NCTB Class 9-10 Science Bengali Version Chapter 2 জীবনের জন্য পানি Solution
Bangladesh Board Class 9-10 Science Solution Chapter 2 জীবনের জন্য পানি Solution Exercises Question and Answer by Experienced Teacher.এখানে বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (NCTB) কর্তৃক প্রকাশিত নবম-দশম শ্রেণীর বিজ্ঞান বইয়ের দ্বিতীয় অধ্যায় জীবনের জন্য পানি অনুশীলনের সমস্ত সমাধান দেওয়া হয়েছে।
NCTB Solution Class 9-10 Chapter 2 জীবনের জন্য পানি :
Board | NCTB Bangladesh Board |
Class | 9-10 |
Subject | Science |
Chapter | 2 |
Chapter Name | জীবনের জন্য পানি |
জীবনের জন্য পানি অনুশীলনী প্রশ্ন এবং উত্তর :
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :
(১) কোন উদ্ভিদটি পানিতে এবং স্থলে উভন্ন জায়গায় জন্মে?
(ক) ল্যাগুলা
(খ) সিংগারা
(গ) কলমি
(ঘ) ক্ষুদিপানা
উত্তর :
(গ) কলমি
(২) পানির pH এর মান খুব কমে গেলে জলজ প্রাণীর
(i) অঙ্গপ্রত্যল সঠিকভাবে বিকশিত হবে না
(ii) দেহাভ্যন্তরে খনিজ পদার্থ কমে যাবে
(iii) রোগব্যাধি সৃষ্টি হবে
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) i ও ii
(গ) ii ও iii
(খ) i ও ill
(খ) i, ii ও iii
উত্তর :
(খ) i, ii ও iii
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
অনিক ও তুষার দুজনে দুটি পুকুরে মাছ চাষ করে। অনিকের পুকুরের মাছের বৃদ্ধি সন্তোষজনক। আর তুষারের পুকুরের মাছগুলো দুর্বল; এদের অঙ্গপ্রত্যগুলো সঠিকভাবে বিকশিত হয়নি। পরীক্ষা করে দেখা গেল অনিকের পুকুরের পানির pH ৭.৫ ও তুষারের পুকুরের পানির pH ৫.৫।
(৩) অনিকের পুকুরের পানি কোন ধরনের?
(ক) এসিডিক
(খ) ক্ষারীয়
(প) নিরপেক্ষ
(খ) ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ
উত্তর :
(খ) ক্ষারীয়
(৪) তুষারের পুকুরের পানিতে নিচের কোনটি প্ররোপ করা উচিত?
(ক) এসিড
(খ) ক্ষার
(গ) ক্যালসিয়াম
(খ) ফসফরাস
উত্তর :
(খ) ক্ষার
সৃজনশীল প্রশ্ন :
(১) পাশের চিত্রটি দেখে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
(ক) পানিতে দ্রবীভূত কোন গ্যাসের সাথে গ্লুকোজ বিক্রিয়া করে?
উত্তর : জলে দ্রবীভূত অক্সিজেন গ্যাসের সাথে গ্লুকোজ বিক্রিয় করে। অক্সিজেনের সাথে গ্লুকোজ এর বিক্রিয়া কার্বন ডাই অক্সাইড এবং জল উৎপন্ন করে।
(খ) পানির পুনরাবর্তন বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : আমাদের পৃথিবীর ৭৫ ভাগ অংশই বিভিন্ন নদীনালা, সমুদ্র, খালবিল এবং বৃহদাকার সমুদ্র দিয়ে গঠিত। এই সকল স্থানের জল বাষ্পীভূত হয়ে বায়ুমণ্ডলের ওপরের উঠে যায় এবং বায়ুর দ্বারা প্রবাহিত হয়ে স্থলভুমিতে বৃষ্টির আকারে ঝরে পরে এবং পুনরায় নদীতে এবং নদী থেকে সমুদ্রে পৌঁছে যায়। জলের এই চক্রায়িত আবর্তনকে জলের পুনরাবর্তন বলে। জলের এই পুনরাবর্তনের জন্যই পৃথিবীতে জলের সামঞ্জস্যতা বজায় থাকে। যেমন – মানুষ ক্রমাগত ভূগর্ভস্থ জল নিস্কাসন করে চলেছে ফলে ভূগর্ভস্থ জলস্তর ক্রমাগত নিচে নামতে থাকে কিন্তু বৃষ্টির সময় বৃষ্টির জল মাটির বিভিন্ন ফাঁকফোকর ও ছিদ্র বা ফাটলের মধ্যে দিয়ে প্রবেশ করে ভূগর্ভস্থ জলস্তরকে পুনরায় ভরিয়ে তোলে। এই জলচক্রের জন্যেই আমাদের পৃথিবীতে নদী, সমুদ্র ও বিভিন্ন জলাশয়ের জল কোনোদিন শেষ হয় না।
(গ) নদীটি কোন ধরনের নদীতে পরিণত হতে পারে? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : প্রদপ্ত চিত্রের নদীটি একটি দূষিত ও জলজ প্রাণীদের বসবাসের অযোগ্য নদীতে পরিণত হবে। কারণ এই নদীতে কলকারখানার দূষিত জল,শহরের নালার নোংরা আবর্জনা, নদীতে স্টিমার, নৌকা ইত্যাদি থেকে বিভিন্ন আবর্জনা এবং ইঞ্জিনের তেল জলে মিশ্রিত হচ্ছে। এই সকল কারণে নদীটি একটি দূষিত নদীতে পরিণত হয়েছে। নদীর জলে বিভিন্ন দূষিত পদার্থ মিশ্রিত হওয়ার ফলে নদীটির জল ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। নদীটির মধ্যে মিশ্রিত এই বিশাল পরিমান নোংরা আবর্জনা এবং তেলের মিশ্রনের ফলে নদীর জল ঘোলা বা অস্বচ্ছ হয়ে গিয়েছে ফলে জলের নিচে অবস্থিত বিভিন্ন জলজ উদ্ভিদগুলির সালোকসংশ্লেষন বন্ধ হয়ে যাবে কারণ ঘোলা বা অস্বচ্ছ জল ভেদ করে সূর্যের আলোকরশ্মি জলের গভীরে পৌঁছতে পারবে না। এছাড়া জলের বিষাক্ত হয়ে ওঠার কারণে এই নদীতে থাকা সকল জলজ প্রাণীদের বিলুপ্তি হয়ে যাবে।
(ঘ) তুমি কি মনে কর নদীটিকে জলজ প্রাণী বসবাসের উপযোগী করা সম্ভব? যুক্তিসহ মতামত দাও।
উত্তর : প্রদপ্ত নদীটিকে পুনরায় জলজ প্রাণীদের বসবাসের উপযোগী করে তোলা সম্ভব কিন্তু এর জন্য প্রচুর সময় এবং সকলের একাগ্র সহযোগিত আবশ্যিক। নদীটিকে সর্বপ্রথম কলকারখানা, শহরের নালা নর্দমা, ভাসমান নৌকা বা স্ট্রিমারের থেকে দূষিত পদার্থ মিশ্রিত হয় রোধ করতে হবে। যাতে আগে থেকেই দূষিত নদীতে আর বেশি পরিমানে দূষিত পদার্থ মিশ্রিত না হয়। এরপর নদীতে বিশাল পরিমানে সাফাই কার্য চালাতে হবে যাতে নদীর জলের তলায় ও উপরে ভাসমান বিভিন্ন আবর্জনা পরিষ্কার হয়ে যায় এবং জল তার স্বচ্ছতা পুনরায় ফিরে পায় ও জলজ উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষণ পক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে। এই ভাবে ধীরে ধীরে দীর্ঘ প্রচেষ্টার মধ্যে দিয়ে নদীটিকে পুনরায় জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদের বসবাসের উপযুক্ত করে তোলা সম্ভব হবে।
(২) জমিলা খাতুন বাড়ির পাশের পুকুরের ঘোলা পানিকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় রান্নার উপযোগী করেন। অপরদিকে রতন সাহেব তার পানি বোতলজাতকরণ কারখানার ও ঔষধ তৈরির কারখানার পানিকে জীবাণুমুক্ত ও বিশুদ্ধ করে ব্যবহার করেন।
(ক) পানির স্ফুটনাঙ্ক কাকে বলে?
উত্তর : যে নির্দিষ্ট উষ্ণতায় জলে বাস্পে পরিণত হয় সেই উষ্ণতাকে আমরা জলের স্ফুটনাঙ্ক বলে। জলের স্বাভাবিক বায়ুরচাপে জলের সফুটনাঙ্ক হলো ৯৯.৯৮° সেলসিয়াস। কিন্তু আমরা সহজ করে একে ১০০° সেলসিয়াস বলি। সাধারণ বায়ুর চাপে যে নির্দিষ্ট উষ্ণতায় কোন তরল বাস্পে পরিণত হয় সেই নির্দিষ্ট উষ্ণতাকে ওই তরলের স্ফুটনাঙ্ক বলে। যেমন জলের স্ফুটনাঙ্ক ১০০° সেলসিয়াস।
(খ) জলজ উদ্ভিদ পানির স্রোতে ভেঙে যায় না কেন?
উত্তর : জলজ উদ্ভিদ জলের স্রোতেও ভেঙে পরে না কারণ জলজ উদ্ভিদের কান্ড ও অন্যান বিভিন্ন অঙ্গ খুবই নমনীয় হয়। জলজ উদ্ভিদের বিভিন্ন শাখা প্রশাখা গুলি জলের মধ্যেই ভর করে থাকে এবং জলের স্রোতের ডেকে প্রবাহিত হয়। এই কারণে জলজ উদ্ভিদ জলের স্রোতের কারণে ভেঙে পরে না।
(গ) জমিলা খাতুন পুকুরের পানিকে কীভাবে রান্নার উপযোগী করেন? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : জামিলা খাতুন বিভিন্ন ভাবে বাড়ির পাশের পুকুরের ঘোলা ও নোংরা জলকে পরিস্রুত করতে পারেন। যেমন – পরিস্রাবন, ক্লোরিনেশন, স্ফুটন, পতন ইত্যাদি মাধ্যমে। তবে জামিলার মা এখানে সাদাহরণ ভাবে হয়তো পরিস্রাবন ও স্ফুটন পদ্ধতির মাধ্যমেই জলের পরিশ্রুতিকরণ সম্পন্ন করেছেন। পরিস্রাবন পক্রিয়ার মাধ্যমে জামিলার মা জলের মধ্যে উপস্থিত বিভিন্ন রকমের ধুলোবালির কনা থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকমের আবর্জনাকে জল থেকে আলাদা করতে পারবে। এর জন্য জামিলার মা পুকুরের নোংরা জলক ফিল্টার করেছেন অর্থাৎ পুকুরের নোংরা জলকে প্রথমে বলি, নুড়ির ও কয়লার স্তর দিয়ে প্রবাহিত করেছেন এবং পরে একটি সূক্ষ্ম কাপড়ের স্তর দিয় প্রবাহিত করে জলকে পরিস্রুত করেছেন এর পরে তিনি জলের বিভিন্ন অণুজীবেদের মারার জন্য সেই জলকে স্ফুটন পক্রিয়ার সাহার্য্যে নিয়েছেন। জলকে তার স্ফুটনাংকে ১০ থেকে ১৫ মিনিট ফোটালে জলের বেশির ভাগ ক্ষতিকর অনুজীব নষ্ট হয়ে যায় এবং জল পানীয়ের উপযুক্ত হয়ে উঠে।
(ঘ) রতন সাহেব তার দুই করখানার কাজে ব্যবহার করা পানি কি একইভাবে জীবাণুমুক্ত ও বিশুদ্ধ করেন? যুক্তিসহ মতামত দাও।
উত্তর : না, রতন সাহেব তার কারখানায় ব্যবহার করার জলকে একই পক্রিয়ায় পরিস্রুত করেনি। তিনি পাতন পক্রিয়ার সাহার্য্যে জলকে পরিস্রুত করেছেন। জলের মধ্যে থেকে দূষিত পদার্থ এবং জলের বিভিন্ন অনুজীবদের সম্পূর্ণ ভাবে নষ্ট করার জন্য পাতন পক্রিয়া বিশেষ ভূমিকা রাখে। এই পক্রিয়াতে জলকে তাপ দিয়ে প্রথমে বাস্পে পরিণত করা হয় এবং পরে ওই বাস্পকে আবার ঘনীভূত করে জলে পরিণত করা হয়। এর ফলে এই পক্রিয়ার মাধ্যমে পরিস্রুত করা জল ওষুধ তৈরী করার জন্য, বিভিন্ন রাসায়নিক পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য ব্যবহার করা হয়। তাই রতন সাহেব তার দুই কারখানার কাজে ব্যবহার করার জন্য জলকে জামিলার মায়ের মতো পরিস্রাবন বা স্ফুটন পক্রিয়ার ব্যবহার করেন না কারণ এই পক্রিয়াতে জল পরিস্রুত হলেও সেই জলে কিছু পরিমান দূষণ বজায় থাকে যা রতন সাহেবের কারখানায় ঔষধ তৈরির জন্য বিপদজনক হতে পারে। এই কারণে রতন সাহেব জলকে সম্পূর্ণ ভাবে জীবাণু মুক্ত ও পরিস্রুত করার জন্য পাতন পক্রিয়ার সাহায্য নিয়েছেন।
More Solutions :