NCTB Class 7 BGS Chapter 3 পরিবারে শিশুর বেড়ে ওঠা Solution/Guide
Bangladesh Board Class 7 Solution for বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়. Chapter 3 পরিবারে শিশুর বেড়ে ওঠা Solution Exercises Question and Answer by Experienced Teacher.এখানে বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (NCTB) কর্তৃক প্রকাশিত সপ্তম শ্রেণীর বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের তৃতীয় অধ্যায় পরিবারে শিশুর বেড়ে ওঠা অনুশীলনের সমস্ত সমাধান দেওয়া হয়েছে।
NCTB Solution Class 7 Chapter 3 পরিবারে শিশুর বেড়ে ওঠা :
Board | NCTB Bangladesh Board |
Class | 6 |
Subject | BGS |
Chapter | 3 |
Chapter Name | পরিবারে শিশুর বেড়ে ওঠা |
পরিবারে শিশুর বেড়ে ওঠা অনুশীলনী প্রশ্ন এবং উত্তর :
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :
(১) শিশু বেড়ে উঠার প্রথম সূতিকাগার কোনটি?
(ক) পরিবার
(খ) শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
(গ) ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান
(ঘ) খেলার সাথি
উত্তর :
(ক) পরিবার
(২) যৌথ পরিবার শিশুদের মধ্যে-
(i) অন্যের মতামত গ্রহণের ক্ষমতা বাড়ায়
(ii) বিলাসী জীবন যাপনের মনোভাব তৈরি করে
(iii) অন্যকে সাহায্য করার প্রবণতা বাড়ায়
নিচের কোনটি সঠিক ?
(ক) i ও ii
(খ) i ও iii
(গ) ii ও iii
(ঘ) i, ii ও iii
উত্তর :
(খ) i ও iii
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
ফারুক ও হাসিব একই শ্রেণিতে পড়ে। হাসিব প্রায়ই মা-বাবার সাথে বেড়াতে যায়। হাসিব সব সময় হাসিখুশি থাকে। ফারুকের মা-বাবা ঝগড়া করে আলাদা বসবাস করেন। ফারুক মায়ের সাথে থাকলেও সব সময় তার মন খারাপ থাকে।
(৩) ফারুক ও হাসিবের আচরণের ভিন্নতার কারণ কী?
(ক) পারিবারিক পরিবেশ
(খ) সহপাঠী
(গ) শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
(ঘ) প্রতিবেশী
উত্তর :
(ক) পারিবারিক পরিবেশ
(8) ফারুক ভবিষ্যতে কী ধরনের আচরণ করতে পারে?
(ক) বন্ধুদের এড়িয়ে চলবে
(গ) নিয়মিত স্কুলে আসা যাওয়া করবে
(খ) সহপাঠীদের সাহায্য করবে
(ঘ) অন্যদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করবে
উত্তর :
(ক) বন্ধুদের এড়িয়ে চলবে
সৃজনশীল প্রশ্ন :
(১) অধরা ও অবন্তি দুই বান্ধবী। অবন্তিদের বাসায় তার একটি ছোট ভাই থাকে। অধরাদের বাসায় অবস্তি বেড়াতে গিয়ে দেখতে পায় যে একটি বড় ডাইনিং টেবিলে চাচা-চাচি, দাদা-দাদিসহ অনেকে খাচ্ছে এবং খাওয়া শেষে অবস্তি অধরাসহ দাদির গল্প শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়ল। অবস্তির খুব ভালো লাগল।
(ক) সামাজিকীকরণ কী?
উত্তর : একটি শিশুর সঠিক শিক্ষা, জ্ঞান, আচার-আচরণের মতো সামাজিক শিক্ষা অর্জন করে সমাজের একজন সদস্য হয়ে উঠার প্রক্রিয়াকেই সামাজিকরণ বলে। শিশুদের সঠিক সামাজিকরণে জন্য তার পরিবার, প্রতিবেশী, পারিপার্শিক পরিবেশ, সংস্কৃতি গুরুপ্তপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রত্যেক শিশুর ধীরে ধীরে বড়ো হয়ে ওঠার পক্রিয়া তার সামাজিকরণের জন্য এক বিশেষ ভূমিকা পালন করে। শিশু যে পরিবেশে বড়ো হয় তার মধ্যে সেই পরিবেশের গুণাবলী পরিলক্ষিত হয়। তাই শিশুদের বেড়ে ওঠার পক্রিয়াতে বাবা-মায়ের ও তার পরিবারের সচেতন থাকা খুবই আবশ্যিক।
(খ) শিশুর ভাষা শিক্ষার প্রথম মাধ্যম ‘মা‘- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : শিশুর ভাষা শিক্ষার প্রথম মাধ্যম “মা” এই বক্তব্যটি যথার্থই সত্যি। কারণ একটি শিশু তার জন্মের পর থেকে সব চেয়ে বেশি তার মায়ের সান্নিধ্যেই থাকে। তার একটি শিশুর ভাষা শিক্ষা তার মাই করিয়ে থাকেন। এই পক্রিয়াতে শিশুর পরিবারও অংশগ্রহন করে কিন্তু মায়ের ভূমিকাই এতে সর্বাধিক। একজন মা তার সন্তানকে বলতে শেখায়, চলাফেরা করতে শেখায়, এবং শিশুর প্রাথমিক শিক্ষার দায়িত্বও গ্রহণ করে। কিন্তু বর্ত্তমানে এই কথা সম্পূর্ণ ভাবে সত্যি নাও হতে পারে কারণ বর্তমান সমাজের শহরের ছোট পরিবারে বাবা ও মা দু জন্যেই কর্মকার্যের সঙ্গে যুক্ত। তাই এই বাবা-মায়েরা তাদের সন্তানকে পর্যাপ্ত সময় দিতে পারে না। ফলে মায়ের এই কাজের দায়িত্বভার নিয়েছে বিভিন্ন ডেকেয়ার সেন্টার, কিন্ডারগার্ডেন এর মতো সংস্থাগুলো। ফলে বর্তমানে শিশুদের সঠিক সামাজিকরণে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
(গ) অবস্তিদের পরিবার কোন ধরনের পরিবার ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : অবস্তিদের পরিবার একটি ক্ষুদ্র পরিবার বা একক পরিবার। এই একক পরিবার গুলিতে মা-বাবা ও তাদের সন্তান ছাড়া আর বিশেষ কোনো সন্দেহ থাকে না। এই ধরণের পরিবার বেশির ভাগ শহুরে এলাকাতে দেখা যায়। একটি যৌথ পরিবার থেকে কোনো কারণে কোনো সদস্য আলাদা হয়ে একটি ভিন্ন পরিবার তৈরি করলে এই রকম একক পরিবার গুলি তৈরী হয়। বর্তমান সময়ে গ্রাম ও শহর উভয় স্থানেই একক পরিবারের প্রচলণ বেড়েই চলেছে।
(ঘ) “সামাজিকীকরণের ক্ষেত্রে অধরাদের পরিবারের ভূমিকা বেশি”-এ বক্তব্যের সাথে তুমি কি একমত? তোমার মতামত দাও।
উত্তর : একটি শিশুর সঠিক সামাজিকরণে পরিবারের ভূমিকা অপরিসীম। একটি শিশু তার জন্মের পর থেকেই সবচেয়ে বেশি সময় তার পরিবার ও পরিবারের সদস্যদের কাছেই থাকে। এই জন্য একক পরিবারের শিশুরা বেড়ে ওঠার সময় তার বাবা-মা ছাড়া আর কোনো পারিবারিক সদস্যদেড় সান্নিধ্য পায় না। ফলে তাদের মধ্যে কতগুলি সামাজিক গুনের অভাব দেখা যেতে পারে যেমন অন্যদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করা, বিপদের সময় একে অপরকে সাহার্য্য করা, নতুন বন্ধু বানানো, সমাজের বাকিদের সাথে মেলামেশা করা। কারণ তারা ছোটবেলা থেকেই একা একা বড়ো হয়েছে অর্থাৎ বাড়িতে তাদের সাথে শুধু তাদের মা-বাবাই ছিল। তাই তাদের মানিসিকতাও হবে আত্মকেন্দ্রিক। অপরদিকে, যৌথ পরিবারের বড়ো হওয়া শিশুরা ছোট থেকেই তাদের বাবা-মা ছাড়াও পরিবারের আরো অনেক ভিন্ন সদস্যদের সাথে বড়ো হয়ে উঠবে ফলে এই শিশুদের মধ্যে উপরোক্ত সকল গুন্গুলি স্পষ্ট হবে। এছাড়া এই শিশুদের মানসিকতা হবে সমাজকেন্দিক। এই শিশুরা বড়ো হলে যেমন অন্যদের মতামতকে সন্মান করবে, সমাজের দুস্থদের সহযোগিতা করবে, সমাজের উন্নতির জন্য বিভিন্ন সৃজনশীল কাজে অংশ নেওয়ার জন্য অনেক বেশি আগ্রহী হবে। এককথায় সমাজের একজন আদর্শবান ব্যক্তি হয়ে উঠবে। এই সকল কারণের জন্য সামাজিকরেনের অধরাদের মতো যৌথ পরিবারের ভূমিকা অনেক বেশি।
(২) রত্না ও রূপা চাচাতো বোন। একই বাড়িতে তারা দাদা-দাদিসহ বসবাস করতো। তাদের মধ্যে খুবই বন্ধুত্ব রত্নার বাবা চাকরি নিয়ে অন্যত্র বদলি হলে রত্না মা-বাবার সাথে চলে গেলো। রূপা দাদা-দাদিসহ অন্যদের সাথে বসবাস করতে লাগলো। অনেকদিন পর রত্না ও রূপার দেখা হলে তারা আগের মতো মিশতে পারে না। রূপা মিশতে গেলেও রত্না এড়িয়ে চলতে চায়। রূপা সবার সাথে মিলেমিশে থাকতে চায়। সবাইকে সহযোগিতা করতে চায়। এজন্য সবাই রূপাকে খুব পছন্দ করে।
(ক) সাধারণত শিশুরা ধর্মীয় শিক্ষা কোথায় পায়?
উত্তর : সাধারণ ভাবে শিশুর ধর্মীয় শিক্ষার সূত্রপাত হয় তার নিজস্ব পরিবার থেকে। শিশুদেরকে তার পরিবারের সদস্যরা নিজের ধর্মের সাথে পরিচয় করায়। সমাজের প্রত্যেক পরিবারের আলাদা আলাদা নিজস্ব ধর্মীয় মান্যতা আছে। তাই প্রত্যেক শিশুর ধর্মীয় শিক্ষা ও মান্যতা ভিন্ন ভিন্ন প্রকারের হয়। বাংলাদেশের কয়েকটি প্রধান ধর্ম যেমন – ইসলাম, হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন। এই ধর্মগুলির প্রত্যেকটির আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট রয়েছে যা এই সকল ধর্মের মানুষের মধ্যে পরিলক্ষিত হয়। কিন্তু বর্তমানে শিশুরা ধর্মীয় শিক্ষা অর্জন করছে বিভিন্ন ধর্মগুরুদেড় কাছ থেকে। এই কারণে অনেক সময়ে শিশুরা সঠিক ভাবে ধর্মীয় শিক্ষা অর্জন করতে পারছে না বা তাদের ধর্মীয় জ্ঞানের অভাব থেকে যাচ্ছে।
(খ) পরিবার চিরস্থায়ী সামাজিক সংগঠন-ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : পরিবার সামাজিকরণের মূল ও প্রাথমিক ব্যবস্থা। একটি শিশুর জন্মের পর থেকেই সে তার পরিবারের সাথে টি থেকে বড়ো হয়ে উঠে সেই সঙ্গে সামাজিকরণের সঠিক শিক্ষা পেতে শুরু করে। শিশুটি বড়ো হয়ে ওঠার সাথে সাথে টি আর আচার-আচরণ, বড়োদেরকে শ্রদ্ধা করা, তাদের কথা শোনা এই সকল যাবতীয় প্রাথমিক সামাজিক শিক্ষা পরিবার থেকেই অর্জন করে। পরিবারের সদস্যরা শিশুদের মানসিক বিকাশের জন্য মুখ্য ভূমিকা পালন করে। পরিবার থেকেই শিশুরা সামাজিকরণের মূল জ্ঞান অর্জন করে। এই কারণে প্রত্যেক শিশুর ব্যবহারের মধ্যে তার পরিবারের ছাপ লক্ষ করা যায়। পরিবার ছাড়া একজন শিশুর সঠিক সামাজিক শিক্ষা অর্জন করা প্রায় অসম্ভব। পরিবার ছাড়া শিশুদের মধ্যে সামাজিকরণের সূত্রপাত হবে না। প্রত্যেক শিশুর মধ্যেই সমজিকরণের মূল্যবোধ স্থাপন করে তার পরিবার। তাই সামাজিকরণের সংগঠন হিসেবে পরিবারই চিরস্থায়ী থাকবে।
(গ) রত্নার এরূপ আচরণের কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : রত্নার এরূপ আচরণের কারণ হলো পরিবার থেকে দূরে চলে যাওয়া এবং পরবর্তী সময়ে শুধু মা-বাবার সাথে বড়ো হয়ে ওঠা। রত্নার মধ্যে তৈরী হয়েছে একাত্মকেন্দ্রিক মনোভাব। অর্থাৎ রত্না একা একা থাকতে বেশি পছন্দ করে এবং তার নতুন মানুষের সাথে সহজে মেলামেশা করতে অভ্যস্থ নয়। কারণ রত্না ছোট বেলাতে যৌথ পরিবার থেকে আলাদা হয়ে তার বাবার সাথে একটি একক পরিবারের যাওয়াতে তার মধ্যে এই একাত্মকেন্দ্রিক মানসিকতা তৈরী হয়েছে।
(ঘ) “রূপার আচরণে যৌথ পরিবারের অবদান সর্বাধিক”-তুমি কি একমত? উত্তরের স্বপক্ষে যুক্তি দাও ।
উত্তর : অবশ্যই, যৌথ পরিবারই রুপার সামাজিক আচরণনের জন্য সর্বাধিক অবদান রাখে। যখন একটি শিশু ছোট থেকে যৌথ পরিবারের বড়ো হয়ে উঠে তখন তার মধ্যে সামাজিক মেলবন্ধন লক্ষ করা যায় অর্থাৎ নতুন মানুষদের সাথে সহজেই মিশে যাওয়, নতুন বন্ধু বানানো, বড়োদের কথা মেনে চলা, অন্যের মতামতকে সন্মান করা, বিপদে সবাইকে সাহার্য্য করা, এবং সমাজের উন্নতির জন্য কাজ করা ইত্যাদি গুনাবলি স্পষ্ট হয়। এই কারণেই রুপা তার পরিবারের সকলের সাথে ভালোভাবে মেলামেশা করতে পারে এবং অনেকদিন পর রত্নাকে দেখালেও তার সাথে মেলামেশা করার বা সাক্ষাৎ করার জন্য তার মধ্যে কোনো সংকোচবোধ তৈরী হয়নি। এই কারণে শিশুদের সঠিক সামাজিকরণের জন্য একক পরিবারের থেকে যৌথ পরিবারের অবদান অনেক বেশি।
More solutions :
- বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্ৰাম
- বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য
- বাংলাদেশের অর্থনীতি
- বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের নাগরিক
- বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা
- বাংলাদেশের জলবায়ু
- বাংলাদেশের জনসংখ্যা পরিচিতি
- বাংলাদেশের প্রবীণ ব্যক্তি ও নারী অধিকার
- বাংলাদেশের সামাজিক সমস্যা
- এশিয়ার কয়েকটি দেশ
- বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা
- টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি)