NCTB Class 7 Science Bengali Version Chapter 9 তাপ ও তাপমাত্রা Solution

NCTB Class 7 Science Bengali Version Chapter 9 তাপ ও তাপমাত্রা Solution

Bangladesh Board Class 7 Science Solution Chapter 9 তাপ ও তাপমাত্রা Solution Exercises Question and Answer by Experienced Teacher.এখানে বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (NCTB) কর্তৃক প্রকাশিত বিজ্ঞান বইয়ের নবম অধ্যায় তাপ ও তাপমাত্রা অনুশীলনের সমস্ত সমাধান দেওয়া হয়েছে।

NCTB Solution Class 7 Chapter 9 তাপ ও তাপমাত্রা :

Board NCTB Bangladesh Board
Class 7
Subject Science
Chapter Nine
Chapter Name তাপ ও তাপমাত্রা

তাপ ও তাপমাত্রা অনুশীলনী প্রশ্ন এবং উত্তর :

NCTB Class 7 Science Bengali Version Chapter 9 তাপ ও তাপমাত্রা Solution

শূন্যস্থান পূরণ কর : 

(১) তরল ও বায়বীয় মাধ্যমে তাপ ___ প্রক্রিয়ায় সঞ্চালিত হয়।

(২) স্বাভাবিক চাপে যে তাপমাত্রায় বিশুদ্ধ পানি ফুটে বাষ্পে পরিণত হয়, সেই তাপমাত্রাকে ___ স্থিরাঙ্ক বলে।

(৩) সেলসিয়াম স্কেলের নিম্ন স্থিরাঙ্ক ___ ডিগ্রি সেলসিয়াম।

(৪) ফারেনহাইট স্কেলে নিম্ন স্থিরাঙ্ক ___ ডিগ্রি ফারেনহাইট।

(৫) জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কম থাকলে ___ বায়ুর কম থাকে।

উত্তর :

(১) তরল ও বায়বীয় মাধ্যমে তাপ পরিচলন প্রক্রিয়ায় সঞ্চালিত হয়।

(২) স্বাভাবিক চাপে যে তাপমাত্রায় বিশুদ্ধ পানি ফুটে বাষ্পে পরিণত হয়, সেই তাপমাত্রাকে ঊর্ধ্ব স্থিরাঙ্ক বলে।

(৩) সেলসিয়াম স্কেলের নিম্ন স্থিরাঙ্ক ডিগ্রি সেলসিয়াম।

(৪) ফারেনহাইট স্কেলে নিম্ন স্থিরাঙ্ক ৩২ ডিগ্রি ফারেনহাইট।

(৫) জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কম থাকলে বায়ুর আদ্রতা কম থাকে।

সংক্ষপ্ত উত্তর প্রশ্ন : 

(১) তাপ ও তাপমাত্রার মধ্যে পার্থক্য কী?

উত্তর : কোনো পদার্থের তাপ ও তাপমাত্রা একে অপরের উপর নির্ভরশীল থাকে। পদার্থটির তাপ যত বেশি বা কম হবে সেই পদার্থটির তাপমাত্রাও সেই অনুসারে কম বা বেশি হয়ে থাকে। পদার্থের এই তাপ ও তাপমাত্রাতে কিছু অসাদৃশ্যতা রয়েছে, নিম্নে আলোচনা করা হলো।

তাপ : 

(১) তাপ হলো এক প্রকার শক্তি যার কোনো ওজন বা ভর নেই, যা জায়গা দখল করে না এবং যা বল প্রয়োগে বাধা দেয় না।

(২) তাপ কোনো বস্তূ বা পদার্থের উষ্ণ না শীতল অবস্থার জন্য দায়ী।

(৩) তাপ পদার্থের প্রসারণ ঘটাতে পারে।

(৪) তাপ পদার্থের অবস্থার ও রূপের পরিবশর্তন করে।

তাপমাত্রা :

(১) তাপমাত্রা কোনো বস্তূ বা পদার্থের তাপীয় অবস্থাকে বোঝায়। কোনো বস্তূ কতটা গরম বা শীতল তা আমরা তাপমাত্রার সাহার্য্যে বুঝতে পারি।

(২) তাপমাত্রা শুধু বস্তূর তাপকে প্রকাশ করতে পারে কিন্তু বস্তূটির কোনো পরিবর্তন ঘটাতে পারে না।

(৩) কোনো বস্তূর তাপকে প্রকাশ করার জন্য তাপমাত্রা ব্যবহার করা হয়।

(৫) তাপমাত্রা হলো তাপের একক হিসেবে কাজ করে।

(২) রেললাইনের পাতের সংযোগস্থলে কিছুটা ফাঁকা রাখা হয় কেন?

উত্তর :

রেলগাড়ির রেললাইনের লোহার পাতের মাঝে কিছুটা ফাঁকা রাখা হয় কারণ তাপের ফলে যে  কোনো পদার্থ প্রসারিত হয়। তাই যাতে রেললাইনের লোহার পাত গুলো বেশি তাপ গ্রহণের ফলে স্বাধীন ভাবে প্রসারিত হতে পারে। নিম্নে এই ঘটনাটি বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হলো –

রেলগাড়ি যখন রেললাইনের লোহার পাতের ওপর তীব্র গতিতে চলে তখন রেললাইনের লোহার পাতের সাথে রেলগাড়ির চাকার ঘর্ষণের ফলে প্রচুর তাপ উৎপন্ন হয়। এছাড়া রেললাইনের লোহার পাত গুলো সরাসরি সূর্যের আলোতে মুক্ত অবস্থায় থাকে ফলে গরমের দিনে অতিরিক্ত তাপের কারণে রেললাইনের লোহার পাত উত্তপ্ত হয়ে উঠে এবং প্রসারিত হয়। এর ফলে এই লোহার গুলি এর নির্দিষ্ট আকার বা আকৃতি পরিবর্তন করে এবং বাঁকাট্যারা হয়ে যায় ফলে রেলগাড়ি লাইনচুত্য হয় এবং দুর্ঘটনা ঘটে। এই পরিস্থিতি যাতে না হয় তাই রেললাইনের লোহার পাতগুলো লাগানোর সময় এদের মাঝে ফাঁকা রাখা হয় হাতে অতিরিক্ত তাপের ফলে এই পাত গুলো মুক্ত ভাবে প্রসারিত হতে পারে।

(৩) আগুনের পাশে দাঁড়ালে যতটা গরম লাগে, আগুনের ঠিক উপরে হাত রাখলে তার চেয়ে অনেক বেশি গরম লাগে। এ রকম হয় কেন?

উত্তর : আগুন তাপের একটি উৎস। জ্বালানির সাহার্য্যে আগুন জ্বালালে তার থেকে প্রচুর পরিমান তাপ নির্গত হয়। আগুনের এই তাপ বিকিরণের মাধ্যমে সঞ্চালিত হয়। তাই যেদিকে আগুনের তাপ বিকিরণের মাত্রা অধিক থাকে সেদিকে বেশি তাপ অনুভূত হয় এবং যেদিকে আগুনের তাপ বিকিরণের মাত্রা কম সেদিকে অপেক্ষাকৃত কম তাপ অনুভূত হয়। এই কারণে আগুনের পাশে দাড়ালে যত গরম বা উত্তাপ অনুভূত হয় তার থেকে অনেক বেশি তাপ আগুনের উপরে হাত রাখলে অনুভূত হয়। কারণ আগুন তাপ বিকিরণের সময় এর চারদিকে একটি বড়ো স্থানজুড়ে  ছড়িয়ে পরে কিন্তু আগুনের উপরের দিকে এর তাপ একটি ছোট জায়গাতে বিকিরিত হয় তাই সেখানে তাপের পরিমান অনেক বেশি হয়।

(৪) রান্না করার গরম হাড়ি খালি হাতে না ধরে কাপড়ের টুকরা দিয়ে ধরা হয় কেন ?

উত্তর : আমরা জানি যে তাপ কঠিন মাধ্যমে পরিচলন পক্রিয়ার মাধ্যমে সঞ্চালিত হয়। তাই যখন রান্না করার সময় হাড়িটিকে তাপের কোনো উৎসের উপর কেমন গ্যাস বার্নার বা মাটির উনুন তখন সেকান থেকে আগুনের থেকে তাপ হারির নিচের অংশে এবং হারির নিচের অংশের মাধ্যমে এর ভেতরে থাকা জল বা খাদ্যের মধ্যে এবং সেই খাদ্য থেকে আসতে আসতে সমগ্র হাঁড়িটিতে তাপ সঞ্চালিত হয়। তাই রান্নার সময় হাড়িটির সমগ্র অংশ উত্তপ্ত হয়ে উঠে। এই কারণে রান্না করার হাড়িটিকে আমরা কাপড়ের টুকরোর মাধ্যমে ধরি যাতে সেই গরম হাড়ি থেকে আমাদের হাতে গরম না লাগে। কারণ কাপড়ের টুকরো হাড়ি থেকে আমাদের হাতে তাপ সঞ্চালনে বাধা দেবে। এবং আমরা হারির তুলনায় অনেক কম তাপ অনুভব করবো ও আমাদের হাতও থাকবে সুরক্ষিত।

(৫) তাপমাত্রা বাড়লে বায়ুমন্ডলের চাপ কমে যায় কেন ?

উত্তর : তাপমাত্রা বাড়লে বায়ুমণ্ডলের চাপ কমে যায় কারণ – তাপমাত্রার বৃদ্ধির ফলে বায়ুমণ্ডলে থাকা বিভিন্ন গ্যাসীয় কণা গুলো উত্তপ্ত হয়ে হালকা হয়ে উপরে উঠতে থাকে এর ফলে বায়ুর ঘনত্ব কমতে থাকে আর বায়ুর ঘনত্ব কমার ফলে বায়ুর চাপও কমে যায়। তাই যে স্থানে জলবায়ুর তাপমাত্রা বেশি সেখানে বায়ুমণ্ডলের নিম্নচাপ এবং যে স্থানে জলবায়ুর তাপমাত্রা কম সেখানে বায়ুমণ্ডলের উচ্চচাপ পরিলক্ষিত হয়। বায়ুর এই চাপের পরিবর্তনের জন্যই আমাদের পৃথিবীতে বৃষ্টিপাত, ঝড়ঝঞ্চা ইত্যাদি হয়।

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন : 

(১) কোনটি বায়ুমন্ডলে ভালো শোষক হিসেবে কাজ করে ?

(ক) নাইট্রোজেন

(খ) জলীয় বাষ্প

(গ) অক্সিজেন

(ঘ) ধূলিকণা

উত্তর :

(খ) জলীয় বাষ্প

(২) তাপমাত্রার বৈশিষ্ট্য হলো, এটি-

(ক) অনুভব করা যায়

(খ) পরিমাপ যোগ্য

(গ) এক ধরনের শক্তি

(ঘ) বল প্রয়োগে বাঁধা দেয়

উত্তর :

(খ) পরিমাপ যোগ্য

নিচের ছবিটি ভালোভাবে লক্ষ্য কর এবং ৩ ও ৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

(৩) ২ নম্বর চিত্রের থার্মোমিটারের-

(i) নিম্নস্থিরাঙ্ক ৩২°F

(ii) মৌলিক ভাগ ২০০

(iii) ঊর্ধ্বস্থিরাঙ্ক ২৩২°F

নিচের কোনটি সঠিক?

(ক) i

(খ) ii

(গ) i ii

(ঘ) i, ii iii

উত্তর :

(ক) i

(৪) চিত্র-১ ও চিত্র-২ এর তরুণকে ভাগীর সংস্পর্শে রাখলে কী ঘটবে।

(ক) ভাগের প্রবাহ চিত্র ১ থেকে ২ এর দিকে হবে

(খ) তাপের প্রবহ চিত্র ২ থেকে ১ এর দিকে হবে

(গ) তাপের প্রবাহ চলতেই থাকবে

(ঘ) উত্তরের তাপমাত্রা কক্ষ তাপমাত্রায় পৌঁছবে

উত্তর :

(খ) তাপের প্রবহ চিত্র ২ থেকে ১ এর দিকে হবে

সৃজনশীল প্রশ্ন :

(১) শারমিন ৭ম শ্রেণিতে পড়ে। একদিন সন্ধ্যার সে জ্বর জ্বর বোধ করল। অতঃপর তার বাসায় রক্ষিত সেলসিয়াস থার্মোমিটার গিয়ে গায়ের তাপমাত্রা মেগে দেখল ৩৭° সেলসিয়াস। শারমিন ফারেনহাইট কেলে জ্বরের তাপমাত্রা বুঝতে পারলেও সেন্টিগ্রেড স্কেলে এ তাপমাত্রা বুঝতে পারল না। তাই চিন্তিত হয়ে ডাক্তারের কাছে গেল। ডাক্তার থার্মোমিটার দিয়ে তাপমাত্রা মেপে বলল যে তার জ্বর নেই।

(ক) তাপমাত্রা কী?

উত্তর : কোনো বস্তূ বা পদার্থের তাপ পরিমাপ করার একক হলো তাপমাত্রা। কোনো বস্তূ বা পদার্থ কতটা উষ্ণ বা শীতল প্রকাশ করার জন্য তাপমাত্রা ব্যবহার করা হয়। তাপমাত্রাকে তাপের একক বলা যেতে পারে। কারণ যে কোনো বস্তূর উষ্ণতা বা শীতলতা কতটুকু তা পরিমাপ করার জন্য আমরা তাপমাত্রা ব্যবহার করে থাকি। যেমন – বরফের নিম্নস্থিরাঙ্ক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আরো বিস্তারিত ভাবে বললে – আমরা যখন কোনো বস্তূকে তাপ প্রদান করি তখন সেই বস্তূটি সেখান থেকে তাপ গ্রহণ বা বর্জন করে বস্তূর সেই অবস্থাকে পরিমাপ করা হয় তাপমাত্রা দিয়ে।   অর্থাৎ কোনো বস্তূ গরম না শীতল অবস্থাকে সেই বস্তূর তাপমাত্রা বলে।

(খ) পারদ থার্মোমিটারে পারদ ব্যবহারের সুবিধা ব্যাখ্যা কর ।

উত্তর : আমাদের শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করার জন্য যে যন্ত্র ব্যবহার করা হয় তাকে থার্মোমিটার বলে। আর এই থার্মোমিটার গুলোতে উষ্ণতার পরিমাপের জন্য পারদ ব্যবহার হলে তাকে পারদ থার্মোমিটার বলে। থার্মোমিটারে পারদ ব্যাবহারে সুবিধাগুলো হলো – “পারদ একটি তরল ধাতু। তাই পারদ একটি অতিসংবেদনশীল পদার্থ। উষ্ণতার সামান্য তারতম্য ঘটলেই পারদ প্রসারিত বা সংকুচিত হয়। তাই পারদ থার্মোমিটারে সবসময় সঠিক তাপমাত্রা দেখা যায়”। পারদের এই গুনের জন্যই আমাদের চিকিৎসার জন্য ব্যাবহৃত থার্মোমিটার পারদ দিয়ে তৈরী করা হয়। এই থার্মোমিটারটিতে একটি কাচের সরু নল থাকে যার পাশে বিভিন্ন তাপমাত্রার পরিমান লেখা থাকে এবং এর নিচে ধাতুর তৈরী একটি বাল্ব থাকে যার ভেতরে অল্প পরিমাণে পারদ থাকে ও বাকি অংশে থাকে পারদের বাস্প। এই ধাতুর তৈরী বাল্বটিতে উষ্ণতার পরিবর্তন ঘটলে থার্মোমিটারে পারদ প্রসারিত হয়ে উপরে উঠতে থাকে। এই ভাবে আমরা উষ্ণতা জানতে পারি।

(গ) শারমিনের গায়ের তাপমাত্রা ফারেনহাইট স্কেলে কত ছিল?

উত্তর :

শারমিনের গায়ে তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাই ফারেনহাইট স্কেলে তার তাপমাত্রা হবে ৯৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আমাদের দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ফারেনহাইট স্কেলে ৯৮.৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট। তাই শামীমের গায়ে কোনো জ্বর ছিল না।

(ঘ) ফারেনহাইট ও সেন্টিগ্রেড স্কেলের সম্পর্ক জানা থাকলে শারমিনের কী ডাক্তারের কাছে যেতে হতো। যুক্তি সহকারে ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : না, ফারেনহাইট ও সেন্টিগ্রেট স্কেল সম্পর্কে যদি শারমিনের জ্ঞান থাকতো তাহলে তাকে ডাক্তারের কাছে যেতে হতো না কারণ তার শরীরের উষ্ণতা স্বাভাবিকই ছিল। কারণ সেন্টিগ্রেট সকলে যেমন আমাদের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা যেমন  ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তেমনি আবার ফারেনহাইট স্কেলে আমাদের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা সবসময় ৯৮.৪ ডিগ্রি থাকে। তাই শারমিনের শরীরে কোনো জ্বর ছিল না। তাই যেহেতু তাপমাত্রার দুটি স্কেলে আমাদের তাপমাত্রা ভিন্ন এককে পরিমাপ করা হয় তাই আমাদের এই দুটো স্কেলের উপরেই জ্ঞান থাকা খুবই আবশ্যক।

(২) আনিকা জল্পবয়সের হলেও দৈনন্দিন জীবনে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনা সে মনোযোগসহকারে পর্যবেক্ষণ করে। একদিন সে ভাত রান্নার সময় পাতিলের বুদবুদের ধাক্কায় ঢাকনাটি পড়ে যেতে দেখলো। অন্যদিকে তাদের কাঠের দরজার গ্রীষ্মকালে কোনো ফাঁক না থাকলেও শীতকালে কিছু ফাঁক লক্ষ করল। উল্লিখিত দুটো ঘটনাই তাকে ভাবিয়ে তুলল।

(ক) কোন পদার্থ ভাগে সবচেয়ে বেশি প্রসারিত হয়?

উত্তর : তাপ গ্রহণের ফলে যে কোনো বস্তূ বা পদার্থ প্রসারিত হয়। তাপের ফলে বস্তূর এই প্রসারণের হার সবচেয়ে বেশি গ্যাসীয় পদার্থে। তাপের ফলে গ্যাসীয় পদার্থ সবথেকে বেশি প্রসারিত হয়। যেমন – জলকে গরম করলে জলের অণুগুলি তাপ গ্রহণ করে বাস্পে পরিণত হয় এবং এই বাস্প আরো বেশি গরম হয়ে বায়ুমণ্ডলে চলে যায়। যেমন – বাড়িতে বা দোকানে রুটি বা লুচির মতো কঠিন পদার্থকে গরম করলে এর আয়তন সে রকম ভাবে বাড়ে না কিন্তু এর ভেতরে থাকে তরল যখন গরম হয়ে বাস্পে পরিণত হয় তখন সেই বাস্প আরো বেশি তাপ শোষণ করে ফুলে উঠে।

(খ) রেললাইনের সংযোগ স্থলে ফাঁক রাখা হয় কেন !

উত্তর : রেললাইনের লোহার পাতের সংযোগ স্থলে কিছুটা অংশ ফাঁকা রাখা হয় এদেরকে সরাসরি যুক্ত করা হয় না। কারণ লোহার মতো কঠিন পদার্থ তাপ শোষণের ফলে প্রসারিত হয়। আর এই প্রসারণের ফলে রেললাইনের লোহার পাতগুলোর আকার বৃদ্ধি পায়। তাই যদি এই লোহার পাতগুলোকে সরাসরি যুক্ত করা হয় তাহলে প্রসারণের জন্য রেললাইনের সমান্তরাল আকার নষ্ট হবে এবং রেললাইনের লোহার পাতগুলো আঁকাবাঁকা আকার ধারণ করবে। ফলে রেলগাড়ি লাইনচ্যুত হয়ে দুর্ঘটনার শিকার হবে। মুখ্যভাবে এই কারণের জন্যই রেললাইনের সংযোগ স্থলে ফাঁকা রাখা হয়।

(গ) ভাত রান্নার সময় আনিকার পর্যবেক্ষণকৃত ঘটনাটির কারণ ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : আনিকার পর্যবেক্ষিত ঘটনাটির কারণ হলো ভাতে অবস্থিত তরলের তাপ শোষণের ফলে বাষ্পীভূত হওয়া এবং সেই বাস্প আরো তাপ শোষণ করার ফলে হালকা হয়ে আরো বেশি প্রসারিত হওয়ার ফলে তার থেকে উৎপন্ন প্রবল চাপ। ভাতের হাঁড়িটি যেহেতু ঢাকনা দিয়ে চাপা দেওয়া ছিল তাই ভাতের মধ্যে থাকা তরল যখন বাস্পীভূত হচ্ছিল তখন ভাতের হারির ভেতর থেকে বাইরে নির্গত হতে পারছিলো না। তাই ভাতের হারির ভেতরে গ্যাসীয় চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছিলো সেই চাপের কারণে হারির উপরে বুদ্বুদ দেখা যাচ্ছিলো এবং এর থেকে নির্গত বাষ্পের ধাক্কায় হারির ঢাকনাটি পরে যাচ্ছিলো।

(ঘ) আনিকার পর্যবেক্ষণকৃত কাঠের দরজার শীত ও গ্রীষ্মে দ্বৈত হওয়ার কারণ বিশ্লেষণ কর।

উত্তর : আনিকা কাঠের দরোজায় যে ফাক বা দ্বৈত লক্ষ করেছিল তার কারণ হলো গ্রীষ্মকালে অধিক তাপের ফলে কাঠের প্রসারণ এবং শীতকালে কম তাপের ফলে কাঠের সংকোচন। অর্থাৎ কাঠের দরজাটি গ্রীষ্মকালে অধিক তাপ শোষণ করে প্রসারিত হয়ে ছিল এবং আবার সেই দরজা শীতকালে তাপ হারিয়ে সংকোচিত হয়ে ছিল। তাই দরজাটি প্রসারিত হয়ে জায়গা দখল করেছিল শীতের সময় সংকোচনের ফলে সেই জায়গা থেকে সরে গিয়েছিলো। এই কারণে আনিকা শীতের দিনে কাঠের দরজায় ফাঁকা অংশ পর্যবেক্ষণ করেছিল। তাই বলা যায় এই  ঘটনার জন্য “তাপের ফলে পদার্থের প্রসারণ ও সংকোচন পক্রিয়াই” দায়ী।

More Chapters Solutions :  

Updated: October 9, 2023 — 2:15 pm

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *