NCTB Class 6 BGS Chapter 3 বিশ্ব-ভৌগোলিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ Solution/Guide
Bangladesh Board Class 6 Solution for বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়. Chapter 3 বিশ্ব-ভৌগোলিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ Solution Exercises Question and Answer by Experienced Teacher.এখানে বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (NCTB) কর্তৃক প্রকাশিত ষষ্ঠ শ্রেণীর বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের তৃতীয় অধ্যায় বিশ্ব-ভৌগোলিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ অনুশীলনের সমস্ত সমাধান দেওয়া হয়েছে।
NCTB Solution Class 6 Chapter 3 বিশ্ব-ভৌগোলিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ :
Board | NCTB Bangladesh Board |
Class | 6 |
Subject | BGS |
Chapter | 3 |
Chapter Name | বিশ্ব-ভৌগোলিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ |
বিশ্ব-ভৌগোলিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ অনুশীলনী প্রশ্ন এবং উত্তর :
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :
(১) এশিয়ার দীর্ঘতম নদীর নাম কী?
(ক) ইয়াংসিকিয়াং
(খ) ব্ৰহ্মপুত্ৰ
(গ) ইউফ্রেটিস
(ঘ) হোয়াংহো
উত্তর :
(ক) ইয়াংসিকিয়াং
(২) এশিয়াকে গুরুত্বপূর্ণ মহাদেশ বলার কারণ হলো, এ মহাদেশে-
(i) জনসংখ্যা ও আয়তন সর্বাধিক
(ii) সর্বপ্রথম সভ্যতা গড়ে উঠেছিল
(iii) প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) i ও ii
(খ) i ও iii
(গ) ii ও iii
(ঘ) i, ii ও iii
উত্তর :
(খ) i ও iii
নিচের মানচিত্রটি পর্যবেক্ষণ কর এবং ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও-
(৩) চিত্রের ‘A’ চিহ্নিত মহাসাগরটির নাম কী
(ক) প্রশান্ত মহাসাগর
(খ) ভারত মহাসাগর
(গ) আটলান্টিক মহাসাগর
(ঘ) উত্তর মহাসাগর
উত্তর :
(খ) ভারত মহাসাগর
(৪) উক্ত চিহ্নিত মহাসাগরটি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ-
(i) এটি পৃথিবীর গভীরতম মহাসাগর
(ii) পৃথিবীর ২০ শতাংশ স্থান জুড়ে এ মহাসাগরের অবস্থান
(iii) সভ্যতা ও জ্ঞান-বিজ্ঞান বিকাশে এটির বিশেষ ভূমিকা রয়েছে
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) i ও ii
(খ) i ও iii
(গ) ii ও iii
(ঘ) i, ii ও iii
উত্তর :
(খ) i ও iii
সৃজনশীল প্রশ্ন :
(ক) পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গের নাম কী?
উত্তর : পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ পর্বতশৃঙ্গের নাম হলো মাউন্ট এভারেস্ট। এর উচ্চতা প্রায় ৮৮৫০ মিটার। এই পর্বতশৃঙ্গটি হিমালয় পর্বতশ্রেণীর অংশ। ১৯৫৩ সালে নেপালের শেরপা তেনজিং নোরগে ও নিউজিল্যান্ডের পর্বতারোহী এডমন্ড হিলারি সর্বপ্রথম মাউন্ট এভারেস্টের শৃঙ্গ জয় করেছিলেন।
(খ) দ্বীপ ও দ্বীপপুঞ্জে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠে কেন?
উত্তর : সমগ্র পৃথিবীর চারভাগের এক ভাগ মাত্র স্থল আর বাকি তিন ভাগ জল। সমগ্র পৃথিবীতে ছড়িয়ে আছে স্থলভূমি। পৃথিবীতে বড়ো বড়ো দেশ ও মহাদেশ ছাড়াও আরো একটি অংশ আছে যা দ্বীপ নামে পরিচিত। সমুদ্রের মাঝে অবস্থিত ছোট ছোট স্থলভূমি গুলিকে দ্বীপ বলে। একই সাথে অনেক গুলো দ্বীপ এক জায়গায় অবস্থান করলে তাকে দ্বীপপুঞ্জ বলে। এই দ্বীপগুলোর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অত্যন্ত সুন্দর ও মনোরম। চারিদিক দিয়ে সমুদ্রে ঘেরা থাকে বলে এই দ্বীপগুলোতে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ ঘুরতে এই দ্বীপ গুলোতে আসে জাহাজে করে। বর্তমানে এই দ্বীপ গুলোতে গড়ে উঠেছে হোটেল, রেস্তোরা ও বিনোদনের বিভিন্ন আয়োজন। এই সকল কারণে দ্বীপ ও দ্বীপপুঞ্জে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে।
(গ) চিত্রের ‘A’ চিহ্নিত মহাদেশটির ভূপ্রকৃতি কেমন? বর্ণনা কর।
উত্তর : প্রদপ্ত চিত্রের ‘A’ চিহ্নিত মহাদেশটি হলো এশিয়া মহাদেশ। পৃথিবীর সবচেয়ে বড়ো মহাদেশ হলো এশিয়া মহাদেশ। এই মহাদেশের ভূপ্রকৃতি বৈচিত্রপূর্ণ। এশিয়া মহাদেশের একতৃতীয়াংশ অঞ্চল সমতল। এই মহাদেশের উত্তরে আছে সাইবেরিয়া, পশ্চিমে আছে মরুভূমি। দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্বদিকে আছে নদী বিধৌত নিম্ন সমভূমি। এছাড়া এশিয়া মহাদেশের পূর্বদিকের আগ্নেয় দ্বীপ উল্লেখযোগ্য। পৃথিবীর হ্রদ কাস্পিয়ান সাগরও এই মহাদেশের অন্তর্গত। পৃথিবীর দীর্ঘতম নদী ও উচ্চতম পর্বত শৃঙ্গও এই মহাদেশে অবস্থিত। তাই এশিয়া মহাদেশে যেমন একদিকে পাহাড় ও বরফের প্রাধান্য দেখা যায় তেমনি আবার অন্যদিকে আগ্নেয় দ্বীপের ও এর তীব্রতা উপলব্ধ হয়। আবার মরুভূমি ও নদীর নিম্ন সমভূমিও দেখা যায়। পাহাড়, পর্বত, নদী, হ্রদ, মরুভূমি, মালভূমি, সমভূমি বেষ্টিত এশিয়া মহাদেশের ভূ-প্রকৃতি বেশ বৈচিত্র ময়।
(ঘ) পৃথিবীর অর্থনৈতিক উন্নয়নে উক্ত মহাদেশটির কোনো ভূমিকা আছে কী? তোমার মতামত দাও।
উত্তর : এশিয়া মহাদেশ পৃথিবীর বৃহত্তম মহাদেশ আয়তন ও জনসংখ্যার দিক থেকে। পৃথিবীর মোট স্থলভাগের এক ভাগ এই মহাদেশের অন্তর্গত। তাই মহাদেশ পৃথিবীর অর্থনৈতিক উন্নয়নে এক বিশেষ ভূমিকা রাখে। এশিয়া মহাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ। ধান এই মহাদেশের প্রধান ফসল এবং ধান উৎপাদনে পৃথিবীর প্রথম স্থান অধিকার করে এশিয়া মহাদেশ। এছাড়া পাট, চা, ইত্যাদি ফসল এই মহাদেশের অন্নান্য ফসল। এই মহাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদের ভান্ডারও প্রচুর। এই মহাদেশের অন্তর্গত বিভিন্ন দেশে কয়লা, লৌহ আকরিক, ম্যাঙ্গানিজ পেট্রোলিয়াম, প্রাকৃতিক গ্যাস ও প্রচুর পরিমানে মূল্যবান ধাতুর ভান্ডার রয়েছে। এই মহাদেহের মরুভূমি প্রধান দেশ যেমন ইরাক, ইরান, আরব তেল উত্তোলনের জন্য প্রসিদ্ধ। সমগ্র বিশ্বের শক্তি সম্পদের যোগান এই এশিয়া মহাদেশ প্রদান করে। এছাড়া এশিয়া মহাদেশের অন্তর্গত বিভিন্ন দেশ যেমন ভারত, চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মালেশিয়া শিল্প ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে প্রভূত উন্নতি সাধন করেছে। তাই বর্তমানে সমগ্র বিশ্বের খাদ্, শক্তি, বস্ত্র ও যন্ত্রপাতির যোগানের একটি বড়ো অংশ এশিয়া মহাদেশ থেকে হয়। তাই বিশ্ব অর্থনীতির জন্য এশিয়া মহাদেশ এক বিশেষ ভূমিকা রাখে।
(২) বার্ষিক পরীক্ষা শেষে রুহি মা-বাবার সঙ্গে পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে গিয়েছে। রুহি সেখানে দেশি-বিদেশি অনেক পর্যটক দেখতে পেল। বাবা বললেন, এই যে বিশাল জলরাশি দেখছ এটি একটি উপসাগর এবং অফুরন্ত সম্পদের ভাণ্ডার।
(ক) বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপের নাম কী?
উত্তর : বাংলাদেশের একমাত্র প্রবা[ল দ্বীপের নাম হলো সেন্টমার্টিন। এই প্রবাল দ্বীপের আয়তন ৮ বর্গকিলোমিটার।
(খ) জাপানকে সূর্যোদয়ের দেশ বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : জাপানকে সূর্যোদয়ের দেশ বলার প্রধান কারণ হলো একটি নতুন দিনের প্রথম সূর্যকিরণ জাপান দেশের মাটিতে পরে অর্থাৎ একটি দিনের সূচনা সর্বপ্রথম জাপান দেশে হয়। প্রাচীন কালে চীন দেশের লোকেরা সূর্যকে জাপান দেশ থেকে উদয় হতে দেখতো এই কারণে তারা জাপানকে উদয়ীমান সূর্যের দেশ বলতো। জাপানিরা আগে তাদের দেশকে “নিপ্পন বা নিহন” বলে আখ্যায়িত করতো যার অর্থ সূর্যের উৎস।
(ঘ) রুহির বাবা উপসাগরটিকে অফুরন্ত সম্পদের ভাঙার বলেছেন কেন? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : রুহির বাবার উপসাগরটিকে অফুরন্ত সম্পদের ভান্ডার বলার কারণ হলো – পৃথিবীর বেশিরভাগ অংশই সমুদ্রতলে না নিচে রয়েছে। তাই আমাদের স্থলভাগের চেয়ে অনেক অনেক বেশি প্রাকৃতিক সম্পদ সঞ্চিত রয়েছে সমুদ্রের পাদদেশে। সমুদ্রের নিচে রয়েছে সোনা, হীরা ও অন্যান মূল্যবান ধাতুর অফুরন্ত ভান্ডার। রয়েছে প্রাকৃতিক গ্যাস ও খনিজ তেল। বর্তমানে বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে সমুদ্রের এই গ্যাস ও খনিজ তেলকে উত্তোলন করা সম্ভব হয়েছে। এই ব্যাপক পরিমান খনিজ সম্পদ ছাড়াও সমুদ্র প্রাণীজ সম্পদেও ভরপুর। সমুদ্রের মৎস শিকার করে মাছ ব্যাবসায়ীরা জীবিকা নির্বাহ করে। সমুদ্রের এই বিপুল প্রাণীজ সম্পদ সেই প্রাচীন কাল থেকেই মানুষের খাদ্যের যোগান দিচ্ছে। এছাড়া সমুদ্র থেকে মুক্ত পাওয়া যায় যা ঝিনুক নামক এক প্রকার সামুদ্রিক প্রাণীদের পেট থেকে পাওয়া যায়। তাই বলা যায় সমুদ্রের সম্পদের কোনো শেষ নেই।
More Solutions :
(৪) বাংলাদেশের জনসংখ্যা পরিচিতি
(৮) বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের নাগরিক
(১১) বাংলাদেশে শিশুর বেড়ে ওঠা ও প্রতিবন্ধকতা