NCTB Class 6 BGS Chapter 13 টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) Solution/Guide

NCTB Class 6 BGS Chapter 13 টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) Solution/Guide

Bangladesh Board Class 6 Solution for বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়. Chapter 13 টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) Solution  Exercises Question and Answer by Experienced Teacher.এখানে বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (NCTB) কর্তৃক প্রকাশিত ষষ্ঠ শ্রেণীর বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের ত্রয়োদশ অধ্যায় টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অনুশীলনের সমস্ত সমাধান দেওয়া হয়েছে।

NCTB Solution Class 6 Chapter 13 টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) : 

Board NCTB Bangladesh Board
Class 6
Subject BGS
Chapter 13
Chapter Name টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি)

টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অনুশীলনী প্রশ্ন এবং উত্তর :

NCTB Class 6 BGS Chapter 13 টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) Solution/Guide

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :

(১) টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে কত বছর নির্ধারণ করা হয়েছে?

(ক) ৮

(গ) ১৫

(খ) ১৭

(ঘ) 28

উত্তর :

(খ) ১৭

নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ২ ও ৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও-

মোর্শেদ সাহেব তাঁর কাপড় তৈরির কারখানায় বৈদ্যুতিক পাখা, এসি ইত্যাদির পরিবর্তে কারখানার সাত তলা ভবন সবুজ লতাগুল্মে ঢেকে ঠাণ্ডা রাখার ব্যবস্থা করেছেন। তাছাড়া ছাদের উপরে কম খরচে সোলার প্যানেল বসিয়ে মেশিন চালানোর জন্য বিদ্যুতের ব্যবস্থা করেছেন। আত্মীয়স্বজন ছাড়াও এলাকায় প্রশিক্ষণবিহীন বেকার লোকজনকে শ্রমিক হিসেবে চাকরি দিয়ে এলাকায় বেশ জনপ্রিয়।

(২) মোর্শেদ সাহেবের কারখানাটি কী ধরনের?

(ক) হস্তশিল্প

(খ) আধুনিক প্রযুক্তিবান্ধব

(গ) পরিবেশবান্ধব

(ঘ) অধিক উৎপাদনশীল

উত্তর :

(গ) পরিবেশবান্ধব

(৩) মোর্শেদ সাহেবের কারখানাটি –

(i) পরিবেশ রক্ষায় সাহায্য করছে

(ii) জনশক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করছে

(iii) নবায়নযোগ্য জ্বালানির সঠিক ব্যবহার করছে

নিচের কোনটি সঠিক?

(ক) i ii

(খ) ii iii

(গ) i iii

(ঘ) i, ii iii

উত্তর :

(ঘ) i, ii ও iii

সৃজনশীল প্রশ্ন :

(১) তানিয়াদের স্কুলে একটি গভীর নলকূপ বসানো হয়েছে। তাদের স্কুলের সবাই এখন নলকূপের বিশুদ্ধ পানি পান করে। স্কুলের ক্যান্টিনে তৈরি পুষ্টিকর খাবার দিয়ে তারা টিফিন করে। স্কুলের তৈরি পাকা পায়খানা ব্যবহারে সবাই অভ্যস্থ। বারান্দায় রাখা ডাস্টবিনে তারা সব ধরনের আবর্জনা ফেলে। তাদের ক্লাসরুম এবং স্কুলের সব জায়গা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে। এতে স্কুলে অসুস্থতাজনিত অনুপস্থিতি যেমন কমেছে, তেমনি শিক্ষার প্রতি সবার আগ্রহও বৃদ্ধি পেয়েছে।

(ক) আমরা কোথা থেকে জীবনধারণের সকল উপকরণ পাই?

উত্তর : আমরা আমাদের জীবনধারণের সকল উপকরণই প্রকৃতি থেকে পেয়ে থাকি। আমাদের বেঁচে থাকার জন্য সকল প্রয়োজনীয় উপকরণের রসদ প্রকৃতি থেকে নিয়ে থাকি। আমাদের বেচের থাকার শক্তির মূল উৎস সূর্য্য। সূর্যের আলো ও তাপের কারণেই পৃথিবীতে জীবনের সূচনা হয়েছে। খাদ্য থেকে শুরু করে বাসস্থান, পরিধানের জন্য বস্ত্র, পানীয়ের জন্য জল, শ্বাস নেওয়ার জন্য অক্সিজেন এই সকল উপকরণই প্রকৃতির দান।

(খ) আমাদের পৃথিবী কেন পাল্টে যাচ্ছে? ব্যাখ্যা কর ।

উত্তর : আমাদের পৃথিবী সময়ের সাথে পরিবর্তিত হচ্ছে কারণ মানুষ পৃথিবীর সকল উপকরণের অত্যাধিক ব্যবহার করছে, পৃথিবীর কথা না ভেবে মানুষ বর্তমানে নিজেরকে উন্নত করার জন্য ক্রমাগত পৃথিবীর মূল্যবান সম্পদ  গুলোকে শেষ করে ফেলছে যেমন – পেট্রোলিয়াম, প্রাকৃতিক গ্যাস। বর্তমানে মানুষের ক্রমবর্ধমান সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে বেড়েছে খাদ্য ও বাসস্থানের চাহিদা। এর জন্য মানুষ নিয়মিত ভাবে  প্রচুর পরিমানে বনজঙ্গল ধ্বংস করে চলেছে। এর থেকে মানুষের চাহিদা পূরণ হচ্ছে ঠিকই কিন্তু এর জন্য পৃথিবীর প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে দেখা দিচ্ছে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ। যেমন – ঝড়, খরা, বন্যা, ইত্যাদি। এর জন্য পৃথিবীতে মানুষের বেঁচে থাকার জন্যও তৈরী হয়েছে অনেক প্রতিকূলতা। কিন্তু মানুষ এই সকল ঘটনার পরও সচেতন হচ্ছে না। মানুষের করা এই সকল দূষণ মূলক কাজের জন্য পৃথিবীর জল, বায়ু, মাটি ক্রমাগত ব্যবহারের অনউপযোগী হয়ে পড়ছে। পৃথিবী হয়ে উঠেছে অনেক বেশি উত্তপ্ত। এর ফলে মেরু অঞ্চলের জমা বরফ গলে যাচ্ছে। এই বিশাল পরিমান বরফ গলে জলে পরিণত হয়ে সমুদ্রের জলের উচ্চতা বৃদ্ধি করছে। এর ফলে বর্তমানে অনেক উপকূলবর্তী এলাকা জলের নিচে চলে গিয়েছে এবং ভবিৎষতে এরকম অনেক উপকলবর্তী শহর সমুদ্রের জলের নিচে চলে যাবে। অর্থাৎ উপরিউক্ত আলোচনা থেকে জানা যাচ্ছে যে পৃথিবীর পাল্টে যাওয়া বা  পরিবর্তনের জন্য মূল ভাবে দায়ী হলো মানুষ ও তার কার্যকলাপ।

(গ) তানিয়াদের স্কুল টেকসই উন্নয়নের কোন অভীষ্ট অর্জনে কাজ করছে? ব্যাখ্যা কর ।

উত্তর : তানিয়াদের স্কুল টেকসই উন্নয়নের অনেক গুলো অভীষ্ট অর্জনে জন্য কাজ করেছে। তানিয়াদের স্কুল যেমন – নলকূপ বসিয়ে জলের ব্যবস্থা করে শিশুদের ও বিদ্যালয়ের সকলের শুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা করতে সক্ষম হয়েছে তেমনি আবার জলের অপচয় বন্ধ করতে ও দূষিত জল পান করার ফলে বিভিন্ন রোগ হওয়ার থেকেও রক্ষা করেছে। আবার স্কুলের সকল আবর্জনাকে সঠিক ভাবে আলাদা করে একটি নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার জন্য ডাস্টবিনে ব্যবস্থা করেছে। এর থেকে যেমন একদিকে প্রকৃতিতে আবর্জনা থেকে দূষণের পরিমান কমেছে তেমনি আবার এই আবর্জনাগুলোকে সঠিক স্থানে ফেলার জন্য এগুলিকে রিসাইকেল করা অর্থাৎ পুনর্ব্যবহার করার প্রয়াস সফল করেছে। আবার ছাত্রছাত্রীদের জন্য পাকা টয়লেটের ব্যবস্থা করে ছাত্র ছাত্রীদের স্বাস্থ ও প্রকৃতির ক্ষতি হয় থেকে রক্ষা করেছে। খোলা স্থানে মলমূত্র ত্যাগ করা যেমন অবাস্থকর তেমনি আবার মানুষের মল-মূত্র পরিবেশের জন্য দূষণের সৃষ্টি করে। আবার স্কুলের এই সকল সুব্যবস্থার জন্য যেমন সকলের মধ্যে স্কুলে আসার জন্য আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে তেমনি সমাজে শিক্ষার বিকাশও বৃদ্ধি পেয়েছে।

(ঘ) স্কুল কর্তৃক গৃহীত কার্যক্রম টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনকে ত্বরান্বিত করবে-মূল্যায়ন কর।

উত্তর : স্কুল কর্তৃক গৃহীত এই সামাজিক উন্নয়ন মূলক কাজ টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনকে নিচিতরূপে ত্বরান্বিত করবে। স্কুলের নেওয়া এই সকল উন্নয়ন মূলক ওই অঞ্চলের মানুষদের ও শিশুদেরকে সামাজিক ভাবে সচেতন হতে সাহার্য্য করবে। স্কুলের দেখানো পথে যেমন এলাকার মানুষজন উন্নত ও সচেতনশীল হবে তেমনি আবার স্কুলের শিক্ষাথীরা ছোট থেকেই একটি সুস্থ ও প্রকৃতিবান্ধব বিচার ধারার সত্যে বড়ো হয়ে উঠবে। এর ফলে এই শিক্ষাথীরা বড়ো হয়ে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে গুরুপ্তপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। স্কুলের নেওয়া পদক্ষেপ গুলি ভবিৎসতে পৃথিবীকে দূষণের প্রভাব থেকে মুক্ত করতে সাহার্য্য করবে।

 

More Solutions : 

(১) বাংলাদেশের ইতিহাস

(২) বাংলাদেশ ও বিশ্বসভ্যতা

(৩) বিশ্ব ভৌগোলিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ

(৪) বাংলাদেশের জনসংখ্যা পরিচিতি

(৫) বাংলাদেশের সমাজ

(৬) বাংলাদেশের সংস্কৃতি

(৭) বাংলাদেশের অর্থনীতি

(৮) বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের নাগরিক

(৯) বাংলাদেশের পরিবেশ

(১০) বাংলাদেশে শিশু অধিকার

(১১) বাংলাদেশে শিশুর বেড়ে ওঠা ও প্রতিবন্ধকতা

(১২) বাংলাদেশ ও আঞ্চলিক সহযোগিতা

Updated: November 3, 2023 — 2:08 pm

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *