NCTB Class 7 BGS Chapter 11 এশিয়ার কয়েকটি দেশ Solution/Guide
Bangladesh Board Class 7 Solution for বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়. Chapter 11 এশিয়ার কয়েকটি দেশ Solution Exercises Question and Answer by Experienced Teacher.এখানে বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (NCTB) কর্তৃক প্রকাশিত সপ্তম শ্রেণীর বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের একাদশ অধ্যায় এশিয়ার কয়েকটি দেশ অনুশীলনের সমস্ত সমাধান দেওয়া হয়েছে।
NCTB Solution Class 7 Chapter 11 এশিয়ার কয়েকটি দেশ :
|
NCTB Bangladesh Board |
Class | 6 |
Subject | BGS |
Chapter | 11 |
Chapter Name | এশিয়ার কয়েকটি দেশ |
এশিয়ার কয়েকটি দেশ অনুশীলনী প্রশ্ন এবং উত্তর :
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :
(১) কুচিং কোন দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর ?
(ক) কোরিয়া
(খ) ভারত
(গ) জাপান
(ঘ) মালয়েশিয়া
উত্তর :
(ঘ) মালয়েশিয়া
(২) জাপানের জলবায়ুতে পরিলক্ষিত হয়-
(i) মৌসুমি বায়ুর প্রভাব
(ii) আর্দ্রতাপূর্ণ গ্রীষ্মকাল
(iii) বৃষ্টিবহুল শীতকাল
নিচের কোনটি সঠিক ?
(ক) i ও ii
(খ) ii ও iii
(গ) i ও iii
(ঘ) i, ii ও iii
উত্তর :
(ক) i ও ii
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
শিল্পোদ্যোক্তা জনাব আদনান পূর্ব-এশিয়ার শিল্পনির্ভর একটি দেশ পরিদর্শনে যান। দেশটি সমুদ্রবেষ্টিত। দেশটির জাতিগত ধর্ম সিন্টো।
(৩) জনাব আদনান কোন দেশ পরিদর্শনে যান ?
(ক) ভারত
(খ) জাপান
(গ) চীন
(ঘ) মালয়েশিয়া
উত্তর :
(খ) জাপান
(8) আদনানের দেখা দেশটি শিল্পনির্ভর হওয়ার কারণ হচ্ছে-
(i) উন্নত জীবনযাত্রা
(ii) খনিজ সম্পদের প্রাচুর্য
(iii) উষ্ণমণ্ডলীয় জলবায়ুর প্রভাব
নিচের কোনটি সঠিক ?
(ক) i ও ii
(খ) ii ও iii
(গ) i ও iii
(ঘ) i, ii ও iii
উত্তর :
(ঘ) i, ii ও iii
সৃজনশীল প্রশ্ন :
(১) অনিন্দ্য গ্রীষ্মের ছুটিতে মা-বাবার সাথে বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী একটি দেশে যায়। দেশটির উত্তরে হিমালয় পর্বতমালা এবং পশ্চিমে হিন্দুকুশ ও সুলেমান পর্বতমালা। দেশটি প্রাচীন শিল্পকলা ও সভ্যতা সমৃদ্ধ ।
(ক) মালয়েশিয়ার রাজধানীর নাম কী?
উত্তর : মালেশিয়া দেশের রাজধানীর নাম হলো কুয়ালালামপুর। মালেশিয়া দেশটি এশিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব অংশে অবস্থিত। ইসলাম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, হিন্দু ইত্যাদি ধর্মের মানুষ এই দেশে একসঙ্গে বসবাস করে। মালেশিয়া দেশটি ১৫টি প্রদেশ নিয়ে গঠিত হয়েছে। এই দেশের মধ্যভাগে পর্বত শ্রেণী উত্তর ও দক্ষিণ দিকে বিস্তৃতি লাভ করেছে। এর পশ্চিমাংশে রয়েছে জলাভূমি এবং এর পূর্বাংশে বিস্তৃত বানুময় এলাকা।
(খ) বহুজাতি দেশ বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : বহুজাতির দেশ বলতে সেই সব দেশকে বোঝায় যেখানে একই সাথে বহু ধর্মের ও জাতির মানুষ একই সাথে শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করে। যেমন – ভারত, বাংলাদেশ ইত্যাদি। এই প্রকার দেশ গুলোতে প্রত্যেক নাগরিক তার ইচ্ছা মতো যে কোনো ধর্মকে পালন করার অধিকার পায়। কোনো একটি নির্দিষ্ট জাতির বা ধর্মের লোক বসবাস করে না। এই কারণে বহুজাতির দেশগুলিতে দেখা যায় সামাজিক বৈচিত্রতা। বিভিন্ন ধর্মের মেলবন্ধন। এই প্রকার দেশ গুলির সংস্কৃতি হয় অনেক বেশি বিস্তৃত। তাই এই বহুজাতির দেশগুলোতে দেখা যায় ভিন্ন বৈশিষ্ঠের মানুষ।
(গ) অনিন্দ্যের ভ্রমণকৃত দেশটির সাথে বাংলাদেশের জলবায়ুর সাদৃশ্য বর্ণনা কর ।
উত্তর : অনিন্দ্যের ভ্রমণকৃত দেশটি হলো ভারত। বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশের মধ্যেই জলবায়ু ও সংস্কৃতির বিভিন্ন সাদৃশ্যতা লক্ষ করা যায়। বাংলাদেশের মতোই ভাবতে মূল ছয়টি ঋতু পরিলক্ষিত হয়। বাংলাদেশের মতোই ভারতের জলবায়ু নাতিশীতোষ্ণ প্রকৃতির অর্থাৎ গ্রীষ্ম ও শীতকাল এখানে চিরস্থায়ী নয়। বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে জন্য এখানে সকল প্রকার ঋতুবৈচিত্র পরিলক্ষিত হয়। বাংলাদেশের মতোই ভারতেও মৌসুমী বায়ুর জন্যই বৃষ্ট্যিপাত ও ঝড়ঝঞ্জা হয়ে থাকে। ভারতের পার্বত্য অঞ্চলগুলোতে শীতের অধিক্য বেশি থাকে এবং নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত বরফে আবৃত থাকে। আমাদের দেশের মতোই ভারতও একটি কৃষি প্রধান দেশ কিন্তু শিল্প, বাণিজ্য, ও অর্থনীতিতে আমাদের থেকে ভারত অনেক বেশি উন্নতিলাভ করেছে।
(ঘ) অনিন্দ্যের ভ্রমণকৃত দেশের সাথে বাংলাদেশের বন্ধুত্ব ও সহযোগিতামূলক সম্পর্কের গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : বাংলাদেশের উৎপত্তির সূচনা থেকে ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে জড়িত। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সহযোগিতার কথা বাংলাদেশবাসী আজও সম্মানের সাথে মনে রেখেছে। বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারত বিভিন্ন বাণিজ্য, ব্যবসা, শিল্প ইত্যাদির মধ্যে সহযোগিতা ও এর বিকাশের জন্য একসঙ্গে কাজ করছে। বাংলাদেশ ভারত থেকে বিভিন্ন শিল্পসামগ্রী আমদানি করে। ভারতের সহায়তায় বাংলাদেশের শিল্পতে প্রভূত উন্নতি হয়েছে। বর্তমানে ভারত সরকার এবং বাংলাদেশ সরকার মিলিত ভাবে দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তি গুলোতে আছে দুইদেশের জলবণ্টন, বিদ্যুৎবন্টন, পর্যটন, চিকিৎসা সহায়তা এবং প্রযুক্তিগত সাহার্য্য। বাংলাদেশ ও ভারত পাশাপাশি অবস্থিত দুটো মিত্রদেশ। ভারত বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতির বিকাশের জন্য এটি গুরুপ্তপূর্ণ দেশ। ভারত বাংলাদেশকে সাহার্য না করলে বাংলাদেশ এখনো অনেক পিছিয়ে থাকতো। তাই বাংলাদেশের ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ অবস্থান বাংলাদেশের উন্নতির জন্য গুরুপ্তপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
(২) ঘটনা-১ : জনাব সফিউল দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার একটি দেশে বেড়াতে গিয়েছেন। সমুদ্রবেষ্টিত দেশটির প্রাকৃতিক দৃশ্য অত্যন্ত মনোরম। দেশটি দ্বীপ প্রধান হলেও চারটি দ্বীপই অর্থনীতির ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা রাখছে।
ঘটনা-২ : জনাব কবীর দীর্ঘদিন যাবৎ পূর্ব এশিয়ার একটি দেশে কর্মরত আছেন। দেশটি পৃথিবীর মধ্যে সর্বাধিক জনবহুল দেশ হলেও অর্থনৈতিকভাবে বেশ সমৃদ্ধ ।
(ক) পৃথিবীর বৃহত্তম পর্বতমালার নাম কী ?
উত্তর : পৃথিবীর বৃহত্তম পর্বতমালার নাম হলো হিলমায় পর্বতমালা এবং এই পর্বতমালার মাউন্ট এভারেস্ট শৃঙ্গ পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এর উচ্চতা ৮ ,৮৫০ মিটার। এই পর্বতমালা চীন, ভারত, নেপাল এই তিনটি দেশের সীমানা অতিক্রম করেছে। এই পর্বতমালা প্রায় ৫৯৫,০০০ কিমি² এলাকা জুড়ে বিস্তৃত।
(খ) ভারতকে পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন সভ্যতা সমৃদ্ধ দেশ বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ভারত একটি প্রাচীন দেশ। ভারতে আজ থেকে প্রায় ৫০০০ হাজার বছরেরও আগের সভ্যতার খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। সিন্ধু নদের তীরে প্রথম ভারতীয় সভ্যতার নিদর্শন পাওয়া গেছে। হরপ্পা ও মহেঞ্জদারো ভারতের প্রাচীন সভ্যতা বলে গণ্য করা হয়। প্রাচীন সময়ে বর্তমান বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, পাকিস্থান, শ্রীলংকা এই সকল দেশ ভারতেরই অংশো ছিল। ভারতের সংস্কৃত ভাষা ও লিপি পৃথিবীর প্রাচীনতম ভাষা ও লিপি বলে গণ্য করা হয়। ভারতের সংস্কৃতিতে খুঁজে পাওয়া যায় ভারতের প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন। এছাড়া ভারতের বহু স্থাপত্য ও ভাস্কর্য ভারতের সভ্যতার প্রমান দিয়েছে। সমগ্র ভারতে ছড়িয়ে আছে বিভিন্ন মন্দির, মসজিদ, স্থাপত্য, শিল্পোওকার্য, যা বহন করে চলেছে ভারতের সুপ্রাচীন সভ্যতার ঐতিহ্য। ভারতের প্রাচীন সভ্যতাগুলো ছিল শিল্পকলা, কারুকার্য, জ্ঞানচর্চা, শিল্প সমৃদ্ধ। এর সব থেকে বড়ো প্রমান হলো হরপ্পা ও মহেঞ্জোদারো। এই সকল কারণে ভারতকে পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন সভ্যতা সমৃদ্ধ দেশ বলা হয়ে থাকে।
(গ) জনাব সফিউলের বেড়াতে যাওয়া দেশটির জলবায়ু কেমন? বর্ণনা কর ।
উত্তর : জনাব শফিউল জাপানে বেড়াতে গিয়েছিলেন। জাপান দেশটি সমুদ্রবেষ্টিত, এবং প্রায় চার হাজার দ্বীপ নিয়ে গঠিত। জাপানের মূল চারটি দ্বীপই জাপানের অর্থনীতির জন্য মুখ্য ভূমিকা পালন করে। এই চারটি দ্বীপ হলো হোক্কাইডো, হনসু, শিকোকু এবং কিউগু। জাপানের জলবায়ু নাতিশীতোষ্ণ মন্ডলীয়। জাপানের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে মৌসুমী বায়ুর প্রভাব লক্ষ করা যায়। গ্রীষ্মকালে জাপানের আবহাওয়া বেশ আদ্রতা পূর্ণ হয় এবং প্রচুর বৃষ্টিপতও পরিলক্ষিত হয়। শীতের সময় জাপানের উপকুলবর্তী এলাকাগুলোতে সমুদ্রের শৈত্যপ্রবাহের কারণে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে চলে যায় তুষারপাতও লক্ষ করা যায়। জাপানে গ্রীষ্মকালে ঘূর্ণিঝড়, টর্নেডোর মতো প্রাকৃতিক অপদাও লক্ষ করা যায়। তবে জাপানের এই রূপ জলবায়ুর জন্য এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অতুলনীয়।
(ঘ) ঘটনা-১ ও ঘটনা-২ এর দেশ দুইটির অর্থনীতির তুলনামূলক বিশ্লেষণ কর ।
উত্তর : চীন ও জাপানের অর্থনীতির উন্নতির সব থেকে বড়ো কারণ হলো উভয় দেশের অভূতপূর্ব শিল্পউন্নতি। চীনের অর্থনীতি জাপানের থেকে অনেক বেশি এগিয়ে। জাপান চীন অপেক্ষা আয়তনে অনেক ছোট। চীন এশিয়ার বৃহত্তম দেশগুলির মধ্যে একটি।
জাপানের অর্থনীতি :
জাপান প্রথম থেকেই একটি শিল্পনির্ভর দেশ। জাপানের উন্নত প্রযুক্তি এবং কর্মদক্ষতা জাপানের অর্থিনীতির বিকাশের মূল কারণ। জাপানে গাড়িশিল্প, ইলেক্ট্রনিক সরঞ্জামের শিল্প, বৈদ্যুতিক সামগ্রী তৈরী, ঔষধ প্রস্তুতি এবং বিভিন্ন ভারী ও সূক্ষ্ম যন্তপাতি তৈরী শিল্প জাপানের অর্থনীতিকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে। এছাড়া জাপানের প্রচুর খনিজ সম্পদ যেমন উৎকৃষ্ট মানের কয়লা, ম্যাঙ্গানিজ, লোহা, পেট্রোলিয়াম, সীসা, সোনা, রুপা ইত্যাদি জাপানের অর্থনীতিটিকে শক্তিশালী করে তুলতে সাহার্য্য করেছে।
চীনের অর্থনীতি :
চীন এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে জনবহুল এবং বৃহদ একটি দেশ। চীন একটি কৃষি প্রধান দেশ। প্রথমে চীনের অর্থনীতির একটি বৃহদ অংশ আসতো কৃষিকাজ থেকে। কিন্তু বর্তমানে অর্থনীতির উন্নতি এবং নাগরিকদের বিকাশের জন্য চীনের সরকার সমগ্র দেশে শিল্পের ব্যাপক সম্পসারণ করে। এর ফলে চীনের মধ্যে গড়ে উঠে শিল্পএলাকা। বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা, স্বল্পমূল্যে দক্ষ শ্রমিক, সরকারি সহায়তা, কর ছাড় ইত্যাদির কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাদের কারখানা চিনে স্থাপন করেছে এর ফলে চীনের অর্থনীতি ব্যাপক ভাবে উন্নতি লাভ করেছে।
More solutions :
- বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্ৰাম
- বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য
- পরিবারে শিশুর বেড়ে ওঠা
- বাংলাদেশের অর্থনীতি
- বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের নাগরিক
- বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা
- বাংলাদেশের জলবায়ু
- বাংলাদেশের জনসংখ্যা পরিচিতি
- বাংলাদেশের প্রবীণ ব্যক্তি ও নারী অধিকার
- বাংলাদেশের সামাজিক সমস্যা
- বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা
- টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি)