NCTB Class 9-10 Science Bengali Version Chapter 13 সবাই কাছাকাছি Solution

NCTB Class 9-10 Science Bengali Version Chapter 13 সবাই কাছাকাছি Solution

Bangladesh Board Class 9-10 Science Solution Chapter 13 সবাই কাছাকাছি Solution  Exercises Question and Answer by Experienced Teacher.এখানে বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (NCTB)কর্তৃক প্রকাশিত নবম-দশম শ্রেণীর বিজ্ঞান বইয়ের ত্রয়োদশ অধ্যায় সবাই কাছাকাছি অনুশীলনের সমস্ত সমাধান দেওয়া হয়েছে।

NCTB Solution Class 9-10 Chapter 13 সবাই কাছাকাছি : 

Board NCTB Bangladesh Board
Class 9-10
Subject Science
Chapter 13
Chapter Name সবাই কাছাকাছি

সবাই কাছাকাছি অনুশীলনী প্রশ্ন এবং উত্তর :

NCTB Class 9-10 Science Bengali Version Chapter 13 সবাই কাছাকাছি Solution

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :

(১) সকল নেটওয়ার্কের জননী কোনটি?

(ক) ই-মেইল

(খ) ইন্টারনেট

(গ) মোবাইল

(ঘ) টেলিফোন

উত্তর :

(খ) ইন্টারনেট

(২) কম্পিউটারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য :

(i) কম্পিউটার ভুল করে না, ভুল শনাক্ত করতে পারে

(ii) কম্পিউটার নিজে ভুল সংশোধন করতে পারে

(iii) কম্পিউটার অক্লান্ত ও নির্ভুলভাবে কাজ করতে পারে

নিচের কোনটি সঠিক?

(ক) i ii

(খ) i iii

(গ) ii iii

(ঘ) i, ii iii

উত্তর :

(ঘ) i, ii ও iii

নিচের চিত্রগুলো থেকে ৩ ও ৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

(৩) আবহাওয়ার সংবাদ শুনতে কোনটি কার্যকর?

(ক) P  

(খ) Q

(গ)

(ঘ) S

উত্তর :

(ঘ) S

(8) ‘P’ বক্সটির অধিক ব্যবহারে:

(i) মাথাব্যথা ও বমি বমি ভাব হতে পারে

(ii) খিচুনি ও উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে

(iii) ভালো ঘুম হতে পারে

নিচের কোনটি সঠিক?

(ক) i ii 

(খ) i iii 

(গ) ii iii

(ঘ) i, ii iii 

উত্তর :

(ক) i ও ii

সৃজনশীল প্রশ্ন :

(১) ফারহান ও কাবাদ সময় পেলেই কম্পিউটার গেম খেলে এবং টিভি দেখে। ফারহান খুব কাছে বসে টিভি দেখে। ইদানীং ফারহানের আঙ্গুলে ব্যথা ও চোখ জ্বালা পোড়া করে। মা ফারহানকে কম্পিউটার চালাতে ও কাছাকাছি বসে টিভি দেখতে নিষেধ করলেন।

(ক) রঙিন টেলিভিশনের মৌলিক রং করটি?

উত্তর : রঙিন টেলিভিশনের মোট তিনটি মৌলিক রং আছে। এই মৌলিক রংগুলি হলো লাল, সবুজ, এবং নীল। এই তিনটি মৌলিক রঙকে ব্যবহার করে রঙিন টিভিতে অগুনিত রং তৈরী করা সম্ভব হয়েছে। এই কারণে আমরা রঙিন টিভিতে বিভিন্ন রঙের স্থির চিত্র বা চলমান চিত্র দেখতে পারি।

(খ) ডিজিটাল সংকেত বলতে কী বুঝায়?

উত্তর : যখন কোনো সংকেতকে সংখ্যায় বা ডিজিটে পরিবর্তন করা হয় তখন সেই সংকেতকে ডিজিটাল সংকেত বলে। এই সংকেত গুলোকে শুধু মাত্র ডিজিটাল সংকেত ব্যবহার করেই  পক্রিয়া করা যেতে পারে এবং ব্যবহারের উপযোগী করে তোলা সম্ভব হয়। ডিজিটাল সংকেত এনালগ সংকেতের থেকে অনেক বেশি দ্রুতগামী এবং সুরক্ষিত। ডিজিটাল সংকেতকে বিশেষ যন্ত্রের দ্বারা অনেক দূর পর্যন্ত পাঠানো সম্ভব। ডিজিটাল সংকেতকে ০ ও ১ বাইনারি নম্বর দ্বারা প্রকাশ করা হয়। ডিজিটাল সংকেতে একটি নির্দিষ্ট ভোল্টেজকে ১ ধরা হয় এবং শুন্য ভোল্টেজকে ০ ধরা হয়। বর্তমানে কম্পিটার থেকে মোবাইল সব কিছুই ডিজিটাল সংকেত ব্যবহার করে তথ্যের  আদান-প্রদান করার জন্য।

(গ) উদ্দীপকের প্রথম বক্সটির যান্ত্রিক কৌশল বর্ণনা কর।

উত্তর : উদ্দীপকের প্রথম বাক্সটি একটি কম্পিউটার। কম্পিউটারের দুটি প্রধান অংশ এক হলো মেমোরি বা RAM এবং CPU বা মাইক্রোপ্রসেসর। মেমোরিতে কতগুলি প্রোগ্রাম বা ইন্সট্রাকশন লেখা থাকে এই ইন্সট্রাকশন গুলোকে মাইক্রোপ্রসেসর সম্পূর্ণ করে। কম্পিউটার ডিজিটাল সংকেতে তথ্য আদান-প্রদান করে  অর্থাৎ কম্পিটার ০ এব ১ বাইনারি নম্বর ছাড়া কিছু বোঝে না। কম্পিউটারে সব গেম, গান ভিডিও, প্রোগ্রাম সবই এই ০ এবং  ১  বাইনারি ডিজিট ব্যবাহার করে লেখা হয়। কম্পিউটারে একটি মনিটর, সিপিইউ, মাউস, কীবোর্ড ইত্যাদি থাকে কিন্তু বর্তমানে কম্পিউটার এখন হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। কেননা আমাদের প্রত্যেকের মোমবাইল ফোন বা স্মার্টফোন গুলোই একেকটি কম্পিউটার। কম্পিউটার যেমন গেম খেলা, গান শোনা, ভিডিও দেখা যায় তেমনি আবার ছবি আঁকা, নতুন প্রোগ্রাম লেখা, জটিল গাণিতিক সমাধান করা যায়। বর্তমান পৃথিবীকে কম্পিউটার ছাড়া কল্পনা করা প্রায় অসম্ভব। কারণ বর্তমানে মানুষের দৈনিন্দন কাজ থেকে শুরু করে জটিল গণনা করা, চিকিৎসা কাজে, যানবাহন চালাতে সকল কাজে কম্পিউটারের ভূমিকা অনস্বীকার্য। বর্তমানে কম্পিউটারের কাজের কোনো পরিধি নেই। কম্পিউটারের ব্যবহারকারীর পারদর্শিতার উপর নির্ভর করে কম্পিউটারের ক্ষমতা। তবে কম্পিউটার ব্যবহার করার সুফল যেমন আছে এর কুফল কিন্তু কম নয়। আমাদের জীবনে কম্পিউটারের সুফল যেমন পরিলক্ষিত হয়েছে তেমনি দিন দিন এর কুফলও স্পষ্ট হচ্ছে।

(ঘ) উদ্দীপকে উল্লিখিত ফারহানের সমস্যার কারণ বিশ্লেষণ কর।

উত্তর : উদ্দীপকে উল্লিখিত ফারহানের এই সকল সমস্যা সৃষ্টির প্রধান কারণ হলো অতিরিক্ত এবং দ্দীর্ঘক্ষন ধরে কম্পিউটারের ব্যবহার। কম্পিউটার অতিরিক্ত ব্যবহার করলে আঙ্গুলে ব্যথা ও চোখ জ্বালা পোড়া করা ইত্যাদি সমস্যার সৃষ্টি হয়। কম্পিউটার বা টিভির পর্দাকে সামনে থেকে দীর্ঘক্ষন নিয়মিত ভাবে দেখতে চোখে কম্পিউটার ভিশন সিনড্রোম রোগ দেখা দেয়। এই রোগে রোগীর চোখ জ্বালাপোড়া করে, চোখ লাল হয়ে যায়, চোখের জল শুকিয়ে যায়, চোখের মধ্যে অস্বস্তি বোধ হয়। এই সমস্যার জন্য দায়ী হলো কম্পিউটার ও টেলিভিশনের পর্দা। এছাড়া কম্পিউটারের মধ্যে মাউস ও কিবোর্ডের সাথে বেশিক্ষন কাজ করলে বা গেম খেললে আমাদের হাত ও কাঁধের উপর অতিরিক্ত চাপের সৃষ্টি হয় ফলে আমাদের হাতের আঙুলে, কাঁধে, এবং পিঠে প্রচন্ড ব্যাথার অনুভূতি হয়। মূলত এই সকল কারণে উদ্দীপকের ফারহানের এই সকল সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল।

(২) নজরুল ইসলাম সবসময় ইন্টারনেটে কাজ করেন। একদিন ইন্টারনেটে বিদেশে একটি চাকরির বিজ্ঞপ্তি দেখে তিনি আবেদন করলে অপর প্রান্ত থেকে দরকারি কাগজপত্র, মূল সার্টিফিকেটের কপি পাঠাতে বলা হয়। তিনি কাগজপত্র স্ক্যান না করে বিশেষ প্রক্রিয়ায় কয়েক মিনিটের মধ্যে সেগুলো পাঠিয়ে দেন।

(ক) হার্ডওয়্যার কী?

উত্তর : কম্পিউটারের যা কিছু স্পর্শ করা যায় তাই কম্পিউটারের হার্ডওয়ার। একটি কম্পিউটার তৈরী হয় দুটি প্রধান অংশকে মিলিত করে। এই দুটি অংশ হলো হার্ডওয়ার ও সফ্টওয়ার। এখানে আমরা হার্ডওয়ার সম্পর্কে আলোচনা করবো। একটি কম্পিউটারের যা কিছু স্পর্শ করা যায় তা সবই এই হার্ডওয়ার অংশের মধ্যে পরে যেমন – মনিটর, RAM ও ROM, সিপিইউ, সিডি, ডিভিডি, ক্যাবিনেট, কিবোর্ড, মাউস ইত্যাদি। এই সকল বস্তুর সাহার্যে আমরা কম্পিউটারে বিভিন্ন কাজ সম্পন্ন করি। । কম্পিউটারের যে কোনো কাজ করার জন্য এই হার্ডওয়ারের ভূমিকা অনস্বীকার্য। আর কম্পিয়ারের এই হার্ডওয়ারের সাথে কম্পিউটারের ব্রেনের অর্থাৎ প্রসেসর মধ্যে যে যোগাযোগ সম্পন্ন করে তাকেই সফ্টওয়ার বলে।

(খ) অডিও সংকেত বলতে কী বুঝায়?

উত্তর : অডিও সংকেত হলো শব্দের একটি উপস্থাপনা। মাইক্রোফোন,  রেডিও, FM ইত্যাদি অডিও সংকেতের প্রকৃষ্ট উদাহরণ। এনালাগ মাধ্যমে বৈদ্যুতিক ভোল্টেজের তারতম্য ঘটিয়ে অডিও সংকেত প্রেরণ করা হয় যেমন মাইক্রোফোনে কেউ কথা বললে তা মাইক্রোফোনের ডায়াফ্রামকে তরঙ্গায়িত করে এবং এই সংকেত এম্পলী ফায়ারের মাধ্যমে বৈদ্যুতিক ভোল্টেজের তারতম্য ঘটিয়ে তা স্পিকারে আরো তীব্র করে পাঠানো যায়। অপরদিকে ডিজিটাল মাধ্যমে বাইনারি সংখ্যা ০ ও ১ এর পরিবর্বর্তন করে অডিও সংকেত প্রেরণ করা যায়। যেমন কম্পিউটারের গান শোনা, সিনেমা দেখা বা অন্নান্য শব্দ। এই দুই মাধ্যমেই অডিও সংকেতের ফ্রিকোয়েন্সি 20 থেকে 20,000 Hz মধ্যে থাকে। কারণ এর থেকে কম বা বেশি ফ্রিকোয়েন্সির শব্দ মানুষ শুনতে প্রায় না। রেডিও, মিউসিক সিস্টেম, কম্পিউটার, হেডফোন ইত্যাদি যন্ত্র অডিও সংকেতকে পুনরায় শব্দে রূপান্তরিত করতে পারে।

(গ) নজরুল ইসলামের যোগাযোগের প্রথম মাধ্যমটির কার্যকারিতা ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : নজরুল ইসলামের ব্যবাহার করা প্রথম মাধ্যমটি হলো ইন্টারনেট। ইন্টারনেটকে নেটওয়ার্কের নেটওয়ার্ক বলা হয়ে থাকে। কারণ পৃথিবীর সকল কম্পিউটার, মোবাইল  এবং বিভিন্ন সরঞ্জাম যা কোনো না কোনো নেটওয়ার্কের অন্তর্গত এরা সবাই নিজেরদের মধ্যে  তথ্যের আদান-প্রদান বা যোগাযোগ করার জন্য ইন্টারনেটের ওপর নির্ভরশীল থাকে। সমগ্র পৃথিবীতে প্রায় ৯ বিলয়নেরও বেশি কম্পিউটার ইন্টারনের সাথে যুক্ত আছে এবং এই সংখ্যা ক্রমবর্ধমান হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গেম খেলা থেকে শুরু করে, গান শোনা, ভিডিও দেখা, পড়া শোনা করা, কোনো কিছু ডাউনলোড করা, বা একদেশ থেকে  অন্যদেশ বিভিন্ন তথ্যের আদান প্রদান করা,  দৈনিক আবহাওয়ার খবর, দেশ-বিদেশের নানা খবর এই সবকিছুই ইন্টারনেটের জন্যই উপলব্ধ হয়েছে বা আমাদের কাছে আসছে। ইন্টারনেট ছাড়া বর্তমান পৃথিবী একেবারেই অচল। ইন্টারনেট এখন আমাদের নিত্য প্রয়োজনের সামগ্রীর মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে। বর্তমানে স্কুল, কলেজের পড়াশোনা থেকে চাকরি প্রার্থীদের ইন্টারভিউ সবই হচ্ছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে। ইন্টারনেট বর্তমানে এই সমগ্র পৃথিবীকে আমাদের হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে।

(ঘ) নজরুল ইসলাম প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো ইন্টারনেটের পরিবর্তে বিশেষ প্রক্রিয়ায় কেন পাঠালেন? বিশ্লেষণ কর।

উত্তর : নজরুল ইসলাম ই-মেইল পদ্ধতি ব্যবহার করে পাঠিয়েছিল। ই-মেইল নেটওয়ার্কে যোগাযোগ করার একটি মাধ্যম। পোস্ট অফিসের মাধ্যমে চিঠি পাঠানোর ব্যাবস্থাকে ডিজিটাল ও অনেক বেশি দ্রুতগামী করেছে ই-মেইল ব্যবস্থা। ডাকঘরের ন্যায় এই বাবস্থাতেও গাহক ও প্রেরকের নির্দিষ্ট ঠিকানার প্রয়োজন হয়। এই ব্যাবস্থার মধ্যে প্রত্যেক ইউসাররের একটি নির্দিষ্ট ঠিকানা থাকে যেমন – [email protected]  এই ঠিকানাটির মধ্যে ABC হলো ইউসারটির পরিচয় যা @ বর্ণটি দিয়ে ভাগ করা হয়েছে ডোমেইন নাম অর্থাৎ def.com থেকে। ডোমেইন নাম বলতে বোঝানো হয় যে ইউসারটি কোন কোম্পানির সঙ্গে জড়িত তা জানা যায়। ই-মেইল ব্যবস্থা নির্দিষ্ট সার্ভারের মধ্যে কাজ করে। এই সার্ভারগুলোতে ইউসারদের সব তথ্য  সুরক্ষিত ভাবে সঞ্চিত থাকে। তাই এই ব্যবস্থা ইন্টারনেটের অন্যান্য মাধ্যম থেকে অনেক বেশি সুরক্ষিত। ই-মেইল মাধ্যমে পাঠানো তথ্যকে গ্রাহক ও প্রেরক ছাড়া অন্য কেউ দেখতে পারে না। এই কারণের জন্যই নজরুল ইসলাম তার দরকারি ও প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রকে  ইন্টারনেটে সরাসরি না পাঠিয়ে ই-মেইল মারফৎ পাঠিয়েছিল। কারণ ইন্টারনেটে সরাসরি কোনো তথ্য প্রেরণ করলে তা খুব সহজেই অপরাধীদের হাতে চলে যেতে পারে। কারণ বর্তমানে বিভিন্ন ক্ষতিকারক সফ্টওয়ার তৈরী করা সম্ভব হয়েছে যা ইন্টারনেটের অপব্যাবহার করে ইন্টারনেট থেকে যে কারো বিভিন্ন গোপনীয় তথ্য চুরি বা লোপাট করতে পারে। যেমন – ব্যাঙ্কের নম্বর, মোবাইল নম্বর, দরকারি কাগজপত্র ইত্যাদি। ই-মেলের পাশাপাশি বর্তমানে ইন্টারনেটের দেওয়া ই-মেইল সার্ভিস অনেক বেশি জনপ্রিয় হয়েছে। যেমন gmail.com,  yahoo.com, Hotmail ইত্যাদি।

 

Updated: October 31, 2023 — 7:55 am

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *