NCTB Class 7 BGS Chapter 2 বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য Solution/Guide

NCTB Class 7 BGS Chapter 2 বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য Solution/Guide

Bangladesh Board Class 7 Solution for বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়. Chapter 2 বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য Solution  Exercises Question and Answer by Experienced Teacher.এখানে বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (NCTB) কর্তৃক প্রকাশিত সপ্তম শ্রেণীর বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের দ্বিতীয় অধ্যায় বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য অনুশীলনের সমস্ত সমাধান দেওয়া হয়েছে।

NCTB Solution Class 7 Chapter 2 বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য : 

Board NCTB Bangladesh Board
Class 6
Subject BGS
Chapter 2
Chapter Name বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য

বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য অনুশীলনী প্রশ্ন এবং উত্তর :

NCTB Class 7 BGS Chapter 2 বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য Solution/Guide

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :

(১) নবান্ন উৎসব হয় কোন ঋতুতে ?

(ক) বর্ষা

(খ) শরৎ

(গ) হেমন্ত

(ঘ) শীত

উত্তর :

(ক) বর্ষা

(২) বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে বৈচিত্র্য রয়েছে, কারণ

(i) বাঙালি সংকর জাতি

(ii) এ দেশের ঋতু বৈচিত্র্যপূর্ণ

(iii) বিভিন্ন ভাষাভাষী লোকজনের অবস্থান

নিচের কোনটি সঠিক ?

(ক) i ii

(খ) ii iii

(গ) i iii

(ঘ) i, ii iii

উত্তর :

(ঘ) i, ii ও iii

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

ঝুমার দাদা নদীর তীরে দাঁড়িয়ে স্মৃতিচারণ করছিলেননদীর উত্তর দিকে তাদের বাড়ি ছিল। বাড়ির পাশেই ছিল একটি মসজিদ। গোয়াল ঘরটি ছিল বাড়ির পিছনে। সে সময়ে মতি মাঝি ঐ নদীর উপর দিয়ে মনের খুশিতে ভাটিয়ালি গান গেয়ে যেত।

(৩) উদ্দীপকে বাংলাদেশের কোন দুর্যোগকে ইংগিত করা হয়েছে ?

(ক) জলোচ্ছ্বাস

(খ) নদী ভাঙ্গন

(গ) অনাবৃষ্টি

(ঘ) বন্যা

উত্তর :

(খ) নদী ভাঙ্গন

(8 উক্ত প্রাকৃতিক দুর্যোগ সত্ত্বেও মতি মিয়ার মতো এদেশের মানুষের খুশি হওয়ার প্রধান কারণ-

(i) জলবায়ুর বিশেষ প্রভাব

(ii) নদনদীর বিপুল সম্পদ

(iii)  দেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য

নিচের কোনটি সঠিক ?

(ক) i ii

(খ) ii iii

(গ) i iii

(ঘ) i, ii iii

উত্তর :

(ঘ) i, ii ও iii

সৃজনশীল প্রশ্ন :

(১) বাংলা প্রথম মাসের প্রথম দিন। ফারিবা, রাইসা, রূপন্তি, প্রিয়তী সকলে মিলে ঠিক করে তারা রমনা বটমূলে যাবে। সকলে লাল-সাদা রঙের শাড়ি পরবে। সেখানে মেলায় গান ও কবিতা শুনবে। প্রতি বছরই এখানে অনেক মানুষের সমাগম হয়। তারা মুখোশ পরে, গান গায়, অনেকে আবার মুখে বিভিন্ন ছবি আঁকে। সারাদিন আনন্দ উচ্ছ্বাসে কাটায়।

(ক) বাংলা প্রথম মাসের নাম কী?

উত্তর : বাংলা প্রথম মাসের নাম হলো বৈশাখ মাস। এই মাসের ১ তারিখ সমগ্র বাংলায় নববর্ষ হিসেবে পালিত হয়। নববর্ষের মানে হলো বাঙালিদের নতুন বছর। এই দিনে বাংলাদেশে বিভিন্ন সংকৃতিক অণুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এই দিনটিকে শুধু বাংলাদেশেই উদযাপিত করা হয় এটা বলা ভুল হবে। কারণ এই সমগ্র পৃথিবীতে যে সকল স্থানে বাঙালি মানুষ আছে তারা সবাই এই দিনটিকে উদযাপিত করে। বাংলার  ১২ মাসের নাম হলো –  বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ, অসাড়, শ্রাবন, ভাদ্র, আশ্বিন, কার্তিক, অগ্রহায়ণ, পৌষ, মাঘ, ফাল্গুন, চৈত্র। এর মধ্যে বৈশাখ মাস বাংলার প্রথম মাস এবং চৈত্র মাস হলো বাংলার শেষ মাস।

(খ) বাংলাদেশের কৃষি প্রধানত কীসের উপর নির্ভরশীল? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর :  বাংলাদেশের কৃষি প্রধানত এই দেশের আবহাওয়া ও উর্বর ভূমির উপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ তাই এই দেশের মাটি নদীর উর্বর পলি সমৃদ্ধ। তাই এখানকার মাটিতে এ কোনো ফসল খুব সহজেই উৎপন্ন করা যায়। বাংলাদেশের মাটির সাথে সাথে এই দেশে মৌসুমী বায়ুর আগমনে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় যা কৃষি কাজের জন্য অত্যন্ত আবশ্যিক। বাংলাদেশের তাপমাত্রাও কৃষি কাজের জন্য আদর্শ। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ২০ থেকে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা পরিলক্ষিত হয় যা ধান উৎপাদনের জন্য জরুরি। বাংলাদেশের মুখ্য ফসল ধান এবং এই কারণেই বাংলাদেশের প্রধান খাদ্য ভাত। এছাড়া বাংলাদেশ তিনদিকে স্থলভাগ বেষ্টিত এবং  একদিক বঙ্গপোসাগর দ্বারা আবৃত। তাই বঙ্গপোসাগরের থেকে প্রচুর পরিমানে জ্বলীয়বাস্প পূর্ণ বায়ু বাংলাদেশে প্রবেশ করে এবং প্রচুর পরিমানে বৃষ্টিপাত ঘটায়। ফলে এই দেশে কৃষির জন্য জলের অভাব হয় না। কিন্তু প্রত্যেক বছর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপের কারণে সৃষ্টি হওয়া প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বাংলাদেশে কৃষির অনেক ক্ষতি হয়। বাংলাদেশের কৃষি কাজ মূলত এই সকল ঘটনার  উপর নির্ভরশীল এবং প্রভাবিত হয়।

(গ) উদ্দীপকে বাংলার কোন মেলার কথা বলা হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : উদ্দীপকে নববর্ষের কথা বলা হয়েছে। প্রত্যেক বছর বাংলা প্রথম মাসের প্রথম দিন অর্থাৎ  বৈশাখ মাসের ১ তারিখ যা পহেলা বৈশাখ নামেও পরিচিত। এই দিনে সমগ্র বাংলাদশের মাটিতে আনন্দ ধারা বাহিত হয়। সমগ্র বাংলাদেশে পালিত হয় নববর্ষের উৎসব। এই দিন বাংলাদেশে অনুষ্টিত হয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শিশুরা পরিবেশন করে নৃত্য, গান, কবিতা, নাটক। এই অনুষ্ঠান শুধু বাংলাদেশেই সীমিত থাকে না, এই অনুষ্ঠান পালিত হয় পৃথিবীর সেই সকল স্থানে যেখানে আছে বাংলার মানুষ। কারণ এই উৎসব শুধু বাংলাদেশের নয় এই উৎসব সমগ্র বাঙালির উৎসব। এই দিনকে বাঙালিরা নিজেদের নতুন বছর হিসেবে পালিত করে। বাংলাদেশে   এই উৎসব শুধু বাঙ্গালীর নয় জাতি, বর্ণ, ধর্ম নির্বিশেষে সমগ্র বাংলার।

(ঘ) বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য বিকাশে উদ্দীপকের বর্ণিত মেলার ভূমিকা মূল্যায়ন কর।

উত্তর : বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্রের বিকাশের এক অনন্য অংশ হলো নববর্ষ। সেই প্রাচীনকাল থেকেই বাংলার প্রত্যেক মানুষের মধ্যে পালিত হয়ে আসছে এই উৎসব। বাংলার কৃষকরা শীতের মরসুম কাটিয়ে গ্রীষ্মের শুরুতে জমিতে নতুন করে কৃষিকাজ আরম্ভ করার আনন্দে এই উৎসব পালন করতো। তাই সেই প্রাচীনকাল থেকেই কৃষিপ্রধান বাংলার মানুষদের কাছে এই দিনটি জীবনের এক নতুন সূচনার প্রতীক। এই উৎসব যেমন বাংলার সকল মানুষের মধ্যে  তৈরী করেছে ভাতৃত্ব বোধ তেমনি আবার ঐক্যবদ্ধ করেছে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল প্রকার মানুষকে এবং বাংলার সংস্কৃতিকে করে তুলেছে বৈচিত্রময়। বাংলার সংস্কৃতিকে বিকশিত করার জন্য নববর্ষ এক গুরুপ্তপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে।

(২) শান্তা ময়মনসিংহ অঞ্চলের একটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী পরিবারের সন্তান। অন্তরা শান্তার সাথে ময়মনসিংহে তার বাড়িতে বেড়াতে যায়। সে দেখলো শান্তার বাবা শান্তার মায়ের বাড়িতে বসবাস করে। শান্তা অন্তরাকে জানালো যে সে পরিবারের ছোট কন্যা হওয়াতে বিয়ের পরও এ বাড়িতে থাকবে এবং সমুদয় সম্পত্তির মালিক হবে। শান্তারা এক সময় গাছপালা, সমুদ্র, পাহাড় ইত্যাদির পূজা করতো। এখন তারা টিভি দেখেতাদের এলাকার রাস্তাঘাটের উন্নতি হয়েছে। তাদের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষেরা এখন ব্যাপকভাবে লেখাপড়া শিখছে ফলে তাদের খাওয়া-দাওয়া পোশাক-পরিচ্ছদ ইত্যাদিরও পরিবর্তন এসেছে।

(ক) গোপী নাচ কোন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর উৎসব?

উত্তর : গোপী নাচ মনিপুরী নৃগোষ্ঠির উৎসব। মনিপুরী নৃত্য শিল্পীরা এই গোপী নাচ উৎসব প্রত্যেক বছর পালন করে। এই উৎসব তারা রাধা-কৃষ্ণের উদ্যেশ্যে নাচ, গান ও কীর্তন করে পালন করে।

(খ) বৈসাবিবলতে কী বোঝায়?

উত্তর : বৈসাবি হলো বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার প্রধান তিনটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বর্ষ-বরণ উৎসব। এই উৎসব উন্নত  অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কাছে ভিন্ন ভিন্ন নামে পরিচিত। যেমন – মারমাদের কাছে এই উৎসব সাংগ্রাই নামে, ত্রিপুরাদের কাছে বৈসুব বা বাইসু এবং তঞ্চঙ্গ্যাদের কাছে বিজু নামে পরিচিত।

(গ) শান্তা কোন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত? উদ্দীপকের আলোকে ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : উদ্দীপকের সান্তা  খাসিয়া বা গারো নৃ-গোষ্ঠির অন্তর্ভুক্ত। এই  নৃ- গোষ্ঠীর সূত্রপাত হয়েছিল মায়ের থেকে অর্থাৎ এই নৃ-গোষ্ঠী গুলি মাতৃসূত্রীয়। তাই এই গোষ্ঠীগুলির মধ্যে প্রচলিত রীতি হলো এই সমাজের মায়েদের সর্বকনিষ্ঠ মেয়ে সকল সম্পত্তির অধিষ্ঠা হবে এবং তাকে বিবাহকারী অর্থাৎ জামাইকে বিবাহের স্ত্রীর পরিবারে সাথে বসবাস করতে হবে।

(ঘ) শান্তার মতো অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন এসেছে”- বক্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।

উত্তর : শান্তার মতো অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনযাত্রায় অনেক উন্নতি ও পরিবর্তন হয়েছে। সময়ের সাথে সাথে এই সকল ক্ষুদ্র গোষ্ঠীর মানুষদের যেমন সামাজিক উন্নতি হয়েছে তেমনি আবার শিক্ষার আলোও প্রবেশ করেছে এই সকল গোষ্ঠীর মানুষের মধ্যে। বর্তমানের আধুনিকতা স্পর্শ করেছে এই সকল প্রকার মানুষকে। এক সময় যেমন এই জনমানুষ গুলি পূজা করতো পাহাড়, পর্বত, নদী, সমুদ্রকে। ভয় পেতো প্রকৃতির স্বাভাবিক ঘটনাকে। তারাই এখন টিভি দেখছে। ব্যবহার করছে ইন্টারনেট, মোবাইল, কম্পিউটার ইত্যাদি সরঞ্জাম। শিশুরা শিখছে পড়াশোনা। অর্জন করছে জ্ঞান। উচ্চপদে  চাকরি করে পাল্টে ফেলেছে নিজেদের পিছিয়ে থাকা জীবনকে।

 

More solutions : 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *