NCTB Class 7 BGS Chapter 7 বাংলাদেশের জলবায়ু Solution/Guide
Bangladesh Board Class 7 Solution for বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়. Chapter 7 বাংলাদেশের জলবায়ু Solution Exercises Question and Answer by Experienced Teacher.এখানে বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (NCTB) কর্তৃক প্রকাশিত সপ্তম শ্রেণীর বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের সপ্তম অধ্যায় বাংলাদেশের জলবায়ু অনুশীলনের সমস্ত সমাধান দেওয়া হয়েছে।
NCTB Solution Class 7 Chapter 7 বাংলাদেশের জলবায়ু :
Board | NCTB Bangladesh Board |
Class | 6 |
Subject | BGS |
Chapter | 7 |
Chapter Name | বাংলাদেশের জলবায়ু |
বাংলাদেশের জলবায়ু অনুশীলনী প্রশ্ন এবং উত্তর :
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :
(১) বাংলাদেশে সাধারণত কোন মৌসুমে নদীভাঙন দেখা দেয় ?
(ক) গ্রীষ্ম
(খ) বর্ষা
(গ) শীত
(ঘ) বসন্ত
উত্তর :
(খ) বর্ষা
(২) আমাদের দেশে নদীভাঙনের কারণ হচ্ছে-
(i) নদীগুলোর চলার পথ সোজা না হওয়া
(ii) নদীর পাড়ের মাটির দুর্বল গঠন
(iii) নদীর পাড়ে প্রচুর গাছপালা থাকা
নিচের কোনটি সঠিক ?
(ক) i
(খ) ii
(গ) i ও ii
(ঘ) i, ii ও iii
উত্তর :
(খ) ii
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
কক্সবাজারের মেয়ে রূপসা ঘরে বসে রেডিও শুনছিল। রেডিওতে সতর্ক বার্তা শুনে সে এবং তার পরিবারের সদস্যগণ আতঙ্কিত হয়ে ঘর থেকে বের হয়ে আশ্রয় কেন্দ্রের দিকে রওনা হলো।
(৩) রূপসা কিসের সতর্ক বার্তা শুনেছিল ?
(ক) ঘূর্ণিঝড়ের
(খ) ভূমিকম্পের
(গ) নদীভাঙনের
(ঘ) টর্নেডোর
উত্তর :
(ক) ঘূর্ণিঝড়ের
(8) রূপসার আতঙ্কিত হওয়ার কারণ হচ্ছে – –
(i) পুরো এলাকা দ্রুত প্লাবিত হয়ে যেতে পারে।
(ii) একটি কম্পনের পর পরই আর একটি কম্পন শুরু হবে।
(iii) আশ্রয় কেন্দ্রে সময়মত পৌঁছানো নিয়ে।
নিচের কোনটি সঠিক ?
(ক) i ও ii
(খ) i ও iii
(গ) ii ও iii
(ঘ) i, ii ও iii
উত্তর :
(খ) i ও iii
সৃজনশীল প্রশ্ন :
(১) ২৩শে সেপ্টেম্বর ২০১১ এর দৈনিক পত্রিকায় একটি খবর দেখে জারিফ চমকে উঠে। বিশ্বব্যাপী এক ধরনের গ্যাস অধিক নিঃসরণের জন্য জলবায়ুর ব্যাপক পরিবর্তন হচ্ছে। ফলে বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মতো সমুদ্রপৃষ্ঠের কাছাকাছি উচ্চতার দেশগুলো আজ হুমকির মুখে পড়েছে। এই বিপর্যয়ের জন্য জারিফ মানবসৃষ্ট নানা কর্মকাণ্ডকে দায়ী করে এক ধরনের উৎকণ্ঠা অনুভব করে ।
(ক) বাংলাদেশ কোন অঞ্চলে অবস্থিত ?
উত্তর : বাংলাদেশের জলবায়ু ক্রান্তীয় মৌসুমী প্রকৃতির। বাংলাদেশ অবস্থানগত দিক থেকে ক্রান্তীয় অঞ্চলে অবস্থিত। তাই বাংলাদেশে ক্রান্তীয় মৌসুমী জলবায়ু পরিলক্ষিত হয়। বাংলাদেশের জলবায়ুতে গ্রীষ্ম এবং শীত কোনোটাই খুব বেশি তীব্র নয়। গ্রীষ্ম কালে বাংলাদেশের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ২১° সেলসিয়াস থেকে ৩৫° সেলসিয়াস পর্যন্ত থাকে তবে বেশ কিছু এলাকাতে এই ঊষ্ণতা ৪০° থেকে ৪৫° সেলসিয়াস পর্যন্ত হতে পারে। এই প্রখর তাপমাত্রা বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলে পরিলক্ষিত হয়। আবার শীতকালে বাংলাদেশের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯.৯° থেকে ৩০.৭° সেলসিয়াস পর্যন্ত হতে পারে। বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালে বঙ্গোপসাগরের থেকে আগত জলীয়বাস্পপূর্ণ বায়ু এবং মৌসুমীবায়ুর প্রভাবে প্রচুর পরিমানে বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে যা দেশের কৃষিকাজের জন্য খুবই আবশ্যক। অপরদিকে বাংলাদশে শীতকালে মৌসুমীবায়ুর প্রত্যাবর্তনের জন্য বৃষ্টিপাত লক্ষকরা যায় এবং এই কারণে বাংলাদেশে রবিশস্যের চাষ করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের জলবায়ু সমভাবাপন্ন এই কারণে বাংলাদেশে যেমন অনুকূল আবহাওয়া লক্ষ করা যায় তেমনি আবার প্রতিকূল আবহাওয়ারও সুম্মুখীন হতে হয়। এক কথায় বাংলাদেশের জলবায়ু বেশ বৈচিত্রপূর্ণ।
(খ) বাংলাদেশের জলবায়ুতে মৌসুমি বায়ুর প্রভাব ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : বাংলাদেশের জলবায়ুতে মৌসুমীবায়ুর প্রভাব অতি গুরুপ[ত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালে প্রচুর বৃষ্টিপাতের মূল কারণ হলো মৌসুমীবায়ু। বাংলাদেশে মৌসুমীবায়ুর আগমন বছরে দুইবার হয়। বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালে অর্থাৎ এপ্রিল-মে মাসে প্রথম মৌসুমী বায়ুর আগমন ঘটে এবং বঙ্গোপসাগরের জ্বালয়বাস্প পূর্ণ বায়ুর সাথে মিলে নবাংলাদেশের মাটিকে প্লাবিত করে তোলে। বাংলাদেশে এই সময়ই সর্বাধিক কৃষিকাজ সম্পন্ন হয়। বাংলাদেশে মৌসুমী বায়ুর দ্বিতীয়বার প্রত্তাবর্তন ঘটে বছরে শেষের দিকে অর্থাৎ অক্টবর ও নবভেম্বর মাসে। এই সময় মৌসুমী বায়ু প্রত্যাবর্তন করে অর্থাৎ ফিরে যায়। তাই সময় এই বায়ুতে অবশিষ্ট জ্বলীয়বাস্পের জন্য বাংলাদেশে শীতকালীন বৃষ্টিপাত হয় এবং বাংলাদেশের মাটিতে রবিশস্যের চাষ ব্যাপক হারে হয়। মৌসুমী বায়ু যেমন বাংলাদেশের জন্য আনন্দের বার্তা বহন করে তেমনি আবার নিয়ে আসে বিপদের বাণী। কারণ এই মৌসুমী বায়ুর কারণেই বঙ্গোপসাগরের মাঝে সৃষ্টি হয় গভীর নিম্নচাপের। আর এই নিম্নচাপের জন্য বাংলাদেশের মাটিতে আছড়ে পরে ঘূর্ণিঝড়, টর্নেডো, সমুদ্রের জলোচ্ছাস, বন্যা, অধিক বৃষ্টিপাতের ফলে আবার নদীতে দেখা যায় পারভাঙ্গনের মতো সমস্যা যা বাংলাদেশের মানুষের স্বাভাবিক জীবনকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে। আবার অনেক সময় এই মৌসুমী বায়ু সঠিক সময়ে প্রবেশ না করার কারণে বাংলাদেশে দেখা দিয়ে খরা, অনাবৃষ্টি, স্বাভাবিকের থেকে অনেক বেশি তাপমাত্রা। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাংলাদেশের কৃষিকাজ এবং মানুষের জীবন। তাই বলা যায় বাংলাদেশের জলবায়ুর জন্য মৌসুমী বায়ুর গুরুপ্ত অপরিসীম।
(গ) উদ্দীপকের বাংলাদেশ কী ধরনের হুমকির মুখোমুখি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : বিশ্ব উস্ন্যায়নের জন্য মেরু অঞ্চলের বরফ ব্যাপক হারে গলে সমুদ্র্রের জলপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি করছে ফলে বাংলাদেশের বিভিন্ন কমউচ্চতা সম্পন্ন উপকূলবর্তী এলাকাগুলি সমুদ্রের গর্ভে বা সমুদ্রের জলের দ্বারা প্লাবিত হওয়ার হুমকির স্বীকার হয়েছে। সমুদ্রের জল একইভাবে ক্রমাগত বাড়তে থাকলে কয়েক দশকের মধ্যেই বাংলাদেশের নিম্নউপকূলবর্তী এলাকা গুলির সাথে সাথে পৃথিবীর অনেক দেশ সমুদ্রের জলের নিচে চলে যাবে। বর্তমানে মানুষের দ্বারা সংগঠিত বিভিন্ন অপ্রাকৃতিক কাজ কর্মের জন্য পৃথিবীর প্রকৃতির স্বাভাবিক ভারসাম্যতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মানুষ নির্মিত বিভিন্ন কলকারখানা, যানবাহন, তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র ইত্যাদি থেকে প্রচুর পরিমানে নির্গত গ্রিনহাউস গ্যাস যেমন কার্বনডাই অক্সাইড, মিথেন, নাইট্রাইড অক্সাইড ইত্যাদি পৃথিবীর গড় তাপমাত্রাকে বাড়িয়ে তুলছে। বর্তমানের দূষণের জন্য প্রত্যেক দেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হচ্ছে। বাংলাদেশও এর থেকে ভিন্ন নয়। বাংলাদেশের বেশ কিছু অংশ যেমন সমুদ্রের জলের উচ্চতা বাড়ার কারণে প্লাবিত বা চিরকালের জন্য সমুদ্রের গভীরে চলে যাওয়ার দিন গুনছে তেমনি আবার জলবায়ুর ব্যাপক পরিবর্তনের জন্য সম্মুখীন হচ্ছে বিভিন্ন দুর্যোগের যেমন – কখনো অনাবৃষ্টির কারণে খরা, শুস্কতা আবার কখনো অতিবৃষ্টির জন্য বন্যা, প্লাবন, নদীভাঙ্গন ইত্যাদি। আবার কখনো বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ার কারণে ঘূর্ণিঝড়, সমুদ্রের ব্যাপক জলোচ্ছাস এর কারণে উপকূলবর্তী এলাকায় মানুষের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হওয়া।
(ঘ) উদ্দীপকে উল্লিখিত বিপর্যয়ের জন্য মানবসৃষ্ট কর্মকাণ্ডই দায়ি–তোমার উত্তরের স্বপক্ষে যুক্তি দাও ।
উত্তর : উদ্দীপকের উল্লিখিত বিবর্জয়ের জন্য মানুষই ও মনুষ্যসৃষ্ট বিভিন্ন অপ্রাকৃতিক কর্মকান্ডই দায়ী। মানুষের তার উন্নতির সাথে সাথে পৃথিবীর সকল উপাদানকে দূষিত করে তুলেছে। মানুষের তৈরী বিভিন্ন কলকারখানা, যানবাহন, নিত্যপ্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং এই সকল কার্যের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি উৎপাদনের জন্য ব্যাপক ভাবে ক্ষতি করে চলেছে পৃথিবীর। মানুষের এই সকল কর্মকান্ডের জন্য ব্যাপক হারে দূষিত হয়ে চলেছে জল, বায়ু, মাটি, এবং বন-জঙ্গল। মানুষের তৈরী কলকারখানা ও অন্যান্য মাধ্যম থেকে প্রচুর পরিমানে ক্ষতিকারক গ্যাস নির্গত হয়ে পৃথিবীর গড় উষ্ণতাকে বাড়িয়ে তুলেছে যার ফলে পৃথিবীর বিভিন্ন পর্বতের এবং মেরু অঞ্চলের বরফের গলনের পরিমান ত্বরান্বিত করেছে যার ফলে সমুদ্রের জলস্তর ভয়ানক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে বর্তমানে পৃথিবীর সমুদ্র মধ্যবর্তি অনেক ছোট ছোট দ্বীপ সমুদ্রজল স্তরের নিচে চলে গিয়েছে। এবং ভবিৎষতে বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নিম্নবর্তী এলাকা ও উপকূলবর্তী এলাকা সমুদ্রের গভীরে চলে যাবে। এই উদ্দীপকের বিপর্যয় সম্পূর্ণভাবে মানুষ্যসৃষ্ট বিভিন্ন অপ্রাকৃতিক কাজকর্মের ফল।
(২) আরিক টেলিভিশনে “বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ” সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন দেখছিল। প্রতিবেদনের প্রথম অংশে দেখানো হয় কীভাবে উত্তরাঞ্চলের একটি গ্রামে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে কৃষিজমিগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে। প্রতিবেদনের দ্বিতীয় অংশে দেখানো হয় উপকূলীয় অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ কীভাবে জনজীবন ও পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এ অঞ্চলে অবস্থানগত কারণে প্রায়শই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করে।
(ক) প্রচণ্ড গতিসম্পন্ন ঘূর্ণিঝড়কে কী বলে ?
উত্তর : প্রচন্ড গতিসম্পন্ন ঘৃর্নিঝরকে টর্নেডো বলা হয়। স্থলভাগে গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টি হলে এই প্রকার ঝড়ের সৃষ্টি হয়। টর্নেডো দেখতে অনেকটা হাতির সুরের মতো বা আকাশ থেকে মাটি পর্যন্ত একটি ফানেলের মতো। টর্নেডো সৃষ্টির স্থানে প্রচন্ড গতিবেগের হাওয়া লক্ষ করা যায়। টর্নেডোর অনেকগুলো শ্রেণী থাকে যেমন টাইপ ১ টর্নেডো, টাইপ ২ টর্নেডো এই ভাবে সবচেয়ে শক্তিশালী টর্নেডো হলো টাইপ ৫। টর্নেডোর বায়ুর গতির উপর নির্ভর করে টর্নেডোকে বিভিন্ন শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। ঘূর্ণিঝড়ের মতো টর্নেডোর জন্য আগাম সতর্কতা জারি করা যায় না। বাংলাদেশে এই টর্নেডোর কারণে প্রত্যেক বছর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। টর্নেডো যেমন কয়েক মিনিটের মধ্যে তৈরী হতে পারে তেমনি আবার কিছুক্ষনের মধ্যেই উধাও হয়ে যেতে পারে। টর্নেডো স্থলভূমিতে ও জলাভূমিতে উভয় স্থানেই পরিলক্ষিত হয়।
(খ) কালবৈশাখি কী ? বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর : কোনো একটি নির্দিষ্ট এলাকার আবহাওয়া বা তাপমাত্রা অত্যন্ত উষ্ণ বা গরম হলে সেখানকার বায়ু হালকা হয়ে উপরে উঠে যায় এবং সেই শুন্য স্থান পূরণ করারা জন্য আশেপাশের শীতল হাওয়া সেই স্থানের দিকে প্রচন্ড গতিতে ধেয়ে আসে এর ফলে সেই স্থানে কিছু সময়ের মধ্যেই তীব্র হাওয়া, বজ্রবিদ্যুৎ সহ প্রচন্ড বৃষ্টিপাত হয়। আমাদের দেশে এই প্রকার ঝড়কেই কালবৈশাখী ঝড় বলে। বাংলাদেশ সহ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও এর আশেপাশের এলাকাতে এই ঝড় কালবৈশাখী ঝড় নামেই পরিচিত। এই ঝড়ের প্রকৃতি স্থানীয় এবং ক্ষণস্থায়ী। এই ঝড় মূলত বৈশাখ মাসে সংগঠিত হয় ফলে এই ঝড়ের এই রকম নামকরণ হয়েছে। কালবৈশাখী ঝড় ক্ষণস্থায়ী হলেও এই ঝড় ব্যাপক হারে মানুষের ঘরবাড়ির, ফসলের ক্ষতি করে। এই ঝড়ের বিধ্বংসী ক্ষমতা প্রচন্ড কারণ এই ঝড়ের সময় হওয়ার গতিবেগ ৭০ থেকে ১০০ কিলোমিটার প্রতিঘন্টা হতে পারে। এই প্রকার ঝড় গ্রীষ্মকালে গরমের দিনে বিশেষ করে বিকেলের দিকে সংগঠিত হয়।
(গ) প্রতিবেদনের দ্বিতীয় অংশে দেখানো দুর্যোগ ঘটার কারণ ব্যাখ্যা কর ।
উত্তর : প্রতিবেদনের দ্বিতীয় অংশে যে দুর্যোগের কথা বলা হয়েছে তা হলো ঘূর্ণিঝড়। সমুদ্রের মধ্যে নিম্নচাপ সৃষ্টি হলে সেখানকার জলীয়বাষ্পপূর্ণ বায়ু প্রচন্ড গতিতে স্থলভাগের দিকে ছুটে আসে। এই তীব্রগতির বায়ু প্রবাহের ফলে সমুদ্রের মধ্যে প্রবল জলোচ্ছাসের সৃষ্টি হয় যা সমুদ্র উপকূবর্তী এলাকাগুলিকে প্লাবিত করে তোলে। অবস্থানগত দিক থেকে অর্থাৎ স্থলভাগের শুরুতে এবং জল ভাগের শেষের মধ্বর্তী জায়গায় এই উপকূলবর্তী এলাকা অবস্থান করে ফলে এই এলাকাগুলোতে সবসময়ই আবহাওয়া দুর্যোগপূর্ণ হয়ে থাকে। এই এলাকাতে দিনের বেলায় সমুদ্রের হাওয়া স্থলভাগে, আবার রাতের বেলা স্থলবাগের হাওয়া সমুদ্রের দিকে প্রবাহিত হয়। তাই এই স্থানের আবহাওয়া সবসময় দুর্যোগ সম্ভাবনাপূর্ণ হয়ে থাকে। এই এলাকা গুলোর আবহাওয়া গ্রীষ্মকালে বিশেষ ভাবে সংকটপূর্ণ অবস্থায় থাকে।
(ঘ) প্রতিবেদনের প্রথম অংশে দেখানো দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে কী ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : প্রতিবেদনের প্রথম অংশে দেখানো দুর্যোগ অর্থাৎ অনাবৃষ্টি বা খরার ক্ষয়ক্ষতি কমানের জন্য বিভিন্ন ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে। খরা বা অনাবৃষ্টির প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট দুটো কারণের জন্যই ঘটতে পারে। জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে কোনো দেশে অনাবৃষ্টি বা খরা অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। যেমন – এপ্রিল-মে মাসে বাংলাদেশে জ্বলীয়বাস্পপূর্ণ মৌসুমীবায়ুর আগমন স্বাভাবিক ভাবে না হলে বাংলাদেশে অনাবৃষ্টি ও খরা পরিস্থিতি তৈরী হতে পারে। আবার মানুষ্য সৃষ্ট কারণেও অনাবৃষ্টি বা খরা তৈরী হতে পারে। মানুষ নিজের স্বার্থে ক্রমাগত বন-জঙ্গল কেটে বিনাশ করে চলেছে, বিভিন্ন জলাভূমিকে বন্ধ করে সেখানে নির্মাণকার্য করেছে। এর ফলে বায়ুতে জ্বলীয়বাস্পের পরিমান হ্রাস পাচ্ছে ফলে বৃষ্টিপাতের সমস্যা হচ্ছে। উদ্ভিদ পরিবেশকে শীতল রাখতে সাহার্য্য করে এবং বায়ুতে জ্বলীয়বাস্পের পরিমান বৃদ্ধি করে কিন্তু বর্তমান মানুষ তাদের চাহিদার জন্য বনভূমি কেটে সাফ করে ফেলেছে। বৈজ্ঞানিকদের মতে প্রত্যেক দেশের স্থলভাগের মোট পরিমানের ২৫ শতাংশ এলাকা বনভূমি থাকা বাঞ্চনীয়। কিন্তু, বাংলাদেশে বনভূমির পরিমান মাত্র ১৭ শতাংশ। এই সকল কারণে বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর প্রত্যেকদেশে অনাবৃষ্টি ও খরা পরিস্থিতির তৈরী হয়েছে। প্রত্যেক দেশ যদি সঠিক আইন প্রণয়ন করে বনভূমি ধ্বংস করা বন্ধ করে নতুন বনভূমি তৈরী করার উপর জোর দিতে পারে তাহলে এই খরা ও অনাবৃষ্টির থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
এছাড়া আরো কয়েকটি উপায়ে আমরা এই দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কম করতে পারি। যেমন –
(১) নদীবাঁধ সৃষ্টি করে নদীর জলকে বিপদের জন্য সঞ্চয় করে।
(২) বৃষ্টির জলকে সঞ্চয় করার জন্য পুকুর বা জলাশয় তৈরী করে।
(৩) কৃষিকাজের জমিতে ক্যানেলের ব্যবস্থা করে।
(৪) কৃষিকাজের জন্য গভীর নলকূপ তৈরী করে।
(৫) কৃষি কাজে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা। যাতে ফসল উৎপাদনের জন্য কম জল অপচয় হয়। যেমন – ড্রিপ সিস্টেম।
(৬) খরা প্রবন এলাকা গুলোতে বনায়ন অর্থাৎ বৃক্ষরোপন করা।
More solutions :
- বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্ৰাম
- বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য
- পরিবারে শিশুর বেড়ে ওঠা
- বাংলাদেশের অর্থনীতি
- বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের নাগরিক
- বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা
- বাংলাদেশের জনসংখ্যা পরিচিতি
- বাংলাদেশের প্রবীণ ব্যক্তি ও নারী অধিকার
- বাংলাদেশের সামাজিক সমস্যা
- এশিয়ার কয়েকটি দেশ
- বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা
- টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি)