NCTB Class 7 Science Bengali Version Chapter 1 নিম্নশ্রেণির জীব Solution
Bangladesh Board Class 7 Science Solution Chapter 1 নিম্নশ্রেণির জীব Solution Exercises Question and Answer by Experienced Teacher.এখানে বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (NCTB) কর্তৃক প্রকাশিত বিজ্ঞান বইয়ের প্রথম অধ্যায় নিম্নশ্রেণির জীব অনুশীলনের সমস্ত সমাধান দেওয়া হয়েছে।
NCTB Solution Class 7 Chapter 1 নিম্নশ্রেণির জীব :
Board | NCTB Bangladesh Board |
Class | 7 |
Subject | Science |
Chapter | One |
Chapter Name | নিম্নশ্রেণির জীব |
নিম্নশ্রেণির জীব অনুশীলনী প্রশ্ন এবং উত্তর :
শূন্যস্থান পূরণ কর :
(১) মানুষের টাইফয়েড রোগের কারণ ___
(২) আমাশয় রোগ সৃষ্টিকারী অণুজীবের নাম ___
(৩)জীবন্ত দেহের বাইরে ___ কোনো জীবনের লক্ষণ প্রকাশ করে না।
(8) ___নামক ছত্রাক পাউরুটির কারখানায় ব্যবহার করা হয়।
(৫) দণ্ডাকৃতির ব্যাকটেরিয়াকে ___বলে।
উত্তর :
(১) মানুষের টাইফয়েড রোগের কারণ ব্যাকটেরিয়া।
(২) আমাশয় রোগ সৃষ্টিকারী অণুজীবের নাম ব্যাসিলাস
(৩) জীবন্ত দেহের বাইরে ভাইরাস কোনো জীবনের লক্ষণ প্রকাশ করে না।
(8) ইস্ট নামক ছত্রাক পাউরুটির কারখানায় ব্যবহার করা হয়।
(৫) দণ্ডাকৃতির ব্যাকটেরিয়াকে কমা বলে।
সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন :
(১) প্রকৃত পরজীবী কথার অর্থ কী?
উত্তর : প্রকৃত পরজীবী বলা হয় ভাইরাসকে। কারণ ভাইরাসের শারীরিক গঠন এমন ভাবে তৈরী থাকে যে ভাইরাসের শরীরের আমিষ আবরণ থেকে নিউক্লিক এসিড বের হয়ে গেলে এরা জীবনের সকল যখন হারিয়ে ফেলে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে এই ভাইরাস যখন অন্য কোনো জীবদেহে প্রবেশ করে এবং যেইমাত্র তারা আমিষ আবরণ ও নিউক্লিক এসিডকে একত্র করে, সেই সময়ই তারা পুনরায় জীবিত হয়ে যায়। ভাইরাস তার এই বিশেষত্বের জন্যই অনেক অনেক বছর পর্যন্ত মৃত অবস্থাতে থেকে আবার পুনরায় জীবিত হয়ে উঠতে পারে। ভাইরাসের এই বিশেষ গুণটির জন্য তাদেরকে প্রকৃত পরজীবী বলে।
(২) ব্যাকটেরিয়াজনিত চারটি রোগের নাম লিখ ।
উত্তর :
ব্যাকটেরিয়া জনিত চারটি রোগের নাম হলো – (১) কলেরা (২) টাইফয়েড (৩) সিলিফিড (৪) এনথ্রাক্স (৫) কুষ্ঠরোগ।
(৩) অণুজীব কারা?
উত্তর : আমাদের পরিবেশের চারপাশে যে সমস্ত জীবকে আমরা খালি চোখে দেখতে পারি না এবং যাদেরকে দেখার জন্য অণুবীক্ষণ যন্ত্রের প্রয়োজন হয়, সেই সকল অতি ক্ষুদ্র জীবদেরকে অণুজীব বলে। যেমন – ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ইত্যাদি।
(৪) কোন কোন উপাদান নিয়ে ভাইরাসের দেহ গঠিত?
উত্তর : ভাইরাসের দেহ গঠিত হয় মূলত আমিষ আবরণ এবং নিউক্লিক এসিড দিয়ে। ভাইরাসের দেহের আমিষ আবরণ থেকে নিউক্লিক এসিড বেরিয়ে গেলে এরা জীবনের সকল লক্ষণকে হারিয়ে ফেলে এবং পুনরায় অন্য কোনো জীবের দেহে আমিষ আবরণ ও নিউক্লিক এসিড একসঙ্গে একত্রিত করলে এরা জীবনের সকল লক্ষণকে ফিরে পায়।
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :
(১) নিউমোনিয়া রোগ সৃষ্টি করে কোন ব্যাকটেরিয়া?
(ক) স্পাইরিলাম
(খ) ব্যাসিলাস
(গ) ককাস
(ঘ) কমা
উত্তর :
(গ) ককাস
(২) শৈবাল ব্যবহৃত হয়-
(i) আইসক্রিম প্রস্তুতকরণে
(ii) মাছ চাষের ক্ষেত্রে
(iii) ঔষধ তৈরি করতে
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) i
(খ) i ও ii
(গ) ii ও iii
(ঘ) i, ii ও iii
উত্তর :
(ঘ) i, ii ও iii
উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
তারেক আখ খাবার সময় লক্ষ করল আখের গায়ে লাল দাগ পড়েছে। তার বাবা বললেন এটি একধরনের পরজীবীর কারণে সৃষ্টি হয়।
(৩) উদ্দীপকের পরজীবী জীবটি সৃষ্টি করে-
(i) রেড রাস্ট
(ii) ট্রাকিয়ার প্রদাহ
(iii) মাথার খুশকি
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) i
(খ) i ও iii
(গ) ii ও iii
(ঘ) i, ii ও iii
উত্তর :
(ক) i
(৪) তারেকের লক্ষ করা রোগটির জন্য কোনটি দায়ী ?
(ক) ছত্রাক
(গ) ব্যাকটেরিয়া
(খ) শৈবাল
(ঘ) ভাইরাস
উত্তর :
(ক) ছত্রাক
(1) (ক) শৈবাল কী?
উত্তর : আমাদের পরিবেশের সমস্ত ক্লোরোফিল যুক্ত ও স্বভোজী উদ্ভিদরাই শৈবাল। শৈবাল সাধারণ ভাবে মাটি, জল বা অন্য কোনো গাছের ওপরেও জন্মায়। শৈবাল আমাদের জন্য খুবই উপযোগী কারণ শৈবাল আমাদের বিভিন্ন কাজে প্রয়োজন ও ব্যবহার হয়। যেমন বিভিন্ন ওষুধ, আইসক্রিম ও খাদ্য তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।
(খ) ছত্রাককে মৃতজীবী বলা হয় কেন ?
উত্তর : ছত্রাককে মৃতজীবী বলা হয় কারণ ছত্রাক নিজের খাদ্য নিজে উৎপন্ন বা তৈরী করতে পারে না। তাই ছত্রাক খাদ্যের জন্য মৃত জীব বা উদ্ভিদের উপর নির্ভর করে তাই ছত্রাককে মৃতজীবী বলে। ছত্রাকের শরীরে ক্লোরোফিল উপস্থিত থাকে না এই কারণেই এরা নিজেদের খাদ্যের জন্য মৃত জীব বা উদ্ভিদের দেহের উপর নির্ভর করতে হয়। যেমন – বিভিন্ন মাশরুম।
(গ) A দ্বারা সৃষ্ট রোগ প্রতিরোধের উপায় ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : প্রদপ্ত চিত্রে A একটি ব্যাকটেরিয়া। ব্যাকটেরিয়া বিভিন্ন রোগসৃষ্টি করে থাকে। এই রোগ গুলোকে আমরা বিভিন্ন সাবধানতা অবলম্বন করে প্রতিরোধ করতে পারি। ব্যাকটেরিয়ার থেকে সৃষ্ট রোগ প্রতিরোধের বিভিন্ন উপায় গুলি নিম্নে আলোচনা করা হলো –
ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ প্রতিরোধের উপায় :
(১) খাবার আগে ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ও মুখ ধুয়ে নিতে হবে।
(২) বাইরে বেরোলে বিশেষ ধরণের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
(৩) সবসময় বিশুদ্ধ জল পান করা উচিত। ব্যাকটেরিয়া জলে মিশে বিভিন্ন পেটের রোগ সৃষ্টি করে।
(৪) ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগে আক্রান্ত ব্যাক্তির থেকে দূরত্ত্ব বজায় রাখা উচিত।
(৫) সর্দি কাশির সময় হাঁচি বা কাশি দেওয়ার সময় মুখে রুমাল ব্যবহার করা উচিত।
(ঘ) B ক্ষতিকারক জীব হলেও পরিবেশের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ যুক্তিসহ তোমার মতামত দাও।
উত্তর : প্রদপ্ত চিত্রে B অর্থাৎ ব্যাকটেরিয়া একটি ক্ষতিকারক জীব কিন্তু এই জীব একই সঙ্গে আমাদের জন্য গুরুপ্তপূর্ণ। কারণ ব্যাকটেরিয়া রোগ সৃষ্টি করলেও এটি আমাদের আরো অনেক কাজে বিশেষ ভাবে প্রয়োজন হয়। নিম্নে ব্যাকটেরিয়ার উপকারিতা গুলি আলোচনা করা হলো –
(১) ব্যাকটেরিয়া দই ও পনির তৈরী করতে ইস্ট রূপে ব্যবহার করা হয়।
(২) প্রকৃতি থেকে সরাসরি মাটিতে নাইট্রোজেন সরবরাহ কেবলমাত্র ব্যাকটেরিয়াই করতে পারে। তাই আমাদের কৃষকদের জন্য ব্যাকটেরিয়া বন্ধুর মতো সাহার্য্য করে।
(৩) পরিবেশের সকল মৃত জীব ও উদ্ভিদকে পচিয়ে মাটির সাথে মিশ্রিত করে ব্যাকটেরিয়া।
(৪) ব্যাকটেরিয়া থেকে সৃষ্ট বিভিন্ন রোগের ওষুধ অর্থাৎ এন্টিবায়োটিক তৈরী করতে ব্যাক্টেরিয়াকেই ব্যবহার করা হয়।
(৫) উৎপাদিত ফসল যেমন পাট গাছের ছাল ও ভেতরের পাটকাঠিকে আলাদা করার জন্য একধরণের ব্যাকটেরিয়া সাহার্য্য করে।
(৬) বিজ্ঞানীরা অনেক সময় একটি জীবের জিনগত বৈশিষ্টকে পরিবর্তন বা নতুন কোনো বৈশিষ্টকে যুক্ত করার জন্য ব্যাকটেরিয়াকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে।
(২) সোহেল ইনফ্লুয়েঞ্জায় পাক্রান্ত হয়েছে। তার বাবা তাকে হাঁচি ও কাঁশি দেওয়ার সময় রুমাল ব্যবহার করতে বললেন।
(ক) ভাইরাস কী?
উত্তর : যে সমস্ত অণুজীবদের খালি চোঁখে ও অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহার্য্যেও দেখা যায় না, যাদের দেখার জন্য বিশেষ ইলেক্ট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্রকে ব্যবহার করতে হয়, সেই ক্ষুদ্রতম অণুজীবদেরকে ভাইরাস বলে। ভাইরাসের দেহে কোনো প্লাজমালেমা, সাইটোপ্লাজম, সুসংগঠিত নিউক্লিয়াস কিছুই থাকে না। তাই জীবজগতের সবচেয়ে সরলতম জীব ভাইরাসকে বলা হয়। ভাইরাসের শরীর দুটি জিনিস নিয়ে গঠিত আমিষ আবরণ এবং নিউক্লিক এসিড। এই নিউক্লিক এসিড আমিষ আবরণ থেকে বেরিয়ে গেলে ভাইরাস জীবনের সব লক্ষণকে হারিয়ে ফেলে এবং পুনরায় যদি অন্য কোনো জীবের দেহে ওই আমিষ আবরণ ও নিউক্লিক এসিডকে একত্রিত করা হয় তাহলে ভাইরাস জীবনের সব লক্ষণকে ফিরে পায়।
(খ) ভাইরাসকে অকোবীর জীব বলা হয় কেন?
উত্তর : ভাইরাসের শরীরে কোনো কোষপ্রাচীর, সুসংগঠিত নিউক্লিয়াস, প্লাজমালেমা, সাইটোপ্লাজম ইত্যাদি কিছুই থাকে না অর্থাৎ ভাইরাসের শরীরে কোন কোষের উপিস্থিতি লক্ষ করা যায় না। এই কারণে ভাইরাসকে অকোষীয় জীব বলা হয়। ভাইরাস এতটাই সুক্ষ ও ক্ষুদ্র হয় যে এদেরকে সাধারণ কোনো অণুবীক্ষন যন্ত্রে দেখতে পাওয়া যায় না। এদেরকে দেখার জন্য ইলেক্ট্রন অনুবীক্ষন যন্ত্রের প্রয়োজন হয়।
(গ) সোহেলকে রুমাল ব্যবহার করতে বলার কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : সোহেল রুমাল ব্যবহার করতে বলার মূল কারণ হলো যাতে তার থেকে রোগটি বাড়ির আর সবার মধ্যে ছড়িয়ে না পরে। কারণ হাঁচি বা কাশি দেওয়ার সময় আমাদের শরীরে জীবাণুগুলি সেই হাঁচি বা কাশির সাথে বেরিয়ে আসে এবং আশেপাশের বায়ুতে ছড়িয়ে পরে সেখানে থাকা সুস্থ মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। এর ফলে সেই সুস্থ মানুষটিও সেই একই রোগে আক্রান্ত হয়। তাই সোহেলের বাবা সোহেলকে হাঁচি বা কাশি দেওয়ার আগে মুখে ও নাকে রুমাল দিতে বলেছিলো।
(ঘ) সোহেল রোগটি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য অন্যদের কীভাবে সচেতন করবে তা বিশ্লেষণ কর ।
উত্তর : সোহেল যেহেতু influenza দ্বারা আক্রান্ত হয়ে ছিল অর্থাৎ তার সর্দি কাশি ও জ্বর হয়েছিল। সোহেলের এই রোগটি থেকে অন্যদের সুরক্ষিত থাকতে হলে তাদের কিছু সচেতনতা মেনে চলতে হবে। এই সচেতনতা গুলি নিম্নে আলোচনা করা হলো –
(১) বাড়ির আসে পাশে যাতে কোথাও জমা জল না থাকে তা লক্ষ করতে হবে কারণ জমা জলে মশা জন্ম নিবে এবং মশা এই রোগের সব থেকে বড়ো বাহক।
(২) আক্রান্তের ঘরে বেশিক্ষন থাকা যাবে না। আক্রান্তকে স্পর্শ করলে সেই হাতে কিছু খাওয়া যাবে না এমনকি সেই হাত মুখে বা নাকে লাগাতে পারবে না।
(৩) সব সময় ভালো করে হাত ও মুখ ভালো করে সাবান দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
(৪) জলে ভিজে ঠান্ডা লাগানো চলবে না।
(৫) এই রোগে আক্রান্ত ব্যাক্তির থেকে দূরে থাকতে হবে।
(৬) আক্রান্তের ঘরে ঢুকলে বা তার সাথে কথা বলার সময় মুখে মাস্ক পরে নিতে হবে।
(৭) বেশি ধুলো বালি হাওয়াতে উড়ছে এমন জাগাতে গেলে ভালো করে নাক ও মুখ ঢেকে নিতে হবে।
(৮) রাতে ঘুমোনোর সময় বিছানায় মশারি টাঙিয়ে ঘুমোনো উচিত।
(৮) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এমন সব খাবার ক্ষেতে হবে।
এই সব সাবধানতা গুলোকে মেনে চললেই আমরা এই রোগ থেকে রাখা পেতে পারি।
More Chapters Solutions :