NCTB Class 9-10 Science Bengali Version Chapter 12 প্রাত্যহিক জীবনে তড়িৎ Solution

NCTB Class 9-10 Science Bengali Version Chapter 12 প্রাত্যহিক জীবনে তড়িৎ Solution

Bangladesh Board Class 9-10 Science Solution Chapter 12 প্রাত্যহিক জীবনে তড়িৎ Solution  Exercises Question and Answer by Experienced Teacher.এখানে বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (NCTB) কর্তৃক প্রকাশিত নবম-দশম শ্রেণীর বিজ্ঞান বইয়ের দ্বাদশ অধ্যায় প্রাত্যহিক জীবনে তড়িৎ অনুশীলনের সমস্ত সমাধান দেওয়া হয়েছে।

NCTB Solution Class 9-10 Chapter 12 প্রাত্যহিক জীবনে তড়িৎ : 

Board NCTB Bangladesh Board
Class 9-10
Subject Science
Chapter 12
Chapter Name প্রাত্যহিক জীবনে তড়িৎ

প্রাত্যহিক জীবনে তড়িৎ অনুশীলনী প্রশ্ন এবং উত্তর :

NCTB Class 9-10 Science Bengali Version Chapter 12 প্রাত্যহিক জীবনে তড়িৎ Solution

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন :

(১) কোনটি অ্যামিটারের প্রতীক?

উত্তর :

(খ)

(২) তড়িৎ বিশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় প্রলেপ দেওয়া হয় –

(i) লোহার ওপর নিকেলের

(ii) দস্তার ওপর লোহার

(iii) তামার ওপর সোনার

নিচের কোনটি সঠিক?

(ক) i ii

(খ) i iii 

(গ) ii iii

(ঘ) i, ii iii 

উত্তর :

(খ) i ও iii

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

রিপন বকশীগঞ্জে বাস করে। এখানে প্রায়ই বিদ্যুতের লোডশেডিং হয়। এ কারণে বিভিন্ন কাজে অসুবিধা হওয়ায় রিপন বাড়িতে আইপিএস লাগিয়েছে।

(৩) বিদ্যুতের বিকল্প হিসেবে লাগানো যত্নটির ক্ষেত্রে প্রয়োজন

(i) এটি অপর্যাপ্ত প্রবাহে চলে

(ii) নিম্ন ভোল্টেজে চার্জিত হয়

(iii) তড়িতের আউটপুটের সাথে সংযুক্ত থাকে

নিচের কোনটি সঠিক?

(ক) i ii

(খ) i iii

(গ) ii iii

(ঘ) i, ii iii

উত্তর :

(গ) ii ও iii

(8) কী সমস্যার কারণ :

(i) বিদ্যুতের সিস্টেম লস

(ii) সরবরাহ পদ্ধতির জুটি

(iii) চাহিদার তুলনায় তড়িতের স্বল্প উৎপাদন

নিচের কোনটি সঠিক?

(ক) i ii

(খ) i iii 

(গ) ii iii 

(ঘ) i, ii iii 

উত্তর :

(খ) i ও iii

সৃজনশীল প্রশ্ন :

(১)  মিসেস মনসুরা খানম একজন সচেতন গৃহিণী। বাড়ির বিদ্যুৎ ব্যবহারের ক্ষেত্রে তিনি হিসাব করে চলেন। প্রতিদিন গড়ে ৬ ঘণ্টা করে ১০০ ওয়াটের ৫টি বাল্ব জ্বালান। ইদানীং তিনি লক্ষ করছেন বিদ্যুৎ বিল বেশি আসছে। এজন্য তিনি বাল্বগুলো পরিবর্তন করে ৫টি ২০ ওয়াটের এনার্জি সেভিং বা লাগান।

(ক) তড়িৎ ক্ষমতা কী?

উত্তর : কোনো বৈদ্যুতিক যন্ত্র প্রতি সেকেণ্ডে যত তড়িৎ শক্তি ব্যবহার করে বা ব্যয় করে অন্য শক্তিতে  রূপান্তরিত করে তাকে ওই যন্ত্রের তড়িৎ ক্ষমতা বলে। তড়িৎ ক্ষমতাকে কিলোওয়াট বা কিলোওয়াট-ঘন্টা ইত্যাদি এককে প্রকাশ করা হয়।

(খ) একটি বাল্বের পায়ে ২২০ ভোল্ট-৬০ ওয়াট লেখা আছে এর অর্থ কী?

উত্তর : বাল্বের গায়ে দেখা ২২০ ভোল্ট ৬০ ওয়াট লেখার অর্থ হলো এই বৈদ্যুতিক বাল্বটিকে ২২০ বিভব পার্থক্যের তড়িৎ সংযোগ দিলে বাল্বটি সবচেয়ে বেশি উজ্বল ভাবে জ্বলবে এবং এই সময় বাল্বটি   প্রতি সেকেন্ডে ৬০ জুল বৈদ্যুতিক শক্তিকে আলোক শক্তিতে রূপান্তরিত করবে।

(গ) প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের মূল্য ৫ টাকা হলে পূর্বে মনসুরা খানমের কত বিল আসতো?

উত্তর : প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের মূল্য যদি ৫ টাকা হয় তবে মিসেস মনসুরা খানমের বিল জানার জন্য প্রথমে আমাদের তার বিদ্যুতের খরচ সম্পর্কে জানতে হবে অর্থাৎ তিনি ৫টি ১০০ ওয়াটের বাল্ব প্রতিদিন ৬ ঘন্টা ব্যাবহার করার জন্য কতটা বিদ্যুৎ খরচ করছিলেন। তাহলে প্রথমে ১ মাসে তিনি কতটা বিদ্যুৎ ব্যবহার করছিলেন তা জেনে নেওয়া যাক, = ১০০ × (৩০ × ৬) /১০০০  = ১৮ ইউনিট একটি বাল্বের বিদ্যুৎ খরচ। এখন মোট পাঁচটি বাল্বের বিদ্যুৎ খরচ, = ১৮ × ৫ = ৯০ ইউনিট প্রতিমাসে। এখন মনসুরা খানমের বিল = ৯০ × ৫ = ৪৫০ টাকা। অর্থাৎ প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের মূল্য যদি ৫ টাকা হয় তবে মিসেস মানসুরা  খানমের মাসিক বিল ছিল ৪৫০ টাকা।

(ঘ) পরবর্তীতে বাহুগুলোর পরিবর্তনে মনসুরা খানমের কী লাভ হলো? যুক্তিসহ তোমার মতামত দাও।

উত্তর : মিসেস মনসুরা খানম পূর্বে তার বাড়িতে প্রতিদিন ৬ ঘন্টা করে ৫ টি ১০০ ওয়াটের বাল্ব জ্বালাতেন অর্থাৎ তার মাসিক বৈদ্যুতিক ব্যয় হলো ১০০ × (৩০ × ৬)/১০০০ = ১৮ ইউনিট অর্থাৎ ১৮ × ৫ =  ৯০ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যয় হতো কিন্তু পরবর্তী সময়ে তিনি এই ১০০ ওয়াটের বাল্ব গুলোকে পরিবর্তিত করে ৫ টি ২০ ওয়াটের বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বাল্ব লাগিয়েছিলেন তাই এখন তার বৈদ্যুতিক ব্যয় হয়েছে ২০ × (৩০  × ৬)/১০০০ = ৩.৬ উইনিট অর্থাৎ ৫টি বাল্বের ৩.৬  × ৫  = ১৮ উইনিট। এখন যদি প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৭ টাকা ধরা হয় তাহলে মনসুর খানমের আগের বৈদ্যুতিক খরচ ছিল ৯০ × ৭ = ৬৩০ টাকা। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বাল্ব লাগানোর পর তার বৈদ্যুতিক খরচ হয়েছে ১৮ × ৭ = ১২৬ টাকা। অর্থাৎ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বাল্ব লাগানোর পর থেকে মিসেস মনসুর খানম প্রতিমাসে ৬৩০ – ১২৬ = ৫০৪ টাকা সাশ্রয় করছেন। তাই বলা যায় যে মিসেস মনসুরা খানম তার বাড়িতে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বাল্ব লাগিয়ে অনেক বেশি লাভবান হয়ে ছিলেন।

(২) নিচের চিত্র ছুটি দেখ এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।

(ক) তড়িৎ বিশ্লেষণ কাকে বলে?

উত্তর : তড়িৎ বা বিদ্যুৎকে কোনো দ্রবণে প্রবাহিত করে ওই দ্রবনের অণুগুলোকে ধনাত্বক অংশে বা ঋনাত্বক অংশে বিভক্ত করার পদ্ধতিকে তড়িৎ বিশ্লেষণ বলে। এই পদ্ধতি অবলম্বন করে তড়িৎ প্রলেপন, তড়িৎ মুদ্রণ এবং ধাতু শোধন বা নিষ্কাশন করা হয়ে থাকে। বর্তমানে আমাদের প্রত্যাহিক জীবনে তড়িৎ বিশ্লেষন এক বিশেষ ভূমিকা রাখে।

(খ) অ্যানোড বলতে কী বুঝায়?

উত্তর : তড়িৎ বা বিদ্যুৎকে কোনো দ্রবণে প্রবাহিত করে ওই দ্রবনের অণুগুলোকে ধনাত্বক অংশে বা ঋনাত্বক অংশে বিভক্ত করার পদ্ধতিকে তড়িৎ বিশ্লেষণ বলে। ১৮৮১ সালে বিখ্যাত বিজ্ঞানী আরহেনিয়াস সর্বপ্রথম তড়িৎ বিশ্লেষণের ধারণা বা ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন এসিড, ক্ষারীয় বা লবন জাতীয় যৌগিক পদার্থ গুলোকে তরলে দ্রবীভূত করলে সেগুলি সমপরিমাণ ধনাত্বক ও ঋনাত্বক আধানযুক্ত আয়নে ভাগ হয়ে যায়। এই পদ্ধতি অবলম্বন করে তড়িৎ প্রলেপন, তড়িৎ মুদ্রণ এবং ধাতু শোধন বা নিষ্কাশন করা হয়ে থাকে। বর্তমানে আমাদের প্রত্যাহিক জীবনে তড়িৎ বিশ্লেষন এক বিশেষ ভূমিকা রাখে।

(ঘ) চিত্র ১২.১১ ও চিত্র ১২.১২-এর মধ্যে বাড়িতে সংযোগের ক্ষেত্রে কোনটি বেশি সুবিধাজনক? তোমার যৌক্তিক মতামত দাও।

উত্তর : প্রদপ্ত চিত্রের ১২.১১ বিদ্যুৎ সংযোগটি একটি সিরিজ সার্কিট এবং ১২.১২ বিদ্যুৎ সংযোগটি একটি সমান্তরাল সার্কিট। এই দুই প্রকার সার্কিটেরই কিছু ভিন্ন বৈশিষ্ট আছে। কিন্তু বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য সমান্তরাল সার্কিট ব্যবহার করা বেশি যুক্তিযুক্ত। নিচে ব্যাখ্যায়িত করা হলো –

(১) সিরিজ সার্কিট :

এই সার্কিটে একটি মেইন লাইনের সাথে সবগুলি সংযোগ যুক্ত থাকে এবং এতে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম এর পরিমান বৃদ্ধির সাথে সাথে এর মধ্যে প্রবাহিত বিদ্যুতের বিভব কমতে থাকে অর্থাৎ এই সার্কিটে একটি বাল্ব জ্বালাকে বাল্বটি যতটা উজ্বল ভাবে জ্বলবে, একই সাথে তিনটি বাল্বকে জ্বালালে বাল্বগুলি অনেক কম উজ্জ্বল ভাবে জ্বলবে। আবার এই সার্কিটে একটি মাত্র সুইচের সাহার্য্যে এই বর্তনীর সমগ্র বৈদ্যুতিক সংযোগকে বিচ্ছিন্ন বা চালু করা যায়। এই কারণে এই বর্তনীতে কোন বৈদ্যুতিক সরঞ্জামকে ভিন্ন ভাবে চালু বা বন্ধ করা যায় না। একটি সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলে বর্তনীর সমগ্র সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এই সকল কারণে সিরিজ সার্কিট ঘরের বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য উপযুক্ত নয়।

(২) সমান্তরাল সার্কিট :

সামন্তরাল সার্কিটে প্রত্যেকটি বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য দুই প্রান্তে সমান বিভব পার্থক্য যুক্ত তড়িৎ সংযোগ দেওয়া থাকে। কারণে এই বর্তনীতে সকল বৈদ্যুতিক সরঞ্জামকে আলাদা আলাদা ভাবে চালু ও বন্ধ করা সম্ভব হয় এবং প্রত্যেকটি সরঞ্জামে সঠিক পরিমানে বা সমান বিচব ক্ষমতা সম্পন্ন তড়িৎ প্রবাহিত হয়। ফলে এই বর্তনীর সকল বাল্বগুলি একই সাথে ও সমান উজ্জলতার সাথে প্রজ্বলিত হয়। এই কারণে বাড়ি-ঘরের বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য সমান্তরাল তড়িৎবর্তনীই উপযুক্ত। কারণ বাড়িতে একেক সময়ে একেক প্রকার  বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার করার প্রয়োজন হয়।

More Solutions : 

Updated: October 31, 2023 — 8:17 am

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *