NCTB Class 6 BGS Chapter 10 বাংলাদেশে শিশু অধিকার Solution/Guide
Bangladesh Board Class 6 Solution for বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়. Chapter 10 বাংলাদেশে শিশু অধিকার Solution Exercises Question and Answer by Experienced Teacher.এখানে বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (NCTB) কর্তৃক প্রকাশিত ষষ্ঠ শ্রেণীর বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের দশম অধ্যায় বাংলাদেশে শিশু অধিকার অনুশীলনের সমস্ত সমাধান দেওয়া হয়েছে।
NCTB Solution Class 6 Chapter 10 বাংলাদেশে শিশু অধিকার :
Board | NCTB Bangladesh Board |
Class | 6 |
Subject | BGS |
Chapter | 10 |
Chapter Name | বাংলাদেশে শিশু অধিকার |
বাংলাদেশে শিশু অধিকার অনুশীলনী প্রশ্ন এবং উত্তর :
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :
(১) জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদে কয়টি ধারা রয়েছে?
(ক) ৫২
(খ) ৫৩
(গ) ৫৪
(ঘ) ৫৫
উত্তর :
(গ) ৫৪
(২)‘সেই ব্যক্তি স্বাধীন যার মনে কোনো ভয় থাকে না- কথাটির অর্থ হচ্ছে-
(i) যে কাউকে ভয় পায় না
(ii) যে খুব বেশি সাহসী
(iii) যার জীবন নিশ্চিত ও নিরাপদ
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) i
(খ) iii
(গ) ii
(ঘ) ii ও iii
উত্তর :
(খ) iii
নিচের অনুচ্ছেদ পড়ে ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও –
মনোয়ারা রাস্তায় ফুল বিক্রি করে। তার গায়ে ছেড়া জামা। সে স্কুলে যায় না। তার ছোট বোনও স্কুলে যায় না। তাদের বাবা নেই। মা অন্যের বাসায় কাজ করেন। তার রোজগারে সংসার চলে। এতে তারা পেট ভরে খেতে পায় না ।
(৩) মনোয়ারার ক্ষেত্রে জাতিসংঘ ঘোষিত শিশু অধিকার সনদের অধিকার ক্ষুণ্ন হয়েছে, তা হচ্ছে –
(i) অর্থনৈতিক শোষণ থেকে মুক্তি
(ii) অবকাশ যাপন ও খেলাধুলা
(iii) শিশুর বেঁচে থাকা ও বড় হওয়া
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) i
(খ) ii
(গ) iii
(ঘ) i, ii ও iii
উত্তর :
(ঘ) i, ii ও iii
(৪) মনোয়ারার যে অধিকার ক্ষুণ্ণ হয়েছে তা রক্ষা করার প্রধান দায়িত্ব কার –
(ক) সমাজের
(খ) রাষ্ট্রের
(গ) পরিবারের
(ঘ) প্রতিবেশীর
উত্তর :
(খ) রাষ্ট্রের
সৃজনশীল প্রশ্ন :
(১) রিফাহ ও রিমা দুই বোন। কাগজ দিয়ে তারা রোবট বানানোর চেষ্টা করছিল। তাদের মা দেখে ধমক দেন এবং জিনিসপত্রগুলো ডাস্টবিনে ফেলে দেন। ঠিক তখনই টিভিতে শিশু অধিকার নিয়ে একটি আলোচনা অনুষ্ঠান চলছিল, যা দেখে তিনি তার ভুল বুঝতে পারেন ।
(ক) শিশু কারা?
উত্তর : শিশু ব্যাখ্যা করতে গিয়ে জাতিসংঘ বলেছে যে ১৮ বছর বয়সের নিচে সকল মানুষই শিশু বলে বিবেচিত হবে। কিন্তু বিভিন্ন দেশে শিশুর সংজ্ঞা ও বয়সের মাপকাঠি ভিন্ন। সহজ ভাষায় বললে আমরা শিশু তাদেরকেই বলি যারা বয়সে অনেক ছোট, যাদের নিজের জীবন অতিবাহিত করার জন্য তার মা-বাবার উপর নির্ভরশীল থাকতে হয়, যারা উপার্জন করতে এখনও সক্ষম নয়। এবং যাদের ভরণ পোষণের দায়িত্ব তার বাবা-মায়ের এবং সুরক্ষা ও অধিকারের দায়িত্ব রাষ্ট্রের। এই সকল মানুষকেই আমরা শিশু বলবো।
(খ) ‘অধিকার নিরাপত্তার অবলম্বন‘- বিষয়টি বুঝিয়ে লেখ ।
উত্তর : প্রত্যেক শিশুর নিরাপত্তা ও তার প্রাপ্প অধিকার রক্ষার জন্য রাষ্ট্র দায়বদ্ধ থাকে একেই “অধিকার নিরাপত্তার অবল্বন” বলা হয়। অর্থাৎ কোনো দেশে জন্ম নেওয়া প্রত্যেক শিশুর খাদ্যের ব্যবস্থা করা, শিক্ষার ব্যবস্থা করা, এবং নিরাপত্তার ব্যবস্থার জন্য রাষ্ট্র দায়বদ্ধ থাকবে। এছাড়া রাষ্ট্র প্রত্যেক কি শিশুকে যে সকল সুযোগ সুবিধা প্রদান করে তা সকল শিশু সঠিক ভাবে পাচ্ছে কি না তা সুনিশ্চিত করা রাষ্ট্রের কর্তব্য। তাই যাতে শিশুরা সকল অধিকার ও নিরাপত্তার সাথে বড়ো হতে পারে সেই জন্য ১৯৮৯ সালের ২০সে নভেম্বর জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ গৃহীত হয় এবং এই সনদে শিশুদের সঠিক অধিকার নিয়ে ৫৪টি ধারা নির্মাণ করা হয়। জাতিসংঘ প্রত্যেক দেশের শিশুদের অধিকার রক্ষার জন্য কাজ করে। তাই জাতিসংঘের প্রত্যেক সদস্য দেশ শিশুদের রক্ষার জন্য ও র্তাদেরকে তাদের সঠিক অধিকার পাইয়ে দেবার জন্য এবং সমাজের সকল শিশু যাতে বৈষম্যহীন ভাবে, সুস্থ ভাবে বেড়ে উঠতে পারে তার জন্য বিভিন্ন আইন তৈরী করে এবং তা সঠিক ভাবে প্রণয়ন হচ্ছে কি না তার জন্য একটি বিশেষ কমিটি স্থাপন করে। এর ফলে সমাজের অসহায় ও অভিভাবকহীন শিশুরা তাদের অধিকার পেতে সমর্থ হয়েছে।
(গ) রিফাহর মা জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদের কোন ধারাটি লঙ্ঘন করেছেন- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : রিফাহর মা জাতি সংঘের শিশু অধিকার সনদের প্রত্যেক শিশুর অবকাশ যাপন, খেলাধুলা, শিক্ষা ও জ্ঞান অর্জনের অধিকার আছে এই ধারাটিকে ভঙ্গ করেছে। প্রত্যেক শিশুর খেলাধুলার মধ্যে দিয়ে জ্ঞান অর্জন ও সৃজনশীল কাজকর্মে অংশ গ্রহণ করার অধিকার আছে। তাই রিফাহর মায়ের রিফাহ ও রিমা এই দুই বোনকে কাগজ দিয়ে রোবট বানানো জন্য বাধা দেওয়া বা তাদের ধমক দেওয়ার কোনো অধিকার নেই।
(ঘ) রিফাহর মা এর করণীয় কী ছিল, তোমার পাঠ্যবইয়ের আলোকে মতামত দাও ।
উত্তর : এই পরিস্থিতিতে রিফাহর মায়ের তার দুই সন্তানকে কাগজ দিয়ে রোবট বানাতে দেখে তাদের আরো বেশি উৎসাহ দেওয়া উচিত ছিল। তার মায়ের তাদেরকে সাহার্য্য করতে হতো বা এই রোবট বানানোর জন্য তাদেরকে আরো বেশি জ্ঞান অর্জনের জন্য সাহার্য্য করতে হতো। ধমক দেয়ার বদলে তার দুই বোনকে এই কাজের জন্য বাহবা দিতে হতো। এতে তারা এই রকম উদ্ভাবনী কাজের জন্য অনুপ্রাণিত হতো ফলে তাদের ভবিৎষতে অনেক বেশি উজ্জ্বল হতো। শিশুদেরক খেলাধুলা বা জ্ঞান অর্জন করা থেকে কখনো বাধা দেওয়া উচিত নয় এটা শিশুদের মৌলিক অধিকার।
More Solutions :
(৩) বিশ্ব ভৌগোলিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ
(৪) বাংলাদেশের জনসংখ্যা পরিচিতি
(৮) বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের নাগরিক
(১১) বাংলাদেশে শিশুর বেড়ে ওঠা ও প্রতিবন্ধকতা