NCTB Class 9-10 Science Bengali Version Chapter 4 নবজীবনের সূচনা Solution

NCTB Class 9-10 Science Bengali Version Chapter 4 নবজীবনের সূচনা Solution

Bangladesh Board Class 9-10 Science Solution Chapter 4 নবজীবনের সূচনা Solution  Exercises Question and Answer by Experienced Teacher.এখানে বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (NCTB) কর্তৃক প্রকাশিত নবম-দশম শ্রেণীর বিজ্ঞান বইয়ের চতুর্থ অধ্যায় নবজীবনের সূচনা অনুশীলনের সমস্ত সমাধান দেওয়া হয়েছে।

NCTB Solution Class 9-10 Chapter 4 নবজীবনের সূচনা : 

Board NCTB Bangladesh Board
Class 9-10
Subject Science
Chapter 4
Chapter Name নবজীবনের সূচনা

নবজীবনের সূচনা অনুশীলনী প্রশ্ন এবং উত্তর :

NCTB Class 9-10 Science Bengali Version Chapter 4 নবজীবনের সূচনা Solution

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :

(১) কোন পানিতে প্রথম জীবের উৎপত্তি হয়েছিল?

(ক) নদীর

(খ) ঝরনার

(গ) সমুদ্রের

(ঘ) পুকুরের

উত্তর :

(গ) সমুদ্রের

(২) প্রোটোভাইরাস সৃষ্টির আগে বায়ুমণ্ডলে যে ন্যাসটি ছিল তা হলো:

(i) অক্সিজেন

(ii) হাইড্রোজেন

(iii) নাইট্রোজেন

নিচের কোনটি সঠিক?

(ক) i ii

(খ) i iii 

(গ) ii iii

(ঘ) i, ii, iii

উত্তর :

(ঘ) i, ii, ও iii

নিচের একটি থেকে ৩ ও ৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

(৩) গ্রাফের A অবস্থানে কোন প্রাণীটি থাকবে?

(ক) মাছ

(খ) ব্যাঙ

(গ) সাপ

(খ) কচ্ছপ

উত্তর :

(খ) কচ্ছপ

(8) প্লাটিপাসের অবস্থান গ্রাফের কোথায়?

(ক) A B

(খ) B C

(গ) B D

(ঘ) C D

উত্তর :

(ক) A ও B

সৃজনশীল প্রশ্ন  :

(১) মিসেস সান্তা সন্তানধারণে অক্ষম হওয়ার বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে গেলেন। ডা এ সমস্যা সমাধানের জন্য একটি বিশেষ পদতিতে তার ভিন্নাণুর পরিস্ফুটন ঘটান। অন্যদিকে মিলেন সাম্ভার চাচাত বোন মিতা পুত্রসন্তানের আশার এখন পাঁচ কন্যাসন্তানের জননী।

(ক) নিউক্লিওপ্রোটিন কাকে বলে?

উত্তর : নিউক্লিওপ্রোটিন হলো নিউক্লিক এসিড এবং প্রোটিনের জটিল যৌগ। নিউক্লিক এসিড DNA বা  RNA হতে পারে।  রাইবোসোম ও ক্রমোজোম হলো নিউক্লীয় এসিডের উদাহরণ।

(খ) জীবন্ত জীবাশ্ম বলতে কী বুঝায়?

উত্তর : যে সকল জীব সুদূর অতীতে সৃষ্টির সময় থেকে আজ পর্যন্ত কোনো রকম পরিবর্তন ছাড়াই জীবিত আছে এবং যাদের সমসাময়িক জীবেদের বিলুপ্তি হয়েছে তাদেরকে জীবন্ত জীবাশ্ম বলে। যেমন – প্লাটিপাস, লিমিউলাস বা রাজকাঁকড়া ইত্যাদি জীবন্ত জীবাশ্মের উদাহরণ। এই সকল জীবেদের মধ্যে সৃষ্টির সময় থেকে আজ পর্যন্ত  আকার, আকৃতি, বা  কোনো রকম শারীরিক ও চারিত্রিক পরিবর্তন ঘটেনি। আদিকাল থেকে এই জীবগুলো পৃথিবীতে একই ভাবে বিচরণ করছে। 

(গ) মিসেস সান্তার ক্ষেত্রে ডাক্তার কোন বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করলেন? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : মিসেস সান্তার ক্ষেত্রে ডাক্তার টেস্টটিউব বেবি নামক পদ্ধতি অবলম্বন করেন। এই পদ্ধতিটি সর্বপ্রথম ১৯৫৯ সালে ইটালির বিজ্ঞানী ড. পেট্রসি (Dr. Petrucci) আবিষ্কার করেছিলেন। এই পদ্ধতিতে কৃত্তিম ভাবে দেহের বাইরে ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর মিলন ঘটিয়ে একটি ভ্রুন তৈরী করা হয় এরপর এই ভ্রূণকে মাতৃ জরায়ুতে কৃত্তিম ভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়। এই ভাবে বর্তমানে সন্তানের জন্ম দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এই পদ্ধতিতে ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর মিলন দেহের বাইরে হয় বলে একে ইনভিট্রো ফার্টিলাইজেশন বলে।

(ঘ) মিতার একই রকম সন্তান হওয়ার বিষয়টিকে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ কর।

উত্তর : প্রত্যেক মানুষের দেহের সকল কোষেই  ২৩ জোড়া করে ক্রোমোজোম থাকে। শুধু সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য মেয়েদের ডিম্বাণু এবং ছেলেদের শুক্রাণু অর্ধেক সংখক করে ক্রোমোজোম নিয়ে  গঠিত হয়। মেয়েদের ডিম্বাণু তৈরী হয় ২৩  জোড়া ক্রোমোজোমের থেকে একটি করে ক্রোমোজোম নিয়ে। তাই ডিম্বাণুতে ২২টি অটোজোম থাকে এবং একটি X ক্রোমোজোম থাকে। অপরদিকে ছেলেদের শুক্রাণুতে X ও Y নামক উভয় ক্রোমোজোমই বিদ্যমান থাকে।  তাই  ছেলেদের ক্ষেত্রে ২৩ জোড়া ক্রোমোজোম থেকে থেকে দুই ধরণের শুক্রাণু তৈরী করা যেতে পারে। এই শুক্রাণু তৈরী হবে  ২২টি অটোজোম ও একটি X ক্রোমোজোম দিয়ে এবং অপরটি তৈরী হবে ২২ টি অটোজোম ও একটি Y ক্রোমোজোম নিয়ে। তাই যদি একজন দম্পতির মধ্যে পুরুষের শরীরের থেকে ২২টি অটোজমে ও X ক্রোমোজোম স্ত্রীর ডিম্বাণুর সাথে মিলিত হয় তাহলে কন্যা সন্তানের জন্ম হবে। অপরদিকে যদি পুরুষের ২২টি অটোজোম ও Y ক্রোমোজোমের সম্পন্ন শুক্রাণু স্ত্রীর ডিম্বাণুর সাথে মিলিত হয় তাহলে পুত্র সন্তানের জন্ম হবে। তাই সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারিত হয় পুরুষের X ও Y ক্রোমোজোম সম্পন্ন শুক্রাণুর উপর। কারণ মহিলাদের শরীরে ডিম্বাণু শুধু X ক্রোমোজোম বিশিষ্ট হয়। তাই সবসময় X ক্রোমোজোম বিশিষ্ট ডিম্বাণুর সাথে পুরুষের Y ক্রোমোজোম বিশিষ্ট শুক্রানুর মিলন হলে পুত্র সন্তান হয় এবং X ক্রোমোজোম বিশিষ্ট শুক্রাণুর মিলন হলে কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। এই একই কারণে মিতার বারবার একই রকম সন্তান হচ্ছিলো। কেননা তার স্বামীর শরীরের X ক্রোমোজোম বিশিষ্ট শুক্রাণু সাথে মিতার ডিম্বাণুর মিলন ঘটেছিলো।

(২) জামান বিবর্তন অধ্যায়টি ভালো বুঝতে না পেরে তার বাবার কাছে যায়। বাবা সমসংস্থ ৰিবৰ্ত্তন সম্পর্কিত প্রমাণটি বুঝিয়ে দিলেন। এরপর জমান তার বাবার কাছে বিবর্তনের মতবাদ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি ল্যামার্কের মতবাদ ও ডারউইনের মতবাদ বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেন।

(ক) সেক্স ক্রোমোজোম কাকে বলে?

উত্তর : মানুষ এবং অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীদের শরীরে এক প্রকারের বিশেষ ক্রোমোজোম থাকে যা সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণ করে এই বিশেষ ক্রোমোজোম গুলিকে সেক্স ক্রোমোজোম বলে। মানব শরীরে একজন পুরুষে X ও Y নামক দুটি সেক্স ক্রোমোজোম থাকে এবং মহিলাদের শরীরে কেবল মাত্র একটি X সেক্স ক্রোমোজোম উপস্থিত থাকে। মহিলাদের শরীরের X ক্রোমোজোমের সাথে পুরুষের Y ক্রোমোজোম মিলিত হলে সন্তান ছেলে হয় এবং X ক্রোমোজোমে মিলিত হলে সন্তানটি কন্যা হয়। মানুষ ও স্তন্যপায়ী প্রাণীদের শরীরের এই বিশেষ ক্রোমোজোমকেই সেক্স ক্রোমোজোম বলে।

(খ) বিবর্তন বলতে কী বুঝায়?

উত্তর : জীবনের সৃষ্টি থেকে জীব বিভিন্ন ভাবে পরিবর্তিত হয়েছে এককোষী জীব থেকে বহুকোষী জীবের সৃষ্টি হয়েছে, উদ্ভিদে ক্লোরোফিলের সৃষ্টি হয়ে সালোকসংশ্লেষণ সম্ভব হয়েছে। বানর থেকে ক্রমে ক্রমে মানুষ সৃষ্টি হয়েছে এবং পৃথিবীর পরিবেশের সাথে সামঞ্জস্যতা বজায় রক্ষার জন্য জীব ও উদ্ভিদের মধ্যে এসেছে বিভিন্ন পরিবর্তন। জীব জগতের বিভিন্ন জীবের বংশ পরম্পরায় এই রকম ক্রমবর্ধমান পরিবর্তনকেই বিবর্তন বলা হয়।

(গ) বাবা কীভাবে ৰিবৰ্ত্তন সম্পর্কিত উল্লিখিত প্রমাণটি ব্যাখ্যা করলেন।

উত্তর : জামানের বাবা সমসংস্থ অঙ্গ বিবর্তন প্রক্রিয়াটি আলোচনা করেছিল। বিবর্তনের প্রমান স্বপক্ষে সমসংস্থ অঙ্গের প্রমান এক বিশেষ ভূমিকা রাখে। সমসংস্থ অঙ্গ প্রমানে বলা হয়েছে পাখির ডানা, বাদুড়ের ডানা,তিমির ফ্লিপার,  ঘোড়ার অগ্রপদ এবং মানুষের হাত এই সবই সমসংস্থ অঙ্গের উদাহর। উপর থেকে দেখলে এই অঙ্গগুলিকে আলাদা রকমের দেখতে হলেও এই অঙ্গগুলির অভন্তরীন কাঠামো পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে যে এই সকল জীবের এই অঙ্গগুলির  মৌলিক গঠন একই রকমের অর্থাৎ সকল জীবের এই অঙ্গগুলির অস্থি উপর থেকে নিচের দিকে সাজানো রয়েছে। শুধু পারিপার্শিক পরিবেশে কাজের ভিন্নতার জন্য এদের বাইরের গঠন ও ব্যাবহার আলাদা রকমের হয়েছে। তাই বিজ্ঞানীরা মনে করেন যে এই সকল জীবের উৎপত্তি একই জীবের থেকে হয়েছে শুধু বিবর্তনের জন্য এই সকল জীবের গঠন ও ব্যবহার আলাদা রকমের হয়েছে।

(ঘ) বাবার বুঝিয়ে দেওয়া মতবাদ দুটির মধ্যে কোনটি অধিকতর গ্রহণযোগ্য? তুলনামূলক আলোচনা করে মতামত দাও।

উত্তর : জামানের বাবা ল্যামার্কের মতবাদ ও চার্লস ডারউইনের দেওয়া জীবের বিবর্তন সম্পর্কিত মতবাদ দুটি আলোচনা করেছিলেন। জীবের বিবর্তনের সম্পর্কে সর্বপ্রথম ধারণাটি দিয়েছিলেন দিয়েছিলেন বিজ্ঞানী ল্যামার্ক ১৮০৯ খ্রিষ্টাব্দে। তিনি জীবের বিবর্তনের মতবাদ দিতে গিয়ে বলেছিলেন জীবের বিবর্তন হয়েছে জীবের অভ্যাসের কারণে অর্থাৎ কোনো জীব নিজের দৈনিক কর্মের জন্য যে সকল কাজের যে সকল অঙ্গকে বেশি ব্যবহার করতো সেই অঙ্গগুলি বেশি বিকশিত হয়েছে আর যে সব অঙ্গ ব্যবহার হতো না সেই সব অঙ্গ ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যেত। বিবর্তনের এই প্রক্রিয়াকে তিনি ব্যবহার ও  অবাবহারের সূত্র বলেছেন। এছাড়া তিনি আরো বলেছেন জীব বিবর্তনের জন্য পরিবেশের প্রভাব, অর্জিত বৈশিষ্ঠের বংশানুসরণ এবং পর্যায় ক্রমে নতুন জীবের উৎপত্তি। অপরদিকে, ডারউইন তার জীব বিবর্তনের মতবাদে প্রকাশ করেছেন অনেক বেশি বৈজ্ঞানিক ও গাণিতিক সূত্রের উপর ভিত্তি করে। চার্লস ডারউইন জীবের বিবর্তনের জন্য যে সকল তত্ত্বের কথা বলেছেন সেগুলি হলো অত্যাধিক হারে বংশবৃদ্ধি, সীমিত খাদ্য ও  বাসস্থান, অস্তিত্বের জন্য সংগ্রাম, প্রকরণ বা জীবদেহের পরিবর্তন, যোগ্যতমের জয়, প্রাকৃতিক নির্বাচন এবং পরিশেষে নতুন প্রজাতির  উৎপত্তি। ডারউইন মতবাদে জীব বিবর্তনকে অনেক বেশি তত্ত্ব ও বিশ্লেষণের সাথে প্রকাশ করেছিলেন। অন্যদিকে বিজ্ঞানী ল্যামার্ক এর মতবাদে অনেক সন্দেহ অবশিষ্ট রয়েগিয়েছিলো তাই আধুনিক বিজ্ঞানীরা তার মতবাদকে গ্রহণ করেননি। তাই আধুনিক জৈব বিজ্ঞানে ডারউইনের মতবাদকে মান্যতা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু জীব বিবর্তনের ধারায় ডারউইনের মতবাদও সম্পূর্ণ স্বীকৃত নয়, এখনো জীব বিবর্তনের অনেক প্রশ্নের উত্তর পাওয়া সম্ভব হয়নি।

 

More Solutions : 

Updated: October 31, 2023 — 8:11 am

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *