NCTB Class 7 BGS Chapter 1 বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম Solution/Guide

NCTB Class 7 BGS Chapter 1 বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম Solution/Guide

Bangladesh Board Class 7 Solution for বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়. Chapter 1 বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম Solution  Exercises Question and Answer by Experienced Teacher.এখানে বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (NCTB) কর্তৃক প্রকাশিত সপ্তম শ্রেণীর বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের প্রথম অধ্যায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম অনুশীলনের সমস্ত সমাধান দেওয়া হয়েছে।

NCTB Solution Class 7 Chapter 1 বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম : 

Board NCTB Bangladesh Board
Class 6
Subject BGS
Chapter 1
Chapter Name বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম

NCTB Solution Class 7 Chapter 1 বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম : 

NCTB Class 7 BGS Chapter 1 বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম Solution/Guide

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :

(১) পাকিস্তান গণপরিষদে কোন সদস্য রাষ্ট্রভাষা বাংলার পক্ষে প্রস্তাব উত্থাপন করেন ?

(ক) হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী

(খ) এ কে ফজলুল হক

(গ) ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত

(ঘ) মনোরঞ্জন ধর

উত্তর :

(গ) ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত

(২) পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টির পরেও দেশে ঐক্য প্রতিষ্ঠা না পাওয়ার কারণ-

(i) সম্পদের সুষম বণ্টন না করা

(ii) স্বায়ত্তশাসনের দাবির প্রতি অবজ্ঞা করা

(iii) সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর ভাষাকে মর্যাদা না দেওয়া

নিচের কোনটি সঠিক ?

(ক) i

(খ) i ii

(গ) ii

(ঘ) i, ii iii

উত্তর :

(ঘ) i, ii ও iii

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

রিমি মনোযোগ দিয়ে টেলিভিশনে একটি অনুষ্ঠানের দৃশ্য দেখছিল। একজন নেতা বলিষ্ঠ কণ্ঠে ছাত্র- শিক্ষকদের সমাবেশে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের পক্ষে ঘোষণা দেন। ছাত্ররা না, না, না- ধ্বনিতে প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

(৩) উদ্দীপকে বর্ণিত নেতার বক্তব্য কোন আন্দোলনের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়?

(ক) রাষ্ট্র ভাষা

(খ) একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ

(গ) ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান

(ঘ) অসহযোগ আন্দোলন

উত্তর :

(ক) রাষ্ট্র ভাষা

(8) উক্ত আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ অর্জন-

(i) জাতীয় চেতনার উন্মেষ

(ii) ভাষার সাংবিধানিক স্বীকৃতি আদায়

(iii) পৃথক জাতির মর্যাদা লাভ

নিচের কোনটি সঠিক ?

(ক) i

(খ) iii

(গ) ii

(ঘ) i, ii iii

উত্তর :

(গ) ii

সৃজনশীল প্রশ্ন :

(১) বহরমপুর অঞ্চলের মানুষ তাদের চেয়ারম্যানের স্বৈরাচারী মনোভাব ও কার্যকলাপে অতিষ্ঠ হয়ে আন্দোলন ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। তিনি তার কাছের দুই একজন ছাড়া অন্যদের কোন সুযোগ সুবিধাই দিতেন না। অন্যরা তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়ে। চেয়ারম্যান পেশিশক্তি প্রদর্শন, রক্তপাত ঘটিয়েও আন্দোলন স্তিমিত করতে পারেন নি। জনগণের ঐক্য, সংগ্রামী চেতনা, আত্মত্যাগের কাছে তাঁর ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে উক্ত চেয়ারম্যান পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।

(ক) ১৯৫৮ সালে তদানীন্তন পাকিস্তানে সামরিক আইন জারি করেন কে ?

উত্তর : রাষ্ট্রপতি ইসকান্দার মির্জা ১৯৫৮ সালে পাকিস্তানের সামরিক আইন জারি করেন। এই সময় আইয়ুব খান পাকিস্তানের সামরিক আইন প্রশাষকের পদে নিযুক্ত করেন।

(খ) ১৯৫৪ সালের প্রাদেশিক নির্বাচনে মুসলিম লীগ কেন পরাজিত হয় ? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : ১৯৫৮ সালের প্রাদেশিক নির্বাচন সমগ্র পাকিস্তানে সংগঠিত হয়নি। এই নির্বাচন ছিল শুধু পূর্ব পাকিস্তানের আইন পরিষদের নির্বাচন। এই নির্বাচনের মূল প্রতিদ্বন্ধি ছিল ততকালীন শাসক দল মুসলিম লীগ ও বিরোধী দল যুক্তফ্রন্ট। নির্বাচনের শেষে ফল হয় চমকপ্রদ কারণ মুসলিম লীগ নির্বাচনের ৩০৯টি আসনের মধ্যে মাত্র ৯টি আসনে জয়ী হয়েছিল। অপরদিকে নবনির্মিত যুক্তফ্রন্ট ২৩৬টি আসনে জয়ী হয়েছিল। মুসলিম লীগের পরাজয়ের অন্যতম কারণ ছিল স্বৈরাচারিতা,বাঙালিদের তাদের প্রাপ্প অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে চেয়েছিলো, মুসলিম লীগের  সদস্যরা পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকদের কথা মতো কাজ করতো। তারা পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিদের থেকে তাদের ধর্ম, সংস্কৃটি  এবং নিজস্ব ভাষাকেও কেড়ে নিতে ততপর ছিল। এছাড়া   ১৯৪৭ সালের স্বাধীনতার পর থেকেই পূর্ব পাকিস্তানের শাসক দলের বিভিন্ন কাজ এখানকার মানুষকে ক্ষুব্ধ করে তুলেছিল। দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকা সরকারের এই সব অনৈতিক কর্মকান্ড বাংলার মানুষকে একত্রিত করে তুলেছিল। আর বাংলার মানুষের এই একত্রিত বিদ্রোহই শাসক দল মুসলিম লীগের পরাজয়ের প্রধান কারণ হয়েছে।

(গ) বহরমপুরের মানুষের আন্দোলনে পূর্ব-পাকিস্তানের কোন আন্দোলনের বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : বহরমপুরের মানুষের আন্দোলন পূর্ব -পাকিস্তানের ভাষা আন্দোলনের বৈশিষ্টকে প্রকাশ করেছে। বহরমপুরের মানুষদেরকে তাদের চেয়ারম্যান দু-একটি সুযোগ সুবিধা ছাড়া আর কোন  বিশেষ সুবিধা প্রদান করতেন না। এই কারণে সেখানকার মানুষ তাদের প্রাপ্প অধিকারের জন্য বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল। এর ফলে সরকার ও সাধারণ মানুষের মধ্যে দেখা দেয় এক চরম বিরোধ। কিন্তু মানুষের বিরোধ, আত্মত্যাগ, বলিদান, ও সাহসের কাছে সরকার হার মানতে বাধ্য হয় এবং মানুষ তাদের প্রাপ্য অধিকার লাভ করে। এই আন্দোলনের মধ্যে দেখা যায় বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধের প্রতিচ্ছবি। স্বৈরাচারী সরকারের থেকে নিজের অধিকারকে ফিরে পায়ের জন্য পূর্ব পাকিস্তানের সমস্ত বাঙালি একজোট হয়ে বিরোধিতা করতে শুরু করে। বাঙালিরা একত্রিত হয়ে নিজেদের প্রাণের বলিদান দিয়ে নিজদের অধিকারকে ছিনিয়ে নিয়েছিল   শাসক  গোষ্ঠীর হাত থেকে। অবশেষে বাঙালিদের অটুট মনোবল, সাহসিকতা, বীরত্বের কাছে পাকিস্তান সরকারকে পরাজয় স্বীকার করতে হয়।

(ঘ) বহরমপুরের চেয়ারম্যানের পরিণতি যেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের পরিণতিরই প্রতিচ্ছবি‘- উক্তিটি পরীক্ষা কর।

উত্তর : রাষ্ট্রপতি ইসকান্দার মির্জা ১৯৫৮ সালে পাকিস্তানের সামরিক আইন জারি করেন। এই সময় আইয়ুব খান পাকিস্তানের সামরিক আইন প্রশাষকের পদে নিযুক্ত করেন। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই আইয়ুব খান ইস্কান্দার মির্জাকে রাষ্টপতি পদ থেকে সরিয়ে নিজে সেই পদ গ্রহণ করে। এরপর থেকেই শুরু হয় পাকিস্থানের স্বৈরাচারি সরকারের এবং শুরু হয় সমগ্র পাকিস্তানে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে মুসলিম তান্ত্রিক দেশ গঠনের চক্রান্ত এবং উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার পরিকল্পনা। এর ফলের পাকিস্থানের জনগণ বিশেষ করে পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে এবং প্রতিবাদ শুরু করে। এর ফলে পূর্ব পাকিস্থানে শুরু হয় সরকারের শোষণ ও নির্যাতন। কেড়ে নেওয়া হয় মানুষের সাধারণ অধিকার।  মানুষের মধ্যে  জমতে থাকে ক্ষোভ। এই ভাবে ধীরে ধীরে অনেক মহান নেতৃত্বের তত্ত্বাবধানে শুরু হয় বিদ্রোহের সূচনা এই ভাবে অবশেষে ১৯৭১ সালে সকল মানুষের একত্রিত প্রচেষ্টায় পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ মুক্তি পায় পাকিস্তানের স্বৈরাচারি শাসনের হাত থেকে। এবং পাকিস্তানের বাহিনী বাধ্য হয় পরাজয় স্বীকার করতে। ঠিক যেমন বহরমপুরের চেয়ারম্যান বাধ্য হয়েছিল পদত্যাগ করতে।

(২) ঘটনা-১ : দেশে বিভিন্ন ভাষাভাষী লোকের বাস ছিল। কিন্তু শাসক গোষ্ঠী একটি ভাষাকে রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডের জন্য নির্ধারণ করে। এতে অন্য ভাষাভাষীরা আন্দোলন করে। আন্দোলনের এক পর্যায়ে শাসকগণ সব ভাষাকেই স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয় ।

ঘটনা-২ : দাদা তার নাতি তৌহিদুলকে বললেন তাঁর বাবা আনসারি সাহেব পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য ছিলেন। তাঁর দল জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদে বিপুল ভোটে জয়ী হওয়া সত্ত্বেও শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতা হস্তান্তরে কালক্ষেপণ করেন।

(ক) কতজনের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক আগরতলা মামলা (রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিবুর রহমান এবং অন্যান্য) দায়ের করা হয়?

উত্তর : ঐতিহাসিক আগরতলা মামলা করেছিল পাকিস্তান সরকার আওয়ামী লীগের নেতা সাহা ও স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমান সহ  ৩৫জন বিশিষ্ট নেতাদের বিরুদ্ধে করা হয়েছিল। ১৯৬৮ সালের মামলায় পাকিস্তান সরকার মুজিবুর রহমানকে প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে নিযুক্ত করেন।

(খ) ছয় দফাকে বাংলার মানুষের মুক্তির দলিল বলা হয় কেন?

উত্তর : ১৯৬৬ সালের ৫ই ফেব্রুয়ারি লাহোরের এক বিরোধী সম্মলনে মজিবুর রহমান ও অন্যান্য নেতারা পূর্ব পাকিস্থানের মানুষদের সকল প্রাপ্য অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য একটি ৬ দফা কর্মসূচির সূচনা করেছিলেন। এই কর্মসূচির মাধ্যমে যে ছয়টি বিষয়ের উপড় গুরুপ্ত  দেওয়া হয় তা পূর্ব -পাকিস্তানের মানুষদেরকে মুক্তির পথ দেখিয়েছিলো। এই দফাতে দাবি জানানো হয়ে ছিল – (১) যুক্তরাষ্ট্র রুপি সরকার গঠন, (২) দেশরক্ষা ও পররাষ্ট্র বিষয় ছাড়া কেন্দ্রীয় সরকারের অন্য কোনো ক্ষমতা থাকবে না। বাকি সব ক্ষমতা থাকবে প্রাদেশিক সরকারের হাতে। (৩) পূর্ব ও পচিম পকিস্তানের জন্য  দুটি আলাদা মুদ্রার প্রচলন। (৪) কর আদায়ের সম্পূর্ণ ক্ষমতা থাকবে প্রাদেশিক সরকারের হাতে। (৫) পাকিস্তানের দুটি অংশেরই বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের পৃথক হিসাব থাকবে। এবং (৬) পূর্ব ও পচিম পাকিস্থানের দুটি আলাদা সামরিক বাহিনী থাকবে। এই দফা গুলোর সাহার্য্যে পূর্ব পাকিস্তান পাকিস্তানের অংশ হয়েও একটি আলাদা রাষ্ট্রে পরিণত হতে পারতো। এর ফলে পশ্চিম পাকিস্থানের সরকার পূর্বপাকিস্তানের মানুষের উপর নিপীড়ন চালাতে পারতো না। এই সকল কারণের জন্য ১৯৬৬ সালের ছয় দফাকে বাংলার মানুষের মুক্তির  দলিল বলা যেতে পারে।

(গ) ঘটনা-১ : তদানীন্তন পূর্ব-পাকিস্তানের কোন ঘটনার ইঙ্গিত বহন করে? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : ঘটনা ১ সেই সময়ের পূর্ব-পাকিস্তানের ভাষা আন্দোলনের ইঙ্গিত বহন করে। স্বাধীনতার পর পাকিস্থান সরকার সমগ্রদেশের জাতিধর্ম ও ভাষা নির্বিশেষে উর্দু ভাষাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা হিসেবে  স্বীকৃত প্রদান করে। পাকিস্তানের তৎকালীন সরকার বাংলাদেশের সকল বাঙ্গালীর মাতৃভাষা  বাংলাকে সম্পূর্ণ ভাবে নিশ্চিন্ন করার প্রয়াস শুরু করলে পূর্ব-পাকিস্তানের মানুষ এর চরম বিরোধিতা করা শুরু করে। ১৯৪৮ সালের ১২ই মার্চ ভাষার দাবিতে আন্দোলন ও ধর্মঘট শুরু হলে মুজিবুর রহমান,কাজী  গোলাম ইত্যাদি নেতা কারারুদ্ধ হন। পূর্ব-পাকিস্তানের নেতা থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণ, ছাত্র, এবং শিশুরাও এই ভাষা আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল। সেই সময় ভাষা আন্দোলনকে বন্ধ করার জন্য সরকার সমগ্রদেশে ১৪৪ ধারা জারি করেছিল। কিন্তু সাধরণ মানুষ, ছাত্র থেকে শিক্ষক সবাই এই ১৪৪ ধারাকে অমান্য করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং মিছিল শুরু করে। এই মিছিলে পুলিশের সাথে সাধারণ মানুষের ব্যাপক বিরোধ দেখা দেয় এবং এর ফলে প্রচুর মানুষ পুলিশের গুলিতে শহীদ হয়েছিলেন। পূর্ব-পাকিস্তানের মানুষদের এই অদম্য সাহস, বীরত্ত্ব, ও বিরোধিতার কাছে হার মেয়ে সরকারকে বাংলা ভাষাকে স্বীকৃতি দিতে হয়েছিল। এই কারণে পাকিস্থানের সরকার সকল প্রকার ভাষাকে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়।

 

More solutions : 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *