NCTB Class 7 BGS Chapter 12 বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা Solution/Guide

NCTB Class 7 BGS Chapter 12 বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা Solution/Guide

Bangladesh Board Class 7 Solution for বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়. Chapter 12 বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা Solution  Exercises Question and Answer by Experienced Teacher.এখানে বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (NCTB) কর্তৃক প্রকাশিত সপ্তম শ্রেণীর বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের দ্বাদশ অধ্যায় বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অনুশীলনের সমস্ত সমাধান দেওয়া হয়েছে।

NCTB Solution Class 7 Chapter 12 বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা : 

Board NCTB Bangladesh Board
Class 6
Subject BGS
Chapter 12
Chapter Name বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা

বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অনুশীলনী প্রশ্ন এবং উত্তর :

NCTB Class 7 BGS Chapter 12 বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা Solution/Guide

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :

(১) সব ধরনের উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি নিচের কোনটি?

(ক) পরিশ্রম

(খ) সম্পদ

(গ) শিক্ষা

(ঘ) স্বাস্থ্য

উত্তর :

(ঘ) স্বাস্থ্য

(২) শান্তিরক্ষা বাহিনীতে বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণ-

(i) বাংলাদেশের ব্যাপক পরিচিতি দিয়েছে

(ii) বাংলাদেশের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে

(iii)  বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পথ খুলে দিয়েছে

নিচের কোনটি সঠিক ?

(ক) i ii

(খ) ii iii

(গ) i iii

(ঘ) i, ii iii

উত্তর :

(ঘ) i, ii ও iii

(৩) বিশ্ব শান্তি রক্ষার প্রধান দায়িত্ব জাতিসংঘের কোন পরিষদের ?

(ক) সাধারণ পরিষদের

(খ) অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের

(গ) আন্তর্জাতিক আদালতের

(ঘ) নিরাপত্তা পরিষদের

উত্তর :

(ক) সাধারণ পরিষদের

(8) নিচের কোনটি জাতিসংঘের কাজ নয়?

(ক) শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা

(খ) আগ্রাসী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া

(গ) নির্বাচনে সহায়তা করা

(ঘ) আন্তর্জাতিক আদালতের বিরোধ নিষ্পত্তি করা

উত্তর :

(গ) নির্বাচনে সহায়তা করা

সৃজনশীল প্রশ্ন :

(১) ২০১২ সালে উপজেলার সকল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান একত্রিত হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানকে পরিষদের সভাপতি করে প্রত্যেকটি ইউনিয়নের শান্তি, শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জন্য কিছু নীতিমালা করে তা মেনে চলার অঙ্গীকার করেন। প্রতিটি ইউনিয়নের বিরোধ মীমাংসা, উন্নয়ন এবং এলাকার মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য কাজ শুরু করে। এতে শান্তি ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি এলাকার মানুষ নিরাপদ জীবন-যাপন করতে সক্ষম হয়। দুইটি ইউনিয়নের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে উপজেলা চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে তা সমাধান হয়। উপজেলার সাফল্যে অন্যান্য উপজেলাও এ ধরনের নীতিমালা গ্রহণ করতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।

(ক) কত সালে বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্য পদ লাভ করে?

উত্তর : ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্য পদ লাভ করে। বাংলাদেশ জাতিসংঘের শান্তিবাহিনীর একটি প্রধান অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ, বিদ্রোহ, অশান্তি প্রতিরোধ করার জন্য এই বাহিনী কাজ করে। সকল দেশের উত্তপ্ত অবস্থাকে শান্ত করতে এই শান্তিবাহিনীর ব্যবহার করা হয়।

(খ) জাতিসংগের সকল সদস্য রাষ্ট্র সমান মর্যাদা ও সমান সার্বভৌমত্বের অধিকারী হবে‘-জাতিসংঘের এ মৌলিক নীতিটির ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : জাতিসংঘের প্রথম মৌলিক নীতি হলো এটি অর্থাৎ জাতিসংঘের সকল রাষ্ট্র বা সদস্য দেশ প্রত্যেকে জাতিসংঘে সমান মর্যাদা পাবে এবং সমান সার্বভৌমত্বের অধিকারী হবে। এই মৌলিক নীতিটিকে জাতিসংঘের প্রত্যেকটি সদস্য দেশ পালন করে। এই নীতির মাধ্যমে জাতিসংঘ সকল বড়-ছোট দেশকে সমান অধিকার প্রদান করে এর ফলে কোনো শক্তিশালী বা অর্থনৈতিক দিক থেকে বেশি সবল দেশ জাতিসংঘের দুর্বল বা অর্থনৈতিক দিক থেকে দুর্বল দেশগুলির উপর যাতে কোনোভাবে অধিপত্ব স্থাপন করতে না পারে। এর ফলে জাতিসংঘের সকল দেশ যে কোনো সমস্যার জন্য বা কোনো সিদ্ধান্তের জন্য স্বাধীন ভাবে কথা বলার এবং মতামত প্রদান করার স্বাধীনতা পায়। এই নীতির জন্যই জাতিসংঘের সকল সদস্য একে অপরকে সন্মান করে এবং প্রত্যেকের মতামতকে প্রাধান্য দেয়।

(গ) উদ্দীপকের দুই ইউনিয়নের বিরোধ নিষ্পত্তির প্রক্রিয়াটি জাতিসংঘের কোন নীতির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? তা ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : উদ্দীপকের দুই ইউনিয়নের বিরোধ নিস্পত্তির প্রক্রিয়াটি জাতিসংঘের “সকল সদস্য রাষ্ট্রকে বিরোধের জন্য শান্তিপূর্ণ মীমাংসা করতে হবে” নীতিটির সাথে সাদৃশ্য পূর্ণ। যেমন জাতিসংঘের কোনো দুটি সদস্য দেশের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে জাতিসংঘের হস্তাক্ষেপে বিরোধের শান্তিপূণ  মীমাংসা সম্ভব হয়। ঠিক যেমন জেলার দুইটি ইউনিয়নের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে ‘ক’ উপজেলা চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে বিরোধের সহজেই মীমাংসা হয়ে যায়। এর থেকেই আমাদের শান্তিপূর্ণ জীবনের জন্য জাতিসংঘের গুরুপ্ত স্পষ্ট হয়ে উঠে। জাতি সংঘের স্থাপনার পর থেকে আজ পর্যন্ত জাতিসংঘের কোনো সদস্য দেশের মধ্যে যুদ্ধপরিস্থিতি তৈরী হয়নি।

(ঘ) উপজেলার শাস্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা জাতিসংঘের বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠা করার প্রচেষ্টার অনুরূপ”-মতামত দাও ।

উত্তর : পৃথিবীতে ভয়াবহ দুটি বিশ্বযুদ্ধের পর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মুখ্য নেতাদের পৃথিবীকে শান্তিপূর্ণ রাখার প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয় এবং অবশেষে পৃথিবীর অনেক দেশের সহমতে এবং উইন্সটন চার্চিল এবং রুজভেল্টের উদ্যোগে ১৯৪৫ সালের ২৪শে অক্টবর জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠা করা হয়।  জাতিসংঘের মুখ্য ও প্রধান কাজ হলো এর সকল সদস্য দেশের মধ্যে শান্তিপূর্ণ অবস্থা বজায় রাখা এবং উন্নয়নমূলক কাজ করা। বিশ্বব্যাপী জাতিসংঘের কোনো সদস্য দেশের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে জাতিসংঘ আলোচনার মাধ্যমে সেই বিরোধের শান্তিপূর্ণ ভাবে মীমাংসা করে। এর ফলে উভয় দেশের মধ্যে যেমন শান্তিশৃঙ্ঘলা বজায় থাকে তেমনি আবার যুদ্ধ না হওয়ার দরুন উভয় দেশেরই মূল্যবান সম্পদ, মানব সম্পদ ক্ষয় হওয়া থেকে রক্ষা পায়। জাতিসংঘের প্রধান লক্ষই হলো দুই দেশের মধ্যে যে কোনো বিরোধের জন্য যাতে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরী না হয় সেই দিকে লক্ষ রাখা। জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো দেশের মধ্যে বড়ো কোনো যুদ্ধ হতে পারেনি।

(২) নিচের চিত্রটি লক্ষ কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

(ক) জাতিসংঘের বর্তমান মহাসচিবের নাম কী?

উত্তর : জাতিসংঘের বর্তমান মহাসচিবের নাম হলো  Antonio Guterres বা অ্যান্টনিও গুতারেস। তিনি পর্তুগালের অধিবাসী। জাতিসংঘের সদর দফতর নিউইয়র্কে অবস্থিত।

(খ) আঞ্চলিক সংস্থাসমূহের সহযোগিতা গ্রহণ করা জাতিসংঘের একটি কাজ-ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : জাতিসংঘের কাজের পরিধি এতটাই বিস্তৃত সকল স্থানের সমস্যা সমাধান করা বা সমগ্র দেশের উন্নয়ন একা জাতিসংঘের জন্য পেরে ওঠা সম্ভব নয়। এই জন্য জাতিসংঘ বিভিন্ন আঞ্চলিক সংস্থাসমূহের সহযোগিতা করে। জাতিসংঘ ও আঞ্চলিক সংস্থার সাথে মিলিত  ভাবে কাজ করে বিভিন্ন প্রতিরোধমূলক কূটনীতি, সংঘাত প্রতিরোধ, শান্তিরক্ষা, শান্তি সমর্থন এবং পরবর্তীতে, সংঘাত-পরবর্তী পুনর্গঠনে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠাতে অভূতপূর্ব সফলতা অর্জন করেছে। এই কারণে জাতিসংঘ বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন স্থানীয় ও আঞ্চলিক সংস্থাগুলোর সাথে  মিলিত প্রচেষ্টার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। স্থানীয়সংস্থা বা সংগঠনের সাথে যুক্ত থাকার জন্য জাতিসংঘ প্রত্যেক দেশের অভন্তরীন পরিস্থিতি ও সরকার পক্ষের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের উপর নজর  রাখছে এবং ওয়াকিবহাল থাকতে পারছে। এই করণে জাতিসংঘের প্রত্যেক দেশ তাদের কর্মকান্ডের প্রতি সবসময় সচেতন থাকে এবং ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত থাকে। এই সকল সুবিধা ও কারণের জন্য বিভিন্ন আঞ্চলিক সংস্থাসমূহের সহযোগিতা গ্রহণ করা জাতিসংঘের কাজের মধ্যেই পরে।

(গ) উদ্দীপকের চিত্রে কর্মরত বাহিনী বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তায় কী ভূমিকা পালন করছে-ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : উদ্দীপকের চিত্রে কর্মরত বাহিনী জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীর অংশ। বিশ্বশান্তি রক্ষার জন্য জাতিসংঘের কাছে একটি শান্তিরক্ষা বাহিনী আছে। বিভিন্ন সদস্য দেশের সেনা, ডাক্তার, সেবাকর্মী, বিশেষজ্ঞ এই শান্তি বাহিনীর অংশ। বিভিন্ন দেশে বিশেষ করে সেই সব দেশ যেখানে পরিস্থিতি যুদ্ধপূর্ণ বা সংকটপূর্ণ সেখানে জাতিসংঘের এই শান্তিরক্ষা বাহিনী সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করে। অউন্নত দেশগুলিতে বিভিন্ন বিপদের সময় সেখানকার স্থানীয়মানুষদেরকে নিরাপত্তা, চিকিৎসা, খাদ্য ইত্যাদির ব্যবস্থা করা জাতিসংঘের কর্তব্যের মধ্যে পরে আর এই দায়িত্বপালন করে শান্তিরক্ষা বাহিনী। শান্তিরক্ষা বাহিনী বিপদ সংকুল দেশ গুলিতে ক্রমাগত কাজ করে চলেছে। এই রকম কয়েকটি দেশ হলো কঙ্গো, হাইতি, ইরাক, কুয়েত, সিরিয়া, জর্জিয়া, নামিবিয়া, আফগানিস্তান ইত্যাদি। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীর ক্রমাগত প্রচেষ্টায় দক্ষিণ সুদানের স্বাধীনতা অর্জন এই বাহিনীর বিশেষ সফলতা। বিশ্বশান্তির রক্ষা ও নিরাপত্তার জন্য জাতিসংঘের এই শান্তিরক্ষা বাহিনী এক বিশেষ ভূমিকা পালন করে। আর এর কিছু কৃতিত্ব বাংলাদেশেরও প্রাপ্য কারণ বাংলাদেশ জাতিসংঘের এই বাহিনীতে সবথেকে বেশি যোগদান করেছে। বাংলাদেশ এখনো পর্যন্ত এই বাহিনীতে ১,৫৭,০৫০ জন সদস্য প্রেরণ করেছে।

(ঘ) চিত্রে প্রদর্শিত বাহিনীর ভূমিকার কারণেই বহিঃবিশ্বে বাংলাদেশের সুনাম ও মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে-তুমি কী এ বক্তব্যের সাথে একমত? মতামত দাও।

উত্তর : ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সদস্য পদ অর্জন করার পর বাংলাদেশ সর্বপ্রথম ১৯৮৮ সালে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীতে সদস্য প্রেরণ শুরু করে এবং ক্রমে ক্রমে বিশ্বের সকল দেশের থেকে সবথেকে বেশি সদস্য প্রেরণ করে ড দৃষ্ঠান্ত তৈরী করেছে। বাংলাদেশ মোট ১,৫৭,০৫০ সদস্য প্রেরণ করেছে। বাংলাদেশের সেনা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তাদের দক্ষতার প্রমান দিয়েছে সফলতার সঙ্গে। এই কারণে বাংলাদেশের অনেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীর বিভিন্ন উচ্চপদে নিয়োগ করা হয়েছে। বাংলাকদেশের এই কাজ বিশ্বেরদরবারের সমাদৃত হয়েছে। এই একই কারণে এই শান্তিবাহিনীর প্রত্যেক সফলতায় বাংলাদেশের কৃতিত্ব স্বীকার করা হয়েছে। এতে একদিকে বিশ্বেরদরবারের বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল হয়েছে তেমনি আবার বংলাদেশ অর্থনৈতিক দিক থেকেও অনেক লাভবান হয়েছে।

 

More solutions : 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *