লুটোর সৃষ্টির সময় থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত  তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। প্লুটো তার কক্ষ পথের থেকে অন্য গ্রহাণু ও অন্নান্য পদার্থকে পরিষ্কার করতে পারেনি তাই প্লুটোকে একটি গ্রহের মর্যাদা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। ২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান সংস্থা প্লুটোকে আনুষ্ঠানিক ভাবে আমাদের সৌরমণ্ডলের গ্রহের তালিকা থেকে বাতিল ঘোষণা করে।

(গ) রাতের বেলায় ৩ এবং ৪ নম্বর গ্রহের মধ্যে কোনটি অন্ধকারচ্ছন্ন থাকে ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : গ্রহের মধ্যে দিন ও রাত্রি হয় মূলত গ্রহের নিজের চারিদিকে পরিক্রমণের ফলে আর আমাদের সৌর জগতের প্রায় সকল গ্রহই নিজের অক্ষের চারিদিকে পরিক্রমণ করে। এই কারণে ৩ এবং ৪ নং উভয় গ্রহই রাতের বেলায় অন্ধকারচ্ছন্ন হবে।

(ঘ) তৃতীয় গ্রহের সাথে অনেক মিল থাকা স্বত্ত্বের ৪র্থ একটি জীবজগতের বসবাসের উপযোগী নয়- যুক্তি সহ ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : তৃতীয় গ্রহের সাথে অনেক মিল থাকা সত্ত্বেও ৪র্থ গ্রহটিতে জীবগত বসবাস করতে পারে না। কারণ এই গ্রহটিতে জীবজগতের বসবাসের উপযোগী জলবায়ু, তাপমাত্রা, এবং জলের অস্তিত্ত্ব নেই। কোনো গ্রহতে জীব জগতের সৃষ্টির জন্য জল থাকা অতি আবশ্যিক। এছাড়া ৪র্থ গ্রহটি সূর্য থেকে জীবনের জন্য উপযোগী সঠিক দূরত্বে অবস্থান করে না। সূর্য থেকে এর দূরত্ব বেশি হওয়ার কারণে এই গ্রহটি তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে থাকে। মূলত এই সকল কারণের জন্য ৪র্থ গ্রহটি জীবজগতের বসবাসের জন্য উপযোগী নয়।

 

More Chapters Solutions :  

Updated: October 12, 2023 — 4:43 am

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *