NCTB Class 9 and 10 Bengali Chapter 4 লাইব্রেরি Solution
Bangladesh Board Class 9 and 10 Bengali Solution Chapter 4 লাইব্রেরি Exercises Question and Answer by Experienced Teacher. NCTB Class 9 and 10 Bengali Solution Chapter 4 লাইব্রেরি.
NCTB Solution Class 9 and 10 Chapter 4 লাইব্রেরি :
Board | NCTB Bangladesh Board |
Class | 9 and 10 |
Subject | Bengali |
Chapter | Four |
Chapter Name | লাইব্রেরি |
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :
(১) ‘লাইব্রেরি‘ প্রবন্ধে লেখক মহাসমুদ্রের শত বৎসরের কল্লোলের সাথে কিসের তুলনা করেছেন?
(ক) মানবাত্মার
(খ) আলোকের
(গ) লাইব্রেরির
(ঘ) সংগীতের
উত্তর : (গ) লাইব্রেরির
(২) ‘লাইব্রেরি‘ প্রবন্ধে ‘সহস্র পথের চৌমাথা‘ – বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
(ক) বহু জ্ঞানের সম্মিলন
(খ) বহু হৃদয়ের সম্মিলন
(গ) বহু রাস্তার সম্মিলন
(ঘ) বহু জীবনের সম্মিলন
উত্তর : (ক) বহু জ্ঞানের সম্মিলন
উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও :
হিন্দু মুসলমান বাঙালি। জন্মমৃত্যুর বন্ধনে অভিন্ন সত্তা।
(৩) উদ্দীপকের ভাবার্থের সাথে ‘লাইব্রেরি‘ প্রবন্ধের কোন ধরনের সাদৃশ্য রয়েছে?
(ক) হিংসা
(খ) বিদ্বেষ
(গ) সংহতি
(ঘ) ঘৃণা
উত্তর : (গ) সংহতি
(৪) উদ্দীপকে যে বিষয়বস্তুর ইঙ্গিত রয়েছে তা ‘লাইব্রেরি‘ প্রবন্ধের যে বাক্যে ব্যক্ত হয়েছে তা হলো –
(i) জীবিত ও মৃত ব্যক্তির হৃদয় পাশাপাশি এক পাড়ায় বাস করিতেছে।
(ii) বাদ ও প্রতিবাদ এখানে দুই ভাইয়ের মত একসঙ্গে থাকে।
(iii) সন্ধান ও আবিষ্কার এখানে দেহে দেহে লয় হইয়া বাস করে।
নিচের কোনটি সঠিক ?
(ক) i
(খ) iii
(গ) iii
(ঘ) i, ii ও iii
উত্তর : (ঘ) i, ii ও iii
সৃজনশীল প্রশ্ন :
একজনের পক্ষে সর্ববিদ্যা বিশারদ হওয়া অসম্ভব। সেজন্য একেকজন একেক বিষয়ে পারদর্শিতা লাভ করে। আবার যে-ব্যক্তি যে-বিদ্যায় পারদর্শিতা লাভ করে তার সবটুকু জ্ঞান মস্তিষ্কে ধারণ করাও একজনের পক্ষে সম্ভব হয় না। তাই প্রয়োজন এমন কোনো উপায় উদ্ভাবনের, যার বদৌলতে দরকার অনুযায়ী সমস্ত বিষয়ে একটা মোটামুটি জ্ঞান লাভ করা যায়। সেই থেকে প্রয়োজন দেখা দেয় জ্ঞান সংরক্ষণের।
(ক) কীসের মধ্যে সমুদ্রের শব্দ শোনা যায়?
উত্তর : শঙ্খের মধ্যে সমুদ্রের আওয়াজ শুনতে পাওয়া যায়। লেখক বলেছেন মহাসমুদ্রের শত বছরের কল্লোলকে লাইব্রেরির বইয়ের মতো করে যদি বাঁধিয়া রাখা যেত তাহলে এই কল্লোল ঘুমাইয়া পড়া শিশুটির মতো চুপ করিয়া যাইতো।
(খ) ‘জীবিত ও মৃত ব্যক্তির হৃদয় পাশাপাশি এক পাড়ায় বাস করিতেছে‘ – কথাটি বুঝিয়ে বল।
উত্তর : লাইব্রেরিতে বিশাল বইয়ের ভাজে ভাজে লুকিয়ে আছে কত আবিস্কার, সংশয়, জানা-অজানার কত গল্প, ছড়িয়ে আছে কত গান। এই লাইব্রেরিতে শোনা যায় কত হৃদয়ের উত্থানপতনের শব্দ। আর এই সমস্ত জ্ঞানের জন্য মানুষ পড়ে চলেছে নানা লেখকের না বই। বইয়ের লেখা মানুষগুলি আজ হয়তো বেঁচেও নেই কিন্তু এই জীববিত মানুষেরা পরে চলেছে তাদের লেখা। প্রতিনিয়ত কত না চেনা অচেনা মানুষ একসাথে বসে এই লাইব্রেরিতে। চৌরাস্তার মোড়ের মতো ছড়িয়ে রয়েছে জ্ঞানের, রহস্যের, জানা-অজানার পথ। এই সমস্ত পথে চলে থাকা লোকেরা লিখে গিয়েছে তাদের অভিযাত্রা, তাদের জ্ঞান, তাদের অভিজ্ঞতা। সেই সকল মানুষ আজ হয়তো বেঁচে নেই কিন্তু তাদের লেখা বই আজও পড়ে চলেছে জীবন্ত এই মানুষেরা। তাই এখানে লেখক এই কথার মধ্যে দিয়ে বোঝাতে চেয়েছেন যে জীবিত ও মৃত ব্যাক্তি উভয়ের হৃদয়েই এখানে পাশাপাশি এক পাড়াতে বাস করছেন।
(গ) উদ্দীপকে বর্ণিত জ্ঞান সংরক্ষণের কারণটি ‘লাইব্রেরি‘ প্রবন্ধের আলোকে তুলে ধর।
উত্তর : এই জগতের সমস্ত জ্ঞানকে কোন একজন ব্যাক্তির পক্ষে অর্জন করা সম্ভব নয়। তাই সবাই কোনো একটি নির্দিষ্ট বিষয়েই জ্ঞান অর্জন করতে পারে। কিন্তু মানুষের পক্ষে সেই জ্ঞানও সবসময় মনে রাখা সম্ভব হয় না। তাই এই সকল জ্ঞান যাতে প্রয়োজনের সময় পাওয়া যায় তার ব্যবস্থা করা অত্যন্ত আবশ্যিক। আর এই ব্যবস্থা হলো লাইব্রেরি। তাই লেখক বলেছেন যাতে শত বছরের সমুদ্রের কল্লোলকে যদি কেউ এমন করিয়া বাঁধিতে পারিত যাতে সে ঘুমাইয়া পড়া শিশুর মতো চুপ করিয়া যাইত। এখানে লেখক শত বছরের সমুদ্রের কল্লোলকে জ্ঞানের সাথে তুলনা করেছেন। তিনি বলেছেন এই মানুষের জ্ঞান যেন বদ্ধ হয়ে আছে অক্ষরের শৃঙ্গলে কারাগারের মধ্যে। কত মানুষ শিখছে সংগীতের জ্ঞান, কেউ নিচ্ছে জানা-অজানার পথের সন্ধান। আবার কেই বা উঠছে জ্ঞানের শৃঙ্গে, কেউ প্রবেশ করছে মনের গভীরে। জ্ঞানের আলো যেন ছড়িয়ে পড়েছে চৌরাস্তার মোড়ের মতো। যে যার দিকে চলে যাচ্ছে পথিকের মতো। লেখক লাইব্রেরির এই বৃত্তান্ত থেকে আমাদের বুঝিয়েছেন জ্ঞান সংরক্ষনের আবশ্যিকতা।
(ঘ) “মানব হৃদয়ের বন্যাকে বেঁধে রাখার প্রয়োজনীয় দিকটিই যেন উদ্দীপক ও ‘লাইব্রেরি‘ প্রবন্ধের মূল বক্তব্য।” – বিশ্লেষণ কর। –
উত্তর : লেখক বলেছেন হিমালয় যেমন মাথার উপরে কঠিন বরফের মধ্যে কত বন্যাকে বেঁধে রেখেছে তেমনি এই লাইব্রেরির মধ্যে মানব তার হৃদয়ের বন্যাকে বেঁধে রেখেছে। এলাচ অংশে মানবহৃদয়ের বন্যার মধ্য লেখক মানবের গুয়ানকে বুঝিয়েছেন। তার মতে লাইব্রেরি হলো মানুষের জ্ঞানকে সঞ্চিত করে রাখার শ্রেষ্ঠ জায়গা। কোনো মানুষই এই জগতের সমস্ত জ্ঞানকে অর্জন করতে পারে না। তাই যাতে প্রয়োজনের সময় সব জ্ঞানের সন্ধান পাওয়া যায় তার জন্য হৃদয়ের এই বন্যাকে বেঁধে রাখা খুব প্রয়োজন। মানহৃদয়ের এই বন্যাকে বেঁধে রাখতে না পারলে সমস্ত জ্ঞান বন্যার জলের মতো কোথায় চলে যাবে তার কোনো ঠিকানা আর কেউ পাবে না কোনো দিন। লাইব্রেরি যেন মানুকে দিয়েছে জ্ঞানকে সঞ্চিত করে রাখার এক বিপুল জায়গা। মানুষ শব্দকে বেঁধে রেখেছে নিঃশব্দের মধ্যে। আকাশের দৈববানীকে তারা কাগজে মুড়িয়া রেখেছে। জ্ঞানের আলোকে ভর করিয়া মানুষ পারি দিয়েছে দিগন্তের পথে। কেউ বা জ্ঞানের আলোকে উঠেছে হিমালয়ের শৃঙ্গে কেউবা পৌঁছে গ্যাছে মনের অচিন কুঠিরে। তাই লেখক বলেছেন মানবহৃদয়ের বন্যাকে বেঁধে রাখা খুবই প্রয়োজন।
Next Chapter Solutions :