NCTB Class 6 BGS Chapter 8 বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের নাগরিক Solution/Guide
Bangladesh Board Class 6 Solution for বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়. Chapter 8 বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের নাগরিক Solution Exercises Question and Answer by Experienced Teacher.এখানে বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (NCTB) কর্তৃক প্রকাশিত ষষ্ঠ শ্রেণীর বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের অষ্টম অধ্যায় বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের নাগরিক অনুশীলনের সমস্ত সমাধান দেওয়া হয়েছে।
NCTB Solution Class 6 Chapter 8 বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের নাগরিক :
Board | NCTB Bangladesh Board |
Class | 6 |
Subject | BGS |
Chapter | 8 |
Chapter Name | অধ্যায় বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের নাগরিক |
বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের নাগরিক অনুশীলনী প্রশ্ন এবং উত্তর :
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :
(১) সার্বভৌম ক্ষমতার মূল অধিকারী কে?
(ক) জনগণ
(খ) সরকার
(গ) রাষ্ট্র
(ঘ) সমাজ
উত্তর :
(ঘ) সমাজ
(২) রাষ্ট্রের জন্য সরকারের অপরিহার্যতা –
(i) দেশ পরিচালনায়
(ii) জনগণের নিরাপত্তা রক্ষায়
(iii) দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায়
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) i ও ii
(খ) i ও iii
(গ) ii ও iii
(ঘ) i, ii ও iii
উত্তর :
(ঘ) i, ii ও iii
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও-
‘ক‘ রাষ্ট্রে নিজের দেশের নাগরিক ছাড়াও অন্যান্য দেশের লোক বাস করে। হঠাৎ ‘খ‘ রাষ্ট্রের সাথে ‘ক‘ রাষ্ট্রের যুদ্ধ বেধে যাওয়ায় অন্যান্য দেশের লোক নিজ দেশে চলে গেল কিন্তু ‘ক‘ রাষ্ট্রের নাগরিকগণ সরকারের নির্দেশে বাধ্যতামূলকভাবে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করল। যুদ্ধে ‘খ’ রাষ্ট্র ‘ক‘ রাষ্ট্রকে দখল করে নিল।
(৩) ‘ক‘ রাষ্ট্রে বসবাসকারী অন্যান্য দেশের নাগরিকদের চলে যাওয়ার কারণ-
(i) তারা ‘ক‘ রাষ্ট্রের নাগরিক নয়
(ii) ‘ক‘ রাষ্ট্র তাদের যুদ্ধে অংশগ্রহণে বাধ্য করতে পারে না
(iii) তারা ‘ক‘ রাষ্ট্রের প্রতি অনুগত নয়
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) i
(খ) ii ও iii
(গ) iii
(ঘ) i, ii ও iii
উত্তর :
(ঘ) i, ii ও iii
(৪) ‘খ’ রাষ্ট্র কর্তৃক ‘ক‘ রাষ্ট্র দখল করে নেওয়ায় ‘ক‘ রাষ্ট্রের কোন উপাদানটি বিলুপ্ত হলো-
(ক) জনসমষ্টি
(খ) সরকার
(গ) ভূখণ্ড
(ঘ) সার্বভৌমত্ব
উত্তর :
(ঘ) সার্বভৌমত্ব
সৃজনশীল প্রশ্ন :
(১) জাকির সাহেব ও আফরিন দম্পতি চাকরি নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ২০ বছরের অধিক সময় ধরে বসবাস করছেন। সেখানে তাদের ছেলে স্বননের জন্ম হয়। তারা সেখানে নিজেদের আয় থেকে একটি ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান ক্রয় করেন। সরকারকে নিয়মিত আয়কর দেন। দেশের আইনকানুন মেনে চলেন। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য একটি তহবিল পরিচালনা করেন। এই দম্পতি এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।
(ক) নাগরিক কিসের পরিচয়ে নাগরিকত্ব লাভ করে?
উত্তর : রাষ্ট্রের বসবাসকারী স্থায়ী অধিবাসীদের নাগরিক বলে। কোনো একটি রাষ্ট্রে কেউ দুভাবে নাগরিকত্ব লাভ করতে পারে যেমন এক জন্মসূত্রে এবং দ্বিতীয়ত অনুমোদন সূত্রে। কোনো অধিবাসী যে রাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করে সে জন্ম সূত্রে ওই রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব লাভ করে। যেমন কেউ যদি বাংলাদেশে কোনো নাগরিকের সন্তান জন্মগ্রহণ করে তবে সেই সন্তান জন্মসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিকত্ত্ব লাভ করে। আবার কেউ যদি বাংলাদেশে চাকরি ও বাবসাবাণিজ্য করতে এসে এই দেশের সরকারের কাছে নাগরিকত্ব হওয়ার আবেদন করে তবে বাংলাদেশ সরকার তাকে বিশেষ শর্তসাপেক্ষে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দিতে পারে। মূলত এই দুটি উপায়েই কোন ব্যক্তি নির্দিষ্ট কোনো রাষ্ট্রের নাগরিক হতে পারে।
(খ) রাষ্ট্রে বসবাসকারী সকলেই নাগরিক নয় কেন?
উত্তর : একটি রাষ্ট্রে বসবাসকারী সকল ব্যাক্তিই সে রাষ্ট্রের নাগরিক নাও হতে পারে। কারণ একটি রাষ্ট্রে নিজের দেশের নিজস্ব অধিবাসী ছাড়া অন্য দেশ বা রাষ্ট্রের অধিবাসীও থাকতে পারে। এই সব ভিন্ন দেশ বা রাষ্ট্রের অধিবাসীদেরকে এক কোথায় বিদেশী বলা হয়। এই সকল লোক ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকরি ইত্যাদি কর্মসূত্রে ভিন্ন দেশের অধিবাসী হয়। এই সকল অধিবাসী বসবাসকারী রাষ্ট্রের প্রতি অনুগত্য প্রকাশ করে না। আবার নিজের দেশের রাজনৈতিক অধিকার থেকেও বঞ্চিত থাকে। যেমন – বাংলাদেশের অনেক নাগরিক কর্মসূত্রে ভারতে থাকে। আবার অন্য অনেক দেশের নাগরিক বাংলাদেশেও থাকে যেমন মায়ানমার।
(গ) জাকির সাহেবের নাগরিকত্ব লাভের প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : জাকির সাহেব মার্কি যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের অনুমোদনসূত্রে সেই দেশের নাগরিকত্ব লাভ করেছেন। প্রত্যেক রাষ্ট্রেই একজন মানুষ দুভাবে নাগরিক হতে পারে। এক জন্মসূত্রে এবং দ্বিতীয়ত সরকারের অনুমোদনসূত্রে। জাকির সাহেব ২০ বছরের বেশি সময় ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। সেই দেশে সম্পত্তি ক্রয় করেছেন এবং সঠিক সময়ে প্রাপ্প কর ও র্থাৎ TAX জমা করেছেন এবং সর্বোপরি সেই দেশের নাগরিকদের জন্য উন্নয়নমূলক কাজ করছেন। তাই তিনি মাকিন যুক্তরাষ্ট্রের অনুমোদনসূত্রে নাগরিক হওয়ার জন্য যে শর্তগুলি ছিল তার প্রায় সবই পূরণ করেছেন। তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার তার নাগরিক হওয়ার আবেদন স্বীকার করেছেন এবং তাকে স্থায়ী নাগরিক হওয়ার জন্য অনুমোদন দিয়েছেন।
(ঘ) জাকির সাহেব ও স্বননের নাগরিকতার পার্থক্য বিশ্লেষণ কর।
উত্তর : জাকির সাহেব বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনুমোদিত নাগরিক অর্থাৎ সরকার তাকে শর্ত সাপেক্ষে নাগরিকত্বের অনুমোদন দিয়েছেন। কিন্তু তাদের সন্তান স্বনন জন্মসূত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্টের নাগরিক। কারন স্বননের জন্ম হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিতে। তাই স্বননকে নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য সরকার পক্ষের কোনো শর্ত পূরণ করতে হয়নি।
(২) বাংলাদেশের অধিবাসী সজীব সিঙ্গাপুরে মেরিন সার্ভিসে কর্মরত অবস্থায় অস্ট্রেলিয়ান মেয়েকে তিন বছর হয় বিয়ে করেছেন। সিঙ্গাপুর থেকে স্ত্রীকে নিয়ে আমেরিকার একটি জাহাজে করে তিনি অস্ট্রেলিয়ায় যাচ্ছিলেন। অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছানোর পূর্বেই জাহাজে তাদের মেয়ে মারিয়ার জন্ম হয়। বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় পড়তে আসা সজীবের ছোট ভাই সাগর গত নির্বাচনে সেখানে ভোট দিতে পারেনি।
(ক) বাংলাদেশের প্রথম সরকার কখন গঠিত হয়?
উত্তর : ১৯৭১ সালের ১০ই এপ্রিল গঠিত বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার। এই সরকারের নাম দেওয়া হয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। এই সরকারের নেতৃত্বে ছিলেন বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমান। এবং ১৯৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশএকটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল।
(খ) দ্বি-নাগরিকত্ব বলতে কী বোঝায় ?
উত্তর : দ্বি-নাগরিকত্ব বলতে বোঝায় যখন কোনো অধিবাসীর কাছে দুটি রাষ্ট্রেরই নাগরিকত্ব থাকে। তবে এই নাগরিকত্ব ব্যবস্থা পৃথিবীর বেশির রাষ্ট্রে স্বীকৃত নয়। শুধু আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়া দেশে এই প্রকার নাগরিকত্ব স্বীকৃত আছে। সহজ ভাষায় বললে কোনো বাংলাদেশি দম্পতির সন্তান যদি কোনো কারণে আমেরিকা বা অস্ট্রেলিয়ার ভূমিতে জন্ম গ্রহণ করে তবে সেই সন্তান হবে দৈতনাগরিকত্বের অধিকারী। তার মাতাপিতা যেহেতু বাংলাদেশের নাগরিক তাই সেই সন্তান তার মাতাপিতার সূত্রে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পাবে। আবার যেহেতু সে আমেরিকা বা অস্ট্রেলিয়ার ভূমিতে জন্মগ্রহণ করেছে তাই জন্মসূত্রে সে ওই দেশেরও না গরিকত্ব লাভ করবে। এরপর সেই সন্তান যখন প্রাপ্ত বয়স্ক হবে তখন সে তার ইচ্ছা মতো বাংলাদেশ বা ভূমিষ্ঠ দেশের অথবা হইলে দুই দেশেরই নাগরিকত্ব রাখতে পারে। এই ভাবে একজন নাগরিক দৈত নাগরিকত্ব লাভ করতে পারে।
(গ) মারিয়া কোন দেশের নাগরিকত্ব লাভ করবে ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : মারিয়া দৈত্য নাগরিকত্ব লাভ করবে। একদিকে তার বাবা সজীব যেহেতু অস্ট্রেলিয়ার মেয়েকে বিয়ে করেছেন তাই সে অস্ট্রেলিয়ার অনুমোদনসূত্রে নাগরিক হতে পারেন আবার তিনি বাংলাদেশেরও নাগরিক। আবার তারা সিঙ্গাপুর থেকে অস্ট্রেলিয়া যাবার সময় মাঝ পথেই তাদের সন্তান মারিয়ার জন্ম হয়। তাই তখন জাহাজটি যে দেশের সীমারেখার মধ্যে ছিল মারিয়া সেই দেশের নাগরিকত্ব লাভ করবে। অর্থাৎ যদি জাহাজটি সিঙ্গাপুরের সীমারেখাতে থাকে তাহলে সে সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব লাভ করবে। আবার যদি জাহাজটি অস্ট্রেলিয়ার সীমাতে প্রবেশ করে তাহলে মারিয়া অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব লাভ করবে।
(ঘ) সজীব বা সাগরের নাগরিক অধিকার ভিন্ন- উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও ।
উত্তর : সজীব ও তার ছোট ভাই সাগরের নাগরিক অধিকার ভিন্ন। কারণ সজীব অস্ট্রেলিয়ার একজন মেয়েকে বিয়ে করেছিল তাই সে অনুমোদনসূত্রে সেই দেশের নাগরিকত্ব পেয়েছে কিন্তু তার ছোট ভাই সাগর অস্ট্রেলয়াতে পড়তে এসেছে তাই সে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব লাভ করেনি। একজন বৈদেশিক নাগরিক হিসেবে ওই দেশে বসবাস করেছেন মাত্র। সাগর এখনো বাংলাদেশেরই নাগরিক। এই কারণেই সাগর অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচন বা ভোট এর মতো রাজনৈতিক অধিকার থেকে বঞ্চিত থেকেছে বা বলা যায় রাজনৈতিক কাজে অংশ নেওয়ার অধিকার সাগরের ছিল না।
More Solutions :
(৩) বিশ্ব ভৌগোলিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ
(৪) বাংলাদেশের জনসংখ্যা পরিচিতি
(১১) বাংলাদেশে শিশুর বেড়ে ওঠা ও প্রতিবন্ধকতা