NCTB Class 6 BGS Chapter 9 বাংলাদেশের পরিবেশ Solution/Guide

NCTB Class 6 BGS Chapter 9 বাংলাদেশের পরিবেশ Solution/Guide

Bangladesh Board Class 6 Solution for বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়. Chapter 9 বাংলাদেশের পরিবেশ Solution  Exercises Question and Answer by Experienced Teacher.এখানে বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (NCTB) কর্তৃক প্রকাশিত ষষ্ঠ শ্রেণীর বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের নবম অধ্যায় বাংলাদেশের পরিবেশ অনুশীলনের সমস্ত সমাধান দেওয়া হয়েছে।

NCTB Solution Class 6 Chapter 9 বাংলাদেশের পরিবেশ : 

Board NCTB Bangladesh Board
Class 6
Subject BGS
Chapter 8
Chapter Name বাংলাদেশের পরিবেশ

বাংলাদেশের পরিবেশ অনুশীলনী প্রশ্ন এবং উত্তর :

NCTB Class 6 BGS Chapter 9 বাংলাদেশের পরিবেশ Solution/Guide

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :

(১) কোনটি প্রকৃতির মূল উপাদান ?

(ক) গ্যাস

(গ) আলো

(খ) বন

(ঘ) ফসল

উত্তর :

(গ) আলো

(২) জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে

(i) নগরে বস্তি বৃদ্ধি পায়

(ii) নদীর পানি দূষিত হয়

(iii) কার্বন-ডাই-অক্সাইড বেড়ে যায়

নিচের কোনটি সঠিক?

(ক) i ii

(খ) i iii

(গ) ii iii

(ঘ) i, ii iii

উত্তর :

(ঘ) i, ii ও iii

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও-

আজাদ তার গ্রামে গাছপালা কেটে এবং জলাশয় ভরাট করে একটি সাবানের কারখানা তৈরি করে। কারখানার মেশিনের শব্দে আশপাশের মানুষ অতিষ্ঠ। আজাদের চাচা চাকরি শেষে গ্রামে এসে খালি জায়গায় গাছ লাগানোর পরামর্শ দেন। অপরিষ্কার খালগুলো পরিষ্কার করে পানি চলাচলের ব্যবস্থা করেন।

(৩) আজাদের কার্যক্রমকে কী বলা যায়?

(ক) মানুষ সৃষ্ট পরিবেশগত সমস্যা

(খ) প্রকৃতি সৃষ্ট পরিবেশগত সমস্যা

(গ) প্রকৃতিকে মানুষের জয় করার চেষ্টা

(ঘ) প্রকৃতির উপর মানুষের নির্ভরশীলতা

উত্তর :

(ক) মানুষ সৃষ্ট পরিবেশগত সমস্যা

(৪) আজাদের চাচার কার্যক্রমের ফলাফল কোনটি?

(ক) সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়বে

(খ) মাটির উর্বরতা শক্তি কমে যাবে

(গ) মাটির ক্ষয় বৃদ্ধি পাবে

(ঘ) জীববৈচিত্র্য রক্ষা পাবে

উত্তর :

(ঘ) জীববৈচিত্র্য রক্ষা পাবে

সৃজনশীল প্রশ্ন :

(ক) আলো ও তাপের প্রধান উৎস কোনটি?

উত্তর :

পৃথিবীতে আলো ও তাপের প্রধান উৎস হলো সূর্য। সূর্যের থেকে আগত আলোকরশ্মি পৃথিবীর সমগ্র জীবজগৎকে শক্তি যোগায়। সূর্যের আলোর জন্যই পৃথিবীতে গাছ অক্সিজেন ও খাদ্য তৈরী করতে পারে যা অন্য সকল প্রাণীকে খাদ্য ও শক্তি জোগানোর কাজ করে। তাই বলা হয় পৃথিবীতে শক্তির একমাত্র উৎস হলো সূর্য্য।

(খ) মানুষ কীভাবে প্রকৃতির উপর আধিপত্য বাড়িয়েছে? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : মানুষ অতি বুদ্ধিমান জীব সময়ের সাথে সাথে মানুষ নিজেকে বিকশিত করেছে এবং প্রকৃতির বিভিন্ন উপাদানকে নিজের সুবিধার জন্য ব্যবহার করতে শিখেছে। প্রথমে মানুষ বনের হিংস্র প্রাণীদের আক্রমণে নিজের রক্ষা করতে সক্ষম ছিল না। এরপর ধীরে ধীরে মানুষ হাতিয়ার বানাতে শিখলো এবং দলবদ্ধ হয়ে ওই হিংস্র জীবেরই শিকার করতে লাগলো। এই ভাবে মানুষ ক্রমাগত বিকাশের সাথে সাথে কৃষিকাজ করা শিখলো, থাকার জন্য ঘরবাড়ি বানাতে শিখলো, শীতের হাত থেকে বাঁচতে পশুর লোমের মোটা ছাল দিয়ে বস্ত্র তৈরী এবং আগুনের ব্যবহার শিখল। প্রকৃতির প্রকোপ থেকে বাঁচতে তারা গাছ লাগাতে শিখলো। এই ভাবে মানুষ প্রকৃতির সকল উপাদান এবং জীবের উপর অধিপত্ব বাড়াতে শুরু করলো।

(গ) উপরের চিত্রে কোন সমস্যাটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : প্রদপ্ত চিত্রের মধ্যে মানুষের দ্বারা সৃষ্ট কলকারখানার থেকে প্রকৃতির বিভিন্ন উপাদানের দূষিত হওয়ার সমস্যাটি ফুটে উঠেছে। মানুষ যত বেশি উন্নত হয়েছে প্রকৃতির উপর এর কুপ্রভাবও ততো বেশি করে বৃদ্ধি পেয়েছে। মানুষ নিজের জীবনকে উন্নত করতে ও সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করতে প্রকৃতির বিভিন্ন উপাদান যেমন – জল, বায়ু, মাটি  ইত্যাদিকে প্ৰদূষিত করেছে। মানুষের উন্নতির জন্য ব্যাবহৃত সামগ্ৰী তৈরী করার জন্য বনজঙ্গল ধংস করে কলকারখানা বানিয়েছে। এই কলকারখানা থেকে নির্গত ধোয়া বায়ুতে মিশে বায়ুকে দূষিত করে তুলেছে। আবার এই কলকারখানা থেকে নির্গত বিষাক্ত ও দূষিত জল নদী, সমুদ্রের বিশুদ্ধ জলে মিশে জলকে দূষিত করে জলজপ্রাণীদের সাধারণ জীবনধারাকে নষ্ট করেছে। আবার অধিক ফসল উৎপাদনের আসায় মানুষ বিভিন্ন জমিতে বিভিন্ন কীটনাশক ও রাসায়নিক সার ব্যবহার করেছে এর ফলে উৎপাদিত ফসল যেমন বিষাক্ত হয়েছে তেমনি আবার জমির উর্ব্বরতাও হারিয়ে গিয়েছে। এই ভাবে মানুষের সৃষ্ট কলকারখানা প্রকৃতির ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে চলেছে। এর ফলে বর্তমানে সমগ্র পৃথিবী তার স্বাভাবিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে।

(ঘ) উক্ত সমস্যা সমাধানে তোমাদের মতো শিশুদের করণীয় সম্পর্কে আলোচনা কর।

উত্তর : উক্ত সমস্যার সমাধানের জন্য শিশুরা তেমন বড়ো কোনো পদক্ষেপ নিতে না পারলেও ছোট ছোট অনেক গুরুপ্তপূর্ণ কাজ করতে পারে। নিচে শিশুদের এই করণীয় গুলি নিয়ে আলোচনা করা হলো –

(১) প্যাকেটজাত খাবার খাওয়ার পর প্লাস্টিকের প্যাকেট যেখানে সেখানে না ফেলা।

(২) রাস্তাঘাটে যেখানে সেখানে থুতু না ফেলা।

(৩) বাড়িতে জোরে আওয়াজের সাথে মিউসিক সিস্টেম বা টিভি দেখে আশপাশের শান্তি ভঙ্গ না করা।

(৪) বাড়িতে বা রাস্তায় ছোট চারা গাছ দেখলে তা নষ্ট না করে করার যত্ন নেওয়া।

(৫) বাইরের প্যাকেটজাত খাবার ও অন্নান্য বস্তূ না কেনা কারণ এই সকল দ্রব্য প্রকৃতির সাথে সাথে স্বাথেরও ক্ষতি করে।

(৬) নদী, পুকর, পাহাড়, বন-জঙ্গল ইত্যাদি স্থানে নোংরাআবর্জনা না ফেলা।

(৭) গাছ কাটা ও বনজঙ্গল ধ্বংস হতে দেখলে তার বন্ধ করার জন্য সবাইকে সচেতন করা।

(৮) সারাক্ষন ঘরে টিভি বা গেম না খেলে কিছু সময় প্রকৃতির কাছাকাছি থাকা।

(৯) প্রকৃতির ক্ষতি করে এমন সব পণ্য বা দ্রব্য ব্যবহার না করা।

(১০) স্কুলের শিক্ষকদের সাথে প্রকৃতির দূষণ রোধ করার জন্য ও সাধারণ মানুষকে এর প্রভাব সমদ্ধে সচেতন করার জন্য বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও  শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করা।

(২) বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মনির হোসেন ঢাকার অভিজাত এলাকায় একটি অত্যাধুনিক ফ্লাটে বসবাস করেন। তার ছেলে-মেয়েরা বিনোদনের জন্য উচ্চ আওয়াজে গান শোনে, যা প্রায়ই তাদের প্রতিবেশীদের অসুবিধার সৃষ্টি করে। তার এপার্টমেন্ট ভবনে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য রয়েছে নিজস্ব জেনারেটর।

(ক) মানুষ কখন থেকে প্রকৃতিকে জয় করার চেষ্টা চালিয়েছে?

উত্তর : মানুষ তার বিকাশের শুরু থেকেই প্রকৃতিকে জয় করার চেষ্টা চালিয়েছে। প্রথমে মানুষ প্রকৃতিকে ভয় পেলেও যখন থেকে মানুষ বিকশিত হয়েছে তখন থেকে মানুষ প্রকৃতিকে ভয় পাওয়ার বদলে পরিবেশের বিভিন্ন উপাদানকে নিজের সুবিধার জন্য ব্যবহার করার চেষ্টা করতে লাগলো।

(খ) প্রকৃতির মূল উপাদান কীভাবে মানুষের উপর প্রভাব ফেলে?

উত্তর : প্রকৃতির মূল উপাদান অর্থাৎ আলো, বায়ু, জল ও মাটি। এই সকল উপাদান মানুষের বিকাশের জন্য গুরুপ্তপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। এই সকল উপাদানকে মানুষ নিজের সুবিধার জন্য ও কাজের  জন্য ব্যবহার করেছে। সূর্যের আলো মানুষকে দিয়েছে শক্তির যোগান। সূর্যের আলোকরশ্মি থেকে গাছ খাদ্য ও অক্সিজেন উৎপন্ন করে যা মানুষ শ্বাস নেওয়ার জন্য এবং খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে। এর থেকে মানুষ বেঁচে থাকার ও কাজ করার শক্তি পায়। মানুষ বিকশিত হওয়ার সাথে সাথে প্রকৃতির মাটিকে কাজে লাগিয়ে নিজের জন্য খাদ্যের সৃষ্টি করেছে। তাই বলা যায় প্রকৃতির মুখ্য উপাদানগুলি মানুষকে বেঁচে থাকতে এবং বিকশিত হতে বিভিন্ন ভাবে সাহার্য্য করেছে। এই কারণে আমরা বলতে পারি প্রকৃতির মুখ্য উপাদান মানুষের উপর এর সুপ্রভাব ফেলেছে।

(গ) মনির হোসেনের ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি পরিবেশে কি ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করছে? বর্ণনা কর।

উত্তর : মনির হোসেনের ফ্ল্যাটে বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি পরিবেশের স্বাভাবিক শান্তি, পরিবেশের বায়ুকে দূষিত করেছে, আবার প্রত্যক্ষ ভাবে পরিবেশের জল, মাটি, বায় সকল উপাদানগুলোকে দূষিত করতে সাহার্য্য করেছে। তাদের ফ্ল্যাটে ব্যাবহৃত বিভিন্ন উচ্চ আওয়াজ করা বৈদ্যুতিক সরঞ্জামগুলি আশেপাশের মানুষের অস্বতি ও শান্তি ভঙ্গের কারণ হয়েছিল। আবার বাড়িতে নিজস্ব জেনারেটর ব্যবহার করার জন্য নিজের ঘরের বায়ুর সাথে এপার্টমেন্ট ভবনের সামগ্রিক বায়ুকে দূষিত করছিলো। আবার বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম অতিরিক্ত ব্যবহার করার জন্য তারা পরোক্ষ ভাবে বিদ্যুৎকেন্দ্রে চাপ তৈরী করছিলো ফলে বিদ্যুৎকেন্দ্রে বেশি পরিমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন করার জন্য পরিবেশের উপর এর বিরূপ প্রভাব পড়েছিল।

(ঘ) উক্ত সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য তোমার কি কোনো দায়িত্ব আছে বলে মনে কর? পাঠ্যপুস্তকের আলোকে মতামত দাও ৷

উত্তর : উক্ত সমস্যা সমাধানের জন্য মনির সাহেব ও তার ছেলে- মেয়েদেরকে তাদের কর্মকান্ড থেকে পরিবেশের উপর এর বিরূপ প্রভাব নিয়ে সচেতন করা যেতে পারে। তাদের বাজানো সরঞ্জামের থেকে তৈরী হওয়া আওয়াজ অন্য প্রতিবেশীদের অসুবিশার সৃষ্টি করছিলো তার সম্পর্কে তাদের জানানো যেতে পারে। এর পরেও যদি তারা এই সকল কর্মকান্ড বন্ধ না করে বা আওয়াজ না কমায় তাহলে তাদেরকে এপার্টমেন্ট ভবনের সকলের থেকে একটি সাবধানতা দেওয়া যেতে পারে। এরপরেও যদি তারা সকল সাবধানতা অমান্য করে তাহেল তাদের বিরুদ্ধে এপার্টমেন্ট ভবনের বা সোসাইটির সেক্রেটারিকে লিখিত অভিযোগ করা যেতে পারে বা আইনত ব্যবস্থাও গ্রহণ করা যেতে পারে।

 

More Solutions : 

(১) বাংলাদেশের ইতিহাস

(২) বাংলাদেশ ও বিশ্বসভ্যতা

(৩) বিশ্ব ভৌগোলিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ

(৪) বাংলাদেশের জনসংখ্যা পরিচিতি

(৫) বাংলাদেশের সমাজ

(৬) বাংলাদেশের সংস্কৃতি

(৭) বাংলাদেশের অর্থনীতি

(৮) বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের নাগরিক

(১০) বাংলাদেশে শিশু অধিকার

(১১) বাংলাদেশে শিশুর বেড়ে ওঠা ও প্রতিবন্ধকতা

(১২) বাংলাদেশ ও আঞ্চলিক সহযোগিতা

(১৩) টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি)

Updated: November 3, 2023 — 2:07 pm

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *