NCTB Class 7 Science Bengali Version Chapter 7 শক্তির ব্যবহার Solution

NCTB Class 7 Science Bengali Version Chapter 7 শক্তির ব্যবহার Solution

Bangladesh Board Class 7 Science Solution Chapter 7 শক্তির ব্যবহার Solution  Exercises Question and Answer by Experienced Teacher.এখানে বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (NCTB) কর্তৃক প্রকাশিত বিজ্ঞান বইয়ের সপ্তম অধ্যায় শক্তির ব্যবহার অনুশীলনের সমস্ত সমাধান দেওয়া হয়েছে।

NCTB Solution Class 7 Chapter 7 শক্তির ব্যবহার :

Board NCTB Bangladesh Board
Class 7
Subject Science
Chapter Seven 
Chapter Name শক্তির ব্যবহার

শক্তির ব্যবহার অনুশীলনী প্রশ্ন এবং উত্তর :

NCTB Class 7 Science Bengali Version Chapter 7 শক্তির ব্যবহার Solution

শূন্যস্থান পূরণ কর :

(১) কাজ করার ___ হলো শক্তি।

(২) জেনারেটর মূলত ___ শক্তিকে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তরিত করে।

(৩) বায়োগ্যাস উৎপন্ন করা যায় ___ ও  ___ উপাদান থেকে।

উত্তর :

(১) কাজ করার ক্ষমতা হলো শক্তি।

(২) জেনারেটর মূলত গতি শক্তিকে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তরিত করে।

(৩) বায়োগ্যাস উৎপন্ন করা যায় আবর্জনা এবং পশুর মল উপাদান থেকে।

সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন : 

(১) ক্ষমতা ও শক্তির মধ্যে পার্থক্য কী?

উত্তর :

ক্ষমতা : কোনো কাজকে কেউ কত তাড়াতাড়ি করছে তার  বিচার করলে আমার ক্ষমতা পাবো। একটি নির্দিষ্ট কাজ কেউ কত সময়ের মধ্যে শেষ করেছে, তাকে তার ক্ষমতা বলে। যেমন একটি পাম্প ১ ঘন্টায় ২০০ লিটার জল মাটি থেকে বের করছে। তাই এখানে পাম্পের ক্ষমতা হয় ১ ঘন্টায় ২০০ লিটার জল বের করা।

শক্তি : কোনো কাজ করতে বলের প্রয়োজন হয় আর এই বল আসে শক্তি থেকে। অর্থাৎ কোনো কাজ করার সময় যে বল প্রয়োগ করার যে ক্ষমতা তাই হলো শক্তি। যেমন জলের পাম্পটি ১ ঘন্টা চললে ২০০ লিটার জল উত্তোলন করতে পারছে এই ২০০ লিটার জল উত্তোলন করার ক্ষমতাকেই আমরা পাম্পটির শক্তি বলবো। অর্থাৎ কোনো বস্তূর কোনো কাজ করার  ক্ষমতাকেই সেই বস্তূর শক্তি বলে।

(৩) শক্তির সংকট সৃষ্টির কারণগুলো উল্লেখ কর।

উত্তর : আমাদের দৈনিক জীবনের ছোট থেকে বড়ো যে কোনো কাজের জন্য আমরা শক্তির বিভিন্ন রূপকে ব্যবহার করে চলেছি। দিনদিন যত জনসংখ্যা বাড়ছে আমাদের শক্তির চাহিদা ততটাই বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু এই ব্যাপক শক্তির চাহিদা মেটানোর জন্য আমাদের পৃথিবীর শক্তি সম্পদ গুলি ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। কারণ আমাদের পৃথিবীতে শক্তির উৎপন্ন সম্পদ যেমন কয়লা, পেট্রোলিয়াম ইত্যাদি সীমিত পরিমানে সঞ্চিত আছে। মানুষের শক্তির অপব্যয়ের কারো না এবং  প্রয়োজনের তুলনায় বেশি পরিমান শক্তি উৎপন্ন ও ব্যাবহার করার দরুন বর্তমান পৃথিবীতে শক্তি সংকট একটি ক্রমবর্ধমান সমস্যা হয়ে উঠেছে। মানুষের শক্তি সম্পদের অপব্যাবহার গুলি নিম্নে আলোচনা করা হলো  –

(১) পৃথিবীতে মানুষের ক্রমবর্ধমান সংখ্যা বৃদ্ধি শক্তি সংকটের মূল কারণ।

(২) সময়ের সাথে মানুষ যত উন্নত হয়েছে শক্তির ব্যবহার ততটাই বৃদ্ধি পেয়েছে  .

(৩) মানুষের সৃষ্ট বিভিন্ন যন্ত্রপাতি, যানবাহন, এবং বা বিভিন্ন সরঞ্জাম ব্যাপক হারে শক্তির বিভিন্ন রূপকে ব্যবহার করে চলেছে।

(৪) মানুষের স্বাচ্ছন্দ ও সুবিধার কথা ভেবে যে সব সরঞ্জাম যেমন – কম্পিউটার, রেফ্রিজারেটর, ঘরের শীততাপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র , মোবাইল, বিভিন্ন আলো উৎপন্নকারী সরঞ্জাম, এবং বর্তমান সময়ে যানবাহন পর্যন্ত  বিদ্যুতের সাহার্য্যে চলিত হচ্ছে। এই সকল যান্ত্রিক সরঞ্জাম চালানোর জন্য ব্যাপক শক্তির ক্ষয় হচ্ছে।

(৫) মানুষ অনেক সময় অকারণে এই সরঞ্জামগুলোকে চালিয়ে রাখে যার ফলে শক্তির অপচয় ঘটে।

এছাড়া বর্তমান সময়ে আমাদের উন্নত সমাজের সকল কাজের জন্য আমরা বিভিন্ন যন্ত্রের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি। আর এই যন্ত্রের চালনার  জন্য প্রচুর শক্তির প্রয়োজন। এই সকল যন্ত্রকে চালানোর জন্য আমরা পৃথিবীর শক্তি সম্পদগুলোকে অনেক বেশি পরিমানে এবং অনেক দ্রুততার সাথে ব্যবহার করে ফেলছি। এই কারণেই আমাদের পৃথিবীর শক্তি সম্পদগুলো শেষ হয়ে যাচ্ছে এবং আমরা শক্তি সংকটের  মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছি। এই  ভাবে চলতে থাকলে আমরা আর কয়েক দশকের মধ্যেই পৃথিবীর সকল শক্তি সম্পদকে শেষ করে ফেলবো।

(৪) অনবায়নযোগ্য শক্তির সুবিধা কীভাবে পাওয়া যায় ?

উত্তর : অনবায়নযোগ্য শক্তি বলতে সেই সব শক্তিকে বুঝি যা একবার ব্যবহার করলে পুনরায় আর সেই  শক্তি ব্যবহার করা যায় না। পৃথিবীতে সঞ্চিত বিভিন্ন গ্যাস, পেট্রোলিয়াম, কয়লা ইত্যাদি এই  রূপ শক্তির উদাহরণ। এই শক্তি গুলির সুবিধা হলো – এই শক্তি সম্পদ গুলি থেকে স্বল্প ব্যয়ে অনেক বেশি পরিমান শক্তি উৎপন্ন করে। এই সম্পদ গুলি থেকে শক্তি উৎপন্ন করা অনেক বেশি সহজ এবং সরল। অনবায়নযোগ্য শক্তি গুলি থেকে শক্তিকে বিভিন্ন রূপে পাওয়া যায় অনবায়নযোগ্য শক্তি সম্পদ গুলো থেকে শক্তি উৎপন্নের জন্য কোনো বিশেষ পদ্ধতি অনবলম্বন করতে হয় না। এগুলি সবই অন্বয়নযোগ্য শক্তির সুবিধা।

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন : 

(১) কোনটি শক্তির অনবায়নযোগ্য উৎস?

(ক) বায়ু

(খ) পানির স্রোত

(গ) সৌর শক্তি

(ঘ) কয়লা

উত্তর :

(ঘ) কয়লা

(২) অতীশ কখনও কখনও রাতে লাইটযুক্ত চার্জার ফ্যানের সাহায্যে পড়ালেখা করে। এ ক্ষেত্রে সে ব্যবহার করে-

(i)  আলোক শক্তি

(ii) বিদ্যুৎ শক্তি

(iii) রাসায়নিক শক্তি

নিচের কোনটি সঠিক?

(ক) i ii

(খ) ii iii

(গ) i iii

(ঘ) i, ii iii

উত্তর :

(ক) i ও ii

নিচের উদ্দীপকের আলোকে ৩ ও ৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

একজন ব্যায়ামবিদ ২০০ কেজির ভার উত্তোলন করেন এবং ভারটি নিচে নামান। এরপর কিছুণ বিশ্রাম নিয়ে খাবার খেতে খেতে গান শুনতে লাগলেন।

(৩) ভার উত্তোলন থেকে ভার নিচে নামানো পর্যন্ত শক্তির রূপান্তরের সঠিক ক্রম কোনটি?

(ক) রাসায়নিক শক্তি → যান্ত্রিক শক্তি → স্থিতি শক্তি → যান্ত্রিক শক্তি

(খ) যান্ত্রিক শক্তি → শক্তি স্থিতি → শক্তি যান্ত্রিক → শক্তি শব্দ

(গ) স্থিতি শক্তি → যান্ত্রিক শক্তি → শব্দ শক্তি → তাপ শক্তি

(ঘ) যান্ত্রিক শক্তি → স্থিতি শক্তি → যান্ত্রিক শক্তি → স্থিতি শক্তি

উত্তর :

(ক) রাসায়নিক শক্তি → যান্ত্রিক শক্তি → স্থিতি শক্তি → যান্ত্রিক শক্তি

(৪) ভার উত্তোলকের খাদ্য গ্রহণ ও গান শোনার সাথে কোন শক্তি দুইটির সম্পর্ক রয়েছে।

(ক) তাপ ও শব্দ

(খ) তাপ ও বিদ্যুৎ

(গ) রাসায়নিক ও শব্দ

(ঘ) স্থিতি ও তাপ

উত্তর :

(গ) রাসায়নিক ও শব্দ

সৃজনশীল প্রশ্ন :

(১) সামিহার গ্রামের বাড়ি বিজয়নগরে এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি। তাই গ্রামবাসির অনেকেই সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন। আবার গত ঈদের ছুটিতে মামার সাথে সে কাপ্তাই বেড়াতে গিয়ে দেখে পানি থেকেও বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে।

(ক) শক্তির প্রধান উৎস কী ?

উত্তর : সকল শক্তির প্রধান উৎস হলো সূর্য। কারণ সূর্য থেকে আগত আলোকরশ্মির উপর নির্ভর করে আমাদের পৃথিবীর সকল শক্তির উৎপত্তি হয়ে।  সূর্য বাতির এই পৃথিবীতে কোনো শক্তি বা শক্তি সম্পদের উৎপত্তি সম্ভব নয়। তাই সূর্যকে সকল শক্তির উৎস বলা হয়.

(খ) প্রাকৃতিক গ্যাস অনবায়নযোগ্য শক্তি কেন? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : আমাদের পৃথিবীর বিভিন্ন জৈবিক ও অজৈবিক পদার্থ লক্ষ লক্ষ বছর আগে বিভিন্ন কারণে মাটিতে চাপা পরে গিয়েছিলো। দীর্ঘ সময় ধরে মাটির চাপ, পৃথিবীর উত্তাপ, এবং বিভিন্ন বিক্রিয়ার ফলে এই পদার্থ পগুলি গ্যাসের সৃষ্টি করেছে যা আমাদের পৃথিবী পৃষ্টের অনেক গভীরে বিদ্যমান আছে। এই গ্যাসকেই আমরা প্রাকৃতিক গ্যাস বলি। বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে মানুষ বিভিন্ন উপায়ে এই গ্যাস গুলোকে মাটির গভীর থেকে পাইপের সাহার্য্যে তুলে এর থেকে শক্তি উৎপন্ন করছে। এই গ্যাসগুলো প্রকৃতিতে প্রাকৃতিক ভাবে তৈরী হয়েছে। তাই এর পরিমাণও সীমিত। এছাড়া প্রাকৃতিক গ্যাস পৃথিবীর সর্বত্র পাওয়া যায় না, পৃথিবীর কিছু নির্দিষ্ট স্থানে প্রাকৃতিক গ্যাস খুঁজে পাওয়া গেছে। এই গ্যাস অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে একদিন শেষও যাবে। তখন এই শক্তিকে পুনরায় আর ফিরে পাওয়া যাবে না। তাই যেহেতু প্রাকৃতিক গ্যাসের পরিমান সীমিত এবং পৃথিবীর সর্বত্র এই গ্যাস পাওয়া যায় না। তাই প্রাকৃতিক গ্যাস একটি অনবায়নযোগ্য শক্তি। এক বার ব্যবহার করার পর এর থেকে আর কোনো শক্তি পাওয়া যায় না।  প্রাকৃতিক গ্যাসকে মানব সমাজে বিভিন্ন ক্ষেত্রে  ব্যবহার  করা হয়ে থাকে।  যেমন – কলকারখানা, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে, গৃহস্থলিতে রান্নার কাজে, যানবাহনের ইঞ্জিনে ইত্যাদি।

(গ) সামিহার দেখা কাপ্তাইয়ের পানিবিদ্যুৎ উৎপাদনের কৌশল ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : সামিহার দেখা জলবিদ্যুৎ একটি নবায়নযোগ্য শক্তি। জলবিদ্যুতকে আমরা আমাদের ইচ্ছা মতো উৎপন্ন করতে পারি। জলবিদ্যুৎকে উৎপন্ন করার জন্য আমাদের জলের সাহার্য্যে বা বড়ো বড়ো টারবাইন ঘোরাতে হয়। তাই প্রথমে নদীতে বাঁধ তৈরী করতে হয়। এর ফলে বাঁধের একপাশে প্রচুর পরিমানে নদীর জল জমা হয় এবং বাঁধের উপর প্রচন্ড চাপের সৃষ্টি করে। এরপর বাঁধের মধ্যে অবস্থিত ছিদ্র বা সুড়ঙ্গের সাহার্য্যে তীব্র চাপযুক্ত জলের সাহার্য্যে বিশালাকার টারবাইন ঘোরানো হয় এই টারবাইনের সাথে যুক্ত থাকে বিদ্যুৎ উৎপন্নকারী বিশেষ জেনারেটর মেশিন। আর মেশিনে উৎপন্ন বিদ্যুৎই বিভিন্ন মাধ্যমের সাহার্য্যে আমাদের বাড়িতে পৌঁছে যায়। বর্তমান সময়ে শুধু নদীতে বাঁধ দিয়েই জলবিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হচ্ছে না। পাহাড়ের ঝর্ণার জলের তীব্রতাকে কাজে লাগিয়ে, সমুদ্রের ঢেউ এর শক্তিকে ব্যবহার করে এবং  নদীর জোয়ার ভাঁটার সাহার্য্যেও জলবিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হচ্ছে।

(ঘ) সামিহার গ্রামে ব্যবহৃত উদ্দীপকে উল্লিখিত শক্তির উপযোগিতা আলোচনা কর ।

উত্তর : সামিহার গ্রামে এবং উদ্দীপকে উল্লিখিত শক্তির বিভিন্ন উপযোগিতা আছে। কারণ এই দুটি শক্তিই হলো নবায়নযোগ্য শক্তি অর্থাৎ এই শক্তির কোনো শেষ নেই। মানুষ তার প্রয়োজনের জন্য অনন্তকাল ধরে এই শক্তিকে ব্যবহার করতে পারে। এই শক্তির বিশেষ উপযোগিতা গুলি নিম্নে আলোচনা করা হলো  –

(১) এই শক্তির কোনো শেষ নেই। পরাক্রম ভাবে এই শক্তি উৎপন্ন হতে পারে অর্থাৎ একবার শক্তি উৎপন্ন করার পর এই উপাদান আবার পুনরায় শক্তি উৎপন্ন করতে পারে।

(২) এই শক্তির উৎপন্ন করার সময় আমাদের পৃথিবীর পরিবেশের কোনো ক্ষতি হয় না।

(৩) এই শক্তি উৎপন্ন করা তুলনামূলক ভাবে সহজ।

(৪) এই শক্তি প্রকৃতিতে মুক্ত অবস্থাতে পাওয়া যায়।

(৫) পৃথিবীতে এই শক্তি ভান্ডার কখনো শেষ হবে না।

(৬) নবায়নযোগ্য প্রকৃতিরই একটি অংশ।

(২) মুমিন সাহেব ইদানীং তাঁর হাঁস-মুরগী ও গরুর খামারের বিষ্ঠা আবর্জনা থেকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় এক ধরনের গ্যাস উৎপন্ন করছেন। এতে খামারের বিভিন্ন কাজে শক্তি ও গ্যাসের চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত গ্যাস বিক্রি করতে পারছেন।

(ক) ক্ষমতা কী?

উত্তর : একটি কাজকে কোনো বস্তূর একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত করতে পারাকে ক্ষমতা বলে। অর্থাৎ একটি শক্তি থেকে হওয়া কাজের পরিমানকে সেই শক্তির ক্ষমতা বলে। ক্ষমতার একক হলো ওয়াট।

(খ) শক্তি রূপান্তরের প্রয়োজনীয়তা বর্ণনা কর।

উত্তর : শক্তির রূপান্তরের ফলেই আমরা শক্তিকে ব্যবহার করতে ও শক্তির সাহার্য্যে বিভিন্ন কাজ সম্পন্ন করতে পারি। শক্তির রূপান্তরের মাধ্যমেই শক্তির ব্যবহার সম্পন্ন হয়। যেমন – তাপশক্তি থেকে বিদ্যুৎ শক্তি  আবার বিদ্যুৎশক্তি যান্তিক শক্তিতে, এবার যান্তিকশক্তি তাপশক্তিতে রূপান্তরিত হয়। এর থেকে বোঝা যাচ্ছে যে শক্তির রূপান্তরের মাধমে শক্তির ব্যবহার সম্ভবপর হচ্ছে। এক শক্তিকে অন্য কোনো শক্তিতে রূপান্তরিত করে আমরা বিভিন্ন কাজ সম্পন্ন করে থাকি। যেমন আমরা তাপশক্তিকে বিদ্যুৎশক্তিতে রূপান্তরিত করে বিভিন্ন বৈদ্যুতিক যন্ত্র চালাতে পারি। আবার আমরা আমাদের খাদ্যে সঞ্চিত জৈবিক শক্তিকে রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরি করে আমাদের দেহে শক্তি উৎপন্ন করি। আবার জলের গতিশক্তিকে রূপান্তরিত করে বিদ্যুৎ  শক্তিতে উৎপন্ন করি। তাই দেখাযাচ্ছে যে আমরা আমাদের প্রত্যাহিক জীবনে শক্তিকে বিভিন্ন কাজের জন্য রূপান্তরিত করে চলেছি। তাই শক্তির রূপান্তর এর প্রয়োজনীয়তা অসীম। শক্তিকে রূপান্তরিত করতে না পারলে আমরা শক্তিকে সঠিক ভাবে ব্যবহার করতে পারবো না এবং আমাদের বিভিন্ন কাজের মধ্যে ব্যাঘাত ঘটবে।

(গ) উদ্দীপকে উৎপন্ন গ্যাস কোন ধরনের শক্তির উৎস ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : আলোচ্য উদ্দীপকে মুমিন সাহেবের তৈরি করা গ্যাসটি হলো জৈবিক গ্যাস। প্রাণীদের বিষ্ঠা অর্থ্যাৎ মল এবং বিভিন্ন জৈবিক আবর্জনা থেকে এই গ্যাস উৎপন্ন হয়। মুমিন সাহেব তার খামারে এই জৈবিক গ্যাসই উৎপন্ন করছে। এই গ্যাস থেকে মূল ভাবে তাপশক্তি পাওয়া যায়।  তাই গ্যাস তাপশক্তির উৎস। এই তাপশক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎশক্তিও উৎপন্ন করা যায়।

(ঘ) শক্তি সংরক্ষণে মুমিন সাহেবের কার্যক্রমের গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর।

উত্তর : আমাদের পৃথিবীতে যেহেতু শক্তিসম্পদের পরিমান সীমিত এবং এই শক্তি সম্পদগুলো দিনকে দিন শেষ হয়ে আসছে তাই আমাদের বিভিন্ন নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যাবস্থার করা শিখতে হবে। উদ্দীপকের মুমিন সাহেব আমাদের বাড়িতেই সজজেই তৈরী করা যাবে এমন একটি নবায়নযোগ্য গ্যাসের ব্যবহার দেখিয়েছেন। আমরা আমাদের গৃহপালিত পশুর মল এবং দৈনিক প্রত্যাহিক জীবনে ব্যবহার্য বিভিন্ন জৈবিক পদার্থ যেমন ফলমূল, শাকসবজি খোসাকে একটি  নির্দিষ্ট স্থানে আবদ্ধ করে রেখে এর থেকে জৈবিক গ্যাস উৎপন্ন করতে পারি যার থেকে তাপশক্তি ও বিদ্যুৎশক্তি উৎপন্ন করা যায়। এই শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি পেলে আমাদের অনবায়নযোগ্য শক্তির উপর থেকে নির্ভরতা কমবে এবং শক্তি সম্পদ সঞ্চয় করা যাবে। এছাড়া জৈবিক শক্তি উৎপন্ন করার জন্য যেহেতু  আবর্জনা এবং গবাদি পশুর মল ব্যবহার করা হয় তাই  পরিবেশে বিভিন্ন আবর্জনার পরিমানও হ্রাস পাবে। এই শক্তি আমরা আমাদের বাড়িতে বিনা খরচেই বানাতে পারি।

 

More Chapters Solutions :  

Updated: October 9, 2023 — 2:14 pm

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *