NCTB Class 7 Science Bengali Version Chapter 11 পারিপার্শ্বিক পরিবর্তন ও বিভিন্ন ঘটনা Solution

NCTB Class 7 Science Bengali Version Chapter 11 পারিপার্শ্বিক পরিবর্তন ও বিভিন্ন ঘটনা Solution

Bangladesh Board Class 7 Science Solution Chapter 11 পারিপার্শ্বিক পরিবর্তন ও বিভিন্ন ঘটনা Solution Exercises Question and Answer by Experienced Teacher.এখানে বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (NCTB) কর্তৃক প্রকাশিত বিজ্ঞান বইয়ের একাদশ অধ্যায় পারিপার্শ্বিক পরিবর্তন ও বিভিন্ন ঘটনা অনুশীলনের সমস্ত সমাধান দেওয়া হয়েছে।

NCTB Solution Class 7 Chapter 11 পারিপার্শ্বিক পরিবর্তন ও বিভিন্ন ঘটনা :

Board NCTB Bangladesh Board
Class 7
Subject Science
Chapter Eleven  
Chapter Name পারিপার্শ্বিক পরিবর্তন ও বিভিন্ন ঘটনা

পারিপার্শ্বিক পরিবর্তন ও বিভিন্ন ঘটনা অনুশীলনী প্রশ্ন এবং উত্তর :

NCTB Class 7 Science Bengali Version Chapter 11 পারিপার্শ্বিক পরিবর্তন ও বিভিন্ন ঘটনা Solution

শুন্যস্থান পুরণ কর :

(১) ফুটন একটি ___ পরিবর্তন।

(২) চারে চিনি মিশানো একটি ___ পরিবর্তন।

(৩) কাগজ পুড়ানো একটি ___ পরিবর্তন।

(8) ক্ষরণ পক্রিয়া ___ চক্রের সাথে জড়িত।

(৫) চুনাপাথর একটি ___ শিলা

উত্তর :

(১) ফুটন একটি ভৌত পরিবর্তন।

(২) চায়ে চিনি মিশানো একটি ভৌত পরিবর্তন।

(৩) কাগজ পুড়ানো একটি রাসায়নিক পরিবর্তন।

(8) ক্ষরণ পক্রিয়া ___ চক্রের সাথে জড়িত।

(৫) চুনাপাথর একটি পাললিক শিলা

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন :

(১) ভৌত ও রাসায়নিক পরিবর্তন কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

উত্তর :

ভৌত পরিবর্তন :

যখন কোনো বস্তূ বা পদার্থের পরিবর্তনের ফলে বস্তূ বা পদার্থটি থেকে নতুন কোনো পদার্থের সৃষ্টি হয় না এবং বস্তূটির শুধু আকার, আয়তন এবং অবস্থার পরিবর্তন ঘটে কিন্তু , সেই রকম পরিবর্তনকে ভৌত পরিবর্তন বলে। উদাহরণ স্বরূপ একটি বড়ো কাগজকে কেটে টুকরো করা বা বরফের জলে পরিবর্তন হওয়া।

রাসায়নিক পরিবর্তন :

যখন কোনো বস্তূ বা পদার্থের পরিবর্তনের ফলে পদার্থটির আকার, আয়তন ওঅবস্থার পরিবর্তনের সাথে সাথে পরিবর্তিত পদার্থটি থেকে একটি নতুন ধর্ম ও বিশেষত্বের একটি পদার্থের সৃষ্টি হয়, পদার্থের সেই রকম পরিবর্তনকে রাসায়নিক পরিবর্তন বলে। যেমন – চায়ের মধ্যে চিনির মিশ্রণ ঘটালে, আগ্নেয় শিলার থেকে পাললিক শিলার সৃষ্টি বা লোহার মধ্যে মরচে পড়া রাসায়নিক পরিবর্তনের উৎকৃষ্ট উদাহরণ।

(২) দহন কি? উদাহরনসহ ব্যাখ্যা কর ।

উত্তর :  যখন কোনো পদার্থের পরিবর্তনের ফলে তাপশক্তি উৎপন্ন বা নির্গত হয় তখন তাকে দহন বলে। দহন এমন একটি পক্রিয়া সেখানে ভৌত ও রাসায়নিক উভয় পরিবর্তনই লক্ষ করা যায়। যেমন – একটি মোমবাতিকে জ্বালিয়ে দিলে তার ভেতরের সুতোর মতো অংশটি অর্থাৎ সলতেটির মধ্যে এই দহন সম্পন্ন হয়। এবং দহনের ফলে মোমবাতিটি থেকে তাপশক্তির সাথে বায়ুর সাথে এর আগুনে শিখার বিক্রিয়ার ফলে কার্বনডাই-অক্সাইড ও মোমে উপস্থিত জল বাস্পে পরিণত হয়ে যাছে। এটি একটি রাসায়নিক পক্রিয়া যেহেতু এই পদার্থগুলি মোমবাতির দহনের ফলে ও সৃষ্ট নতুন পদার্থ এবং এদের ধর্মও ভিন্ন। আবার দহনের ফলে মোম গোলে নিচে  জমা হয়েছে এটি একটি ভৌত পরিবর্তন। কারণ গলিত মম থেকে আমরা পুনরায় কঠিন মোমকে ফিরে পাবো।

(৩) চুলায় খড়ি বা গ্যাসপুড়ালে কোন ধরনের পরিবর্তন হয়, ভৌত না রাসায়নিক? তোমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও ।

উত্তর :  চুলায় খড়ি বা গ্যাসপুড়ালে তা রাসায়নিক পরিবর্তন হবে কারণ দহন সবসময় একটি ৰাসায়নিক পরিবর্তন কারণ যে কোনো পদার্থের দহনের ফলে তার থেকে একটি নতুন পদার্থ তৈরী হয় যার ধর্ম ওই পদার্থটির থেকে একেবারে ভিন্ন হয়। এছাড়া কোনো পদার্থের দহন ঘটলে সেই পদার্থটিকে পুনরায় আর দহন পূর্ব অবস্থায় ফিরে পাওয়া যায় না। তাই যখন আমরা চুলায় গ্যাস বা খরিকে পুরাই তখন গ্যাস ও খড়ির দহন ঘটে এবং এর ফলস্বরূপ কিছু নতুন ধর্মের পদার্থের সৃষ্টি হয়। যেমন  – কার্বনডাই-অক্সাইড, জলীয়বাষ্প, ধোয়া, কয়লা ইত্যাদি। আরো বিস্তারিত ভাবে বললে গ্যাস জ্বালালে তাপশক্তির সাথে সাথে আরো অনেক গ্যাস উৎপন্ন হয়। এবং কাঠখড়ি জ্বালালে বিভিন্ন গ্যাসের সাথে সাথে কয়লা, ছাই ও ধোয়া উৎপন্ন হয়। এই পদার্থগুলো ধর্ম সম্পূর্ণ ভাবে ভিন্ন হয়। এছাড়া জ্বালিত গ্যাস বা খরিকে দহনের পর আর পূর্বঅবস্থায় ফিরে পাওয়া যায় না। তাই চুলায় খড়ি বা গ্যাস পোড়ালে তা একটি রাসায়নিক পরিবর্তন হবে।

(৪) পানি চক্রের গুরুত্ব আলোচনা কর ।

উত্তর :  আমাদের পৃথিবীতে জলের গুরুপ্ত অপরিসীম। আমাদের পৃথিবীর বেশির ভাগ অংশই জল দ্বারা বেষ্টিত হলেও আমাদের ব্যবহার যোগ্য জলের পরিমান সীমিত। আমাদের পৃথিবীতে জলবায়ু, বৃষ্টিপাত এবং জলের যোগান ঠিক রাখার জন্য জল চক্রের ভূমিকা অনস্বীকার্য। আমাদের পৃথিবীতে পাহাড়ের জমা বরফের গলিত জল নদীতে বাহিত হয় সেই জল আবার সমুদ্রে গিয়ে মেশে এবং জলীয়বাষ্পের মাধ্যমে সেই জল আবার পাহাড়ের চূড়ায় গিয়ে জমা হয় এই ভাবে ক্রমাগত আমাদের পৃথিবীতে জলচক্র ঘটে চলেছে। আমাদের পৃথিবীর বৃষ্টিপাত, জলের জলসঞ্চয় এবং কৃষিকাজ সব কিছু এই জলচক্রের জন্যই সম্ভব হয়। জলচক্রের সবচেয়ে বড়ো উপকার হলো বৃষ্টিপাত। এই বৃষ্টিপাতের জন্যই আমাদের পানীয় যোগ্য যোগান কখনো শেষ হয় না। তাই বলা যায় যে আমাদের বেঁচে থাকার জন্য জলচক্র এক বিশেষ ভূমিকা রাখে।

(৫) আগ্নেয় শিলা, পাললিক শিলা ও রূপান্তরিত শিলার বৈশিষ্ট্য কী কী ?

উত্তর :

আগ্নেয় শিলার বৈশিষ্ট : 

আগ্নেয় শিলা সৃষ্টি হয় আগ্নেয় গিরি থেকে বেরোনো গলিত লাভা যখন ঠান্ডা হয়ে জমাট বেঁধে। এই শিলা বিভিন্ন খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ হয়। কারণ এই শিলা মাটির নিচের গলিত লাভা দিয়ে সৃষ্টি হয় ফলে এর মধ্যে মাটির সকল খনিজ পদার্থ বর্তমান থাকে।

পাললিক শিলার বৈশিষ্ট : 

পাললিক শিলা সৃষ্টি হয় আগ্নেয় শিলা থেকে। বিভিন্ন প্রাকৃতিক কারণে আগ্নেয় শিলা ক্ষয় হয়ে ছোট ছোট কণাতে পরিণত হয়। এই কণা গুলো এরপর বিভিন্ন নদী ও সমুদ্রের তলদেশে জমা হতে শুরু করে যা পলি নাম পরিচিত। এরপর এই পলির মধ্যে বিভিন্ন জীবজন্তু ও উদ্ভিদের দেহাবশেষ জমা হতে থাকে এবং জলের বিশাল চাপ, মাটির উত্তাপ ও  বিভিন্ন রাসায়নিক পক্রিয়ার মাধ্যমে পলি ও জীব-উদ্ভিদের দেহাবশেষ কঠিন শিলায় পরিণত হয়।এই কারণে পাললিক শিলায় বিভিন্ন জীব ও ও উদ্ভিদের জীবাশ্ম পাওয়া যায়। বিভিন্ন জ্বালানিও এই শিলাস্তরের নিচে জমা থাকে।

রূপান্তরিত শিলার বৈশিষ্ট : 

রূপান্তরিত শিলা সৃষ্টি হয় আগ্নেয় এবং পাললিক শিলার থেকে। আমাদের পৃথিবীর চাপ, তাপ, এবং বিভিন্ন রাসায়নিক পক্রিয়ার মাধ্যমে আগ্নেয় শিলা বা পাললিক শিলা রূপান্তরিত হয়ে এক ধরণের নতুন শিলার সৃষ্টি হয়, যাকে রূপান্তরিত শিলা বলে। এই শিলার ধর্ম আগ্নেয় বা পাললিক শিলার সাথে সামঞ্জস্য থাকে না। রাসায়নিক পরিবর্তনের ফলে এই শিলা গুলিতে নতুন বিশেষত্ব সৃষ্টি হয়।

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :

(১) নিচের কোনটি রাসায়নিক পরিবর্তন?

(ক) গলন

(খ) বাস্পীভবন

(খ) বাস্পীভবন

(গ) সালোকসংশ্লেষণ

(ঘ) প্রস্বেদন

উত্তর :

(গ) সালোকসংশ্লেষণ

(২) P Q এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হলো-

(i) প্রাণী শ্বসনের সময় P ত্যাগ করে

(ii) উদ্ভিদ ও প্রাণীর শ্বসনের প্রধান উপাদান Q

(iii) সালোক সংশ্লেষনের প্রধান উপাদান P

নিচের কোনটি সঠিক?

(ক) i

(খ) ii

(গ) ii iii

(ঘ) i, ii iii

উত্তর :

(ঘ) i, ii ও iii

নিচের উদ্দীপকের আলোকে ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও

আনিস সাহেব একজন নির্মাণ ঠিকাদার। তিনি বিল্ডিংয়ের সৌন্দর্য বাড়াতে সাধারণত চুনাপাথরের রূপান্তরিত শিলা ব্যবহার করেন। তবে কখনও কখনও প্রানাইট পাথরও ব্যবহার করেন, বা ম্যাগমা থেকে উৎপন্ন।

(৩) উদ্দীপকে উল্লেখিত রূপান্তরিত শিলাটিতে এসিড প্রয়োগ করলে কোন গ্যাসটি উৎপন্ন হবে?

(ক) O

(খ) CO

(গ) N

(ঘ) H

উত্তর :

(খ) CO₂

(৪) উদ্দীপকে উল্লেখিত প্রানাইট কোন ধরনের শিলা?

(ক) আগ্নেয়

(খ) পাললিক

(গ) রূপান্তরিত

(ঘ) জীবাশ

উত্তর :

(ক) আগ্নেয়

সৃ জনশীল প্রশ্ন :

(১) কার্বন ডাইঅক্সাইড + পানি A+ B ক্লোরোফিল

(ক) মরিচা কী

উত্তর :  শুদ্ধ লোহার সাথে অক্সিজেনের বিক্রিয়ার ফলে লাগার গায়ে যে লালচে আস্তরণের সৃষ্টি হয় তাকেই মরিচা বলে। একটি শুদ্ধ লোহার দন্ডকে কিছুদিনের জন্য খোলা হাওয়াতে রেখে দিলে এটি বায়ুর অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে একধরণের লালচে আস্তরণের সৃষ্টি করে এই লালচে আস্তরণকেই মরিচা বলে। এটি একটি রাসায়নিক পক্রিয়া। এই পক্রিয়া সংগঠনের ফলে প্রচুর তাপশক্তিও উৎপন্ন হয়। মরিচা লোহাকে ক্ষয় করে এবং লোহার শক্তি কমিয়ে দেয়। তাই মরিচাকে লোহার শত্রু বলা হয়ে থাকে।

(খ) ইলেকট্রোপ্লেটিং বলতে কী বুঝায়?

উত্তর :  ইলেক্ট্রোপ্লেটিং বলতে বৈদ্যুতিক পক্রিয়ার মাধ্যমে একটি ধাতুর উপর অন্য একটি ধাতুর প্রলেপ বা আস্তরণ দেওয়াকে বলা হয়। এই পক্রিয়ার মাধ্যমে একটি নিম্ন মানের ধাতুতে উচ্চমানের ধাতুর আস্তরণ দেওয়া হয়। যেমন – এই পক্রিয়ার মাধ্যমে লোহার উপর টিন, দস্তা, বা ক্রোমিয়ামের আস্তরণ দেওয়া হয় যাতে ধাতুটিতে জং (মরিচা) না পরে। আবার এই পক্রিয়ার মাধ্যমেই বিভিন্ন কৃত্তিম অলংকার তৈরী করা হয়।

(গ) উদ্দীপকে উল্লেখিত বিক্রিয়াতে কী ধরনের পরিবর্তন ঘটে ব্যাখ্যা কর।

উত্তর :  উদ্দীপকে উল্লেখিত বিক্রিয়াটিতে রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে। কারণ উল্লেখিত বিক্রিয়াটি উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষণ পক্রিয়া। এই পক্রিয়ার জন্য উদ্ভিদ প্রকৃতি থেকে কার্বনডাই-অক্সাইড ও জল শোষণ করে এবং এর পাতায় উপস্থিত ক্লোরোফিল নামক একটি রঞ্জকের মাধমে সূর্যের আলোকরশ্মির সাথে জল ও কার্বনডাই-অক্সাইডের বিক্রিয়া ঘটিয়ে গ্লুকোজ ও অক্সিজেন উৎপন্ন করে। উদ্ভিদের এই পক্রিয়ার ফলে উৎপাদিত পদার্থ জল ও কার্বনডাই-অক্সাইডের থেকে ভিন্ন ধর্মী তাই এটি একটি রাসায়নিক পরিবর্তন।

(ঘ) উদ্দীপকের A B এর মধ্যে কোন উপাদানটি পরিবেশে চক্রাকারে আবর্তিত হয় বিশ্লেষণ কর।

উত্তর :  উদ্দীপকের A ও B উপাদানের মধ্যে B উপাদানটি পরিবেশে চক্রাকারে আবর্তিত হয়। উদ্দীপকের B উপাদানটি হলো অক্সিজেন। জীবজগতের সকলের বেঁচে থাকার জন্য অক্সিজেন একটি অতিঅবশ্যক উপাদান। আমাদের শ্বাসপ্রশ্বাস ও শক্তি উৎপাদনের অপরিহার্য অংশ হলো অক্সিজেন। অক্সিজেন আমাদের পরিবেশে চক্রাকারে আবর্তিত হয়ে চলেছে। নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো –

আমাদের বায়ুমণ্ডলের মাত্র ২০ ভাগ অক্সিজেন এবং এর বেশির ভাগ অংশ উৎপন্ন করে বিভিন্ন উদ্ভিদ। প্রাণীরা শ্বাস নেওয়ার সময় পরিবেশ থেকে অক্সিজেন গ্রহন করে এবং শ্বাস ছাড়ার সময় কার্বনডাই অক্সাইড প্রকৃতিতে ত্যাগ করে। উদ্ভিদ আবার এই কার্বনডাই-অক্সাইড গ্যাসকে গ্রহণ করে এবং সালোকসংশ্লেষণ পক্রিয়া সম্পন্ন করে এবং এই পক্রিয়ায় উৎপন্ন অক্সিজেনকে প্রকৃতিতে মুক্ত করে যা প্রাণীরা আবার তাদের শ্বাস নেওয়ার সময় গ্রহণ করে। এই ভাবে পরিবেশে উদ্ভিদ থেকে প্রাণীতে এবং প্রাণী থেকে উদ্ভিদে অক্সিজেনের চক্র চলতে থাকে।

(২) (ক) উপরের চিত্রটি কীসের?

উত্তর :  উপরের প্রদপ্ত চিত্রের মাধ্যমে জলের বাস্পীভবনের দ্বারা মেঘ সৃষ্টি হয়ে বৃষ্টিপাত হওয়াকে দেখানো হয়েছে। প্রথমে সূর্যের তাপের ফলে নদী বা সমদ্রের জল বাষ্পীভূত হয়ে যায় এবং এর পর সেই বাষ্পীভূত জল আকাশের উপরে বায়ুমণ্ডলে ভাসমান অবস্থায় থাকে এবং স্থলভূমিতে বৃষ্টিপাত ঘটে।

(খ) পাললিক শিলা কীভাবে তৈরি হয়?

উত্তর :

চাপ, তাপ, ও প্রকৃতির বিভিন্ন ক্ষয় কার্যের দ্বারা আগ্নেয় শিলা ভেঙে ছোট ছোট কণায় পরিণত হয় এরপর বিভিন্ন নদী-নালার মাধমে বাহিত হয়ে এই কণা গুলো সমুদ্রের তলদেশে গিয়ে সঞ্চিত হয়, এরপর সমুদ্রের বিভিন্ন উদ্ভিদ ও জীবের দেহাবশেষ এই পলির মধ্যে যুক্ত হতে থাকে। আগ্নেয় শিলার কণা ও সমুদ্রের বিভিন্ন উদ্ভিদ ও জীবের দেহাবশেষ দীর্ঘদিন সমুদ্রের জলের বিশাল চাপ ও ভুগভীরের উত্তাপ ইত্যাদি কারণে এই ছোট ছোট কণাগুলি যুক্ত হয়ে কঠিন শিলার রূপ ধারণ করে আর এই শিলাকেই পাললিক শিলা বলে।

(গ) চিত্রের উল্লিখিত প্রক্রিয়াটি ব্যাখ্যা কর?

উত্তর : চিত্রে উল্লেখিত প্রক্রিয়াটিতে দেখানো হয়েছে কি ভাবে নদী, সমুদ্র ও জলাশয়ের জল বাষ্পীভবন পক্রিয়ার মাধ্যমে বাষ্পীভূত হয়ে বায়ুমণ্ডলে মেঘ সৃষ্টি করছে এবং সেই মেঘ আবার স্থলভূমিতে গিয়ে বা বৃষ্টির মাধ্যমে পুনরায় জলে পরিণত হয়েছে। এই পক্রিয়াটির প্রথম ভাগে, বিভিন্ন জলের উৎস থেকে সূর্যের প্রখর তাপের ফলে জল বাষ্পীভূত হচ্ছে এবং বায়ুমন্ডলে চলে  যাচ্ছে। এর দ্বিতীয় ভাগে, জলীয়বাষ্প বায়ুতে ভাসমান অবস্থায় রয়েছে। বায়ুমণ্ডলের উপরে তাপমাত্রা অনেক কম থাকে তাই এই জলীয়বাষ্প গুলো ঘনীভূত হতে থাকে এবং ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জলকণায় পরিণত হয়ে যায়। এই প্রক্রিয়াকে ঘনীভবন বলে। এরপরের পর্যায়ে অর্থাৎ তৃতীয়  ভাগে, এই ক্ষুদ্র জলকণা গুলো বায়ুমণ্ডলের ধুলোবালির কণাকে নিজের মধ্যে আবদ্ধ ভারী হতে শুরু করে এবং বরফে পরিণত হয়ে যায়। এরপর একটা সময়ে এই জলকণা গুলো এতটা ভারী হয়ে যায় যে আর বায়ুমণ্ডলে ভেসে থাকতে পারে না এবং পৃথিবীর মধ্যাকর্ষণ বলের প্রভাবে বৃষ্টি রূপে নিচে নেমে আসে। এই চক্রটিকে নিচে সহজ করে দেখানো হলো –

জলের উৎস → সূর্যের তাপ → বাষ্পীভবন → ঘনীভবন → কঠিনীভবন → মধ্যাকর্ষণ বল  → বৃষ্টিপাত।

(ঘ) চিত্রের প্রক্রিয়াটিতে A –এর ভূমিকা বিশ্লেষণ ক র ।

উত্তর :  এই সম্পুর্ন্ন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হওয়ার জন্য A এর ভূমিকা অতিঅবশ্যিক। কারণ A অর্থাৎ সূর্য ছাড়া বিভিন্ন জলের উৎস যেমন সমুদ্র, নদী, হ্রদ, পুকুর ইত্যাদি থেকে জলের বাস্পীভবন সম্ভব  হবে না। কারণ সূর্য না থাকলে সূর্যের তাপও থাকবে না, আর তাপ না পেলে জল উত্তপ্তও হবে না আর এর ফলে বাষ্পীভবন বন্ধ হয়ে যাবে। আর বাষ্পীভবন না হলে জলীয় বাস্পও বায়ুমণ্ডলে   উপরে উঠবে না এর ফলে জলীয়বাস্প বায়ুমন্ডলের উপরে ভাসমান অবস্থাতে থাকবে না ফলে ঘনীভবন পক্রিয়াটিও সম্ভব হবে না ফলে জলীয়বাষ্প বায়ুতে জলের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণা গুলিও সৃষ্টি হবে না এবং পরিশেষে বলা যায় বৃষ্টিপাতও হবে না। তাই A অর্থাৎ সূর্যের ভূমিকা অনস্বীকার্য।

 

More Chapters Solutions :  

Updated: October 10, 2023 — 2:00 pm

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *