NCTB Class 7 BGS Chapter 5 বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের নাগরিক Solution/Guide

NCTB Class 7 BGS Chapter 5 বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের নাগরিক Solution/Guide

Bangladesh Board Class 7 Solution for বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়. Chapter 5 বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের নাগরিক Solution  Exercises Question and Answer by Experienced Teacher.এখানে বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (NCTB) কর্তৃক প্রকাশিত সপ্তম শ্রেণীর বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের পঞ্চম অধ্যায় বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের নাগরিক অনুশীলনের সমস্ত সমাধান দেওয়া হয়েছে।

NCTB Solution Class 7 Chapter 5 বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের নাগরিক :

Board NCTB Bangladesh Board
Class 6
Subject BGS
Chapter 5
Chapter Name বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের নাগরিক

বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের নাগরিক অনুশীলনী প্রশ্ন এবং উত্তর :

NCTB Class 7 BGS Chapter 5 বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের নাগরিক Solution/Guide

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :

(১) একজন নাগরিককে কয়টি মৌলিক গুণের অধিকারী হতে হয়?

(ক) একটি

(খ) তিনটি

(গ) দুটি

(ঘ) চারটি

উত্তর :

(খ) তিনটি

(২) বুদ্ধিমান নাগরিক হতে হলে-

(i) পড়ালেখা করতে হবে

(ii) নিজস্ব লোকজনকে ভোট দিতে হবে

(iii) দেশের উন্নয়নে কাজ করতে হবে

নিচের কোনটি সঠিক ?

(ক) i

(খ) i e ii

(গ) i iii

(ঘ) i, ii iii

উত্তর :

(ক) i

উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:

তপু রিকশায় যাচ্ছিল। হঠাৎ সে দেখল একটি গাড়ি একজন পথচারীকে ধাক্কা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তপু দ্রুত অন্যদের সহযোগিতায় ড্রাইভারকে আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করল এবং আহত পথচারীকে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে গেল।

(৩) তপুর আচরণে মূলত কোন গুণটির প্রতিফলন ঘটেছে?

(ক) বুদ্ধি

(খ) বিবেক

(গ) আত্মসংযম

(ঘ) আত্মবিশ্বাস

উত্তর :

(খ) বিবেক

(8) তপুর কার্যক্রম থেকে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি-

(i) তপু একজন সুনাগরিক

(ii) সে বাংলাদেশের মূল্যবান সম্পদ

(iii) তার মতো মানুষেরাই উন্নত দেশ গড়ে তুলতে পারবে।

নিচের কোনটি সঠিক ?

(ক) i

(খ) i ii

(গ) ii iii

(ঘ) i, ii iii

উত্তর :

(ঘ) i, ii ও iii

সৃজনশীল প্রশ্ন :

(১) দুই বান্ধবীর কথোপকথন :

সামিহা : লাজিন, কিছুদিন আগে পত্রিকায় রিকশাওয়ালার খবরটি পড়েছিস?

লাজিন : হ্যাঁ পড়েছি। তার রিকশায় পড়ে থাকা একজন যাত্রীর এক লক্ষ টাকার একটি ব্যাগ পেয়েও নেয়নি। বরং যাত্রীর ঠিকানা খুঁজে বের করে পুরো টাকাটা যাত্রীকে ফেরত দেয়।

সামিহা : ঐ রিকশাওয়ালার মতো মানুষই আমাদের দেশের জন্য দরকার। সত্যিই রিকশাওয়ালার বিচক্ষণতা ও সচেতনতা প্রশংসার দাবীদার।

(ক) জনসংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বে কততম দেশ?

উত্তর : জনসংখ্যার বিচারে বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বে অষ্টম স্থান অধিকার করে। বর্তমানে বাংলাদেশের  জনসংখ্যা প্রায় ১৮ কোটি। এই বিপুল জনসংখ্যা বাংলাদেশের মতো একটি ছোট দেশের জন্য অনেক বেশি। বাংলাদেশের মোট আয়তন প্রায়  ৫৬ হাজার বর্গকিলোমিটার। বাংলাদেশের প্রতি বা  বর্গমাইল এলকায় ২৮৮৯ জন মানুষ বসবাস করে। এবং প্রতি বর্গকিলোমিটার এলাকায় ১১৪০ জন মানুষ বসবাস করে।

(খ) সাম্প্রদায়িকতা সুনাগরিকত্ব অর্জনের একটি অন্তরায়, কথাটি ব্যাখ্যা কর ।

উত্তর : সাম্প্রদায়িকতা সুনাগরিকত্ব অর্জনের একটি বিশেষ অন্তরায়। কোনো দেশে যে ধর্মের সংখ্যাগরিষ্ঠতা অনেক বেশি এবং সেই ধর্মের মানুষ যদি নিজের ধর্মকে অন্য যে কোনো ধর্মের থেকে বড়ো এবং একমাত্র সত্যি ভাবে তাহলে সেই ধর্মের মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতার প্রভাব দেখা যায়। তাদের এই মনোভাবের ফলে তারা অন্যান্য ধর্মকে মানতে অস্বীকার করে এবং অন্য ধর্মের লোকেরদেড় সাথে বিবাদ, বিভেদ এবং দেশের অভন্তরীন শান্তি ভঙ্গের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সাম্প্রদায়িকতার এক ভয়ানক রূপ হলো জাতিবিদ্বেষ। একটি দেশে বিভিন্ন ধর্মের সমাগম থাকতে পারে তাই প্রত্যেক ধর্মের মানুষকে নিজের ধর্ম ছাড়াও অন্য ধর্মকে সন্মান দিতে হবে এবং অন্য ধর্মালম্বীর মানুষের সাথে মিত্রতার সাথে থাকতে হবে। এতে দেশের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব হবে এবং দেশের সকলে একজন সুনাগরিকের পরিচয় বহন করতে সক্ষম হবে। দেশের যত ভিন্ন ধর্মের মানুষের আগমন হবে দেশ ততই বৈচিত্রপূর্ণ হবে।

(গ) উদ্দীপকের রিকশাওয়ালার মাঝে সুনাগরিকের কোন গুণটি প্রকাশ পেয়েছে? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : উদ্দীপকের রিকশাওয়ালার মধ্যে একজন সুনাগরিকের সঠিক শিক্ষার গুনটি প্রকাশ পেয়েছে। কারণ একমাত্র শিক্ষাই আমাদের শেখায় একজন দায়িত্ববান নাগরিক হতে। অর্থাৎ যে বস্তূ আমাদের নয় তা কখনো নিজের মনে করতে নেই। এই শিক্ষার কারণেই রিকশাওয়ালা তার রিকশায় ফেলে যাওয়া অর্থ পেয়েও তা নিতে দ্বিধাবোধ করে। এবং সঠিক শিক্ষার কারণে সেই রিকশাওয়ালা পাওয়া অর্থ নিজের মনে না করে তার সঠিক মালিককে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন এবং দেশের একজন সুনাগরিকত্বের পরিচিয় দিয়েছিলেন।

(ঘ) সুনাগরিক হতে হলে রিকশাওয়ালার উক্ত গুণটিই যথেষ্টতুমি কি একমত? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও ।

উত্তর : একজন সু-নাগরিক হওয়ার জন্য শিক্ষা একটি গুরুপ্তপূর্ণ অংশ হলেও শুধু শিক্ষা অধিকারী হলেই হবে না, এর সাথে সাথে আমাদের আরো অনেক গুনের অধিকারী হতে হবে। যেমন – অন্যধর্মের প্রতি সন্মান, দয়াশীলতা, বুদ্ধিমান হওয়া, দলীয় মনোভাব থেকে দূরে থাকতে হবে,   সমাজের নিরক্ষর মানুষকে শিক্ষা প্রদান করার দায়িত্ব নিতে হবে। সমাজের বিপদে নিজের  কথা না ভেবে দেশের কথা আগে ভাবতে হবে অর্থাৎ স্বার্থপরতা থেকে দূরে থাকতে হবে। নিজের মধ্যে দাম্ভিকতা আনা যাবে না, একজন ব্যক্তির মধ্যে এই সকল গুন থাকলে সেই ব্যক্তি একজন দেশের সুনাগরিক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে সমর্থ হবে।

(২) সোবহান সাহেব এবং শেখর বাবু দুই বন্ধু। সোবহান সাহেব একজন সরকারি কর্মকর্তা। তিনি কিছুদিন পূর্বের নির্বাচনে একটি ভোট কেন্দ্রে সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণের দায়িত্ব সম্পন্ন করেন। শেখর বাবু একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। এ বছর তিনি শ্রেষ্ঠ করদাতার পুরস্কার পান। তাদের সন্তানদের লেখাপড়ায় উভয়েই অত্যন্ত সচেতন। সোবহান সাহেব ঈদসহ অন্যান্য উৎসবে শেখর বাবুর পরিবারকে দাওয়াত করেন। শেখর বাবুও পূজা-পার্বণে সোবহান সাহেবের পরিবারকে তাঁর বাসায় নিয়ে আসেন। উভয় পরিবারই নিজেদের আচার-অনুষ্ঠান স্বাধীনভাবে পালন করে।

(ক) রাষ্ট্রের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ কে?

উত্তর : যে কোনো দেশের বা রাষ্ট্রের সবথেকে মূল্যবান সম্পদ হলো মানব সম্পদ বা সেই দেশের নাগরিক। কিন্তু সকল নাগরিকই দেশের সম্পদ হবে তা বলা সঠিক নয়। একমাত্র সু-নাগরিকরাই দেশের সম্পদ বলে বিবেচিত হয়।

(খ) সুনাগরিক হওয়ার ক্ষেত্রে নির্লিপ্ততা একটি বাধা।‘- কথাটি ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : নির্লিপ্ততা বলতে – কোন দেশের নাগরিকদের কাজের প্রতি অনীহা বা উদাসীনতাকে বোঝায়। নাগরিকদের এই প্রকার মনোভাব হতে পারে  বিভিন্ন কারণে যেমন নিরক্ষরতা, অলসতা, দারিদ্রতা, সঠিক শিক্ষার অভাবে হতে পারে। এই সকল নাগরিক যেমন সমাজের কোনো দায়িত্ব পালন করতে অসমর্থ তেমনি আবার রাষ্ট্রের প্রীতি তাদের দায়িত্ব ও কর্তবকেও অস্বীকার করে। এই প্রকার নাগরিক দেশের ব্যার্থতার কারণ হয়ে দাঁড়ায় কেননা দেশের অর্থনৈতিক ও সার্বিক উন্নতি সব সময় নাগরিকদের কঠিন পরিশ্রমের ফলেই সম্ভব হয়। তাই নির্লিপ্ততা যেমন একজন সুনাগরিক হওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াবে তেমনি আবার দেশের অৰ্থনৈতিক দুরবস্থারও কারণ হয়ে উঠতে পারে। একজন সুনাগরিক সবসময় কর্মিষ্ঠ, সৎ ও সুচিন্তকের অধিকারী হয়।

(গ) উদ্দীপকের উভয় পরিবারই স্বাধীনভাবে নিজেদের আচার-অনুষ্ঠান পালনের মাধ্যমে নাগরিকের কোন অধিকারটি ভোগ করছে? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : উদ্দীপকের উভয় পরিবারই এখানে স্বাধীনভাবে নিজস্ব ধর্ম পালনের অধিকারটি ভোগ করছে।বিশ্বের প্রত্যেক রাষ্ট্রেরই ভিন্ন ধর্মের লোক বাস করে এবং প্রত্যেক রাষ্ট্রই তাদের নাগরিকদের তাদের নিজস্ব ধর্ম পালনের অধিকার দিয়ে থাকে এটা নাগরিকদের মৌলিক অধিকার। উদ্দীপকের সোবহান সাহেব এবং শেখর বাবু উভয়ই তাদের মৌলিক অধিকার ভোগ করছিলেন। উদ্দীপকের থেকে তাই জানা যাচ্ছে যে সোবহান সাহেব এবং শেখর বাবু দুজনেই দেশের সুনাগরিকত্বের পরিচয় বহন করেছেন। কারণ তাদের মধ্যে ধর্মান্ধতার কোনো প্রভাব লক্ষ করা যায়নি। তারা দুজনেই তাদের আলাদা আলাদা ধর্মকে সন্মান করেন এবং মান্যতা দিয়েছেন। এবং দুজনেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। এই ভাবে তারা তাদের ধর্ম পালনের অধিকার ভোগ করার সাথে সাথে একজন সুনাগরিকের দায়িত্বও পালন করেছেন।

(ঘ) সোবহান সাহেব এবং শেখর বাবু অধিকার ভোগের পাশাপাশি দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করে যাচ্ছেন”- পাঠ্যপুস্তকের আলোকে ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : উদ্দীপকের সোবহান সাহেব ও শেখর বাবু যেমন রাষ্ট্রের নাগরিকদের দেওয়া অধিকার ভোগ করছিলেন তেমনি আবার তারা দুজনেই রাষ্ট্রে প্রতি তাদের সকল কর্তব্য সঠিক ভাবে পালন করছিলেন। প্রত্যেক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র যেমন তাদের নাগরিকদের অধিকার ও সুবিধা প্রদান করার জন্য বাধ্য থাকে ঠিক একই ভাবে প্রত্যেক নাগরিকও তাদের রাষ্ট্রের প্রতি কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের জন্য বাধ্য থাকে। নাগরিকদের এই অধিকারগুলি হলো – সঠিক সময়ে রাষ্ট্রকে কর প্রদান করা, রাষ্ট্রের সকল আইন মেনে চলতে বাধ্য থাকা, রাষ্ট্রের কোনো কাজে বাধা সৃষ্টি না করে তা সুস্থভাবে সম্পাদন করা, ভোট প্রদান করার অধিকার পালন করা, এবং সন্তাদেরকে শিক্ষাদান করা। উদ্দীপকের সোবহান সাহেব এবং শেখর বাবু উপরিউক্ত সকল কর্তব্য ও দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করেছেন। সোবহান সাহেব সরকারি কর্মচারী তিনি নির্বাচনের জন্য সুষ্ঠভাবে ভোটগ্রহণ কার্য সম্পন্ন করিয়ে তাই কর্তব্য পালন করেছেন। আবার শেখরবাবু একজন বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী সঠিক সময়ে রাষ্ট্রকে কর প্রদান করার জন্য এর তিনি পুরোস্কারিত হয়েছেন। এর সাথে সাথে তারা উভয়েই নিজেদের সন্তানদের শিক্ষাদানের জন্যও সচেতন। তারা তাদের সন্তানদের শিক্ষাগ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা করেছেন। এবং সর্বোপরি তারা দুজনে ভিন্ন ধর্মালম্বীর মানুষ হয়েও তারা উভয় ধর্মকে একই ভাবে পালন করেছেন এবং কেউ কারো ধর্মকে অবজ্ঞা বা অসম্মান করেননি। তাই বলা যায় যে সোবহান সাহেব এবং শেখর বাবু দুজনেই তাদের অধিকার ভোগের পাশাপাশি রাষ্ট্রের প্রতি তাদের সকল কর্তব্য ও দায়িত্ত্বকেও সঠিক ভাবে পালন করছিলেন।

 

More solutions : 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *