NCTB Class 9-10 Science Bengali Version Chapter 11 জীবপ্রযুক্তি Solution

NCTB Class 9-10 Science Bengali Version Chapter 11 জীবপ্রযুক্তি Solution

Bangladesh Board Class 9-10 Science Solution Chapter 11 জীবপ্রযুক্তি Solution  Exercises Question and Answer by Experienced Teacher.এখানে বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (NCTB) কর্তৃক প্রকাশিত নবম-দশম শ্রেণীর বিজ্ঞান বইয়ের একাদশ অধ্যায় জীবপ্রযুক্তি অনুশীলনের সমস্ত সমাধান দেওয়া হয়েছে।

NCTB Solution Class 9-10 Chapter 11 জীবপ্রযুক্তি : 

Board NCTB Bangladesh Board
Class 9-10
Subject Science
Chapter 11
Chapter Name জীবপ্রযুক্তি

জীবপ্রযুক্তি অনুশীলনী প্রশ্ন এবং উত্তর :

NCTB Class 9-10 Science Bengali Version Chapter 11 জীবপ্রযুক্তি Solution

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :

(১) সেক্স ক্রোমোজোমের সংখ্যা কতটি?

(ক) ১টি

(খ) ২টি

(গ) ২২টি

(খ) ৪৪টি

উত্তর :

(খ) ২টি

(২) ক্রোমোজোমে যে মৌলিক পদার্থ থাকে তা হলো:

(i) ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম

(ii) লৌহ ও ম্যাগনেসিয়াম

(iii) ক্যালসিয়াম ও অ্যালুমিনিয়াম

নিচের কোনটি সঠিক?

(ক) i ii

(খ)  ii iii

(গ) i iii

(ঘ) i, ii iii

উত্তর :

(গ) i ও iii

পাশের চিত্রটি থেকে ৩ ও ৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

(৩) চিত্রটি কিসের?

(ক) DNA

(খ) RNA

(গ) ক্রোমোজোম

(ঘ) নিউক্লিওলাস

উত্তর :

(গ) ক্রোমোজোম

(৪) চিত্রের কোন অংশটি সেন্ট্রোমিয়ার?

(ক) A

(খ) B

(গ) C

(ঘ) D

উত্তর :

(ঘ) D

সৃজনশীল প্রশ্ন :

(১) নিচের চিত্রটি দেখ এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।

(ক) RNA-এর পুরো নাম লিখ।

উত্তর : RNA -এর নাম হলো রাইবোনিউক্লিক এসিড। জীব কোষের  RNA মূলত তিন রকমের যথা – (১) বার্তা বাহক RNA, (২)  রাইবোজোমাল RNA এবং (৩) ট্রান্সফার RNA। RNA-তে শুধুমাত্র একটি পলিনিউক্লিওটাইড শেকল থাকে এবং পাঁচটি  কার্বন বিশিষ্ট  রাইবোজ শর্করা ও ফসফেট   দ্বার গঠিত একটি মাত্র পার্শ্ব কাঠামো নিয়ে নির্মিত।

(খ) DNA টেস্ট কী? বুঝিয়ে লিখ ।

উত্তর : যদি কোনো সন্তানের পিতৃত্ব বা মাতৃত্ব নিয়ে যদি কোনো বিরোধ বা সন্দেহ তৈরী হয় তবে সেই সন্তানের কোনো জীবকোষের (চুল, নখ, লালা, রক্ত) DNA -এর সাথে মাতা ও পিতার DNA পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর যদি সেই সন্তানের DNA যদি ওই মাতা-পিতার DNA -এর সাথে ৫০ শতাংশ মিল পাওয়া যায় তাহলে সেই সন্তানকে ওই মাতা-পিতার জৈব সন্তান হিসেবে মান্যতা প্রদান করা হয়। এই ভাবে কোনো সন্তানের প্রকৃত ও জৈব মাতা-পিতার বিশ্লেষণকে DNA টেস্ট বলে। বর্তমানে DNA টেস্টের সাহার্য্যে শুধু সন্তানের মাতা-পিতা খোজ পর্যন্ত সীমাবদ্ধ নয়,  দুষ্কার্যে ও কোনো অপরাধমূলক কাজে নিযুক্ত অপরাধীর সত্যতা যাচাই করার জন্যও DNA টেস্ট পদ্ধতির সাহার্য্য নেওয়া হয়।

(গ) আদি কোষের ক্ষেত্রে ওপরের চিত্ররূপটি ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : প্রদপ্ত চিত্রে আদি কোষ অর্থাৎ নিউক্লিয়াসের যে স্থানগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে সেগুলি হলো যথা – নিউক্লিয়ার রন্ধ, নিউক্লিওলাস এবং ক্রোমাটিন তন্তু। এই সবই একটি কোষের নিউক্লিয়াসের অংশ বিশেষ। প্রত্যেক সজীবকোষের মধ্যে নিউক্লিয়াস বিদ্যমান থাকে। নিউক্লিওয়াসের মধ্যে জীবদেহরে জন্য বিভিন্ন প্রয়োজনীয় উপাদান থাকে। ক্রোমোজোম হলো সেই রকম একটি উপাদান। জীবকোষের  নিউক্লিয়াসের নিউক্লিওপ্লাজমে  ক্রোমাটিন ফাইবার বা তন্তু উপস্থিত থাকে। কোষ বিভাজনের সময় এই তন্তু গুলি সুতার মতো আকার ধারণ করে এগুলোকেই ক্রোমোজোম বলে। নিউক্লিয়াসের নিউক্লিয়ার রন্ধ নিউক্লিওয়াসের মধ্যে বিভিন্ন উপাদানের আদান প্রদান করতে সাহার্য্য করে। নিউক্লিওলাস নিউক্লিয়াসের প্রোটিন ও DNA সংশ্লেষে সাহার্য্য করে।

(ঘ) A এবং C-এর মধ্যে কোনটি লিঙ্গ নির্ধারণে অধিক গুরুত্বপূর্ণ বিশ্লেষণ কর।

উত্তর : প্রদপ্ত চিত্রের A অর্থাৎ নিউক্লিয়োরন্ধ এবং C অর্থাৎ ক্রোমাটিন তন্তু বা ক্রোমোজোম। এর মধ্যে লিঙ্গ নির্ধারণের জন্য ক্রোমাটিন তন্তু অধিক গুরুপ্তপূর্ন ভূমিকা পালন করে। প্রত্যেক জীব কোষের মধ্যে সবসময় সমসংখক ক্রোমোজোম বিদ্যমান থাকে অর্থাৎ কোনো জীবের দেহে ২২টি ক্রোমোজোম থাকলে ওই জীব থেকে সৃষ্ট প্রত্যেক জীবদেহে ২২টি করেই ক্রোমোজোম বিদ্যমান থাকবে। আবার  প্রত্যেক জীবদেহ দুরকমের ক্রোমোজোম থাকে এক অটোজোম এবং দ্বিতীয়টি সেক্স ক্রোমোজোম। সেক্স ক্রোমোজোমকে X ও Y দ্বারা প্রকাশ করা হয়। অর্থাৎ কোনো জীবের ২২টি ক্রোমোজোম থাকলে সেখানে দুটি সেক্স ক্রোমোজোম ও ২০টি অটোজোম থাকবে। জীবের এই X ও Y ক্রোমোজোমি জীবের লিঙ্গ নির্ধারণ করে। কারণ উন্নত প্রাণী যেমন মানুষের মধ্যে স্ত্রীদের শরীরে শুধু X সেক্স ক্রোমোজোম থাকে এবং পুরুষদের শরীরে X ও Y দুটো সেক্স ক্রোমোজোম থাকে। তাই যখন স্ত্রী শরীরের ডিম্বাণুর X ক্রোমোজোমের মধ্যে পুরুষের শরীরের Xক্রোমোজোম মিলিত হলে সন্তান মেয়ে হয় এবং Y ক্রোমোজোম মিলিত হলে সন্তান পুরুষ বা ছেলে হয়। তাই বলা যায় প্রদপ্ত চিত্রের A ও C এর মধ্যে C লিঙ্গ নির্ধারণে গুরুপ্তপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

(২) ফারিহা তার আব্বুর সাথে কৃষি খামারে বেড়াতে যায়। সেখানে সে টমেটো, ভাষাক, ভুট্টা, পেঁপেসহ অনেক প্রজাতির উদ্ভিদ দেখতে পায়, যা বেশ সতেজ ও রোগজীবাণুমুক্ত। কিন্তু বাড়িতে লাগানো উদ্ভিদগুলো রোগাক্রান্ত। সে তার আব্বুর নিকট এর কারণ আসতে চাইল। আব্বু বললেন, খামারের উদ্ভিদে জিন বিনিময় প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে

(ক) নিউক্লিয়াস কাকে বলে?

উত্তর : নিউক্লিয়াস হলো কোষের কেন্দ্রে অবস্থিত প্রোটোপ্লাজম পর্দা দ্বারা আবৃত গোলাকার অংশ যা কোষের সকল জৈবনিক কার্য-প্রণালী নিয়ন্ত্রন করে। নিউক্লিয়াসে জীবদেহের জন্য প্রয়োজনীয় সকল উপাদান থাকে। যেমন – ক্রোমোজোম, DNA, RNA, প্রোটিন, জীন ইত্যাদি।

(খ) সিকিলসেল রোগ বলতে কী বুঝায়?

উত্তর : সিকিলসেল রোগ হলো একটি জেনেটিক রোগ। মানব জিনে পয়েন্ট মিউটেশনের জন্য মানুষের রক্তকণিকায় এই রোগটি হয়। এই রোগের কারণে মানুষের দেহে লোহিত রক্ত কণিকা গুলো চ্যাপ্টা হওয়ার পরিবর্তে কিছুটা কাস্তের আকারের হয়। এই সিকিল সেল গুলো রক্তনালীগুলোতে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে এর ফলে রোগীর প্রচন্ড ব্যাথা অনুভূত হয়। এছাড়া এই প্রকার রক্তকণিকা গুলো দ্রুত ভেঙে যায় কিন্তু পুনরায় তৈরী হওয়ার জন্য কিছু সময় নেয় এই কারণে এই রোগে আক্রান্ত রোগীর দেহে রক্তশুন্য অবস্থার সৃষ্টি হয়।

(গ) উদ্দীপকে উল্লিখিত প্রযুক্তিটি ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : উদ্দীপকে উলিখিত প্রযুক্তিটিকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বা জিন প্রকৌশল বলা হয়। এই প্রযুক্তিতে কোনো জিনের মধ্যে কৃত্তিম ভাবে পরিবর্তন করা সম্ভব হয়। প্রত্যেক জীবের মধ্যে বিভিন্ন জিন উপস্থিত থাকে কিন্তু এই সকল জিনই ওই জীবের জন্য সুরক্ষিত বা মঙ্গলজনক নয়। জীব দেহে এমন অনেক জীন আছে যা জীবের ক্ষতিসাধন করে বা তাদেরকে দুর্বল করে দেয়। এই প্রকার জিনকে জীবদেহ থেকে আলাদা করা বা কোনো জীবদেহে নতুন একটি বৈশিষ্ঠের সৃষ্টির জন্য কৃত্তিম ভাবে জিনের পরিবরণ করাকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বা জিন প্রকৌশল প্রযুক্তি বলে। ফারিহা কৃষি খামারের সে সমস্ত প্রজাতির উদ্ভিদ দেখতে পেয়েছিলো সেগুলিকে রোগজীবাণু থেকে মুক্ত ও সতেজ থাকার জন্য বিশেষ ভাবে জিন প্রকৌশল প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরী করা হয়েছিল। এই কারণে বাড়িতে উৎপাদিত উদ্ভিদের মতো এই উদ্ভিদগুলি নিস্তেজ বা রোগজীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয়নি।

(ঘ) উদ্দীপকে উল্লিখিত প্রযুক্তি কৃষির উন্নতিসাধনে কীভাবে ব্যবহৃত হয়েছে? বিশ্লেষণ কর।

উত্তর : উদ্দীপকের উল্লিখিত প্রযুক্তি অর্থাৎ জিন প্রকৌশল বা জিন বিনিময় প্রযুক্তি কৃষির ব্যাপক উন্নতি সাধন করেছে। বিভিন্ন ফসলের প্রাকৃতিক দুর্বলতা গুলোকে সরিয়ে এবং কম খরচে ও অল্প জমিতে বেশি পরিমান ফসল উৎপাদন করার জন্য বিজ্ঞানীরা প্রাকৃতিক ফসলের জিন পরিবর্তন করে এক নতুন ফসলের সৃষ্টি করেছে। এই প্রযুক্তির ফলে কোনো একটি নির্দিষ্ট ফসলের কোনো নির্দিষ্ট চাহিদাকেও পরিবর্তন করা সম্ভব হয়েছে। যেমন কোনো ফসলে অধিক মাত্রায় জলের প্রয়োজন হলে সেই ফসলকে কম জলের মধ্যে ফলানো বা কোনো ফসলের তাপমাত্রা সহন ক্ষমতা কম থাকলে সেই ক্ষমতাকে বাড়ানো ইত্যাদি এই প্রযুক্তির মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। এর ফলে বর্তমানে যেমন খাদ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে ফসলের ফলন ক্ষমতা বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়েছে। এমনকি এই প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিশেষজ্ঞরা এমন ফসল তৈরী করতে পেরেছে যা নিজে থেকেই বিভিন্ন রোগজীবাণুর সাথে মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে। ফলে অতিরিক্ত কীটনাশকের ব্যবহার করার প্রয়োজন হয় না।  তাই সামগ্রিক ভাবে বলা যায় বর্তমানে জিন প্রকৌশল প্রযুক্তি কৃষির উন্নতি সাধনে এক গুরুপ্তপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

 

More Solutions : 

Updated: October 31, 2023 — 8:16 am

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *