NCTB Class 7 Science Bengali Version Chapter 8 শব্দের কথা Solution

NCTB Class 7 Science Bengali Version Chapter 8 শব্দের কথা Solution

Bangladesh Board Class 7 Science Solution Chapter 8 শব্দের কথা Solution Exercises Question and Answer by Experienced Teacher.এখানে বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (NCTB) কর্তৃক প্রকাশিত বিজ্ঞান বইয়ের অষ্টম অধ্যায় শব্দের কথা অনুশীলনের সমস্ত সমাধান দেওয়া হয়েছে।

NCTB Solution Class 7 Chapter 8 শব্দের কথা :

Board NCTB Bangladesh Board
Class 7
Subject Science
Chapter Eight 
Chapter Name শব্দের কথা

শব্দের কথা অনুশীলনী প্রশ্ন এবং উত্তর :

NCTB Class 7 Science Bengali Version Chapter 8 শব্দের কথা Solution

শূন্যস্থান পূরণ কর : 

(১) শব্দ কোনো ____ ছাড়া সঞ্চালিত হয় না।

(২) মানুষের কানের শ্রাব্যতার সীমা ____ হার্জ থেকে ২০,০০০ হার্জ।

(৩) অবাঞ্চিত ও বিরক্তিকর শব্দ হলো ____

(৪) শব্দের বেগ বায়বীয় পদার্থে সবচেয়ে ____

(৫) ২০,০০০ হার্ডের বেশি কম্পাঙ্কের শব্দকে ____ শব্দ বলে।

উত্তর :

(১) শব্দ কোনো মাধ্যম ছাড়া সঞ্চালিত হয় না।

(২) মানুষের কানের শ্রাব্যতার সীমা ২০ হার্জ থেকে ২০,০০০ হার্জ।

(৩) অবাঞ্চিত ও বিরক্তিকর শব্দ হলো নয়েজ

(৪) শব্দের বেগ বায়বীয় পদার্থে সবচেয়ে কম।

(৫) ২০,০০০ হার্ডের বেশি কম্পাঙ্কের শব্দকে শ্রুতিউত্তর শব্দ বলে।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন :

(১) শ্রার্ব ও অশ্রাব্য শব্দের মধ্যে পার্থক্য কী?

উত্তর :

শ্রাব্য শব্দ :

শ্রাব্য শব্দ অর্থ্যাৎ যে সকল শব্দকে আমরা আমাদের শ্রবণযন্ত্র (কান) এর মাধ্যমে শুনতে পারি সেই সকল শব্দকে বোঝায়। আমাদের শ্রবণ যন্ত্রে শুধু ২০ থেকে ২০,০০০ কম্পন সম্পূর্ণ শব্দগুলোকে শুনতে পায় তাই এর থেকে কম বা বেশি  কম্পনের শব্দকে আমরা শুনতে পারি না।

অশ্রাব্য শব্দ :

যে সকল শব্দের কম্পনের মাত্রা ২০ থেকে কম এবং  ২০,০০০ এর বেশি সেই সকল শব্দকে অশ্রাব্য শব্দ বলে। যেমন – পুলিশের ব্যাবহৃত হুইসেল এবং আল্ট্রাসনোগ্রাম। এই শব্দ গুলোকে   আমাদের শ্রবণ যন্ত্র অর্থাৎ কান অনুভব করতে পারে না।

(২) শ্রুতি-পূর্ব ও শ্রুতি-উত্তর শব্দ কাকে বলে?

উত্তর :

যে সকল শব্দের কম্পনের মাত্রা ২০ বারের কম হয় সেই সব শব্দকে শ্রুতিপূর্ব শব্দ বলা হয়। অপরদিকে, যে সকল শব্দের কম্পনের মাত্রা ২০,০০০ এর বেশি হয় সেই  সব শব্দকে শ্রুতিউত্তর শব্দ বলা হয়।

(৩) নয়েজ ও সুশ্রাব্য শব্দের পার্থক্য কী ?

উত্তর :

নয়েজ : 

যে সকল শব্দ আমাদের কানে প্রবেশ করলে আমাদের বিরক্তিকর লাগে, কানে অস্বস্তি হয়, এবং শুনতে খুব খারাব লাগে সেই সকল শব্দকে নয়েজ বলা হয়। যেমন – গাড়ির হর্ন, বিল্ডিঙের কনস্ট্রাকশন কাজে ব্যাবহৃত বিভিন্ন ভারী মেশিনের আওয়াজ ইত্যাদি। এই শব্দ গুলি আমাদের কানের ক্ষতি করে এবং আমাদের মানসিক শান্তিকে নষ্ট করে।

সুশ্রাব্য শব্দ : 

যে সকল আওয়াজ আমাদের কানে প্রবেশ করলে আমাদের ভালো লাগে, আমাদের মনকে সুখ ও আনন্দের অনুভূতি দেয় সেই সকল শব্দকে সুশ্রাব্য শব্দ বলে। যেমন – সংগীতের আওয়াজ, বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের আওয়াজ, ইত্যাদি। এই শব্দগুলি আমাদেরকে মানসিক ভাবে শান্ত করে এবং আমাদের কানের কোনো ক্ষতি করে না। এই শব্দগুলোকে আমরা বার বার শুনতে পছন্দ করি।

(৫) সকল কম্পাঙ্কের শব্দ কি আমরা শুনতে পাই? আমাদের শ্রাবতার সীমা কত?

উত্তর : আমরা জানি শব্দ উৎপন্ন কম্পন এর জন্য। তাই কম্পনের মাত্রার উপর নির্ভরকরে প্রাণিজগতের সকল প্রাণীর শব্দ সোনার মাত্রাও ভিন্ন হয়। প্রাণিজগতে মানুষ সকল কম্পাঙ্কের শব্দ শুনতে পায় না। মানুষ তার শ্রবণ যন্ত্রের সাহার্য্যে ২০ থেকে ২০, ০০০ কম্পন যুক্ত শব্দ তরঙ্গকে শুনতে পায়। এর কম বা বেশি কম্পনের আওয়াজ মানুষের কানে পৌঁছতে পারে না।তাই বলা যায়, মানুষের শ্রাবতার নিম্ন সীমা হলো ২০ এবং উচ্চসীমা হলো ২০,০০০।

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :

(১) কোন মাধ্যমে শব্দের বেগ সবচেয়ে বেশি ?

(ক) শূন্য মাধ্যম

(খ) কঠিন মাধ্যম

(গ) বায়বীয় মাধ্যম

(ঘ) তরল মাধ্যম

উত্তর :

(খ) কঠিন মাধ্যম

নিচের অনুচ্ছেদটি ভালোভাবে পড়ে ২ ও ৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

চন্দ্র পৃষ্ঠে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ এবং পৃথিবীপৃষ্ঠে বড় মাঠের দূরপ্রান্তে বন্দুকের নল থেকে গুলি বের হলো। উভয় ক্ষেত্রে সৃষ্ট আলোর ঝলকানি দেখা গেল।

(২) চন্দ্রপৃষ্ঠে বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে হলে পৃথিবী থেকে

(i) চন্দ্রের দূরত্ব কম হতে হবে

(ii) পৃথিবী ও চন্দ্রের মাঝে মাধ্যম থাকতে হবে

(iii) শব্দের কম্পাঙ্ক ২০ থেকে ২০০০০ হার্জ হতে হবে

নিচের কোনটি সঠিক?

(ক) i

(খ) ii

(গ) iii

(ঘ) ii iii

উত্তর :

(ঘ) ii ও iii

(৩) উভয় ঘটনা একইসাথে সংঘটিত হয়ে থাকলে কোনটি সবশেষে পর্যক্ষেণ করা যাবে?

(ক) বন্দুকের গুলির শব্দ

(খ) বন্ধুকে সৃষ্ট আলো

(গ) বিস্ফোরণের শব্দ

(ঘ) বিস্ফোরণের

উত্তর :

(ক) বন্দুকের গুলির শব্দ

(৪) ভিতরের বাতাসে কম্পনের ফলে সুর সৃষ্টি হয় কোন বাদ্যযন্ত্রে ?

(ক) সেতার

(খ) একতারা

(গ) পিটার

(ঘ) বাঁশি

উত্তর :

(ঘ) বাঁশি

সৃজ নশীল প্রশ্ন : 

(১) শব্দের বেগ ৩৩০ মি/সে (বায়ুতে) সমুদ্রের পানিতে শব্দের কো ১৫০০ মি/সে তীরে দাঁড়ানো লোকটি ও ডুবুরি বোমা ফাটার স্থান থেকে ৩৩০০ মিটার দূরে আছে।

(ক) শব্দ কী?

উত্তর : আমরা আমাদের শ্রবণযন্ত্র অর্থাৎ কানের মধ্যে যা কিছু শুনি তাই শব্দ। কোনো বস্তূর কম্পনের দ্বারা শব্দ উৎপন্ন হয়। শব্দের একক হলো হার্জ। মানুষ শুধু ২০ থেকে ২০,০০০ কম্পন সম্পন্ন শব্দকেই শুনতে পায়। এর থেকে কম বা বেশি কম্পনের আওয়াজ আমরা শুনতে পারিনা। কিন্তু প্রাণিজগতের অনেক প্রাণী ২০ -২০,০০০ হার্জের কম বা বেশি আওয়াজ শুনতে পারে। যেমন কুকুর। শব্দ শ্রুতিমধুর ও কর্কশ হতে পারে। শব্দের গতিবেগ কঠিন মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি হয়।

(খ) রেল লাইনের পাতে কান রাখলে দূর থেকে রেলগাড়ি চলার শব্দ শুনা যায় কেন ?

উত্তর :

রেল লাইনে লোহার পাতে কান রাখলে আমরা দূর থেকে আসা রেলগাড়ির আসার আওয়াজ শুনতে পারি এর কারণ হলো রেলগাড়ির চাকার সাথে রেললাইনের লোহার পাতের উপর চলার ফলে তার থেকে উৎপন্ন কম্পন। শব্দের গতি যেহেতু কঠিন মাধ্যমে সবথেকে বেশি হয় তাই রেলগাড়ি অনেক দূরে থাকলেও রেললাইনের লোহার আমরা যদি কান রাখি তাহলে রেলগাড়ির চাকার আওয়াজ শুনতে পারি। রেলগাড়ির চাকার সাথে রেললাইনের লোহার পাটাতনের ঘর্ষণের ফলে এই শব্দ উৎপন্ন হয়।

(ঘ) বোমা ফাটার শব্দ ডুবুরিও কি একই সময়ে শুনতে পারবে? তোমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও

উত্তর : না, যেহেতু শব্দের গতিবেগ বায়ুর চেয়ে জলে অনেক বেশি তাই লোকটির থেকে ডুবুরি অনেক আগে বোমা ফাটার শব্দ শুনতে পারবে। যে কোনো শব্দরই গতিবেগ গ্যাসীয় মাধমের থেকে তরল মাধ্যমে অনেক বেশি হয়। তাই  তীরে  দাঁড়িয়ে থাকা লোকটি ও সমুদ্রে থাকা ডুবুরি সমান  দুরুত্বে থাকলেও বোমা ফাটার আওয়াজ ডুবুরি আগে শুনতে পারবে।

(২) এতদিন যাবৎ তপনের বাসা থেকে স্কুলের ঘণ্টা ধ্বনির শব্দ শোনা যেত না। সম্প্রতি ঘণ্টাটির ওজন ঠিক রেখে গঠনে কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে। ফলে এখন সে বাসা থেকেই ঘণ্টাধ্বনির শব্দ শুনতে পারে।

(ক) সুশ্রাব্য শব্দ কী?

উত্তর : যে সকল শব্দ শুনলে আমাদের কোনো রকম অস্বস্তি বোধ হয় না, সুখ বা আনন্দের অনুভূতি হয় ও আমাদের মন শান্ত হয়, সেই সকল শব্দকে আমরা সুশ্রাব্য শব্দ বলি। যেমন – বাঁশির শব্দ, প্রকৃতির বিভিন্ন পাখির ডাক, সুমুধুর সংগীত ইত্যাদি সুশ্রাব্য শব্দের উৎস। এই আওয়াজ গুলো আমাদের মন ও শরীর উভয়কেই শান্তি প্রদান করে এবং সুস্থ থাকতে সহায়তা করে।

(খ) বাঁশের বাঁশির নলের দৈর্ঘ্য কম হলে শব্দের তীক্ষ্ণতার কীরূপ পরিবর্তন আসবে?

উত্তর :

বাঁশের বাঁশির নলের দৈর্ঘ্য কম হলে সেই বাঁশি থেকে উৎপন্ন শব্দ তীক্ষ্ণতা হবে অনেক বেশি  এবং অশ্রাব্য শব্দ। কারণ যেকোনো বাঁশির আওয়াজের তীক্ষ্ণতা নির্ভর করে বাঁশির নলের দৈর্ঘ্য এবং নলের মধ্যে ছিদ্রের সংখ্যার উপর। কোনো বাঁশির নলের দৈর্ঘ্য কম হলে স্বাভাবিক ভাবেই এর ছিদ্রের সংখ্যা হবে অনেক কম। তাই এই বাঁশির মধ্যে বায়ুর চলাচল হবে স্বল্প এবং ছিদ্রের পরিমান কম থাকার দরুন বায়ু খুব তাড়াতাড়ি নলের থেকে বাইরে বেরিয়ে যাবে তাই শব্দের কম্পনের মাত্রা হবে উচ্চস্বরের এবং এই শব্দের তীক্ষ্ণতা হবে অনেক অনেক বেশি।

(গ) স্কুলের ঘন্টা ধ্বনি তপনের কানে পৌঁছার কৌশল বর্ণনা কর।

উত্তর :

আমরা যাই যে কোনো শব্দেরই সঞ্চালনের জন্য একটি মাধমের প্রয়োজন হয়। যেমন কঠিন, তরল বা গ্যাসীয়। স্কুলের ঘন্টার আওয়াজ বায়ুর মাধ্যমে সঞ্চালিত হয়ে তপনের কানে পৌঁছেছিল। যে কোনো শব্দই কম্পনের মাধ্যমে সঞ্চালিত হয়। তাই যখন স্কুলের ঘন্টাটিকে লাঠির মাধ্যমে আঘাত করলে সেখান থেকে কম্পনের মাধ্যমে শব্দ উৎপন্ন হচ্ছিলো। এই শব্দ আবার বায়ুর বিভিন্ন অণুগুলোকে কম্প্যাঙ্কিত করছে। শব্দ বায়ুর অর্থাৎ গ্যাসীয় মাধ্যমের বিভিন্ন কণা ও অনুর মধ্যে কম্পনের সৃষ্টি করে সঞ্চালিত হয়। এই ভাবে স্কুলের ঘন্টাটি থেকে নির্গত শব্দ বায়ুর বিভিন্ন অনুর কম্পনের মাধ্যমে সঞ্চালিত হয়ে তপনের কানে পৌঁছেছিল। শব্দের গতিবেগ সবথেকে বেশি থাকে কঠিন মাধ্যমে এবং সবচেয়ে কম থাকে গ্যাসীয় মাধ্যমে। তাই যেহেতু স্কুলের ঘন্টাটি হাওয়াতে অর্থাৎ গ্যাসীয় মাধ্যমে  বাজানো হচ্ছিলো তাই এর গতিবেগ হবে সবচেয়ে কম।

(ঘ) ঘণ্টায় কোন ধরনের পরিবর্তনের কারণে তখন বাসা থেকেই এখন ঘণ্টার শব্দ শুনতে পায়। উপযুক্ত কারণসহ ব্যাখ্যা   কর।

উত্তর : স্কুলের ঘন্টাটি একটি ধাতুর তৈরী অর্থ্যাৎ কঠিন পদার্থ এবং লাঠিটিও একটি কঠিন পদার্থ। এখন এই ধাতুর তৈরী ঘন্টাটিতে লাঠি দিয়ে জোরে আঘাত করলে ধাতুর তৈরী ঘন্টাটিতে কম্পনের সৃষ্টি হবে এবং ঘন্টাটির থেকে শব্দ উৎপন্ন হবে, কারণ যে কোনো বস্তুর কম্পনের ফলে সেখানে শব্দের উৎপত্তি হবে। ঘন্টাটিতে লাঠি দিয়ে আঘাত করার ফলে ঘন্টাটির ধাতুটি কম্পিত হতে থাকবে এবং শব্দ সৃষ্টি করবে। ঘন্টার ধাতুর এইরকম অবস্থার পরিবর্তনের ফলে তপন বাড়ি থেকেই ঘন্টার আওয়াজ শুনতে পেতো।

 

More Chapters Solutions :  

Updated: October 9, 2023 — 2:15 pm

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *