NCTB Class 7 BGS Chapter 9 বাংলাদেশে প্রবীণ ব্যক্তি ও নারী অধিকার Solution/Guide

NCTB Class 7 BGS Chapter 9 বাংলাদেশে প্রবীণ ব্যক্তি ও নারী অধিকার Solution/Guide

Bangladesh Board Class 7 Solution for বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়. Chapter 9 বাংলাদেশে প্রবীণ ব্যক্তি ও নারী অধিকার Solution  Exercises Question and Answer by Experienced Teacher.এখানে বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (NCTB) কর্তৃক প্রকাশিত সপ্তম শ্রেণীর বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের নবম অধ্যায় বাংলাদেশে প্রবীণ ব্যক্তি ও নারী অধিকার অনুশীলনের সমস্ত সমাধান দেওয়া হয়েছে।

NCTB Solution Class 7 Chapter 9 বাংলাদেশে প্রবীণ ব্যক্তি ও নারী অধিকার : 

Board NCTB Bangladesh Board
Class 6
Subject BGS
Chapter 9
Chapter Name বাংলাদেশে প্রবীণ ব্যক্তি ও নারী অধিকার

বাংলাদেশে প্রবীণ ব্যক্তি ও নারী অধিকার অনুশীলনী প্রশ্ন এবং উত্তর :

NCTB Class 7 BGS Chapter 9 বাংলাদেশে প্রবীণ ব্যক্তি ও নারী অধিকার Solution/Guide

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :

(১) বাংলাদেশে সরকারি চাকরি থেকে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অবসর গ্রহণের বয়স কত ?

(ক) ৫৭ বছর

(খ) ৫৯ বছর

(গ) ৬০ বছর

(ঘ) ৬৫ বছর

উত্তর :

(খ) ৫৯ বছর

(২) আমাদের সমাজে প্রবীণদের সমস্যার কারণ- –

(i) তাদের উপার্জনের সামর্থ্য নেই

(ii) সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়

(iii) সমাজে নৈতিক শিক্ষার অবনতি

নিচের কোনটি সঠিক ?

(ক) i

(খ) i iii

(গ) ii iii

(ঘ) i, ii iii

উত্তর :

(ঘ) i, ii ও iii

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও __

রোজিনা তার স্বামীকে ছেলে-মেয়েদের জন্য খেলনা আনতে বলেন। বাজার থেকে তার স্বামী ছেলের জন্য ক্রিকেট বল ও ব্যাট এবং মেয়ের জন্য পুতুল ও হাঁড়ি-পাতিল কিনে আনলেন ।

(৩) রোজিনার স্বামীর খেলনা ক্রয়ের ঘটনা ছেলে-মেয়ের প্রতি যে ধরনের আচরণের প্রকাশ পেয়েছে তা হলো-

(i) অর্থনৈতিক বৈষম্য

(ii) দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য

(iii) আদরের পার্থক্য

নিচের কোনটি সঠিক ?

(ক) i

(খ) ii

(গ) ii iii

(ঘ) i, ii iii

উত্তর :

(খ) ii

(8) উক্ত বৈষম্যের কারণে শিশুর কোন দিকটি অধিক বাধাগ্রস্ত হচ্ছে-

(ক) নিরাপদে বেড়ে ওঠা

(খ) শিক্ষা গ্রহণ করা

(গ) স্বাস্থ্য সুরক্ষা

(ঘ) সঠিক মানসিক বিকাশ

উত্তর :

(ঘ) সঠিক মানসিক বিকাশ

সৃজনশীল প্রশ্ন :

(১) স্বামী এবং তিন সন্তান নিয়ে হাফিজার সংসার। স্বামীর একক আয়ে তার সংসার চলে না। সংসারের অভাব পূরণে হাফিজা নির্মাণ শ্রমিকের কাজ নেয়। সপ্তাহ শেষে মজুরি গ্রহণের সময় মালিক তাকে দৈনিক ৩০০ টাকা হারে মজুরি দেয়। অথচ একই কাজের জন্য পুরুষ শ্রমিকদের ৪০০ টাকা হারে দৈনিক মজুরি দেয়। সে এর প্রতিবাদ করলে মালিক তাকে কাজে আসতে নিষেধ করে।

(খ) সংসার-জীবনে নারীর প্রধান ভূমিকা বর্ণনা কর।

উত্তর : সংসার জীবনে একজন নারীর ভূমিকা অনেক। একজন নারী তার সংসার জীবনে বিভিন্ন চরিত্রের অধিকারী হয়। নারী সর্ব প্রথমে একজন মেয়ে রূপে তারা পিতা-মাতার কাছে বড়ো হয়ে উঠে এবং সামাজিকতার শিক্ষা গ্রহণ করে এবং পরে সে তার বৈবাহিক সম্পর্কে আবদ্ধ হয় এবং স্বামীর ঘরে বিভিন্ন কাজের মধ্যে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করে। এরপর নারী একজনা মায়ের ভূমিকা পালন করে এবং তার সন্তানের জন্য আমরণ পরিশ্রম ও ত্যাগ স্বীকার করেন। সংসারের প্রতিটি ক্ষেত্রে কখনো মা, কখনো  স্ত্রী আবার কখনো মেয়ে রূপে বিভিন্ন গুরুপ্ত পূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বর্তমানে মেয়েরা অনেক বেশি স্বাধীন, শিক্ষিত এবং অৰ্থনৈতিক দিক থেকে স্বাবলম্বি হতে পেরেছে। তাই বর্তমানে সমাজে ও সংসারে উভয় ক্ষেত্রে সমস্ত দিক থেকে গুরুপ্তপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

(গ) হাফিজা কোন ধরনের বৈষম্যের শিকার হয়েছেন? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : হাজিফা সমাজের নারী-পুরুষ বৈসম্মের স্বীকার। বাংলাদেশে সহ বিশ্বের বিভিন্ন উন্নতিশীল দেশে নারী-পুরুষের পারিশ্রমিকের মধ্যে পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। একই প্রকার কাজের জন্য এজকজন পুরুষকে যা পারিশ্রমিক প্রদান করা হয় সেই একই কাজের জন্য একজন নারী সেই একই পারিওয়াশ্রমিকের বদলে অনেক কম পারিশ্রমিক অর্জন করা হয়। এই প্রকার বৈষম্য দেশের প্রায় প্রতিটি কর্মক্ষেত্রে পরিলক্ষিত হচ্ছে। সমাজের মানুষের মধ্যে এখনো নারীদের কর্মদক্ষতার উপর এক প্রকারের বৈষম্য লক্ষ করা যায়। নারীদের কর্মদক্ষতাকে সব সময় কম বা ছোট করে  দেখা হয়। অথচ সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীরা পুরুষদের সমানই সফল। পৃথিবীর এমন অনেক আবিষ্কার আছে যা একজন নারীর দ্বারাই সম্ভব হয়েছে।

(ঘ) হাফিজার মতো নারীদের অধিকার আদায়ে করণীয় বিষয়ে মতামত দাও।

উত্তর : হাজিফার মতো নারীদের সকল অধিকার আদায়ের জন্য নারীদের বিভিন্ন দিক থেকে সচেতন হয়ে উঠতে হবে। সমাজের প্রত্যেক নারীকে জানতে হবে তার প্রাপ্য অধিকার। জানতে হবে নারীদের সঠিক অবস্থান। রুখে দাঁড়াতে হবে সমাজের প্রত্যেক নারী বৈসম্মের বিরুদ্ধে। এর জন্য প্রত্যেক নারীকে হতে হবে শিক্ষিত, অর্জন করতে হবে সঠিক জ্ঞান। দেশের প্রত্যেক নারীকে জানতে দেশের সংবিধান। প্রত্যেক দেশ বা রাষ্ট্রের সগবিধান নারী ও পুরুষজকে আলাদা আলাদা সুবিধা বা ক্ষমতা প্রদান করে না। তাই দেশের প্রত্যেক ক্ষেত্রে নারীর পিছিয়ে কেন এই সম্পর্ককে প্রত্যেক নারীদের সচেতন হয়ে উঠতে হবে। এই সকল কাজের জন্য প্রথমে সামজের প্রত্যেক নারীকে হয়ে উঠতে হবে সুশিক্ষিত। দেশের সর্ব স্তরের নারীদের করে তুলতে হবে শিক্ষিত। শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে সমাজের সকল স্তরে। তবেই একমাত্র নারীরা তাদের প্রাপ্য অধিকার অর্জন করতে পারবে।

(২) ৭০ বছরের ছিদ্দিকা খাতুনের ইচ্ছা করে পুরানো দিনের গল্প করতে কিন্তু তাঁর ছেলে মেয়েদের গল্প শোনার সময় নেই। এমন কি তাঁর নাতনীর বিয়ের সময় তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয় না। পাশের বাড়ির জোবেদা বেগম ছিদ্দিকা খাতুনের ছেলে মেয়েদের বলেন, তোমাদের উচিত তোমার মায়ের খাবার ও স্বাস্থ্যের ব্যাপারে খেয়াল রাখা। তাঁকে মাঝে মাঝে বেড়াতে নিয়ে যাওয়া।

(ক) প্রবীণ কারা ?

উত্তর :

মানুষের বয়স ৬০ বছর পেরিয়ে গেলে মানুষকে প্রবীণ বলে গণ্য করা হয়। বাংলাদেশে সরকার চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার জন্য ৫৯ বছর বয়সকে ধার্য্য করেছে। মানুষ তার জীবনের সূচনার থেকে শুরু করে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত উপার্জন, বিভিন্ন সামাজিক দায়িত্ব পালন, সংসার জীবনে তার সকল কর্তব্য পালন করার পর একটি সময়ে এই সব কাজ করার জন্য আর উপযুক্ত থাকে না মানুষের জীবনের এই সময়কে প্রবীণ অবস্থা বলা হয়।

(খ) বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কল্যাণ সমিতির প্রবীণদের ক্ষেত্রে কার্যক্রম ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কল্যাণ সমিতি দেশের প্রবীণদের বিভিন্ন ভাবে সাহার্য্য করে আসছে এবং পাশে দাঁড়াচ্ছে। এই কল্যাণ সমিতি দেশের প্রবীণ ব্যক্তিদেরকে বিনা সুদে ঋণ প্রদান করে প্রবীণদের অর্থনৈতিক দিক থেকে স্বাবলম্বী করে তোলার প্রয়াস শুরু করেছে। এই সমিতি দেশের সকল অবসর প্রাপ্ত প্রবীণ ব্যাক্তিদের স্বাস্থ, শিক্ষা, বিভিন্ন সরকারি অনুদান দিচ্ছে  এবং সামজের এক সুস্থ ও স্বাবলম্বী ভাবে জীবনযাপন করার জন্য সাহার্য্য করছে। এছাড়া এই সমিতি বিভিন্ন সুস্থ ও কর্মদক্ষ প্রবীণদের বিভিন্ন সংস্থানের কাজের সুযোগ করে দিচ্ছে এবং দেশের অশিক্ষিত ও পিছিয়ে পড়া প্রবীণ ব্যক্তিদের নতুন করে শিক্ষার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। এই সমিতি সামজের অবহেলিত প্রবীণ বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের  থাকার জন্য বৃদ্ধাশ্রম, স্বাস্থ সংঘ, রোটারি ক্লাব, মা ও শিশু নিবাস গুলোকেও সাহার্য্য করছে।

(গ) ছিদ্দিকা খাতুনের সমস্যাটা কোন ধরনের সমস্যা- ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : ছিদ্দিক খাতুন বার্ধক্য বয়সে পৌঁছে গিয়েছেন তাই তিনি এখন আর সংসারের কোনো কাজে লাগেন না অফুরন্তু সংসারের বাকি লোকেদের জন্য তিনি এখন সমস্যা বা বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। এই কারণে ছিদ্দিকা খাতুন পরিবারের অবহেলার স্বীকার হয়েছেন। বর্তমান সমাজে প্রায় প্রত্যেক বাড়িতেই প্রবীণ ব্যক্তিদের এই রকম অবহেলার স্বীকার হতে হচ্ছে। মানুষ এখন নিজেদের পিতা-মাতাকে বৃদ্ধ বয়সে নিজেদের জন্য বোঝা ভাবে এবং তাদের উপেক্ষা করে, তাদের  স্বাস্থ্যের খবর রাখে না, তাদের মতাতমতের কোনো প্রয়োজন বোধ করে না, এমনকি তাদের সাথে সময়ও কাটায় না। বৰ্তমান সময়ে বাংলাদেশের শিক্ষিত সমাজের প্রায় সকল বৃদ্ধ মাতা পিতার একই অবস্থা হয়েছে। আমাদের শিক্ষিত সমাজের সব থেকে বড়ো ব্যর্থতার নিদর্শন হলো বৃদ্ধাশ্রম। উদ্দীপকের ছিদ্দিকা খাতুন সমাজের এই অবহেলা ও উপেক্ষার স্বীকার হয়েছেন। এবং সেই সঙ্গে তার মৌলিক অধিকার ক্ষুন্ন হয়েছে। তাকে তার প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার সন্তানেরা বা বাড়ির বাকি সদস্যরা তাদের সঠিক দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়েছেন বা পালন করতে অস্বীকার বা অবহেলা করেছেন যা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। সমাজের প্রত্যেক প্রবীণ ও বৃদ্ধ নাগরিকদের জন্য সরকার বিশেষও অধিকার প্রদান করেছেন যার থেকে আজ অনেক বৃদ্ধ ও প্রবীণ নাগরিকই বঞ্চিত হয়েছেন।

 

More solutions : 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *