NCTB Class 7 Science Bengali Version Chapter 2 উদ্ভিদ ও প্রাণীর কোষীয় সংগঠন Solution
Bangladesh Board Class 7 Science Solution Chapter 2 উদ্ভিদ ও প্রাণীর কোষীয় সংগঠন Solution Exercises Question and Answer by Experienced Teacher.এখানে বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (NCTB) কর্তৃক প্রকাশিত বিজ্ঞান বইয়ের দ্বিতীয় অধ্যায় উদ্ভিদ ও প্রাণীর কোষীয় সংগঠন অনুশীলনের সমস্ত সমাধান দেওয়া হয়েছে।
NCTB Solution Class 7 Chapter 2 উদ্ভিদ ও প্রাণীর কোষীয় সংগঠন :
Board | NCTB Bangladesh Board |
Class | 7 |
Subject | Science |
Chapter | Two |
Chapter Name | উদ্ভিদ ও প্রাণীর কোষীয় সংগঠন |
উদ্ভিদ ও প্রাণীর কোষীয় সংগঠন অনুশীলনী প্রশ্ন এবং উত্তর :
শূন্যস্থান পূরণ কর :
(১) ___ টিস্যু বিভাজন অক্ষম ।
(২) উদ্ভিদ টিস্যু দুই ধরনের ___ টিস্যু ও ___ টিস্যু।
(৩) হৃৎপেশি এক ধরনের ___ পেশি।
(৪) মস্তিষ্ক অসংখ্য ___ দ্বারা গঠিত।
(৫) ___ কোষের পাওয়ার হাউস বলে।
উত্তর :
(১) ___ টিস্যু বিভাজন অক্ষম ।
(২) উদ্ভিদ টিস্যু দুই ধরনের ___ টিস্যু ও ___ টিস্যু।
(৩) হৃৎপেশি এক ধরনের ঐচ্ছিক পেশি।
(৪) মস্তিষ্ক অসংখ্য ___ দ্বারা গঠিত।
(৫) মাইটোকন্ড্রিয়াকে কোষের পাওয়ার হাউস বলে।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর :
(১) পেশির কাজ বর্ণনা কর।
উত্তর : আমাদের দেহে পেশি গুলি প্রধানত দুরকমের হয় (১) ঐচ্ছিক পেশি ও (২) অনৈচ্ছিক পেশি। আমাদের শরীরের বিভিন্ন কাজে বিভিন্ন পেশি অংশ গ্রহণ করে। নিম্নে পেশির কাজ গুলি আলোচনা করা হলো –
পেশির কাজ :
(১) পেশি দেহের আকৃতি প্রদান করে ও বিভিন্ন অস্থির সঞ্চালনে সাহার্য্য করে।
(২) পেশি আমাদেরকে নড়াচড়া করতে ও চলাচল করতে সাহার্য্য করে।
(৩) পেশি ত্বকের নিচে এবং অভন্তরীন অঙ্গের উপরে থাকে এবং অভন্তরীন অঙ্গগুলোকে রক্ষা করে।
(৪) দেহের রক্ত সঞ্চালনে হৃদপেশি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
(২) আবরণী টিস্যুর বৈশিষ্ট্য লিখ।
উত্তর : যে টিস্যু দেহের খোলা অংশকে ঢেকে রাখে এবং দেহের অভ্যন্তরে আবরণ তৈরী করে সেই টিস্যু গুলিকে আবরণী টিস্যু বলে। এই টিস্যুর [কিছু বৈশিষ্ট পরিলক্ষিত হয়। নিম্নে এই বৈশিষ্ট গুলো আলোচনা করা হলো –
আবরণী টিস্যুর বৈশিষ্ট :
(১) আবরণী টিস্যু বিভিন্ন স্তরে সাজানো থাকে। এই স্তর গুলি এক বা একাধিক হতে পারে।
(২) আবরণী টিস্যুতে এর কোষগুলি একটি পাতলা ভিত্তি পর্দার উপর সাজানো থাকে।
(৩) আবরণী টিস্যুর কলাতে কোনো আন্তঃকোষীয় ধাত্র থাকে না।
(৪) এই টিস্যু গুলি দেহের ভেতরে বাইরের অঙ্গ গুলোকে রক্ষা করে।
(৩) নিউক্লিয়াসের গঠন বর্ণনা কর।
উত্তর : আমাদের দেহের কোষের প্রোটোপ্লাজমের পর্দা বেষ্টিত সবচেয়ে ঘন বস্তূটিকে নিউক্লিয়াস বলে। প্রত্যেকটি নিউক্লিয়াস চারটি অংশের সমন্বয়ে গঠিত হয়। এই অংশগুলি হলো – (১) নিক্লিয়াস পর্দা (২) নিউক্লিওলাস (৩) নিউক্লিয়োজালিকা এবং (৪) নিউক্লিওপ্লাজম। কোষের সবচেয়ে ভেতরের অংশকে নিউক্লিয়াস বলে।
(৪) প্লাস্টিডের কাজ উল্লেখ কর।
উত্তর : উদ্ভিদকোষের একটি বিশেষ অঙ্গাণু হলো প্লাস্টিড। প্রাণী কোষে প্লাস্টিডের উপস্থিতি লক্ষ করা যায় না। উদ্ভিদ কোষে প্লাস্টিড বিভিন্ন গুরুপ্তপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্লাস্টিডের কাজ গুলি নিম্নে বর্ণনা করা হলো –
(১) প্লাস্টিড উদ্ভিদের ফল, ফুল, পাতার মধ্যে বিভিন্ন বর্ণ প্রদান করে।
(২) প্লাস্টিড উদ্ভিদের খাদ্য সঞ্চয়ে সাহার্য করে।
(৩) উদ্ভিদের পাতায় যে সবুজ বর্ণের প্লাস্টিড থাকে তা সূর্যের আলোক রশ্মিকে উদ্ভিদের খাদ্যতে আবদ্ধ করতে সাহার্য্য করে।
(৪) উদ্ভিদের বিভিন্ন বৈচিত্রময় বর্ণের সৃষ্টি করে প্লাস্টিড।
(৫) উদ্ভিদ খাদ্য উৎপন্ন থেকে খাদ্য সঞ্চয় পর্যন্ত সকল কাজে প্লাসিড মুখ্য ভূমিকা পালন করে।
(৫) মাইটোকন্ড্রিয়ার গঠন বর্ণনা কর।
উত্তর : জীবজগতের সকল সজীব উদ্ভিদ ও প্রাণিকোষের সাইটোপ্লাজমে বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে থাকা ছোট ছোট দণ্ডাকার অঙ্গাণুগুলোকে মাইটোকন্ড্রিয়া বলে। কোষের সমস্ত শক্তির উৎস হচ্ছে মাইটোকন্ড্রিয়া। এই কারণে মাইটোকন্ড্রিয়াকে কোষের পাওয়ার হাউস বলে। কোষে মাইটোকন্ড্রিয়া গুলি দুটি পর্দা দ্বারা আবৃত থাকে। এই পর্দাগুলির একটি মসৃন প্রকৃতির হয় এবং আরেকটি আঙুলের ভাজের মতো দেখতে হয়। কোষের সমস্ত বিপাকীয় কাজের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি কোষের এই অংশ থেকেই আসে।
নির্বাচনি প্রশ্ন :
(১) ভাজক কোষে অনুপস্থিত কোনটি?
(ক) কোষপ্রাচীর
(খ) নিউক্লিয়াস
(গ) কোষগহ্বর
(ঘ) সেলুলোজ
উত্তর :
(ক) কোষপ্রাচীর
(২) কোবারে বিদ্যমান থাকে-
(i) জৈব এসিড ও লবণ
(ii) আমিব ও শর্করা
(iii) অজৈব এসিড ও জৈব এসিড
নিচের কোনটি সঠি
(ক) i ও ii
(খ) i ও iii
(গ) ii ও iii
(ঘ) i, ii ও iii
উত্তর :
(খ) i ও iii
উদ্দীপকটি লক্ষ কর এবং ৩ ও ৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
(৩) উদ্দীপকের A চিহ্নিত অংশটির কাজ হচ্ছে-
(i) দৃঢ়তা প্রদান করা
(ii) চর্বি জমা রাখা
(iii) রক্ত কণিকা তৈরি করা
নিচের কোনটি সঠিক
(ক) i ও ii
(খ) i ও iii
(গ) ii ও iii
(ঘ) i, ii ও iii
উত্তর :
(ক) i ও ii
(8) A ও B এর বৈশিষ্ট্য –
(i) এরা যোজক টিস্যু
(ii) এরা অক্সিজেন পরিবহন করে
(iii) এদের প্রধান উপাদান ক্যালসিয়াম
নিচের কোনটি সঠিক
(ক) i
(খ) iii
(গ) i ও ii
(ঘ) i, ii ও iii
উত্তর :
(খ) iii
সৃজনশীল প্রশ্ন :
(১) (ক) রক্ত কী
উত্তর : রক্ত এক ধরণের যোজক কলা। রক্ত আমাদের শরীরে তরল অবস্থায় হৃদপিন্ড থেকে বিভিন্ন শিরা ও উপশিরা দিয়ে সমগ্র শরীরে চলাচল করে এবং বিভিন্ন অঙ্গের জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন, খাদ্য, ও রেচন পদার্থ পৌঁছে দেওয়ার কাজ করে। রক্তই দেহের সকল অঙ্গে অক্সিজেন পৌঁছে দিয়ে অঙ্গ গুলোকে সচল রাখে।
(খ) আবরণী টিস্যু বলতে কী বোঝায় ?
উত্তর : যে টিস্যু শরীরের খোলা অংশকে ঢেকে রাখে এবং দেহের অভন্তরীন অঙ্গগুলোকে সুরক্ষিত রাখার জন্য একটি আবরণ তৈরী করে তাকে আবরণী টিস্যু বলে। দেহের ভেতরে ও বাইরের বিভিন্ন অঙ্গগুলি এই আবরণী টিস্যু দিয়ে আবৃত থাকে।
(গ) P চিত্রে অস্থির গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : P চিত্রের অংশটি একটি বাহু। বাহুতে অস্থির ভূমিকা অপরিসীম। অস্থি বাহুকে দৃঢ়তা ও স্থিরতা প্রদান করে। অস্থি থাকার জন্য আমাদের বাহু অত্যন্ত শক্তিশালী হয় এবং আমরা বিভিন্ন ভারী বস্তূকে উপরে তুলতে পারি। অস্থি বাহুটির মধ্যে মাংসপেশি তৈরী করতে সহায়তা করে এবং বা ভিন্ন পেশিকে তার কাজের জন্য সহায়তা করে। বাহুর অগ্রভাগে আঙ্গুল থাকে এই আঙ্গুল গুলোতে আবার ছোট ছোট বিভিন্ন পেয়ে থাকে যা আমাদের বিভিন্ন কাজে সহায়তা করে।
(ঘ) P ও Q চিত্রের পেশির টিস্যুর তুলনামূলক পার্থক্য কর।
উত্তর :
P চিত্রের পেশির টিস্যু :
(১) P চিত্রের পেশির টিস্যুকে আবরণী টিস্যু বলে।
(২) আবরণী টিস্যু সাধারণ ভাবে দেহের বাইরের দিকে থাকে বেশির ভাগ সময়।
(৩) এই টিস্যুগুলি দেহের বাইরের যে কোনো আঘাত থেকে আমাদের দেহকে রক্ষা করে।
(৪) এই টিস্যু বিভিন্ন অঙ্গকে আবৃত করে থাকে।
Q চিত্রের পেশির টিস্যু :
(১) Q চিত্রের টিস্যু গুলি হলো পেশি টিস্যু বা মাসকুলার টিস্যু।
(২) এই টিস্যু গুলিকে আমরা আমাদের ইচ্ছা মতো নাড়াতে বা চালনা করতে পারি।
(৩) এই টিস্যু দুধরণের হয়। যথা – ঐচ্ছিক এবং অনৈচ্ছিক।
(৪) এই টিস্যু গুলি দেহের ভেতরের দিকে থাকে .
(৫) এই টিস্যুগুলি দেহের অভন্তরীন অঙ্গগুলোকে রক্ষা করে।
(২) (ক) কোষ প্রাচীর কী?
উত্তর : জীবজগতে শুধুমাত্র উদ্ভিদকোষের মধ্যে কোষপ্রাচীর পরিলক্ষিত হয়। উদ্ভিদকোষের কোষঝিল্লীর বাইরে জড় পদার্থ দিয়ে তৈরী একটি গুরু প্রাচীর থাকে। এই প্রাচীরটিকে উদ্ভিদকোষের কোষপ্রাচীর বলে। উদ্ভিদের বাইরে যে শক্ত আবরণটি থাকে তা কোষপ্রাচীরেরই একটি অংশ। কোষপ্রাচীর উদ্ভিদদেহকে বাইরের সব আঘাত থেকে রাখা করে।
(খ) মাইটোকন্ড্রিয়াকে শক্তিঘর বলা হয় কেন?
উত্তর : কোষের যাবতীয় সকল বিপাকীয় কাজের জন্য প্রয়োজনীয় সব শক্তি মাইটোকন্ড্রিয়া প্রদান করে। কোষের সকল শক্তির উৎস হলো মাইটোকন্ড্রিয়া। তাই মাইটোকন্ড্রিয়াকে কোষের শক্তিঘর বলা হয়।
(গ) চিত্র N মূল হওয়া যত্ত্বেও বর্ণময় কেন? ব্যাখ্যা কর ।
উত্তর : চিত্র N একটি মূল হওয়া সত্ত্বেও বর্ণময় কারণ এটি উদ্ভিদ কোষ দিয়ে গঠিত। উদ্ভিদ কোষেরমধ্যে একটি বিশেষ অঙ্গাণু থাকে জাকে প্লাস্টিড বলে। উদ্ভিদ কোষের এই বিশেষ অঙ্গাণুটি উদ্ভিদের দেহে বর্ণ প্রদান করে যার ফলে উদ্ভিদের কান্ড থেকে মূল পর্যন্ত সবকিছুই বিভিন্ন বর্ণের হয়। তাই N চিত্রটি একটি মূল হলেও এটি বর্ণময়।
More Chapters Solutions :