NCTB Class 9-10 Science Bengali Version Chapter 9 দুর্যোগের সাথে বসবাস Solution

NCTB Class 9-10 Science Bengali Version Chapter 9 দুর্যোগের সাথে বসবাস Solution

Bangladesh Board Class 9-10 Science Solution Chapter 9 দুর্যোগের সাথে বসবাস Solution  Exercises Question and Answer by Experienced Teacher.এখানে বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (NCTB) কর্তৃক প্রকাশিত নবম-দশম শ্রেণীর বিজ্ঞান বইয়ের নবম অধ্যায় দুর্যোগের সাথে বসবাস অনুশীলনের সমস্ত সমাধান দেওয়া হয়েছে।

NCTB Solution Class 9-10 Chapter 9 দুর্যোগের সাথে বসবাস : 

Board NCTB Bangladesh Board
Class 9-10
Subject Science
Chapter 9
Chapter Name দুর্যোগের সাথে বসবাস

দুর্যোগের সাথে বসবাস অনুশীলনী প্রশ্ন এবং উত্তর :

NCTB Class 9-10 Science Bengali Version Chapter 9 দুর্যোগের সাথে বসবাস Solution

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :

(১) কোন দুর্যোগটি শুধু সাগরে সংঘটিত হয়?

(ক) কালবৈশাখী

(গ) সুনামি

(খ) ভূমিকম্প

(খ) বন্যা

উত্তর :

(গ) সুনামি

(২) গ্রিন হাউস গ্যাস বৃদ্ধির কারণ

(i) যানবাহন

(ii) শিল্পকারখানা

(iii) বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্ৰ

নিচের কোনটি সঠিক?

(ক) i ii

(খ) ii iii

(গ) i iii

(ঘ) i, ii iii

উত্তর :

(ঘ) i, ii ও iii

পাশের চিত্র অবলম্বনে ৩ ও ৪ প্রশ্নের উত্তর দাও।

(৩) চিত্রে প্রদর্শিত কারখানা থেকে কোন গ্যাস নির্গত হয় না?

(ক) SO2

()CO2

(গ) NH3

(ঘ) NO2

উত্তর :

(খ)CO2

(৪) উপরের কারখানা হতে নির্গত গ্যাসের মাধ্যমে সৃষ্ট এসিড বৃষ্টি মানুষের কোন রোগটি সৃষ্টি করে?

(ক) বহুমুত্র

(গ) ক্যান্সার

(খ) অ্যাজমা

(ঘ) হার্ট অ্যাটাক

উত্তর :

(গ) ক্যান্সার

সৃজনশীল প্রশ্ন :

(১) নওশাদ মিয়ার বাড়ি বরগুনা জেলায়। তার বরস ৭০ বছর। ২০০৭ সালের ঘূর্ণিঝড় সিডরে তিনি ছাড়া সবাই মারা যান। ঘরবাড়ি সবকিছু ঝড়ে উড়ে যায়। ঝড়ের পূর্বাভাস পেয়ে স্বেচ্ছাসেবক দল করেক মাইল দূরের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পরার্শ দেন। নওশা মিয়া এবং তার পরিবার কেউ আশ্রয়কেন্দ্রে যাননি। সাদ সাহেব আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার তার বাড়িঘর বাংস হলেও পরিবারের সকল সদস্য বেঁচে আছে। আত্মীয়-পরিজনহীন অসহায় বৃদ্ধ নওশাদ মিরা এখন শুধুই আফসোস করেন যে কেন তিনি সাদ সাহেবের সাথে সবাইকে নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে গেলেন না?

(ক) সাইক্লোন কী?

উত্তর : প্রচন্ড প্রলয়কারী বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টি হলে তাকে সাইক্লোন বলা হয়। এই সময় একটি ছোট স্থানে প্রচন্ড গতিবেগের বায়ু ধ্বংস লীলা চালায়। মূলত বায়ু মন্ডলের উচ্চ চাপ ও নিম্ন চাপের কারণে সাইক্লোনের সৃষ্টি হয়। বায়ুমণ্ডলের উচ্চ চাপ যুক্ত অঞ্চলের বায়ু নিম্ন চাপ যুক্ত অঞ্চনের দিকে প্রবাহিত হয়ে একটি বৃহদ আকারের ঝড়ের সৃষ্টি করলে তাকে সাইক্লোন বলে। সাইক্লোন তৈরী হওয়ার জন্য ২৭° সেলসিয়াস তাপমাত্রার প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশের পাশেই রয়েছে বঙ্গোপসাগর তাই প্রত্যেকবছর এখানে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয় এবং বাংলাদেশের মাটিতে প্রত্যেক বছর আছড়ে পরে এবং প্রচুর ধ্বংসলীলা চালায়। সাইক্লোন শব্দটি এসেছে একটি গ্রিক শব্দ Kyklos থেকে যার অর্থ হলো সাপের কুন্ডলি বা Coil of Sankes। সাইক্লোনের মধ্যে হাওয়া প্রচন্ড গতিবেগে চক্রাকারে ঘুরতে থাকে ফলে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই ঝড়ের জন্য চাষবাস, ঘরবাড়ি ও প্রাণহানি হয়।

(খ) বৈশ্বিক উষ্ণতা ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : বৈশ্বিক উষ্ণতা অর্থাৎ বিশ্ব উস্ন্যায়ন বা Global Warming এর অর্থ হলো সমগ্র বিশ্বের সামগ্রিক  উষ্ণতার বৃদ্ধি হওয়া। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের অধিক্য হওয়ার কারণে সূর্য থেকে আগত আলোকরশ্মির অধিকাংশই এই গ্যাস গুলিতে শোষিত হয়ে পৃথিবীর উষ্ণতা বাড়িয়ে তুলছে একেই বৈশ্বিক উস্ন্যায়ন বা গ্লোবাল ওয়ার্মিং বলে অভিহিত করা হয়। পৃথিবীর বুকে মানব সভ্যতা যত উন্নত হয়েছে পরিবেশের ততই ক্ষতি সাধন হয়েছে। মানুষ নিজের কাজের জন্য, আনন্দ ও  বিলাসিতার জন্য বিভিন্ন যন্ত্রের আবিষ্কার করেছে যা প্রকৃতির সকল উপাদান অর্থাৎ বায়ু, জল, মাটি সব কিছুকে দূষিত করে চলেছে। এই সকল যন্ত্র এবং যানবাহন চলার জন্য শক্তির প্রয়োজন হয় আর এই শক্তি উৎপন্ন হয় জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে। এই জ্বালানি দহনের ফলে তৈরী হয় বিষাক্ত গ্যাস যথা – কার্বনডাই অক্সাইড, কার্বনমনোঅক্সাইড, CFC ইত্যাদি যা বায়ু  মন্ডলের মিশ্রিত হয়ে পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধি করতে সাহার্য্য করে। আবার, মানুষ তার বাসস্থান, কলকারখানা, অফিস, বিদ্যুৎকেন্দ্র ইত্যাদি স্থাপনের জন্য ক্রমাগত বনভূমি ও জঙ্গল ধ্বংস করে চলেছে। ফলে পৃথিবীর প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মাটি ক্ষয় হচ্ছে, অনাবৃষ্টি দেখা দিচ্ছে, মরুভূমির আকার বৃদ্ধি পাচ্ছে ইত্যাদি। এই সকল কারণের একত্রীকরণের জন্য বর্তমান পৃথিবীতে তৈরী হয়ে এক ভয়াভয় পরিস্থিতি যার না বৈশ্বিক উস্ন্যায়ন বা গ্লোবাল ওয়ার্মিং।

(গ) উদ্দীপকে উল্লিখিত ঘূর্ণিঝড় কীভাবে সৃষ্টি হয়? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : ঘূর্ণিঝড় বা সাইক্লোন সৃষ্টি হয় বায়ুমণ্ডলে নিম্নচাপ সৃষ্টি হলে। বায়ুমন্ডলের এই নিম্নচাপ যুক্ত অঞ্চলে আশপাশের জ্বালিয়ো বাস্পপূর্ণ বায়ু একত্রিত হতে থাকে। এর ফলে এই নিম্নচাপযুক্ত অঞ্চলের মধ্যে উপস্থিত বায়ুর গতিবেগ অনেক বেশি বৃদ্ধি পায় এবং চক্রাকারে আবর্তিত হতে থাকে। এই ভাবে  ঘূর্ণিঝড় বা সাইক্লোনের উৎপত্তি হয়। বায়ুমণ্ডলের এই নিম্নচাপ যুক্ত অঞ্চলগুলি প্রধানত সমুদ্রের মধ্যে উৎপন্ন হয় এবং ধীরে ধীরে স্থলভাগের দিকে অগ্রসর হয়। এই কারণে বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ সৃষ্টি হলে তা বাংলাদেশ ও ভারতের উপকুলবর্তী এলাকা গুলোকে প্লাবিত করে এবং ঘূর্ণিঝড় উৎপন্ন হলে এই অঞ্চল গুলি সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

(ঘ) নওশাদ মিয়া ঘূর্ণিঝড়ের কবল হতে রেহাই পাওয়ার জন্য কী কী পদক্ষেপ নিতে পারতেন? বিশ্লেষণ কর।

উত্তর : সাইক্লোন বা ঘূর্ণিঝড় একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা অপদা তাই একে প্রতিরোধকরা অসাধ্য। কিন্তু কিছু সাবধানতা অবলম্বন করে এর থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে। নওশাদ মিয়া দুর্যোগের সময় কিছু সাবধানতা অবলম্বন করলে এর প্রকোপ থেকে রেহাই পেতে পারতেন। নিম্নে এই সাবধানতা গুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো –

(১) আবহাওয়া দফতর সাইক্লোন বা ঘূর্ণিঝড় আসার পূর্বাভাস অনেক আগে থেকেই প্রচারিত করে। কারণ এখন উন্নত প্রযুক্তি ও কৃত্তিম উপগ্রহের সাহার্য্যে আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা সবসময় আবহাওয়ার উপর নজর রেখে চলেছে। তাই আবহাওয়া সংক্রান্ত খবর মনোযোগ সহকারে শোনা দরকার।

(২) ঘূর্ণিঝড় বা সাইক্লোনের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সংবাদ পেলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিজের নিজের এলাকার ত্রাণকেন্দ্র ও সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যেতে হবে। কারণ এই সরকারি আশ্রয়কেন্দ্র গুলিকে প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা করার জন্য বিশেষ ভাবে তৈরী করা হয়েছে। সাধারণ ভাবে তৈরী বাসস্থান এই দুর্যোগের সামনে খুবই দুর্বল তাই এই ঘরগুলোতে থাকা খুবই বিপদজনক।

(৩) এই সময় প্রচন্ড হওয়ার সাথে সাথে প্রচুর পরিমানে বৃষ্টিপাত হয় এই কারণে নদীর জল বৃদ্ধি পেয়ে নিচু এলাকাগুলোকে প্লাবিত করতে পারে তাই এই সময় নিচু এলাকা থেকে উঁচু  এলাকাতে চলে যেতে হবে।

(৪) এই দুর্যোগের সময় কোনো কারণে কোথাও আটকে পড়লে সেখানেই অপেক্ষা করে থাকা উচিত। কেননা এই সময় প্রকৃতি হয়ে উঠে ক্ষিপ্ত নদীর জলের স্রোত হয় প্রচণ্ড। তাই নিজে থেকে কোন জায়গায় না গিয়ে উদ্ধারকারীদের জন্য অপেক্ষা করা উচিত।

নওশাদ  মিয়া এই সব সাবধানতা অবলম্বন করলে ঘূর্ণিঝড় বা সাইক্লোনের থেকে রেহাই পেতে পারত।

(২) তুমি পড়ালেখা শেষ করে রাত ১২টার ঘুমাতে গেল। হঠাৎ লক্ষ করল, তার শোবার খাট ও সিলিং ফ্যান কাঁপছে এবং ঘরের তাকে হালকা জিনিসপত্র নিচে পড়ে যাচ্ছে। তুলি পরদিন সকালে লক্ষ করল, আশাপাশের কিছু পুরাতন বিল্ডিং কেটে গিয়েছে, আবার কোনোটি ভেঙে গিয়েছে এবং হেলে পড়েছে। তুলি বুঝতে পারল রাতে এক ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ সংঘটিত হয়েছিল।

(ক) খরা কী?

উত্তর : খরাও একধরণের প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিন্তু বর্তমানে খরার পেছনে মানুষেরও হাত রয়েছে। কোনো স্থানে দীর্ঘদিন স্বাভাবিক ভাবে বৃষ্টিপাত না হলে সেখানে ধীরে ধীরে জলের পরিমান কমতে থাকে এর ফলে সেখানকার মাটি শুস্ক হয়ে উঠে ফলে সেই মাটিতে ফসল ফলানো সম্ভব হয় না। এই রকম পরিস্থিতিকে খরা বলা হয়। বিভিন্ন দেশে খরার সংজ্ঞা ভিন্ন। যেমন ইংল্যান্ডে কোন অঞ্চলে দুই সপ্তাহ ধরে ০.২৫ মিলিমিটার এর কম বৃষ্টিপাত হলে তাকে খরা বলে মেনে নেওয়া হয়। আবার রাশিয়াতে কোনো অঞ্চলে ১০ দিন ৫ মিলমিটারের কম বৃষ্টিপাত হলে তাকে খরা বলা হয়। আবার আমেরিকাতে কোথাও একটানা ৩০ দিন বা তার বেশি সময় ধরে যে কোনো ২৪ ঘন্টায় ৬.২৪ মিলিমিটার বৃষ্টি না হলে তাকে খরা বলে।

(খ) বাংলাদেশ ঘূর্ণিঝড়-কবলিত দেশ হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ। বাংলাদেশের তিনদিক স্থলভাগ দ্বারা বেষ্টিত এবং উত্তর দিকে বঙ্গোপসাগর দিয়ে ঘেরা। এই কারণে বঙ্গোপসাগরে প্রত্যেক বছর বর্ষাকালে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়ে বাংলাদেশে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি করে এবং প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির সাথে সাথে অপূরণীয় ক্ষতি অর্থাৎ জীবনহানি ঘটায়। বাংলাদেশের অবস্থানও ঘূর্ণিঝড় তৈরির জন্য বিশেষ ভূমিকা রাখে। বাংলাদেশ তিনদিকে স্থলভাগ দিয়ে আবৃত এবং একদিকে সমুদ্র দিয়ে ঘেরা। এর ফলে সমুদ্র থেকে জলীয়বাস্প পূর্ণ বায়ু সমুদ্র থেকে বাহিত হয়ে বাংলাদেশের স্থলভাগের দিকে প্রবাহিত হয়ে স্থাওলভাগের গরম হওয়াকে সরিয়ে শীতল হাওয়া দিয়ে পরিপূর্ণ করে ফলে এখানে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয় এবং প্রবল ঝড়ঝঞ্জা ও ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি করে।

(গ) তুলির লক্ষ করা প্রাকৃতিক দুর্যোগ কীভাবে সৃষ্টি হয়? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : তুলির লক্ষ করা প্রাকৃতিক দুর্যোগটি হলো ভূমিকম্প। এই ভূমিকম্প সৃষ্টি হয় মূলত পৃথিবীর টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষ হলে বা টেকটোনিক প্লেট একে অপরের থেকে দূরে সরে গেলে। এই ঘটনার ফলে প্রচন্ড কম্পনের সৃর্ষ্টি হয় আর এই কম্পনকেই ভূমিকম্প বলে। ভূমিকম্প পরিমাপ করার জন্য রিখটার স্কেল ব্যাবহার করা হয়। ভূমিকম্পের মাত্রা রিখটার স্কেলে ১ থেকে ১০ পর্যন্ত হয়ে থাকে। ১ থেকে ৫ পর্যন্ত ভূমিকম্পকে মৃদুভূমিকম্প বলে। এই ভূমিকম্পের প্রভাবে সেরকম কোনো ক্ষতি হয় না। কিন্তু ৫ এর অধিক সকল ভূমিকম্পই বিপদজনক এবং জীবন ও বস্তুসমূহের ক্ষতিসাধন করে।

(ঘ) উদ্দীপকের প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়? বিশ্লেষণ কর।

উত্তর : ভূমিকম্প এমন একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ যার আগে থেকে কোনো পূর্বাভাস পাওয়া সম্ভব নয়। কারণ এই বিশাল পৃথিবীতে স্থলভাগ বিভিন্ন প্লেটে বিভক্ত এবং এই প্লেটগুলো সবই গতিশীল। এই প্লেটগুলির একেঅপরের সাথে সংঘর্ষ হলে বা পরপস্পর পরস্পরের থেকে দূরে সরে গেলে  প্রবল চাপ ও বলের সৃষ্টি হয় এবং এখান থেকে সৃষ্ট কম্পন চারিদিকে ছড়িয়ে পরে ভূমিকম্পের সৃষ্টি করে। এই ভূমিকম্প থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমরা কয়েকটি সাবধানতা মূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারি। যেমন –

(১) ভূমিকম্পের সময় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ঘরের ভেতর থেকে বেরিয়ে খোলা মাঠে বা খোলা রাস্তায় বের হওয়া।

(২) কোন কারণে ঘর থেকে বেরোতে না পারলে ঘরের কোনো শক্ত আসবাব পত্রের নিচে আশ্রয় নেওয়া।

(৩) ভূমিকম্পের সময় উঁচু দেওয়াল, বা বৈদ্যুতিক খুঁটির নিচে বা পাশে না দাঁড়ানো।

(৪) বাড়ি ঘরের আশপাশ থেকে সরে গিয়ে দূরে কোনো মাঠের মধ্যে আশ্রয় নেওয়া। কারণ ভূমিকমের প্রচন্ড ঝাঁকুনির জন্য বাড়ি ঘর ভেঙে পড়তে পারে।

(৫) ভূমিকম্পের সময় বা পরবর্তী সময়ে নদী ও সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা থেকে দূরে কোনো উঁচু স্থানে আশ্রয় গ্রহণ করে। কারণ ভূমিকম্পের পর সমুদ্রে সুনামি তৈরী হতে পারে যা আরেকটি বিপদজনক প্রাকৃতিক বিপর্যয়।

 

More Solutions : 

Updated: October 31, 2023 — 8:13 am

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *